[justify]সুখী মানুষেরই বুঝি নানা রকম শখের কাজ থাকে। আর অসুখীদের থাকে অপূর্ণ শখ। যখন বয়সে আরেকটু ছোট ছিলাম, শখ নিয়ে মাথা ঘামাইনি কখনো। আমার শখের কাজ কি তা এখনো নিশ্চিত নই। তাই বলে অবসরে চুপচাপ বসে থাকি তা কিন্তু না। বরং যখন যা ইচ্ছে তাই করি। যা ইচ্ছে তাই করাটাকে কি শখ বলা যায় কিনা সেটাও ভাবনার বিষয়!
ক’দিন ধরেই পাখিকে মনে পড়ছে খুব। পাখি। মিষ্টি একটা মেয়ে। আমাদের ওয়ারির বাড়িতে ভাড়াটে ছিলো। ওর মা আমাদের চলচ্চিত্রের একজন অভিনেত্রী ছিলেন। খুব রূপসী মহিলা। ধবধবে ফর্সা। হাস্যোজ্জ্বল চেহারা। কথা বলেন বরিশাইল্যা একসেন্টে। আমাকে খুবই পছন্দ করতেন তিনি। আদর করে আমাকে সম্বোধন করতেন—‘জামাই’।
[justify]ছোটবেলায় যখন বই পড়ার নেশাটা প্রথম মাথায় ওঠে, সেই সময়গুলোতে একটা বই হাতে পেতে অথবা পড়তে তখন আমায় মেলা কাঠ খড় পোড়াতে হত। সেইসব দিনগুলোতে আমার প্রধান অন্তরায় ছিলেন আমার মা। সারাটা জীবন অনেক রাগ করেছি, দুষেছি তাকে এই সব কারণে। আজ একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মাকে দেখতে বসলাম। বাংলার নারীদের দেখতে বসলাম আসলে।
আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস সামনে রেখে আমার মা’কে নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। আমার মত সন্তান, যারা মা’দের জীবদ্দশায় তাঁদের মূল্যায়ন করতে শেখেনি, তাদের যা হয় আর কি! নাকের চোখের জল একাকার হয়ে যায়, লেখা আর এগোয় না।
দিনের বেলা বাবা অফিস থেকে ফিরে, মধ্যাহ্নভোজন সেরে শেষ দুপুরে একটু ঘুমুতেন। ওই সময়টা ওনার শোবার ঘরে আমাদের যাওয়া ছিলো বারণ। একেবারে কারফিউ জারি থাকতো সেসময়টা।
"দ্যাখেন আম্মু, এই লোকটার সাথে আমার অনেক মিল"... শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা পার্থিব পড়তে পড়তে, বইটার একটা চরিত্র কৃষ্ণজীবনের ব্যাপারে আম্মুকে বললাম।
আম্মুর তেমন কোন আগ্রহ নেই বই-টইয়ের দিকে, তাও জিজ্ঞেস করলেন, "কেমন মিল?"
[justify]বাবাইর তখন তিন বছর। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি। ২ অথবা ৩ তারিখ হবে। শুদ্ধস্বর-এ বসে আমরা আড্ডা দিলাম। তারপর জ্যোতি, তারেক, আমি, তুলি, টুটুলভাইসহ কয়েকজন একসাথে বই মেলার পথ ধরলাম। আজীজ মার্কেট এর সোজা উল্টাদিকে রাস্তা পার হয়ে যাদুঘরের পাশের ফুটপাথে উঠতেই দেখি মন্থর গতিতে হাঁটছে, দেখে খুশি হবার বদলে আমার মুখটা শুকিয়ে গেলো। কারণ ঢাকায় যাবার কথা জানানো হয়নি। তার উপর সাথে বাবাইকে নিয়ে গেছি।
(বড়বেলা!) টাইমলাইন: শুণ্য হইতে প্রাইমারি
আমি বেশ বড়ো হয়ে সাইকেল চালানো শিখেছি। বড়ো হয়ে বলতে ক্লাস সিক্সে পড়ি খুব সম্ভবত তখন। যে সব বুদ্ধিমান মানুষ ক্লাস সিক্সকে বড়ো বলায় হয়তো চোখ ছোট কিংবা 'বড়ো' করে ফেলেছেন তাদের জন্য বলতে হচ্ছে বড়ো হয়ে বলার কারণটা হচ্ছে আমার বড়ো(!)ভাই।
আমি তখনও স্কুলে ভর্তি হই নি। আমার সবার বড় বোন সেবার ক্লাস নাইনে উঠলো। তখন সবার কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে, পড়ালেখা আসলে দুই প্রকার। যারা বেশি পড়ালেখা করে, তারা হয় "সাইঞ্ছে পড়ে" আর নয়তো "আর্সে পড়ে"। সাইঞ্ছে পড়ে মানুষ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর "বৈজ্ঞানিক" হয়। আর যারা আর্সে পড়ে, তারা উকিল হয়, নইলে অফিসে চাকরি করে। যাই হোক, সেবার আমার বোন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আর বৈজ্ঞানিক হবার পথেই হাঁটলো, আর আমার মধ্যেও এই