৫।
"সবুজবীথি" থেকে বার হয়ে আবার একটা ছায়াশীতল রাস্তা, সেই রাস্তা দিয়ে গিয়ে পৌঁছলাম একটা বড়ো দিঘির কাছে, নির্জন ঘাটের কাছে ছায়া মেলে দাঁড়িয়ে আছে এক মস্ত ঝুরি নামানো বট। বটের ছায়ায় বসলাম সবাই।
১
আজব নাম্বারের ফোন কল
৪। আমরা ঢুকতে মিউজিয়ামের প্রৌঢ় কিউরেটর নিজেই এসে অভ্যর্থনা করলেন। ডক্টর আদিত্য পরিচয় করিয়ে দিলেন ওঁর সঙ্গে। ওঁর নাম অসিতদেবল বসু, উনি ইতিহাসবিদ। ঐ মিউজিয়ামে কাজ করছেন প্রায় ত্রিশ বছর। তবে এই কাজ ওঁর আংশিক কাজ, উনি ইতিহাসের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা আর লেখালিখিও করেন। ওঁর বেশ কিছু ইতিহাসবিষয়ক বই প্রকাশিত হয়েছে গত বিশ বছরে। এ ছাড়া বিভিন্ন জার্নালে বেশ কিছু গবেষণাপত্রও বেরিয়েছে।
৩। ভোর ভোর গন্তব্যে পৌঁছল বাস। আমি শেষরাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আবার । হঠাৎ শুনি ঝাঁকুনি দিয়ে কে যেন ডাকছে, "আবীর, আবীর, ওঠো। পৌঁছে গিয়েছি আমরা।"
কুয়াশাজড়ানো স্বপ্নের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসি ঝাঁকুনি খেয়ে, কাশ্মীরা আমাকে ডাকছে। জেগে দেখি বাস পৌঁছে গিয়েছে। ঘুমভাঙা চোখে যাত্রীরা সব হাই তুলতে তুলতে চোখ ডলতে ডলতে জিনিসপত্র গুছিয়ে নামছিল। আমরাও।
২। আমরা প্ল্যান করলাম শুক্রবার আপিস ছুটি হতেই আমরা যাবার জন্য বের হবো, দুদিনের মতন জিনিসপত্র ছোটো ব্যাগে গোছানো থাকবে আগে থেকেই। সন্ধ্যেয় বাস ছাড়ে আমাদের শহর থেকে, ডক্টর আদিত্যের বাড়ীর নিকটতম শহরে পৌঁছয় ভোরবেলা। সেখান থেকে ট্যাক্সিতে চলে যাবো ওঁর ওখানে। শনিবার সারাদিন সারারাত থেকে রবিবারে সকালে ফিরতি বাস ধরবো, সে বাস আমাদের শহরে চলে আসবে বিকেল-বিকেল। সোমবারে তাহলে অফিস করতে আমাদের কোনো অসুবিধেই হব
১। ম্যাপের উপরে একটা আঁকাবাঁকা রেখার উপরে তর্জনী রেখে কাশ্মীরা বললো, "এই যে আবীর, এইখানে একটা নদী থাকার কথা। উপগ্রহ-চিত্রেও নদী দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্যের কথা এই নদীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মুশকিল হলো জায়গাটা খুব দুর্গম। রুক্ষ পাহাড় আর মরুভূমির ভিতর দিয়ে শয়ে শয়ে মাইল রাস্তা পার হয়ে যেসব অভিযানকারী গিয়েছে, কেউই নদীটাকে খুঁজে পায় নি। ফিরে এসে তাই বলেছে। মোট পাঁচটা অভিযাত্রীদল গিয়েছিল, তার মধ্যে
০১/০৩/২০১৮
অতর্ণা হাসান
অন্ধকার। ঘন কালো অন্ধকার। সূক্ষ্ম একটা দাগের মতন আলোটা এলো। আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে, চারপাশে। কিন্তু সব ঝাপসা, সব ঘোলাটে।
আলোটাই কি ফ্যাকাসে? নাহ, ফ্লুরোসেন্ট বাতির সাদাটে আলো, সাদা সিলিং। বাম দিক থেকে হালকা ঠাণ্ডা বাতাস। কিছু কিছু বুঝতে পারছি। কিন্তু তার মধ্যে দেখার অংশটা কম, অধিকাংশই ধারনা করে নেয়া।
চোখ খোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা চালালাম। এই ফ্যাকাসে-ঘোলা পৃথিবীর মাঝে একটু ঝকঝকা রঙের ছোঁয়া যদি পাওয়া যায়। আমার সমস্ত মনোযোগ এনে আমার চোখের তারায় বসালাম। কিছুটা দেখতে পাচ্ছি। অসংখ্য টিউব, পাইপ আমার দৃষ্টির সীমানায়।
[justify]১.
৬ নভেম্বর ১৯৭৫। মাঝরাত হতে তখনো কিছুটা বাকি। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি হেডকোয়ার্টারের পাশে যে লাল মসজিদটা, তার পাশের একটি বাড়ি থেকে বের হয়ে এলেন ইউনিফর্ম পরা একজন নায়েব সুবেদার। একা। বাইরে এবং চারিদিকে তখন ভীষণ অন্ধকার।
ট্রেনে শেষমেশ ঊঠতে পেরে মতিন মিয়া হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। কাঁধের দুটো ঝোলা আর হাতে ধরা শাড়ির প্যাকেটটা নিয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে সে তাল সামালাতে পারছিল না ভীড়ের মধ্যে । ট্রেন যখন চলতে শুরু করল তখন মরিয়া হয়ে সে দরজার হাতল লক্ষ্য করে ঝাঁপ দিল। একমুহূর্তের জন্য মনে হয়েছিল হাত ফসকে সে বুঝি পড়েই যাবে ট্রেনের চাকার নীচে। এমনকি মৃত্যুভয়ে কেঁপেও উঠেছিল সে। ভাগ্য ভাল যে কিছু হয়নি আর ঝোলাও অক্ষত আছে। এগুলো নষ্ট হলে ক