ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখেই আমরা উঠে যাই আসলাম ভাইয়ের সেই ছেড়ে যাওয়া বাড়িতে। এই বাড়িটি ফুল ফার্নিস্ড। তবে তাই বলে ভাবার কারণ নেই যে বাড়িটি ভর্তি আধুনিক সব আসবাব। পুরনো আমলের সোফা, রং চটা কার্পেট, খাট, ড্রেসিং টেবিল এই নিয়ে তিন রুমের ফ্ল্যাট। তৃতীয় রুমটি এক চিলতে, সেটিকে ভাড়ার ঘর বিসেবেই সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আছে আসলাম ভাইয়ের রেখে যাওয়া বেশ কিছু জিনিশ, যার ভেতরে একখানা ছোট টেলিভিশনও আছে। এই
লেখা থাকতো “সেবা বই, প্রিয় বই, অবসরের সঙ্গী” কথা সত্য, কিন্তু ঝক্কিটাও কম ছিলনা। এক একটা সেবার বই কিনে বড়দের লুকিয়ে বাড়িতে ঢোকানোর ব্যাপারটা বিশেষ সহজ ছিলনা। বিশেষ করে স্কুলের নিচের ক্লাসে পড়বার সময়। সেবা বই মানেই “মাসুদ রানা” আর সেটা ছিল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। বড়রা সেবার বই বলতে এই প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কা মারা মাসুদ রানাই বুঝতো সে সময়, ফলে সেবার অন্য বই কিনলেও গুরুজনদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে সে বই নিজের ক
[justify]বাড়িওয়ালার নাম কেইন, ছ ফুটের উপর লম্বা, টিকালো নাক, মাথার চুলে পাক ধরলেও শরীরের বাঁধন এখনও মজবুত। ষাটোর্ধ এই বৃদ্ধ হলেন মার্কিন মুল্লুকে আমার প্রথম বাড়িওয়ালা। কেইনই সর্বপ্রথম কোন মার্কিনী যার সাথে আমার এ দেশে আসবার পরে পরিচয় হয়। সে অর্থে মার্কিনীদের সম্বন্ধে একটা প্রাথমিক ধারণা গড়ে তুলতেও কেইন আমাকে সাহায্য করে। আমি এদেশে আসবার আগে শুনেছিলাম এ দেশটি নাকি চলে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নিয়মে। কিন
(কিছু চরিত্র কাল্পনিক, কিছু বাস্তব। কারো সঙ্গে মিলে গেলে লেখককে দোষারোপ করবার পূর্বে নিজেকে শুধরে নিয়েন।)
সবুজ পাতার নাম ধরে ডাকতেই
একটা ঘন অরণ্য চুপচাপ সামনে এসে দাঁড়ালো,
তার কাছেই চেয়ে নিয়েছি আকন্দের বীজ
শিকড় কুড়িয়ে নেয়ার সময়
করতলে উঠে এসেছিলো বিষাদের মতিচূর
তখনও আমার নয়ের ঘরের নামতা পাঠের কৈশোর
জেনেছিলাম, এ ঘন অরণ্য আমার মা হারানো দুধভাই
এ অরণ্য বিষাদের ডাকনাম
এই যে ঝাপুরঝুপুর গহন অরণ্য
চাঁদের আলোয় অমরাবতী এক রাত্রিপুর,
এখানে দলবেধে শেয়ালের ডাক
এখানে হাওয়ায় হাততালি
আমি এখনো গ্রামে যাই, সবুজ ধানক্ষেতে হাঁটি, পুকুর পাড়ের সেই ছায়াতলে বসে এখনো নিজের ছেলেবেলা কে দেখি। যদিও স্মৃতির ঘরের সেই ছেলেবেলা আজকের মতো এত রঙিন ছিলো না, দিকে দিকে তখন অভাবের রাজত্ব ছিলো, ক্ষুধার অব্যক্ত কষ্ট ছিলো মানুষের সমস্ত শীরর জুড়ে। গ্রামে আমাদের বাড়ি বড় বাড়ি হিসেবে পরিচিত ছিলো, সেই বড় বাড়িতেই সেই সময় দু-একটা পরিবার একবেলা ভাত খেয়ে আরেক বেলা গুড়-মুড়ি চিবিয়ে দিন পার করতো। বড় বাড়িতে যখন এই
আমি আমেরিকায় আসি ২০১০ সালের আগস্ট মাসে। বাংলাদেশের হিসেবে তখন রোজার সময়। দেশে ইফতার করতাম সবসময় বাসায়। এখানে এসে জানলাম মসজিদে নাকি মানুষ ইফতার করে। আমার আরো দুবছর আগে আসা একজন আমাকে ধরে নিয়ে গেল কাছের একটি মসজিদে। ইফতারের লাইনে দাড়িয়ে আছে। সামনে দাঁড়ানো একজন জানতে চাইলো আমি কোথা থেকে এসেছি। মনে হয় ইতিউতি তাকানো দেখে বুঝতে পেরেছে আমি ঘরের বাইরে ইফতার করতে অভ্যস্ত নই। বললাম, বাংলাদেশ থেকে এসেছি। ত
"যুদ্ধদিনের সাথীরা আমার, তোমরা যাঁরা বেঁচে আছ, কিংবা যাঁরা পাড়ি জমিয়েছ অনন্ত পরলোকে, তোমাদেরই একজন হতে পেরে নিজেকে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত মনে করি।"- যাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর লেখা বইয়ে এই কথাগুলো বলেছেন.....................
যতদূর মনে পড়ে ১৯৭১ এর মার্চে রোদের তীব্রতা যেন একটু বেশিই ছিলো। এই উত্তাপ প্রকৃতির খেয়াল না বাঙ্গালীর মনের ক্ষোভের প্রতিফলন – তা ৪৫ বছর পর আজ আর স্মৃতি আলাদা করতে পারেনা।