Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

স্মৃতিচারণ

ভরদুপুরে ঘড়ি সমাচার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৫/০৮/২০১৬ - ১০:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিটে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই চোখজোড়া ঘুমের ভারে প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। এমন সময় সামনের সিটে রাখা হাতের দিকে নজরটা যায়। বিশেষ করে ঘড়ির দিকে। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, সেটা নষ্ট।


চাইর কলোনী (খসড়া পর্ব ২)

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৩/০৮/২০১৬ - ৮:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

না বলে কয়ে একদিন ঝুম বৃষ্টি নামলো। সেদিন স্কুল ছুটি, এক দৌড়ে নীচে নেমে এলাম। আমাদের কলোনীপাড়ায় দিনের বেলায় বৃষ্টি মানেই খেলা শুরুর বাঁশি। কাউকে ডাকতে হয় না, সবাই নীচে নেমে আসে হুড়মুড়িয়ে, নেমেই শুরু করে দেয় দিগ্বিদিক জ্ঞান হারানো খেলা, ফুটবল খেলা। কে কোন দলে খেলছে তারও ঠিক থাকে না বেশির ভাগ সময়ে। যার পায়ে বল সেই পেলে, সেই ম্যারাডোনা আর বাকী সব্বাই যেন প্রতিপক্ষ; যে করেই হোক বল কেড়ে নিতেই হবে অন্যদে


চাইর কলোনী (খসড়া পর্ব ১)

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৭/২০১৬ - ৯:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশবের স্মৃতি আমাকে নিত্য তাড়িয়ে বেড়ায়। ফেলে আসা খুব ছোট ছোট সাদামাটা ঘটনাগুলোকেও আমার কাছে একেকটা উচ্চাঙ্গের উপন্যাসের মত মনে হয় কিংবা কোনো কাব্যগাথা। অতীতের সেইসব মনিমুক্তা একত্রিত করে একটি মালা গাঁথবার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের। সেই তাগিদেই শুরু করলাম-


আকাশ ছোঁয়া বৃক্ষের খোঁজে

জীবনযুদ্ধ এর ছবি
লিখেছেন জীবনযুদ্ধ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৩/০৬/২০১৬ - ৪:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মে মাসের এক সকালে আমার ল্যাবে হটাৎ প্রফেসর এসে হাজির, সকালের এ সময়টাতে তিনি সাধারণত পদধূলি দেন না। আজ এসেছেন নিজের কোন কাজে হয়তো, হাতে একখানা খাম। সেটি হাতে নিয়েই আমার দিকে এসে খামটি আমার দিকে বাড়িয়ে বললেন তোমার নামে একটি চিঠি পেলাম মেইলবক্সে আমার চিঠি চেক করবার সময়ে। ডিপার্টমেন্টের গবেষণা সহকারী হওয়ায় আমার প্রফেসরদ


জীবন চলার পথে

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ৩০/০৫/২০১৬ - ১২:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই সেলফোন, ট্যাবলেট আর ল্যাপটপের যুগে আমি যদি জানাই আমরা তিনভাই শৈশব পাড়ি দিয়েছি কিসব প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে, আজকের জেনারেশন হেসে গড়াগড়ি যাবে।


ফেয়ার মাউন্ট স্ট্রিটে ছাত্রজীবন-২

জীবনযুদ্ধ এর ছবি
লিখেছেন জীবনযুদ্ধ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৩/০৫/২০১৬ - ৬:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখেই আমরা উঠে যাই আসলাম ভাইয়ের সেই ছেড়ে যাওয়া বাড়িতে। এই বাড়িটি ফুল ফার্নিস্ড। তবে তাই বলে ভাবার কারণ নেই যে বাড়িটি ভর্তি আধুনিক সব আসবাব। পুরনো আমলের সোফা, রং চটা কার্পেট, খাট, ড্রেসিং টেবিল এই নিয়ে তিন রুমের ফ্ল্যাট। তৃতীয় রুমটি এক চিলতে, সেটিকে ভাড়ার ঘর বিসেবেই সাধারণত ব্যবহার করা হয়। এছাড়া আছে আসলাম ভাইয়ের রেখে যাওয়া বেশ কিছু জিনিশ, যার ভেতরে একখানা ছোট টেলিভিশনও আছে। এই


সেবার বই

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২০/০৫/২০১৬ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখা থাকতো “সেবা বই, প্রিয় বই, অবসরের সঙ্গী” কথা সত্য, কিন্তু ঝক্কিটাও কম ছিলনা। এক একটা সেবার বই কিনে বড়দের লুকিয়ে বাড়িতে ঢোকানোর ব্যাপারটা বিশেষ সহজ ছিলনা। বিশেষ করে স্কুলের নিচের ক্লাসে পড়বার সময়। সেবা বই মানেই “মাসুদ রানা” আর সেটা ছিল প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। বড়রা সেবার বই বলতে এই প্রাপ্ত বয়স্ক মার্কা মারা মাসুদ রানাই বুঝতো সে সময়, ফলে সেবার অন্য বই কিনলেও গুরুজনদের রক্তচক্ষু এড়িয়ে সে বই নিজের ক


ফেয়ার মাউন্ট স্ট্রিটে ছাত্রজীবন-১

জীবনযুদ্ধ এর ছবি
লিখেছেন জীবনযুদ্ধ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১১/০৫/২০১৬ - ১:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]বাড়িওয়ালার নাম কেইন, ছ ফুটের উপর লম্বা, টিকালো নাক, মাথার চুলে পাক ধরলেও শরীরের বাঁধন এখনও মজবুত। ষাটোর্ধ এই বৃদ্ধ হলেন মার্কিন মুল্লুকে আমার প্রথম বাড়িওয়ালা। কেইনই সর্বপ্রথম কোন মার্কিনী যার সাথে আমার এ দেশে আসবার পরে পরিচয় হয়। সে অর্থে মার্কিনীদের সম্বন্ধে একটা প্রাথমিক ধারণা গড়ে তুলতেও কেইন আমাকে সাহায্য করে। আমি এদেশে আসবার আগে শুনেছিলাম এ দেশটি নাকি চলে ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নিয়মে। কিন


আমার বন্ধু হাসান

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৪/২০১৬ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(কিছু চরিত্র কাল্পনিক, কিছু বাস্তব। কারো সঙ্গে মিলে গেলে লেখককে দোষারোপ করবার পূর্বে নিজেকে শুধরে নিয়েন।)


বিষাদের ডাকনাম অরণ্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১৬ - ৪:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবুজ পাতার নাম ধরে ডাকতেই
একটা ঘন অরণ্য চুপচাপ সামনে এসে দাঁড়ালো,
তার কাছেই চেয়ে নিয়েছি আকন্দের বীজ
শিকড় কুড়িয়ে নেয়ার সময়
করতলে উঠে এসেছিলো বিষাদের মতিচূর

তখনও আমার নয়ের ঘরের নামতা পাঠের কৈশোর
জেনেছিলাম, এ ঘন অরণ্য আমার মা হারানো দুধভাই
এ অরণ্য বিষাদের ডাকনাম

এই যে ঝাপুরঝুপুর গহন অরণ্য
চাঁদের আলোয় অমরাবতী এক রাত্রিপুর,
এখানে দলবেধে শেয়ালের ডাক
এখানে হাওয়ায় হাততালি