মরে যাওয়া মানুষের লোভ থাকে না।
এজন্য মৃত মানুষদের নিয়ে বাজে কথা বলতে নেই।
হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ মারা যান নি,
কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি তিনি চলে যাচ্ছেন।
প্রতিটি মানুষ একটা সময়।
আমরা বুঝতে পারছি একটা সময় চলে যাচ্ছে।
সেই সময়। রূপকথার গল্পের মতো সেই ছোটবেলার সময়...
এরশাদের মুখটা মনে পড়ছে।
আমাদের ছোটবেলায় টিভির পর্দায়
রাষ্ট্রপতি জেনারেল এরশাদের মুখ দেখে আমরা বড় হয়েছি।
রাত হলে ঘুমিয়়ে পড়ি, সকাল হলে ঘুম ভেঙ্গে যায়। নিত্য দিনের অভ্যাস -- খুব সহজ বোধ আমাদের। জন্মাবার তিন মাসের মধ্যেই এই নিয়মে অভ্যস্থ হয়ে যাওয়া। এই দিন-রাতের বেলাকে আমরা ভেঙ্গে নেই আরও বেলায়। বিষন্ন দুপুর, ফুরফুরে বিকেল , গোধুলী সন্ধ্যা, সোনালী ভোর।
কৈশোর থেকেই আমার মাথাধরার ব্যরাম আছে। ঠিক মাইগ্রেইন না, তবে ব্যথাটাকে মাইগ্রেইনের গ্রামে থাকা গরিব আত্মীয় বলা যেতে পারে। জানান দিয়ে কপালের একপাশ থেকে ভোঁতা ব্যথাটা শুরু হয়- আস্তে আস্তে সেইটা বাড়তে থাকে। আজকে সন্ধে থেকে ব্যথাটা আসি আসি করছে। এইরকম ছুটির শুরুর দিকেই মাথাব্যথায় দুটো দিন ডাউন হয়ে থাকা কোন কাজের কথা না।
অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল দিল্লী ভ্রমনের। ভ্রমনকালে দিল্লী এবং এর সন্নিহিত অঞ্চলের বিখ্যাত জায়গাগুলো দেখার বাসনা যেমন ছিল, তেমনি আরও একটি গোপন বাসনাও ছিল, দিল্লীতে সত্যি সত্যি কোন বিখ্যাত রকমের "দিল্লী কা লাড্ডু" পাওয়া যায় কি, না তা একটু খুঁজে দেখা। নব্বই দশকের মাঝের দিকে অনেকটা হটাৎ করেই কলকাতা থেকে দিল্লী যাওয়ার পাকা বন্দোবস্ত করে ফেললাম। যাযাবরের বিখ্যাত "দৃষ্টিপাত" এবং নিমাই ভট্টাচার্যের "রাজধানী এক
ছোট ছেলে নাছোরবান্দা । মায়ের প্রথমে কড়া নির্দেশ, পরে আকুতি। মা আকুতি নিয়ে বলছেন, "তোমার পরীক্ষা চলছে। পহেলা বৈশাখের দিন শুধু ছুটি। তবু নিশ্চয় ওই দিন আমরা রমনায় যাব, চারুকলায় যাব । তাই ঘর সাজানোর জন্য আর সময় নষ্ট কোরো না । আমরাতো ঐদিন বাইরেই থাকব, ঘর সাজানোর আর দরকার কি।" ছেলে মোটেই নরম হয় না। সাজাতে তাকে হবেই। অন্তত দরজার গায়ে কিছু একটা। যেন এইটুকু বলা ‘স্বাগত হে নববর্ষ’ ।এভাবেই প্রতি উৎসবে চলে
আমি একজন ধূমপান ত্যাগী মানুষ। জানি ধূমপান ত্যাগ করা খুব সহজ, আমি ছাড়াও আরও অনেক মানুষ প্রতিনিয়তই ধূমপান ত্যাগ করছেন, অনেকে জীবনে বহুবার ধূমপান ত্যাগ করেছেন। সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়াটা কোন ব্যাপার নয়, বহু মানুষ হরদম এই কাজ করছেন এবং খুব তাড়াতাড়ি আবার ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু স্থায়ীভাবে ধূমপান ত্যাগ করতে পারাটা একটা ব্যাপার, আমি সেই বিশেষ কাজটা করতে পেরেছি বিধায় বিষয়টা আপনাদের সাথে কিঞ্চিৎ
মাত্র ২৭ বছর বয়সে কিংবদন্তীতে পরিণত হওয়া জেন, তারপরো আরো আবিস্কার উপহার দিয়েছেন। শিম্পাঞ্জীরা নিরীহ নিরামিষভোজী বলে আমাদের যে ধারনা ছিলো সেটাকে ভুল প্রমান করেছেন। তারা সর্বভোজী, আমাদের মতই। আর দূঃখজনকভাবে যুদ্ধবাজ। সেই ২২ বছর বয়সে, প্রবল উৎসাহ নিয়ে জেন যখন এস এস কেনিয়া ক্যাসেল-এ উঠেছিলো কেনিয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ী দেবার জন্য, সে জানত না তার কাজ একদিন শুধু শিম্পাঞ্জীদের সম্পর্কে আমাদের সম্যক ধারনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে না, উপরোন্তু, প্রাণীর চেতনার জটিলতা সম্পর্কেও আমাদের ধারণা লাভ করতে একদিন সাহায্য করবে।
ছবিঃ ন্যাট জিও-তে অন্যান্য বিজ্ঞানীদের তুলনায় সর্বাধিকবার প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে জেন গুডালের কর্মজীবনের উপর।
ঘন্টা দেড়েক হয় গরম জলে ডুবে আছি।
আলো-আঁধারি ঘর, মৃদু লয়ে একটা সুর বাজছে কোথাও, জানালার গোড়ার খিলানটা স্পাইডার প্লান্ট আর আইভি গাছে ভর্তি। জলাধারের একপাশে আমার সঙ্গীর জন্য একটা চেয়ার। সাথে লাগোয়া একটা ছোট টেবিলে ট্রে-তে সাজানো ঠান্ডা জল আর ফলের রস।
হ্যানার কথার মতোই শান্ত কোনো স্নেহ যেন মিশে আছে এ ঘরের গাছ গুলোয়, আইভির সুবাসে, আমার স্নানের ঊষ্ণ জলাধারে ।
পথ যতটা দীর্ঘ হবার কথা ছিল তারও চেয়ে অনেক দীর্ঘ এবং ক্লান্তিকর। বিকেলের আগে পৌঁছে যাবার কথা থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। শেষ লোকালয় ছেড়ে এসেছি ঘন্টাখানেক আগে। ছোট ছোট টিলার ফাঁক থেকে বুনো ঘ্রাণ আসছে। অচেনা পতঙ্গেরা সঙ্গীত উৎসব শুরু করেছে। জঙ্গলের শেষ মাথায় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত। এখানে কেবলই চা বাগান। মাইলের পর মাইল সবুজ। অন্ধকার হয়ে আসলেও ধূসর সবুজ আলো জেগে আছে চারপাশে। সেই ধূসরতার মাঝখানে একাকী দাঁড়ি