"যুদ্ধদিনের সাথীরা আমার, তোমরা যাঁরা বেঁচে আছ, কিংবা যাঁরা পাড়ি জমিয়েছ অনন্ত পরলোকে, তোমাদেরই একজন হতে পেরে নিজেকে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিত মনে করি।"- যাঁদের উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর লেখা বইয়ে এই কথাগুলো বলেছেন.....................
যতদূর মনে পড়ে ১৯৭১ এর মার্চে রোদের তীব্রতা যেন একটু বেশিই ছিলো। এই উত্তাপ প্রকৃতির খেয়াল না বাঙ্গালীর মনের ক্ষোভের প্রতিফলন – তা ৪৫ বছর পর আজ আর স্মৃতি আলাদা করতে পারেনা।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি। একটা দুঃস্বপ্ন তাড়া করে ফিরেছে একটা বছর। অনেক লেখা হয়েছে তাঁকে নিয়ে। অনেক টকশোর বকবকানি শুনেছি। শুনেছি পুলিশের আশাবাদ। ফল কিন্তু শূন্যই রয়ে গেছে। অভিজিৎদা হত্যার বিচার হবে কি হবে না, সে বিষয় নিয়ে লেখার উদ্দেশ্য নয়; সেটা বোধহয় সবাই অনুমান করতে পারছেন। আমি শুধু একবছর আগের সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে চাই।
সপ্তাহ শেষ হয়ে আসলেই ভাবতে শুরু করি, এইই শেষ সপ্তাহ। এরপর সব ঠিকঠাক করে নেবো। আইন্সটাইনের স্পেসটাইম কন্টিন্যুয়ামের জটিল সূত্রের কোনো অনুসিদ্ধান্ত অনুযায়ী বয়স কোনো এক ফাঁকে ত্রিশ অতিক্রম করে গেছে তাও সম্ভবত বছরখানেক আগে। যদিও এই ত্রিশ বছরে স্থান অতিক্রম করার মাত্রাটা সেই হারের সাথে পাল্লা দিতে পেরেছে এটা কোনো মানদণ্ডেই বলা যাবে না। অবশ্য পদার্থবিদ্যার সূত্রের কোন ফাঁকির পাল্লায় পড়ে হিসাবের খাতায় কে
টিনের ক্যানভাসের ওপর এনামেল পেইন্টের আঁচড়। ছবি হিসেবে নিলামে ওঠেনা, হয়তো ঘরেও নয়। নেহায়েত রাস্তার জিনিস তাই পথে পথেই এর প্রদর্শনী। তাতে কিন্তু এই ছবি গুলোর বিশেষ মানহানী ঘটেনি কখনও। রিকশার ছবি যে আবারো আঁকানো শুরু হয়েছে সেটাই খবর। দেশের অন্য শহর বা জেলা গুলোর খবর বিশেষ জানিনা, তবে রাজশাহীতে বছর কয়েক যাবত রিকশা অলঙ্করনের একটা জোয়ার দেখা যাচ্ছে। ব্লগে বা পত্রিকায় রিকশার পুরনো দিনের কথাই আলোচিত হতে দ
জরিনাবু’কে আমার সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে পৌষ সংক্রান্তির দিনে, পৌষ সংক্রান্তির রাতে, পৌষ সংক্রান্তির আগে-পরে কয়েকদিন। সবচেয়ে বেশি নাকি শুধু এই নির্দিষ্ট সময়েই মনে পড়ে, সে কথা খেয়াল করে ভাবিনি কখনও অবশ্য। হতেও পারে, কেবল এই সময়টাতেই আমি তার কথা ভাবি। নেহাতই ‘হিন্দুয়ানি’ উৎসব পৌষ সংক্রান্তির সাথে গোলেনূর বেগমের মেয়ে জরিনাবু’ ঠিক কীভাবে জড়িয়ে গেছে, তা খোলসা করার আগে তার পরিচয়টা দেওয়া প্রয়োজন মনে হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবার গিয়েই অবাক হয়েছিলাম পুরনো স্কুল-কলেজ দেখে। সেই উনবিংশ শতাব্দীর স্কুল-কলেজ- শিল্পকলা একাডেমিই বলে দেয় কতটা শিক্ষা ও সংস্কৃতিবান্ধব এই জনপদ। কতটা ঐতিহ্যবাহী এখানকার জ্ঞান ও সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ। বয়স-রহস্যও আমাকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছিল। স্থানীয় মানুষের চেহারা-অবয়ব দেখে যা বয়স আন্দাজ করি বাস্তবে তা অনেক বেশি, এতটা বেশি যে সন্দেহ জাগে, ঠিক বললো কি না !