( মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠা ধারাবাহিকের অংশ নয় এই লেখা। পয়গম্বরের সংখ্যা নিয়ে অপ বাক একটি পোস্ট দিয়েছেন। তার প্রতিক্রিয়া এটি। )
অপ বাকের মূল প্রশ্ন পয়গম্বরের সংখ্যাটি কোথা থেকে এলো? সেই সাথে অপ বাক এই ব্লগ সাইটে আলোচিত সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতেও আলো ফেলেছেন। অপ বাকের লেখা দীর্ঘ হলেও তার প্রশ্নগুলো বুঝতে কোনো অসুবিধা হয় না। যদিও তিনি দক্ষ সাতারুর মত এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে যাওয়া-আসা করেন, তবু বিভিন্ন ফুল দিয়ে গাঁথা তার মালাটি খুবই শিল্প শিল্প হয়।
মানুষের বিশ্বাস অচেতন প্রক্রিয়া। সেখানে যুক্তিবাদিতা নেই, অনেক সময় কোনো লিখিত ভিত্তি নেই। উৎসের নির্দেশ না করে যেকোনো বক্তব্য দেওয়াটা যখন কোনো ভাবেই সমর্থনযোগ্য আচরণ না তখন আমার ভেতরে একটাই প্রশ্ন জাগলো- এই যে আমাদের নশ্বর, ববর্র মানুষের জন্য যুগে যুগে প্রতিটা জাতিকে পথপ্রদর্শক পাঠানো হলো- কিংবা কোরানের একটা আয়াতে বলা আছে- সবার জন্য সকল জাতির জন্য পথপ্রদর্শক পাঠানো হয় নি- তাদের সম্মিলিত সংখ্যা 1 লাখ 24 হাজার কিংবা মতান্তরে 2 লাখ 24 হাজার- এই সংখ্যাটা কিভাবে আসলো? এর ভিত্তি আসলে কোথায়?
অনেক জায়গায় বলা আছে আমরা অসংখ্য নবী রসুল পাঠিয়েছি এবং অচেতন মানুষ সব সময়ই তাদের মিথ্যাবাদী বলেছে, অবিশ্বাস করেছে- অস্বীকার করেছে- সেই নবীদের তালিকায় ইব্রাহি
বহু আগে থেকেই মনোবিজ্ঞানীরা কিছু পয়গম্বরদের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে গবেষণা করছেন। এ বিষয়ে সবচে' বেশি গবেষণা হয়েছে নবী ইজিকিয়েলকে নিয়ে। নবী ইজিকিয়েল প্রায় 2600 বছর আগে বাইবেলের 'ইজিকিয়েলের বই' অংশটুকু লিখেছেন। সানডিয়েগোর ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির নিউরোসাইন্সের অধ্যাপক এরিক আলটশুলার বলছেন ইজিকিয়েল হচ্ছেন এপিলেপটিক রোগীর ক্ল্যাসিক্যাল উদাহরণ (নিউ সাইন্টিস্ট, 17 নভেম্বর 2001)। বাইবেলে বর্ণিত উদাহরণ থেকেই অধ্যাপক এরিক জানাচ্ছেন, ইজিকিয়েল যে ঘন ঘন অজ্
পয়গম্বররা মানুষ। মানুষ ছাড়া অন্য কেউ মানুষের আকার-আকৃতির প্রাণীর জন্ম দিতে পারে, এর কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। পয়গম্বররা মানুষের গর্ভে ইম্প্ল্যান্ট করা ভিনগ্রহের কোনো প্রাণীর ভ্রুণ এমনও জানা যায়নি। সোজা কথায়, তারা অতি-অবশ্যই মানুষ, পুরষের ঔরসে নারীর গর্ভে হওয়া রক্তমাংসের মানুষ। তাদের নামে কিছু অলৌকিক কাহিনী চালু আছে। যা মানুষরা করতে পারে না বলেই আমরা জানি। তবে তেমন গল্প আমরা সামপ্রতিককালের উত্তরা-টঙ্গির বালক পীরের ক্ষেত্রেও শুনেছি। সাভারের ম
অপেক্ষা করছিলাম মাস দুয়েক ধরে ।
এক বন্ধু গিয়েছিলো দেশে । 'অপর বাস্তব' এবং আরো কিছু বই পত্র আসবে তার সাথে । বেচারা বন্ধু গিয়েছিলো বিয়ে করতে । তাই ফেরার কথা অনেক আগে হলে ও ফিরে আসা নিয়ে এটা সেটা টাল বাহানা । এদিকে আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে ক্রমশ: । 'ব্যাটা আমরা যেনো আর বিয়ে করিনি, আর যেনো করবোনা... '
যাহোক পেয়ে গেলাম অবশেষে ।
এর আগে 'অপর বাস্তব' এর রিভিউ জেনেছিলাম । অনেক সমালোচনা । সসংকোচে বলি, সমালোচকদের দলে আমি ও ছিলাম । এবার বলি, বাস্ত
(উৎসর্গ: সহ ব্লগার 'অন্ধকার'।)
এক.
আমি খুব খেয়াল করে দেখি,পাপলু মোবাইলটা কানে লাগিয়ে খুম মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা শুনছে। মাঝে মাঝে 'হ্যালো' 'হ্যালো' বলছে।মনে হয় ওপাশের কথা পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে না।
আমি জিজ্ঞেস করি,'দোস্ত,কার সাথে কথা কস?' পাপলু হেসে বলে একটা মেয়ের সাথে।'আচ্ছা!!!!তা মেয়েটা কী বলছে ?' পাপলু হেসে বলে,' মেয়েটা শুধু এক কথাই ঘ্যান ঘ্যান করে বলে যাচ্ছে। শুধু বলে,'মোবাইল ক্যান নট বি রিচ এট দ্যা মোমেন্ট। প্লিজ ট্রাই
...বিষন্ন হতাম, কষ্ট পেতাম, রেগে উঠতাম ।
আজকাল এই সব মানবিক আবেগ গুলো সযতনে সংরক্ষন করি । বাঁচিয়ে রাখি অর্থহীন অপচয় থেকে ।
তারচে বরং উফাস করি, উপভোগ করি- এই সব তামশা, এই সকল জাদু বাস্তবতা ।
জাদু বাস্তবতার মহিমায় দেখি একজন শেখ মুজিব রাজকীয় অতিথি চলে যান ইয়াহিয়া খানের প্রাসাদে যুদ্ধকালীন সময়ে । অপেক্ষায় দিন গুনি পরের পর্বের । সে পর্বে জানা যাবে আরেক সত্য-- গনহত্যা ছিলো আসলে মুজিব আর ইয়াহিয়া এ দু জনের যৌথ প্রযোজনা!
জাদু বাস্তবত
সেইযে বালিকা ছিল এক, দুই বিনুনি ছিল চুলে তার। আমি কতকতবার তারে মন থেকে মুছে ফেলি আর সে বারংবার থেকে যায় আমার মনে। আমার শুধু চোখে ভাসে মনে ভাসে রমনীর সিঁথির মত মাঠের বুকে জেগে ওঠা হাটাপথে দুজনে আমারা দুজনকে আলতো পায়ে পেছনে রেখে হাটতে শুরু করলে হঠাৎ হঠাতই সে পেছন ফিরে প্রশ্ন করেছিল, কোথায় যাবে এখন...
মনে অমন তোফানতোলে এমন প্রশ্ন আমায় কেউ আর কোনদিন করেনি তবে কেন আমি সেই দুই বিনুনির কথা ভুলে যাব তবে কেন আমি সেই রমনীয় সিথির সবুজ মাঠকে ভুলে
মানুষের কখনও না-দেখা ঈশ্বরকে অস্তিত্ব দিয়েছেন পয়গম্বররা। তারা দাবী করেছেন যাবতীয় ব্রহ্মান্ড ঈশ্বরের সৃষ্টি -- চাঁদ, সূর্য, পাহাড়, সাগর, বাতাস, রোগ-জীবাণু, এমনকি শয়তান ও ভূত-প্রেত-- এবং যদিও সৃষ্টিগুলোকে আমরা দেখতে পাই, অনুভব করতে পারি, তবু ঈশ্বরের অসত্দিত্ব নিশ্চিত করতে পয়গম্বর লাগে। মানুষ একা একা পারে না। মানুষের যুক্তি-বুদ্ধি পারে না, মানুষের বিজ্ঞান পারে না। কোনো কোনো মানুষ শুধু পয়গম্বর হয়ে ওঠে আর তাদের সাথে ঈশ্বরের দেখা হয়ে যায়, কথা হয়ে যায়।
খুব শক্ত কবিতা বুঝিনি কোনদিন। ভাল লাগা-খারাপ লাগার কালে তাই বারবার ঘুরে ফিরে গেছি শুধু হেলাল হাফিজের কাছে। সেসব কবিতা কোনদিন হতাশ করেনি। গতকাল সে কথাই হচ্ছিল আরেক সমমনা বন্ধুর সাথে। তাই আজকে হেলাল হাফিজের অনেক প্রিয় কবিতার একটা তুলে দিলাম এখানে।
মানবানল
আগুন আর কতোটুকু পোড়ে?
সীমাবদ্ধ তার ক্ষয় সীমিত বিনাশ,
মানুষের মতো আর অতো নয় আগুনের সোনালী সন্ত্রাস।
আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে
কিছু থাকে,
হোক না তা ধূসর শ্যামল রঙ