১
কাজ নিয়ে আমার চিন্তার অন্ত নাই। এ ব্যাপারে নানা লোকের নানা মত।
কেউ বলে, এত্ত ভাবার দরকার কী?
কেউ বলে, কাজ উপভোগ করার চিন্তাই আমি করি না; বা, 'কাজ ইজ কাজ'।
কেউ আমার চেয়েও বেশি ভাবে/ভাবসে, বা একশনও নিসে; এমন কাজ করে, যেটায় ডুবে থাকতে কোনোই কষ্ট হয় না।
মানুষের সাথে 'আদর্শ কাজ' নিয়ে আলাপ হয়। সেটা কি সোনার হরিণ, নাকি পাওয়া সম্ভব?
২
আমি যে খুব কষ্টের কাজ করি তা না। আমার কাজে বৈচিত্র্য ...
আমাকে টেনে রাখছে শূন্যতা। অবিকল দু'হাত ধরে, আমার সমস্ত সত্তায় যখন ভর করে; সে বিশ্বস্ত হাতে আরও চেপে ধরে… গ্রাস করে সমস্ত কিছু। আহার, নিদ্রা নাই। সে আমার কানে ফিসফিস করে বলে- আপন কথা
ট্যাবের জলে সেও ঝলঝল করে, জলরঙ মাখি। রাতের রঙ ফিকে হয়ে আসে। সূক্ষ তারতম্যের স্তরে-স্তরে প্রলোভিত করে। আকাশের নীল রঙ লীন হয়ে আসো। মোহজটিলতা ঘুরপাক খায়
-------------------------------------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক ...
অনিন্দিতা, আমি তোমাকে কীভাবে কথাটি বলব আমি বুঝতে পারছি না। তোমাকে যে কোন কথা বলার সময়ই আমি আটকে যাই। মনে পড়ে সেই
অসম্ভব সুন্দর নীল আকাশের সকালটিতে? ক্লাস ছিলো না সে দিন। আকাশের চেয়ে সুন্দর আর কী আছে আমি জানতাম না, অন্তত তোমাকে দেখার আগ পর্যন্ত! আকাশের নানা রঙ দেখে আমি আকাশের প্রেমে পড়তাম, প্রতিদিন। তোমাকে দেখার পরও এমনটিই ঘটল! প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ি, প্রতিক্ষণ! তোমাকে কি ...
প্রিয় সচল, অতিথি সচল ও পাঠকবৃন্দ!
দীর্ঘদিন ধরে চলমান গবেষণা, পরীক্ষা, নিরীক্ষার পেছনে কালক্ষয়ের পর অবশেষে সচলায়তনে আসতে যাচ্ছে সেই বহুপ্রতীক্ষিত আপগ্রেড।
এই আপগ্রেডের সুফল হিসেবে আমরা সচলায়তনে আরো গতি পাবো, প্রয়োগ করা যাবে নতুন ধারণা, যোগ করা যাবে নতুন টুলস, সচলায়তনের নিয়মিত পরিবর্তনীয় উপাদানগুলো নিয়ে কাজ করা যাবে আরো সহজে।
আপগ্রেডে সচলরা কী চান, সে নিয়ে মতজরিপ অতীতে হয়ে ...
বিজ্ঞানীর ভাষায় পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ঠিক যেনো কত? যতই হউক, পূর্ণদৃষ্টি থেকে বেশি নয়। কারণ— পূর্ণদৃষ্টি দিয়ে পৃথিবী থেকে সূর্যকে দেখা, আর জোড়াচোখে সৌন্দর্য উপভোগ করে বুঝলাম: দৃষ্টির দূরত্ব থেকে সূর্যের দূরত্ব কয়েক কোটি গুন কম
হেলানো দেয়াল আনন্দ দেয়! দেয়ালের কি হৃদয় আছে? হেলানো দেয়ালে প্রায়ই ঘটে চোখাচোখি। সে আর আমি সটান হয়ে দাঁড়াই; দাঁড়িয়ে দেখি আমাদের প্রস্তুতি… আমার সাথ ...
এটা ইনুইটদের মধ্যে প্রচলিত গল্প।
এক ছিলো বিরাট মহাসাগর, তার হিমজলে বরফ ভেসে বেড়াতো। সেই মহাসাগরে সাঁতরে বেড়াতো মস্ত মস্ত তিমি। তারা মনের সুখে জলের ফোয়ারা তুলে নি:শ্বাস ছাড়তো আর সাগরের ক্রিল খেতো।
এক ছিলো হামবড়াইওয়ালা কাক, সে ডাঙার কাছের ঢেউয়ের উপরে উপরে উড়তো আর ফিরে এসে অন্যদের কাছে বাহাদুরি করতো সে একদিন এক বিরাট তিমি শিকার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে।
এরকম চলতে চলতে এ ...
- অনন্ত আত্মা
রিকসা নিয়ে লেখার ইচ্ছে আমার অনেকদিনের, কিন্তু নানা ব্যস্ততায় লেখা হয়ে ওঠে না। আজ সেই রিকসা নিয়ে যখন লিখতে বসেছি, রিকসার শহর থেকে তখন আমি অনেক দূরে। যখন থেকে সিগারেট ধরেছি, তখন থেকেই রিকসার ব্যপারে আমার বিশেষজ্ঞ হওয়ার শুরু অর্থাৎ কিনা সিগারেট খেতে সেলিম ভাই এর দোকানমুখী হওয়া আর সেলিম ভাই এর দোকানের মূল কাস্টমার এলাকার সমস্ত রিকসাওয়ালা। ‘মাহাজন’, ‘দিন’, ‘গেরেজ’, ...
"লা ফুরিয়া রোজা"দের ফুটবলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা খেলে। ...
কথাটা অদ্ভূত শোনায়। বিশ্বকাপের অংশ নেয়া আরো ৩২টি দেশও তো ফুটবলই খেলে। কথাটা সত্যি। কিন্তু স্পেন খেলে কেবল খেলবার জন্যেই, শুধুই খেলা। ফলাফল প্রত্যাশী এই আধুনিক ফুটবলের যুগে বাকি সমস্ত দলগুলো যখন যেনতেন ভাবে জয় করায়ত্ত করতেই 'সুন্দর ফুটবল', 'জোগো বনিতো' জাতীয় শব্দগুলো ফুটবলীয় মিথে পরিণত করে ফেলেছে, তখনো বিশ্বকাপ ...
এ পর্যন্ত খেলা দেখে আমার চরম বিরক্তি লাগছে, তাই লগাতে বসলাম। ডাচরা এত মারকুটে তা আমার কল্পনায়ও ছিলনা। রেফারী কি অন্ধ নাকি বুঝতেছিনা। স্পেনের খেলার উল্লেখযোগ্য দিক হল ফেয়ার প্লে। অথচ ডাচরা খেলছে তার উল্টো। এই একই কাজ তারা করেছিল ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও। অন্য খেলাগুলো দেখিনি তবে ধারণা করছি ডাচদের খেলা এরকমই।
একটু আগেই দেখলাম ডাচদের ৮ নম্বর প্লেয়ার স্পেনের একজনের বুকে লাথি মারল। ...