১।
আরেকটা সেমিষ্টার শুরু হয়ে গেল। ক্লাস, রিপোর্ট নিয়ে ব্যাস্ততাও শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ সামার ভেকেশনের পর ক্যাম্পাসের সবাই আবার আগের ফর্মে। এবার দেশ থেকে পোষ্টগ্রেড ছাত্র/ছাত্রী একদম নাই বললেই চলে। বর্তমান ছাত্রদের সবার মধ্যেই এক প্রশ্ন, ঘটনা কী! দেশের অনেকেরই শুনি এপ্লিকেশন রিজেক্ট। অন্যদিকে চীন বা ভারত থেকে তো প্রচুর ছাত্র/ছাত্রী আসছে। এর মানে রিসার্চ ফান্ড এর অভাব হবার কথা ...
অফিসেই ৯০% ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ফাইবার অপটিকসের হাই ব্যান্ডউইথে পংখীরাজের মতো উড়ে উড়ে কাজ করা যায়। বাসায় ধীরগতির ইন্টারনেটে বিরক্তি লাগে বলে খুব জরুরী না হলে বাসা থেকে ইন্টারনেটে ঢুকি না। ওয়েব মেইল চেক করা, অফিসের কিছু টুকটাক অনলাইনের কাজ সারা, ব্লগ ফেসবুকে খানিক উঁকিঝুকি দেয়া বাদে আর কিছু করা হয় না। এই পরিমান ব্যবহারের জন্য মাসে ১ গিগাবাইট যথেষ্ট। সেই হিসেবে গ্রামীন ফোনে ...
আবেগের খুচরা ব্যাপার গুলো সেরে ঢু্কলাম জিয়া, অধুনা হাসিনা এয়ারপোর্টে। বেকায়দায় পড়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত পচিঁশ পার্সেন্ট বেশি ভাড়া দিয়ে ইত্তিহাদের টিকেট কিনেছি, তাই ভাড়া উসুল করার জন্য ব্যাকপ্যাকে প্রায় দ্বিগুন জিনিস ভরে এনেছি। কিন্তু ব্যাটারা পিশাচ, বাড়তি ওজন নিতে দেবেইনা, শেষ পর্যন্ত হাজার চারেক টাকা বাড়তি দিয়ে রফা করলাম। বাঙ্গালীর ছেলে, বাড়ি থেকে বয়ে নিয়ে আসা চিড়া-গুড়ত ...
আমি রাস্তাঘাট চিনি না। একই রাস্তা দিনের একেক সময় একেক রকম লাগে আমার কাছে। তার উপর আমি, বাংলায় যাকে বলে, দিগ্বিদিজ্ঞানশূণ্য। স্কুলের বাংলা বইয়ে বেগম রোকেয়ার একটা লেখায় ছিল, এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করা হলো তোমার দক্ষিণ হস্ত পূর্বে আর উত্তর হস্ত পচ্চিমে থাকিলে তোমার মুখ কোনদিকে থাকিবে? ছাত্রের উত্তর ছিল, আমার পশ্চাত দিকে (আমার ধারণা সে ‘মুখ’ ব্যাপারটা ভালমত ধরতে পারে নাই)। যাই হোক, ...
প্রচন্ড প্রতিযোগিতার প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক মুহুর্তের বিশ্রামও মহা সমস্যার কারণ। কারণ আপনার প্রতিযোগীরা মোটেও থেমে নেই আর তারাও আপনার মতই বা আপনার চেয়ে বেশী পরিশ্রমী। তাই কাছাকাছি প্রোডাক্ট বা সার্ভিস থাকলে নতুন কোন ফিচার একজন আবিষ্কার বা তৈরি করলে খুব দ্রুতই সেটি অন্যান্য প্রতিযোগীদের প্রোডাক্টে চলে আসে। আর আপনার পরবর্তী ভার্সন আস ...
গতকাল কি ঘটলো মনে রাখতে চাই না; বেদনার গন্ধ পাই। মনে রাখলে বেদনাও বেঁচে থাকতে চায় ত্রিশফুট উচ্চতায়। প্রতিটি বেদনার একটি কারণ থাকে তাই কালে-পার্বণে দোলা দেয় মুহূর্তচোখে। আগামীকাল আমাকে তাড়ায়, দৌড়ায়, বোকা বানায় আশেপাশে যেন কিছুই মনে থাকে না। ইদানিং ঘৃণাকে অধিক মমতায় নীল মলাটে সাজাই। ঘৃণার চেয়ে কষ্টের তীব্রতা এতো গাঢ় যে কারো চোখের দিকে তাকাতে পারি না; ঘৃণা যদি অপূর্ণতা পায়
তোমার ...
০১.
কীন ব্রীজের নিচের যে জায়গাটা এখন পাশ্চাত্যের মতো অনেক আধুনিক একটা নদীর পাড় হিসেবে শিক্ষিত মানুষ ছাড়াও আম জনতার কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে, যেখান থেকে দাঁড়িয়ে সোজা সার্কিট হাউসটা দেখা যায়, অথবা লাল নীল আলো ভেসে আসে ছোট শহর থেকে ক্রমশ বড় এক নগর হয়ে যাওয়া সিলেটের জিরো পয়েন্ট থেকে, ঠিক সেই জায়গায় কোনো এক বিকেলে হাওয়া খেতে খেতে ফারহানার সাথে আমার প্রথম দেখা। মনে পড়লে এখনো অবাকই লাগে, আ ...
অনলাইন মিডিয়ায় মডারেশন একটা অনন্য সংযোজন। জানিনা কতদিন হলো অনলাইন নিউজ বা ব্লগে মডারেশন চালু হয়েছে তবে যতোদিনই হোক না কেনো, তা ভার্চুয়াল মিডিয়া বা ব্লগ সাইটগুলোতে পরিচ্ছন্ন আলোচনা-সমালোচনার সূযোগ দিয়েছে বলেই আমি মনে করি। মডারেটররা আমার দারনায় অনেকটা ছাঁকনির মতো। তারা দেখেন, বোঝেন এবং তারপরই একটা সিদ্ধান্তে আসেন যে লেখা বা মন্তব্যটা অনুমেমাদন পেতে পারে কি না। মডারেটর অমনো ...অনলাইন মিডিয়ায় মডারেশন
কবরটি রাস্তার পাশেই । সাধারণ কবরের চেয়ে বেশ বড়। পাশেই ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছে। মাঝে মধ্যেই ধানের খড় এসে ঢেকে দিচ্ছে কবরের খানিকটা। কবর ঘেরা ছোট্ট দেয়ালে বসে ঝিড়িয়ে নিচ্ছে কয়েকজন গ্রাম্য মজুর। ঘাম মুছতে মুছতে ক্লান্তির থুতুটি আনমনে ছুড়ে দিচ্ছে কবরের দিকে। কবর ভর্তি জংলি গাছ। চেনার উপায় নেই এটি কোন গণকবর। অথচ ১৯৭১ এ এখানেই দাফন করা হয়েছিল ৩৩টি শহীদের রক্তাক্ত শরীর। ...
১.
দূরের আকাশ যখন হারাবে নীল,
আমি স্বপ্নলোকের দরোজা খুলে দেব।
যদি ফিরে চাও, তবে দেখবে,
আমার আকাশ তখনো রয়েছে রঙ্গিন।
তুমি ফিরে এসো তখন,
ফিরে এসো হৃদয়ে আমার
আমি অপেক্ষায় আছি, অপেক্ষায় র’ব;
আমৃত্যু অপেক্ষায়....।।
২.
অনেক তো ছিলে দূরে
কত জোছনায় ভেজা রাত একাকী পথে
একলাই দীর্ঘঃশ্বাস ফেলে হেঁটেছি...
এখনো কি অভিমান নিয়ে
রয়ে যাবে এতটাই পর?
আমি চাঁদের অশ্রু মুছে হাসি ফুঁটিয়েছি
তবু তোমার হা ...