সদরঘাটের সামনে একসময় অনেক বই পাওয়া যেত। নতুন, পুরানো। ছুটিছাটায় ঢাকায় গেলে, আমরা একসাথে যেতাম শাহবাগ, নীলক্ষেত বা সদরঘাট। বাড়ি ফেরার সময় আমার হাত ভর্তি তিন গোয়েন্দা, গোয়েন্দা রাজু; আব্বার হাতে মাসুদ রানা, পুরানা দেশ বা বিচিত্রা।
বর্ষার বইমেলায় এক সাথে কখনো যাওয়া হয় নাই।
কার্টুন প্রসঙ্গেঃ
রঙ করা এখনো শিখতে পারি নাই, সময়ের টানাটানি। তাই, সুজন্দার কার্টুনটাকে এক পাশে রেখে রঙ ...
আজকে ১৪ মাইল হাইক করলাম, এবং সেটা হল পাহাড়ি ভূমিতে, ১৬০০ ফিট। হাড্ডি ব্যাথা করতাসে পুরা। ছবি আপলোড করতে গিয়াই কেরোসিন, উন্নতমানের ব্লগিং হবে না। সুতরাং অল্প কিছু ছবিই দেখেন আপনারা আজকে।
মন্টানা ঘুরতে পেরে আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি। এত্ত ভয়াবহ বিশাল প্রকৃতি। স্টাইনবেকেরও প্রিয় স্টেট। তবে ওয়াশিংটন আর আইডাহো-ও কম যায় না। তবে মন্টানাকে কেন 'বিগ স্কাই কান্ট্রি' বলে আসল ...
গতকাল আড্ডা জমেনি, তাই আজকে যাবার আগে ভাবলাম লোকজনরে গুঁতাই। ফোনে রাজী করানো গেলো শাহেনশাহ্, রণদা আর টুটুল ভাইকে। আর অনলাইনে পাওয়া গেলো মউ আর মনামীকে। কান-মাথা থিউরিতে অনিন্দ রহমানরে পাওয়া গেলো। পান্থ আইলো রবাহুত। পলাশ আর মনজুর তো এমনি এমনিই আসে। সবশেষে এলেন গৌতমদা। আর ছিলেন আলীম ভাই।
তো জমে গেলো আবার বইমেলার আড্ডা।
বিকেলে আজীজে গেলাম। দেশের বিশিষ্ট প্রকাশক মহাজন আহ ...
সাতচল্লিশের দেশ বিভাগ আজকের বাস্তবতায় প্রায় অপ্রাসঙ্গিক একটি বিষয়।এমনিতেই এই অভিযোগটা আমার নিজের, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো গত ছয় দশকে কিছুই করেনি, ইতিহাসের চর্বিত চর্বনে সময় নষ্ট করেছে। সব কিছুর পিছেই অন্যের শত্রুতা খুঁজে আমরা এড়িয়ে যাই আজ এবং আগামীকাল। নীরোদ সি চৌধুরী প্রায়ই বিভিন্ন আড্ডায় বলেছেন আমরা অতীত নিয়ে কেঁদে আর ভবিষ্যত নিয়ে আশংকা করে বর্তমানটা হারিয়ে ফেলি।পরীক্ষা ...
চৈতীর এনগেজমেন্ট হয়ে গেলো শুক্রবার রাতে। সেখান থেকে ফিরছিলাম অনন্যার গাড়িতে। ড্রাইভিং সিটে আন্টি, তাঁর পাশে অনন্যা। আমি পেছনে বাঁ দিকে বসা। জ্যাম ঠেলে ধুঁকে ধুঁকে গাড়ি এগুচ্ছে। গাড়িতে উঠে ঘুমানো আমার পুরোনো অভ্যাস। কিন্তু চোখে লেন্স নিয়ে ঘুমুতেও পারছি না। মোবাইল বের করলাম। ফেসবুকে ঢুকে দেখি অনেকগুলো নোটিফিকেশন। অনেকে অনেককিছুতে কমেন্ট করেছেন। আমি গভীর মনোযোগে ফেসবুকিং ক ...
বারো থেকেই বর্ষার সাথে প্রেম।
ভালোবেসে আদিগন্ত যা ঝরে পড়ে,
তাতে রোদের লুকোচুরিতে মায়ার
হাত ধরে শুষে নেই রামধনু রং;
জয়া তখন গ্যাছে কচুপাতা যোগাড়ে,
তার থেকে যতটুকু ঝরে পড়ে জল,
তাই বুকে ধরে রাখি, যদি সত্যিই
কোনদিন নদে আসে বান। আর
গোল হয়ে চেঁচাই, রোদবৃষ্টি হলে
খেকশিয়ালের বিয়ে যেন হয়, সেই
বিয়ে আজও হয় নাই; যদিও পুরোটা
বর্ষাই আত্মসাত করেছে শেয়ালের দল !
১
ব্যপারটা অনেকটা হাডুডু খেলার মত। লম্বা দম নিয়ে শত্রুর ডেরায় ঢুকে পড়ো তারপর চালাও দাবড়ানি। যে কয়টাকে পারা যায় ঘায়েল করো। কিন্তু দম যাওয়ার আগেই ফিরে আসতে হবে নিজের লোকদের মধ্যে। ধরা খেলে কাম সাবাড়।
রানু কোনোদিন হাডুডু খেলে নাই। হাডুডু ছেলেদের খেলা দেখে না, খেলাধুলা করার মত অবসরই কোনদিন পায় নাই। হাত - পা শক্ত হওয়ার পর থেকেই মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। শেষ যে বাড়িতে ও কাজ করতো ...
পোষ মানা কিছু কথা আছে
যাদের ডানা নেই
যারা ঘরেই থাকে সারাদিন
আর হাততালি দেয়
যখন যেভাবে মন চায়
পিছু ছাড়ে না কিছুতেই
যখন বাইরে যাই
কথারা কীভাবে যেন
কানের কাছে কারো
শেখানো বুলি আউড়ায়-
নামীদামি কথানাশক দিয়ে বহুবার চেষ্টা করে দেখেছি
কাজ হয়নি, নিরুদ্দেশে গেলেও
দুঁদে গোয়েন্দার মতো মুহূর্তেই
তারা হাজির হয়েছে অজ্ঞাতবাসে-
অতঃপর ঘরের তালাও বদলেছি ইচ্ছামতো
তবু তারা ঘরে ঢোকে, ধূলো ...
দ্বিতীয় পর্ব.
………..
জালাল সাবের মাথাটা পুরা আউলা। বাঁহাত দিয়ে পাঞ্জাবীটা টেনে সামনে আনার চেষ্টা করছে। ধবধবে পাঞ্জাবী। কোরা মারা। ফজলু ঘুরংকলটা ছেড়ে দিয়ে বলল, হালাগো আশফাশ নাই। একদম ইজ্জতের উপ্রে হামলা।
জালাল সাব ঘাড়টা ঘুরিয়ে খুব বেশি দেখতে পেল না। আবছা ছোপ ছোপ দাগ লেগেছে। গা ...
ফুটোস্কোপিক হচ্ছে ফুটোস্কোপ দিয়ে দেখা গল্প। সামান্যই দেখা যায়।
...
কাঁচাপাকা ভুরুজোড়ার নিচে কটমট দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে বাঘের চোখ। রানার হাতের তালু ঘামতে শুরু করে।
"এসব কী ছাঁইপাশ লিখেছো?" রেজিগনেশনের দরখাস্তটা যেন একটা ঘিনঘিনে বস্তু, এমন ভঙ্গিতে হাতে না ছুঁয়ে একটা স্কেল দিয়ে সামনে ঠেলে দেন মেজর জেনারেল [অব:] রাহাত খান।
রানা কেশে গলা সাফ করতে চায়। "মানে ... স্যার ... আমি আসলে ...।"
...