প্রিয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পদার্পণ করল তার ৫৮তম বছরে। ১৯৫৩ সালে মাত্র ৬টি বিভাগ আর রাজশাহী শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কয়েকটি ভবন নিয়ে দেশের এই ২য় বৃহত্তম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টি যাত্রা শুরু করে।
আজকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে ৯টি অনুষদের অন্তর্গত ৪৭টি বিভাগ, এবং ৫টি উচ্চতর গবেষণা ইন্সটিটিউট।১
সর্বমোট ১১টি একাডেমিক ভবন, ১৬টি আবাসিক হল (১১টি ...
প্রায় একমাস চলে গেল। আমার জন্য দিনগুলো গিয়েছে খুব দ্রুত। শুধু আমি কেন? সব ফুটবল অনুরাগীদের জন্যই মনে হয় প্রযোজ্য এই কথাটা। অফিসে থাকতেই বিকেলের প্রথম খেলাটা (বাংলাদেশ সময় রাত আটটার) কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেখতাম। সন্ধ্যায় বাসায় এসে তাড়াহুড়ো করে রাতের খাওয়ার পর্ব শেষ করেই অপেক্ষা আবার খেলার জন্য। হুড়মুড়িয়ে চলে গেল দিনগুলো। যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!
দিন গড়ানোর সাথে সাথে দুটো দল ব ...
কেশ বাতাসে উড়বে বলে দু’চোখ জেগে রয়
চোখ ফেরালে পুনরায় জাগো স্বপ্ন বিক্রিয়ায়
স্বপ্নযত, গোপনতত, ফেরাও যদি ডরে-ডরে
ভাবনা আমার ঝুঁকে আছে গোপন হাহাকারে
চোখের উপরে বুকের কথা… মৌন আবেদন
বৃথাগন্ধ চিনো কি বলো?— দেবী-স্বপ্ন-সন্তরণ
পেরোনো গেল না গতিপথ, ফিরিয়ে দিলে ক্ষত
সীমানা ছেড়ে চুপচাপ দাঁড়াও; লীনতাপে অক্ষত
কেশ বাতাসে উড়াবে বলে চোখ খুলে তাকাইনি
কখন এলে, কখন ফিরবে… কিছুই আমি বলিনি
তখন বড় অস্থির সময়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পাট চুকেছে দুই বছর হল। কিন্তু এর প্রভাব যেন সিন্দাবাদের ভূতের মতই বিজয়ী এবং বিজিত দুই পক্ষের অর্থনীতির ঘাড়েই চেঁপে আছে। অটোমোবাইল শিল্পও এর ব্যতিক্রম নয়। একটু চিন্তা করলেই কিন্তু এর কারণটা বোঝা যায়। আপনি কিন্তু একটি গাড়ি দিয়েই মোটামুটি এক জীবন পাড় করে দিতে পারেন। তাহলে প্রশ্ন হল পাব্লিক বছর বছর নতুন গাড়ি কেনে কেন? এর উওর হচ্ছে গাড়ির চটকদার ড ...
আমি ব্রিটিশ টেলিকমে কাজ করি। বেডরুম অফিস করি। বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছাকাছি আমাদের অফিস ইন্ডিয়াতে। তাই মাঝে মাঝেই ব্যাঙ্গালরে গিয়ে ইন্ডিয়ান এঞ্জিনিয়ারদেরকে জ্ঞ্যান বিতরণ করে আসতে হয়। ঢাকায় ফিরতে আকাশ পথে প্রায় ১০ ঘন্টার মত ভ্রমন। ব্রিটেন যেতে ১২ ঘন্টার মত লাগে, তাই বলাই বাহুল্য আমার জন্য এটা যথেষ্টই ক্লান্তিকর। ভোর ৩টায় উঠে ঢাকায় আসার প্রস্তুতি নিতে হয়। অন্য বিম ...
আগে লিখতে হলে লেখার দক্ষতা ছাড়াও আরো নানারকম দক্ষতা লাগতো। এখনো যে সে প্রয়োজন একেবারে ফুরিয়ে গেছে তা নয়, তবে ইন্টারনেট মনের ভাব প্রকাশকে একেবারে অসাধারণভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এ নিয়ে চৌঠা জুলাই এ্যান্ড্রু সালিভানের ব্লগে এরকম একটা লেখাও পড়ছিলাম, যে, যত 'ভালগার' আর 'অবনক্সাশ'-ই হোক, শেষতক বলার এই স্বাধীনতার সুবিধা বলতে না পারার চেয়ে বেশিই বটে, ...
নিজে নিজেই কেউ আহত হয়; নিজেকে কামড়ে খামচে টেনে হিঁচড়ে উন্মাদ সুফিদের মতো আন্ধা ঈশ্বরকে দেখায়- দেখো তোমাকে একমাত্র গণ্য ভেবে নিজেকেও কতটুকু নগণ্য করতে পারি আমি...
কেউ কেউ নিজেকে আহত হতে দেয়। মাইরের সামনে দাঁড়িয়ে মহাত্মা গান্ধীর মতো শান্তির সুবচন ঢেলে মারমুখো মানুষকে বোঝাতে চায় নিজের শান্তিপ্রিয়তা
কেউ কেউ আহত হয় গ্রামীণ জননীর বাৎসল্যসূত্র মেনে- ছোটবেলা মারি নাই মরে যাবে তাই। ...
তার সম্পর্কে আশ্চর্য সব গল্প লন্ডনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সে দেখতে এখনও পবিত্র, কিন্তু আসলেই কি তাই?
সে তার প্রতিটি মর্জি, প্রতিটি বাতিক, প্রতিটি চাহিদা পূরণ করে। সব ইন্দ্রিয়ের গভীর রহস্য সে উন্মোচন করে। অসৎ চরিত্র নিয়ে, সে ধ্বংস ও রোমাঞ্চের উন্মত্ত ক্ষুধা মিটিয়ে চলে!
কিন্তু তার সব সম্পদ, সব সঞ্চয়—পলায়নের উপায় মাত্র। যেখানে তার শৈশব কেটেছে—সেই নিঃসঙ্গ, তালাবদ্ধ ঘরটার দেয়ালে আঁটা তার ...
প্রখর-রোদ্দুর
_______________
ঠকাস শব্দে সোডার ছিপি খোলার মত বিরক্তির আওয়াজে "if fact then matter"
যত অকারণ বায়নাক্কা, আর সহজ কথায় জরিদার বেলুচির সোনালী কাজ-
কেবল বিয়ের সাজেই এক প্রহরে মানায় ।
ন্যাকামির জোয়ারে যদি ভেসে যায় শেষ পারানির নাও, তবে
হিসাবের খাতায় খতিয়ানে ভরপুর লসের বুদবুদ ।
গুনের বালাই নেই,গুন হীনতার থোরাই কেয়ার বালিকার মন-
ভালোবাসা! যদি হয়, তবে চার পাণ্ডব থেকেও ধ্রুপদী অর্জুনের
আর যদ ...
অন্ধকার ঝুলে থাকে মাথায় উপর
আমি যে সত্যি পেতে যাচ্ছি...
উল্কার মত নিম্নরেখাঙ্কনে নেয়া গেল না
একটি সহজ সমীকরণের
চিরচেনা তার আশাবাদী চোখ, গির্জার ফোঁটাফুল
মসৃণ বৈসাদৃশ্য; একটি পরিপূর্ণ গির্জায় গায়কদল
অধিকার বলে হরণ করে নিলে কালের যাত্রা
শব্দের গ্রামে বাস করে ঘুমন্ত নেশা
বক্ররেখায় নিশিদাগ; পিছনে বাঁকে বাঁকে ছুঁড়তে থাকি
বোধের চোখে অপেক্ষা– আজীবন…
-------------------------------
-হামিদা আখতা ...