১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি সন্দেহাতীতভাবে বাংলা ভাষায় দেয়া শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ভাষণ। যুদ্ধ চলাকালে প্রতিদিন একাধিকবার স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে এর খণ্ডাংশ প্রচার করা হয়েছে "বজ্রকণ্ঠ" নাম দিয়ে।
ভাষণটির ভিডিও সুলভ নাকি দুর্লভ, জানা নেই। তবে যাঁরা কখনও তা দেখেননি , তাঁদের সুবিধার্থে আপলোড করে দিলাম। সাদা-কালো এই ভিডিওটির মান চলনসই। লো স্পিডের নেটে ডাউনলোডের...
হুঁক্কুঁ
জুলফিকার কবিরাজ
মণ্ডল বাড়ির বংশ রক্ষার মত উপায় নাই। এই চিন্তায় মণ্ডল বাড়ির সবচেয়ে বর্ষীয়ান মরুব্বি টেনু মণ্ডল ৮০ বছরের কিনরায় বসে লাঠিতে ভর দিয়ে দুই হাটুর মাঝে মাথা গুঁজে ঝিম মেরে আছে। মাঝে মাঝে চোখ তুলে দূরে তাকাচ্ছে কিন্তু চৈত্রের রোদ ঝলমল দুপুরেও চোখে তার কুয়াশার মেলা। দুই হাতে চোখ রগড়ে আবার তাকায়; কিন্ত বংশ রক্ষার চিন্তায় চিন্তায় চোখে তার ঘোলার পরত বারতে থা...
[চলমান সতর্কবাণী ঃ এই সিরিজের পর্বে পর্বে বর্ণিত চরিত্রে কিংবা ঘটনা প্রবাহে কেউ কোনরূপ সাদৃশ্য বা মিল খুঁজিয়া পাইলে তাহা ব্যক্তির স্বেচ্ছাকল্পিত অতি সৃজনশীলতা বলিয়া গণ্য হইবে]
বেশ দীর্ঘ লাইন দিয়েই মেলায় ঢুকলাম সেদিন। ভীড়ও প্রচুর। অন্যদিনের চেয়ে বেশিই হবে। তবে নানান রঙ ও বয়েসী তরুণ-তরুণীদের সরব আধিক্য চোখে পড়ার মতো। জাতির গর্বিত না...
স্থির জলেতে ঢিল ছুঁড়ে সে
হারিয়ে গেল ওই
কুসুমকলি খুঁজছে তারে
পালিয়ে যাবে কই!
প্রতীক্ষাতে প্রহর গণে
দিনে রাতে সংগোপণে
কথঞ্চিতে চমকে ওঠে
বুকের ভেতর বল্গা ছোটে,
হৃদহরা তুই পালিয়ে গেলি কই?
কুসুমকলি মুখপুড়ি তুই
ভাবিস কি রে এত?
দেয়না জবাব কুসুমকলি
মুখটি করে নত।
চোখ দুটি তার ছলছল,
চোখের তলে কালি
ঘুম আসে না দিনে রাতে
কুসুম রে কই হারালি!
কুসুমের মা বুঝতে পেরে
কয় বাপেরে তাড়াতাড়ি
"সো...
অনেকদিন কিছু লেখা হয়না সচলে। আসলে লেখার মত কিছু পাচ্ছিলামও না। আগে অফিসে সচল, ফেসবুক সব সারাদিন খোলা থাকতো। সারাদিন ইউটিউব দেখে, ব্লগ পড়ে, গেম খেলে, ফেসবুকে এর ছবি ওর ছবি দেখে মহা আরামে আমার দিন কেটে যাচ্ছিল। মাসের শেষে ভালো একটা এমাউন্টও ব্যাংকে এসে জমাও হচ্ছিল। এর চেয়ে আরামের চাকরি কি আর হতে পারে? আর এখন অফিসে ইমেল চেক করারই সময়ই পাইনা। যাইহোক, ভাবলাম আজ সুযোগ যখন পেলাম তখন রিস...
ইংরেজী "হোয়াট দি ফ?ক" এর যুতসই বাংলা ধরা যাক, "কস কী মমিন!" নিউজ.কমের একটা বিভাগ হচ্ছে এই "কস কী মমিন"। সেখান থেকে এবং আরো ভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত খবরের সার নিয়ে লেখা এ সিরিজ।
সতর্কতা: এ লেখার বিষয়বস্তু স্থূল, অশ্লীল কথাও আছে। পড়ার জন্য লগইন করতে হবে। লেখা/অংশ রেফারেন্স/কোটেশন হিসাবে উল্লেখ করা যাবে না।
মেজাজ ধরে আছে, জিমেইল চ্যাটে আরেক প্রাচীন অর্বাচীন ( ) সেটা খিঁচে দিল...
(বাঁচতে হলে জানতে হবে টাইপ কথাবার্তা আছে ভেতরে ... বেশি ছোটরা না পড়াই ভাল)
আমার বিবাহিত জীবন প্রায় ছয় বছর ছুঁই ছুঁই করছে। বাচ্চা কাচ্চা নেয়ার কোন রকম অবকাশ পাই নাই এর মধ্যে। যখন বিয়ে করি তখন বউয়ের বুয়েট লাইফের ৩য় বর্ষ ... ২১তম বিসিএস-এর কল্যানে আমি কেবল গণপূর্ততে যোগদান করেছি আর ওদিকে পি.এইচ.ডি করার জন্য জাপান সরকারের বৃত্তি হবে হবে করছে। মাত্র চার মাস চাকুরী করেই একা জাপান চলে গেলাম...
আমাদের সামনের রাস্তায় প্রথম যেদিন বাস চলল সেদিন আমরা ভাবলাম পৃথিবীটা আক্ষরিক অর্থেই ছোট হয়ে আসছে, খুশী হলাম, এবং মাত্র আধমাইল দুরবর্তী আদমপুর বাজারে যাবার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে বুঝলাম প্রখর রৌদ্রে বসে থাকার মধ্যেও আনন্দ আছে। তাছাড়া বাসগুলোতে নতুন নতুন হিন্দী গান বাজছিল বলে আরেক ধরনের রোমাঞ্চ অনুভব করলাম মনে, প্রকৃতপক্ষে বাসের চারটি চাকা মানুষকে যার যার গন্তব্যে নেয়া ছাড়াও আর কি কি করতে সক্ষ
আমার একমাত্র দিদির যখন বিয়ে হয়েছে সি সময় আমি ক্লাস ফাইভ এ পড়ি। আমি তখন পুঁচকে, বয়েস নয় কি দশ
দিদির বিয়ে হয়ে যাবার প্রায় পনেরো বছর অবদি আমাদের বাসায় মহিলা বলতে মা ছাড়া আর কেউ নেই। আজো মনে পড়ে ছোটবেলা মাকে অনেক সাধাসাধি করতাম একটা ছোট্ট বোন এনে দেবার জন্য। বলতে কোনো বাধা নেই বাড়ীতে অন্য কোন মহিলা না থাকায় সেই সময় কোনো রকম লাজ লজ্জা ছাড়াই নির্ভাবনায় আমরা আমাদের জামাকাপড় পাল্টাতাম
...
আমার নিজের উপর আস্থার কোন অভাব নাই তাই ভার্সিটি পরীক্ষার জন্য যখন শুধু মাত্র একটা ফরম কিনলাম তখন বাসার সবাই খুব চেচামেচি করলেও আমি তেমন একটা পাত্তা দিলাম না। ভাবখানা এমন যে এইটা আর এমন কঠিন কি? কিন্তু ব্যাপার টের পাইলাম পরীক্ষা দিয়ে, বুঝলাম অবস্থা সুবিধার না। তাই পরীক্ষার কয়েকদিন পর যখন পত্রিকার পাতায় রেজাল্ট খুজে পাইলাম না তখন খুব একট আশ্চার্য হলাম না।
আমি আশ্চার্য না হইলে ...