Archive - সেপ 29, 2012 - ব্লগ

বাটিস

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
লিখেছেন সবুজ পাহাড়ের রাজা (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ৭:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ আদুরে পিচ্চি বাটিসদের কথা বলা যাক।


ছবি: বিবিসি

ছবিতে পয়সার উপর যে প্রাণীটি দেখতে পাচ্ছেন, তা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট সরীসৃপগুলোর একটি।


প্রায় দমবন্ধ কয়েকটা দিন

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ৩:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কথা বলা দূরে থাক, পানি খেতে, এমনকি ঢোক গিলতেও সাহস পাইনি কদিন। প্রায় দশ পনের দিন দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলাম। মানুষের গলায় যে এরকম কোন গজব নামতে পারে আগে জানতাম না। কথাবার্তা সব ইশারায় চলেছে। মোবাইল ফোন তো হারামই হয়ে গিয়েছিল। পরিবারের সব মানুষ আর সহযোগী অর্ধাঙ্গিনী না থাকলে কি ভয়ংকর অবস্থা হতো ভাবা যায় না। নাক-গান-গলা বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করে ঘোষণা দিলেন- গলার ভেতর ব্যাকটেরিয়ার কাফ


মগডালের ভূত অথবা চুয়াডাঙ্গার হায়েনা

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ১২:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক অনেক দিন কথা। চুয়াডাঙ্গার আপেলদ্দি ডাক্তারের তখন বেশ নামডাক। হাসপাতাল আর চেম্বারে তো রোগি দেখেনই, প্রয়োজনে মুমূর্ষূ রোগিকে বাঁচাতে ছুটে যান দূর-দূরান্তে। একদিন এমনই এক রোগির চিকিৎসা করতে গেলেন চুয়াডাঙ্গা থেকে বিশ মাইল দূরে জীবননগরে। রোগির অবস্থা তেমন সুবিধার নয়। তাই আপেলদ্দি ডাক্তার বেশ সময় নিয়ে রোগির চিকিৎসা করতে লাগলেন। কখন যে দুপুর গড়িয়ে গেছে ডাক্তার সাহেব তা খেয়ালই করেননি।
তখনকার দিনে এত ঝকঝকে রাস্তাঘাটও ছিল না, এত এত বাস-মোটর গাড়িও ছিল না। ওদিকে রোগির চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তার সাহেব চুয়াডাঙ্গাগামী শেষ বাসটাও মিস করলেন। অথচ যে করেই হোক সন্ধ্যার আগেই তাঁকে চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছতে হবে- কে জানে কতজন রোগি তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে!
তখন চুয়াডাঙ্গা আর জীবননগরের মাঝে শুধু বন আর বন। মাঝে মাঝে খাপছাড়া দু-একটা গ্রাম। কেন্দুয়া বাঘ, ভালুক, হায়েনা আর বুনো শুকরদের অবাধ বিচরণ সেই বনে। ডাক্তার সাহেব তো পড়লেন মহা মুসিবতে। এখন বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? একট গরূ কিংবা ঘোড়ার গাড়ি টাড়িও চোখে পড়ছে না। ঠিক সেই সময় একজন লোক সেই পথ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তার পাশে ডাক্তার সাহেবকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে লোকটা সাইকেল থামিয়ে বলল, ‘আরে ডাক্তার সাহেব! আপনি এখানে দাঁড়িয়ে কেন?’


বজ্র হয়ে বিদ্ধ করি তাকে

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ৯:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি, চতুর্দিকে প্যাক কাদায় হাঁটাই মুস্কিল। ক্যাম্পের সবাই গোল হয়ে ভাত খেতে বসেছে মাত্র, এমন সময় আজিজ মাস্টার দ্রুত ঢুকে দলের কিশোরী মেয়েটিকে বললেন, “ঐ গাছে উইঠা দেখতো, নদীত কিসের জানি আওয়াজ পাইলাম।” ফট করে ভাত ফেলে হাত না মুছেই বাইনোকুলারটা টান দিয়ে পাঁই পাঁই ছুট লাগালো মেয়েটি, পিছল সুপারি গাছ বেয়ে বাঁদরের মত মগডালে উঠে দূরবীন চোখে দিল। কড়া বৃষ্টিতে কিছু ঠাহর করাই মুস্কিল। ভালো করে এক লহমা দেখল সে, পরমুহুর্তেই দলের দিকে ফিরে রিনরিনে গলায় চাপা চিৎকার দিল, “মিলিটারি! মিলিটারি গানবুট!”


প্রাচীন ভারত উপমহাদেশের কথা: পর্ব-১ (খ্রীঃপূঃ ৬ মিলিয়ন বছর আগে থেকে খ্রীঃপূঃ ৩,০০০ বছর পর্যন্ত)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ৭:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূমিকা: বর্তমানে ভারত উপমহাদেশে বিরাজমান সংস্কৃতির মতই এর ইতিহাসও অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। সময়ের পথ ধরে, ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে অখণ্ড ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে আধুনিক কালের দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সমূহ। মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস জুড়ে রয়েছে বিদেশী শক্তির আগ্রাসন, পরাধীনতা ও সাম্রাজ্যবাদ। মূলত ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের পরে থেকেই এই উপমহাদেশ বিদেশী শাসকদের অধীনে চলে যায়। প্রথমে মুঘলরা এবং পরে


নানা বৈচিত্র্যে আইভরি কোস্ট ( আইভরি কোস্ট টুকিটাকি - ৪ )

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ২:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
DSC02215 পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ আইভরি কোস্ট । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রাকৃতিক সম্পদ, পাহাড় ও সমতল ভূমির সংমিশ্রণ , বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিক পরিমণ্ডলে বয়ে চলেছে এখানকার মানুষের জীবন

কবি মঈন চৌধুরীর জন্য গল্পঃ সুবোল সখার বিয়ে বৃত্তান্ত অথবা জলপরির জলকথা

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০১২ - ১:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেলগাছটির অবস্থান ঈশান কোণে। রুয়েছিলেন দীননাথ। সেটা পঞ্চাশ সালের ঘটনা। তখনও আইয়ুব খানের পয়দা হয়নি। চাঁদে আমেরিকা পৌঁছায়নি। চীন আর রাশিয়া নামক দুটি দেশে একই বৃষ্টির ফোঁটা পড়ত। সোহরাওয়ার্দ্দী বড় নেতা। দীননাথ বিয়ে করেছে তার মায়ের অনুরোধে। কৃষ্ণলীলা পালাগান করার ফলে দীননাথের ধারণা ছিল—বিয়ে করার কোনো মানেই হয় না। স্ত্রী হৈমবালাকে বাড়ি আনার পরে একদিন মধ্য রাতে বলেছিল, রাধাকৃষ্ণর প্রেম—নিকষ