বাপ-দাদাদের মুখে শুনে আর পেপার পত্রিকা পড়ে জেনেছি আগের দিনে আবাহনী মোহামেডানের খেলা হলে নাকি সারা দেশে ফুটবলের অন্তত কিছুও যারা জানে তারা নাকি দুই ভাগে ভাগ হয়ে যেত। খেলার সপ্তাহখানেক আগে থেকে চায়ের টেবিলে, দোকানের বেঞ্চে, স্টেডিয়াম পাড়ায় চলত ম্যাচের গবেষনা আর ম্যাচের পর সপ্তাহখানেকের বেশি সময় ধরে চলত ম্যাচের পোস্টমর্টেম। এখনকার প্রজন্মের খুব কম ছেলেমেয়েই আছে যারা বাংলাদেশের ফুটবল তথা ঘরোয়া ফুটবলের কোন খোজখবর রাখে। জানি না সুদূর ভবিষ্যতে এমন দিন আসবে কিনা যখন তরুন ছেলেমেয়েরা আদৌ বিশ্বাস করবে আমাদেরও একটা ফুটবল ঐতিহ্য ছিল এবং সালাহউদ্দিন, সালাম মুর্শেদী, আসলাম, কায়সার হামিদ, সাব্বিররা একেকজন এমন সেলিব্রেটি ফুটবলার ছিলেন যাদের খেলা দেখতে তো বটেই প্র্যাকটিস দেখার জন্য পর্যন্ত মাঠে ভীড় জমত।
আমি ফুটবলবোদ্ধা নই। আমি খুব সাধারন একজন ফুটবলপ্রেমী। পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেশের ফুটবলের নিয়মিত খোজখবর রাখার চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় আমাদের ফুটবল একটা গন্ডি থেকে কেন যেন বের হতে পারছে না। দশ বছর আগে যে অবস্থায় ছিল এখন তার থেকে উন্নতি তো হয়নিই বরং আরো খারাপ হয়েছে। যদিও সেই ছোটবেলা থেকে হোমড়াচোমড়া কর্মকর্তাদের মুখে শুনে আসছি অচিরেই বাংলাদেশের ফুটবল এশীয় মানে পৌছাবে। আমি একজন খুব সাধারন দর্শক বা সমর্থক হিসেবে চিন্তা করি আমাদের ফুটবলের এই হাল কেন। খুব গভীর গবেষনায় না গিয়ে সাদামাটা কথায় আমি কিছু চিন্তাভাবনা তুলে ধরি। সচলায়তনে দেশের অনেক সমস্যা নিয়ে অনেক লেখা নিয়মিত আসে। সেই তুলনায় এই বিষয়টি সামান্য। তবে এটাও ঠিক যে খেলাধুলাই একমাত্র জিনিস যা আমাদের পুরো জাতিকে একসাথে হাসাতে পারে অথবা একসাথে কাঁদাতে পারে। আর আমাদের যে একটা ফুটবল ঐতিহ্য ছিল যা এখন মূমুর্ষ অবস্থায় আছে সেটা তো অস্বীকার করার উপায় নাই।
পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত আইভরি কোস্ট দেশটি ১৯ টি রিজিয়ন নিয়ে গঠিত। আমাদের দেশের বিভাগ এই দেশে রিজিয়ন নামে পরিচিত। আইভরি কোস্টের একটি রিজিয়নের নাম হল ১৮ মাউনটেন রিজিয়ন। এই রিজিয়নের একটি শহর হল মান।এই রিজিয়নের বানিজ্যক রাজধানী এটি। এখানকার সবার কাছে শহরটি মা হিসেবে পরিচিত।কাউকে মান বললে নাও চিনতে পারেন কিন্তু মা বললে সবাই চেনে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এই জায়গাটার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে।আর সবচেয়ে বড়
২০১১ সালের আগস্ট মাসে আমাদের কাছে নতুন একটা কনসেপ্ট নিয়ে কাজ শুরু করি।
প্রিয় পাঠক প্রথমেই পরিষ্কার করা ভালো, এটা কোন রহস্য গল্প না। শিরোনাম দেখে, আপনি যদি রহস্য গল্পের আশায় পৃষ্ঠা উল্টে থাকেন তবে, আমি দু:খিত। এ গল্পে খুন নিয়ে কোন রহস্য নেই এবং খুনী ও আমাদের পরিচিত। আসলে সত্য কথা বলতে খুনটি এখনও হয়নি। আর কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা খুনটি করতে যাচ্ছি।
এটা অনেক অনেক দিন আগের কথা । লঙ্কার রাজা রাবণের মত রাক্ষস- দৈত্য- দানোও তখনো জন্মায়নি, রাম-লক্ষণ বা ঈসা-মুসারও কোনও খবর ছিল না । হাজার হাজার বছর আগের কথাও না এটা । ডাইনোসররা দাপিয়ে বেড়াতো যখন তার চেয়েও আগের, কোটি কোটি বছর আগের উপাখ্যান ।
গত কয়েকদিন খুব ভাল ছিলাম। নিজের মনের মধ্যে শান্তি পাচ্ছিলাম বেশ। প্রায়ই সবাই বলতো বাংলাদেশ হল অমানুষদের জায়গা। বাংলাদেশের সব লোক দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গত বেশ কিছুদিন ফেসবুকে-ব্লগে-পত্রপত্রিকায় আমি শুধুই মানুষ দেখছিলাম। অনেক মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষ। সবাই মানবতাবোধে ভর্তি উপচে পড়া ভালবাসা দেখাচ্ছিল- ঠিক আমার মত। আজকালকার দিনে আমাদের অবশ্য প্রায়ই ভেক ধরে থাকতে হয়- কখন নাহলে আবার ছ
এক.
:"কীরে সজীব, ক্লাসে যাবি না।"
:"মামা, আকাশের রং দেখছোস, "পুরা আকাশ কালো, মেঘ কালো"-অবস্থা। ঝুম বৃষ্টি নামবো। লহ্ বৃষ্টিতে ভিজি।
:" আর ক্লাস করবো কে?
: "ধুর ব্যাট্যা মফিজ। ক্লাস কইরা কী আর জজ-ব্যারিস্টার হবি। হবি তো ঘুসখোর আমলা আর নাইলে বিদেশে ডি.সি। লহ্ ।"
দুই.
(অফিসের কাজে ফাঁকি দিয়ে লেখা। ভুল ভ্রান্তি থাকাই স্বাভাবিক)
এক
সাদা চামড়ার ভিনদেশী মানেই সুপিরিওর বা প্রভু না
আমার খুব কাছের বন্ধুদের মিস করছি কয়েকদিন ধরে। কারো সাথেই আমার এখনকার পার্থিব দূরুত্ব হাজার কিলোমিটারের কম না। লেখাটা তাদের জন্য। আজকাল চিঠি লেখার চল উঠেই গেছে। তবু আমার মাঝে মাঝে চিঠি লিখতে ইচ্ছা হয়। সেই ইচ্ছাটাও একটা অনুঘটক।
কল্যাণীয়াসু,