বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহ কবে হারিয়েছি মনে নেই। এখন বাংলাদেশ দলে কারা খেলেন, নামও জানি না। বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়কের নামও আমার অজানা। অথচ, একটা সময় ছিল, সে সময় আরো বিশ পঁচিশ বছর আগে (হায়! প্রায় সিকি শতাব্দী আগে!) ফুটবলের দিন অন্যরকম ছিল। আবাহনী-মোহামেডান নিয়ে কী টানটান উত্তেজনা!
শেখ মুজিব রোড ধরে গত ত্রিশ বছর আসা যাওয়া করছি কিন্তু এই দোকানটা কখনো চোখে পড়েনি।
যমুনা ভবনের পাশে একটা খালি জায়গা, তার পাশেই দোকানঘরটা। হ্যাঁ, দোকানঘরই। ঘর এবং দোকান দুটো মিলে টু-ইন-ওয়ান। শহরে এরকম দোকান দেখা যায় না। দোকানের পেছনে আবাসিক ব্যবস্থা। দোকানীর কাঁধের উপর দিয়ে উঁকি দিয়েও দেখা যায় পেছনের ঘরটিতে রয়েছে একটা চৌকি, তাতে বিছানা পাতা, চৌকির নীচে খানকতক ডেকচি, একটা স্টোভ, নানান সাইজের কিছু বৈয়াম ইত্যাদি সাংসারিক উপাদান। বোঝাই যাচ্ছে রাতের বেলা এখানে কেউ থাকে।
এই উপকথা পাঞ্জাবের শতদ্রু নদের তীরবর্তী ফিরোজপুর অঞ্চলের।
এক দেশে ছিল এক গরীব বৃদ্ধা। তিনকুলে তার কেউ কোত্থাও ছিল না। এর বাড়ী ওর বাড়ী ধান ভেনে, মুড়ি ভেজে, ফসল তোলার মরশুমে জমিতে ঝরে পড়া শস্যমঞ্জরী কুড়িয়ে বা কারুর বাড়ীতে প্রয়োজন থাকলে ঠিকা কাজ করে দিয়ে কোনোক্রমে তার দিন গুজরান হতো। কোনোদিন দু'বেলা দু'মুঠো জুটতো, কোনোদিন বা একবেলা আধপেটা।
প্রেমের দেবী আফ্রোদিতি দেবতা থেকে শুরু করে মরণশীল মানব, এমনকি পশুপাখি- সকলের মনেই ভালোবাসার ফোয়ারা বইয়ে দিতে পেরেছেন, শুধুমাত্র তিনজন দেবী ছাড়া। দেবী এথেনা, দেবী আর্টেমিস এবং দেবী হেস্টিয়া। আফ্রোদিতির কারণেই অনেক দেবতা ভালোবেসেছেন মরণশীলকে, আবার অনেক মরণশীল হয়েছেন দেবীদের ভালোবাসার অলংকার। আফ্রোদিতি যাতে এই ব্যাপারটি নিয়ে অন্যান্য দেবতা বা দেবীকে ঠাট্টা না করতে পারেন, সেজন্য দেবরাজ জিউস এক কাজ করলেন। দেবী আফ্রোদিতিকে এক মরণশীলের প্রেমে মশগুল করে দিলেন- আর সেই মরণশীল হলেন এনকেসিস।
এককালে এখানে রেস হতো।
লম্বা-লম্বা আরবি ঘোড়াগুলোর উপরে রোগা-পটকা জকিদের হট-হুরর শব্দের সাথে দর্শকদের চিল-চিতকার প্লাস সভ্য মানুষের মৃদু করতালি; খোলামকুচির মতো উড়তে থাকা ব্যাংকনোট আর কাঁচাটাকার ঝনঝনানি- সব মিলে ঘোর লাগা এক অদ্ভুত উতসব।
১।
বহুদিন পর আবার বিজ্ঞানের গল্প- আজকে পরমাণুর হাঁড়ির খবর দেব। নাম দেখে আবার ভেবে বসবেন না যে পরমাণু বুঝি তারেকাণুর খালাত ভাই। এই লোকের হাঁড়ির খবর রাখা সম্ভব না। এই দেখি এভারেস্ট তো ঐ কুমেরুতে। আজ পম্পেইয়ে মৌজ করে তো কাল এক্সট্রা টিকেট নিয়ে সাম্বা দেখতে যায়। কখনও আবার নাৎসি ক্যাম্পে ঘুরে এসে মনটা খারাপ করে দেয়। এত অ-স্থির মানুষের খবর রাখা আমার কাজ না। ঘুরে ফিরে তাই কাঠখোট্টা বিজ্ঞানই ভরসা। বিজ্ঞানের গল্পগুলো অবশ্য কম মজার না। সত্যপীরের বিক্রম যেমন খালি হাতে বাঘের চোখ উপড়ে বেড়ায়, বিজ্ঞানীরা তেমনি প্রকৃতির কাছা খুলে দিতে উদ্বাহু হয়ে বসে থাকেন। কি সুবিশাল ছায়াপথের ওপার, কি ছোট্ট পরমাণুর গভীরে- কোথাও তার লুকোবার জায়গাটি নেই। আর বিজ্ঞান তো আর অকাট-নিশ্চল ঐশীবাণী নয়। সে হল একেবারে আফ্রোদিতির মত চঞ্চলা। আজ ওমুক বিজ্ঞানীর সাথে খাতির তো কাল তমুক, পরশু থমুক- এমন। যখনই বিজ্ঞান দেখে যে আগের বিজ্ঞানীর তত্ত্বের সাথে তার আর বনছে না, ওমনি সে নতুন কোন বিজ্ঞানীর মাথা থেকে নতুন রূপে বের হয়। পরমাণুর হাঁড়ির খবর তাই দিনে দিনে কেবলই বদলেছে।
----------------------------------------------------------------
ঈশপের নীতিগল্পগুলি পড়েছি অনেক ছোটবেলায়। যত বড় হয়েছি, গল্পগুলি তত বেশী করে অনুভব করেছি। সম্প্রতি ইচ্ছে হ’ল সে’গুলি ফিরে পড়ার, ধরে রাখার - নিজের মত করে ।
ইংরেজী পাঠের অনুসারী বঙ্গানুবাদ, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
[গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে]
----------------------------------------------------------------