ব্লগ

উর্দিবাণী - ০২

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি
লিখেছেন সংসারে এক সন্ন্যাসী (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৫/২০০৯ - ২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিমুর ব্লাডি কৌতুকমালা থেকে অনুপ্রাণিত।

রুশ ভাষায় সামরিক কৌতুকের জনপ্রিয় একটি ধারা থেকে সংগৃহীত কিছু বাক্যের অনুবাদ-সংকলন এই সিরিজ। বাক্যগুলো সামরিক মুখগহ্বর নিঃসৃত বলে প্রচলিত ধারণাটি সঠিক কি না, নিশ্চিত নই।

১১.
সামরিক বাহিনীতে সবাই স্বেচ্ছাসেবক হতে বাধ্য।

১২.
কর্নেল স...


শুক্লপক্ষ কৃষ্ণপক্ষ : শুরু

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৫/২০০৯ - ২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক অনেক দিন আগের কথা। ভারতবর্ষে পৃথিবীভূষণ নামক এক রাজ্য শাসন করতেন রাজা শুক্লপক্ষ। তিনি ছিলেন অতি সৎ এবং সাদাসিধা একজন মানুষ। কেউ কখনো কারো খারাপ করতে পারে এই চিন্তা তিনি করতে পারতেন না। রাজার এক মন্ত্রী ছিল, নাম কৃষ্ণপক্ষ। এই কৃষ্ণপক্ষ ছিল খুবই ধূর্ত এবং দুষ্ট একজন লোক। একদিন সকালে শুক্লপক্ষ যখন সভাসদদের সাথে রাজদরবারে বসে রাজকার্য পরিচালনা করছিলেন দূত এসে বলল, “মহারাজ, ব...


দেশবিদেশের উপকথা(৩)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৫/২০০৯ - ১:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা

দেবতারা থাকতো স্বর্গে মানে আস্গার্ডে, মানুষেরা মর্ত্যে মানে মিডগার্ডে আর দত্যি দানো অসুরেরা আর সব বাকীরা নয়টি লোকের বাকী সাতটিতে। ভারী সুন্দর এক রংধনুর সেতু ছিলো স্বর্গ থেকে পাতাল অবধি। আগে ঝগড়াঝাঁটি ছিলো না কিনা, তাই ভাবভালোবাসা আর যাতায়াত ছিলো দেবতাদৈত্যে। কিন্তু পরে ঝগড়াঝাঁটি হয়ে আলাদা হয়ে গেলো। সেতুর উপরে পাহারা বসলো। বিরাট শিঙা নিয়ে দেবতা হ...


বিরহের ইউনির্ফম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৫/২০০৯ - ১:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নীল

-------------------------------------------------------------------------

বোবা অন্ধকারে যখন বসে থাকি একেলা
সিগারেটের ছাই জোনাকি হয়ে উড়ে উড়ে
যখন পৌছে যায় তোমাদের গ্রামে,
তুমি কী তখন তাকে দেখতে পাও? চিনতে পারো,
পরিচত বলে মনে হয়?

তোমার গ্রাম থেকে বা তোমার বাড়ি থেকে
আমার এখানে কিছুই আসে না!
কেন? পথ ভুলে গেছে?
ভুলে যাওয়া যে কতো কঠিন, মনে রাখা তো সহজ,
সহজটাই তো তোমরা বেচে নাও। তাহলে?

গতকাল দুপুর রাতে অঝোরে বৃষ্টি হয়েছ...


সেই সিরাপ খেয়ে জিরাফ হল বেগুনি আতাগাছ

কারুবাসনা এর ছবি
লিখেছেন কারুবাসনা (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৫/২০০৯ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাতা নং-০৬

ধর্ম পুড়তে পুড়তে বেগুনি হয়ে যাচ্ছ যাচ্ছেতাই, আর মরে যাওয়া সিগন্যালের মত এক বিষন্ন বিস্তারিত আতাগাছের তলায় পুলিশেরা টাকা কেড়ে নিয়ে ডাইলের বোতল দেয়। সবাই খুশি তাই নদী হয় কেউ, রাত বাড়লে ঢেউ।
জিরাফজিরাফ
পাতা নং-৫৮

আমি পায়ে টের পাচ্ছি অদৃশ্য ঘুঙুরের, আমার মুখময় রঙ। আমার যেন আতাগাছ হওয়ার কথা ছিল আজ রাতে। যেভাবে পানি সামান্য আলোয় চিকচিক করে ওঠে অপর...


যখন মানুষ ছিলাম...

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: সোম, ০৪/০৫/২০০৯ - ১১:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিনেমা দেখে, চ্যাট করে এবং তারপর বই পড়ে রোজই ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। অনিবার্য ফল হিসেবে ঘুম থেকে প্রায়ই উঠি সকাল দশটা-এগারোটার দিকে। আজও সকাল বেলা এমন জম্পেশ ঘুম দিচ্ছি, হঠাৎ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মনে হলো আমার পাশের রুমে কেউ কাঁদছে। ঘুমের ঘোরে ভুল শুনেছি ভেবে আবার পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়লাম।

সাড়ে দশটায় তারেকের ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। দাঁত ব্রাশ করতে করতে শুনি মা যেন বাবার সাথে ...


ছবিতে গল্প ৪: হলদে-কালো

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: সোম, ০৪/০৫/২০০৯ - ১১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত পাতাঝরার ঋতুতে গ্যাটলিনবার্গ গিয়েছিলাম। পাহাড়ি সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে একটা মোড় ঘুরতেই ম্যাজিক, সব সবুজ নিঃশেষ ক'রে সে এক হলুদের বিস্ফোরণ! অদ্ভুত এক আলো শুধু সেইখানটাতেই, তার মধ্যে যেন নীরবে বাজছে সিম্ফনী কোনো। কালো কালো গাছের গুঁড়ির উলম্ব গাম্ভীর্য আর হলদে পাতাভরা শাখার হরিজন্টাল চাপল্য, দুয়ে মিলে জাপানি স্ক্রোল পেইন্টিং।

যাঁরা গ্যাটলি...


আজিরা প্যাঁচাল

সিরাত এর ছবি
লিখেছেন সিরাত (তারিখ: সোম, ০৪/০৫/২০০৯ - ১০:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উফফ! মাত্র নিউ মার্কেট থেকে মিরপুর-১৪ সাইকেল চালায় আসলাম।

ছোটবেলায় সাইকেল চালায় নতুন এলাকা ঘুরা ছিল আমার বড় প্রিয় কাজ। কত জায়গায় যে গেছি। কতদিন চালাই না, ইচ্ছা করে। হঠাৎ কিনে ফেললাম!

নতুন বাইসাইকেলটা গিয়ার আর সাসপেনশনওয়ালা। ভাল কইরা টেস্ট করার একটাই উপায় মনে হইল, চালায় আসা। ভাইরে, গোসল হইয়ে গেছে, কিন্তু মজা পাইছি। আজকে আর ভাবের কিছু লেখনের এনার্জি নাই। আহহহ।

এখানে কেউ গিয়ারও...


স্রোতস্বিনী নির্ঝরনী

ফকির লালন এর ছবি
লিখেছেন ফকির লালন (তারিখ: সোম, ০৪/০৫/২০০৯ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কনার সাথে দেখা হিথ্রো এয়ারপোর্টে।

কনার একহাতে তার মেয়ে, আরেক হাতে প্যারাম, সেখানে আধো ঘুমে তার আর এক মেয়েই হবে, এসব নিয়ে সে নাকাল হচ্ছিলো - তিনি শাড়ী পড়া দেখে সাহায্য করতে গিয়ে আবিষ্কার করলেনঃ কনা। সেই এক এবং একমাত্র অদ্বিতীয়া। দু একটা অনর্থক বাক্য বলে তিনি কনার হ্যান্ড লাগেজে সামালালেন, অযথাই হাসলেন। একবার ইচ্ছে করছিলো কফি খেতে বলেন, কিন্তু সাহস হলোনা। তাই তাকে তার সিটে সেটল ক...


মকবুল-জগলুল ছড়া (১)

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ০৪/০৫/২০০৯ - ১০:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এটা একটা অনিয়মিত ছড়ার সিরিজ। চরিত্র দু'টি, মকবুল আর জগলুল। এদের ভূমিকা পাল্টাবে। বাস্তবের সাথে মিল কাকতালীয়, ছড়াকার বা আর কেউ দায়ী নন।

মকবুল স্মাগলার, জগলুল ঠোলা
দুইজনে একসাথে বড় হওয়া পোলা।
মকবুল বর্ডারে, জগলুল ঢাকা
দুইজনে দুই হাতে খাবলায় টাকা।
মকবুল আলহাজ্জ্ব, জগলুল হাজী
দুইজনে বদমাশ হাড়ে হাড়ে পাজি।
মকবুল বিবাহিত, জগলুলও স্বামী
তাহাদের বউগুলি গাড়ি চড়ে দামী।
মকবুল মদ খায়, ...