রাতের শব্দগুচ্ছে চাঁদ উঁকি দিয়ে যায়- অন্ধকার দ্বিখন্ডিত
তোমার রাত্রির তীরে আছড়ায় প্রসন্ন বিকেল
স্টেশান স্পর্শ করে নিয়ত চলে গেছে দূরগামী মানুষ,
পাথর, মালবাহী যান
সমস্ত সংসার ঘিরে মোহিত এটুকু সময়
এইটুকু অপেক্ষার ঢেউ!
অবকাশ নিলো খুলে জন্মের নীল চোখ, দ্রাবিড় রক্তের ধাঁধাঁ
বড় ব্যথা শূন্যতা।
নগরে অগন্তুক; এখনো আঁকড়ে আছি পিতৃপুরুষের ঋণ সশব্দ গ্রাম্যতা!
বাইরে বাঁশির ডাক- ভেতরের উষ্ণ জানালা
নাইলোটিকা মাছের গভীরে জমে আছে লাল
অথবা আমাদের পিস্তল পবিত্র পিস্তল আমার
এখানে কুমুদিনী গার্লস কলেজের সামনে একা দাঁড়িয়ে
তোমাকে দেখব বলে এই ঘনঘোর অন্ধকার
নিশাচর পাখির মতো তন্দ্রাহীন
প্রখর রোদে
এই যে বিকেলবেলাগুনি ধসে গেল
এই যে নির্দয় প্রেম একদিন ফুরিয়ে গেল
এই যে অকস্মাৎ মানুষের মন
শনপাপড়ির মতো থোকা থোকা
মিষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে মানুষেরই মনে
অরণ্যে ভরনপোষনের দায় কে কাহারে দিছে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা নিয়ে বাংলাদেশের অনলাইন মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বেশ গরম। ঘটনাটা প্রথম দিকে আমার চোখ এড়িয়ে গেলেও এই ব্যাপক শীতে একটু গরম আঁচ গায়ে লাগায় একটু নাক গলালাম। তাতে যা দেখলাম, বাংলাদেশের আবহমান কালের ঐতিহ্য বজায় রেখেই ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে ইতিমধ্যে বেশকটি পক্ষ তৈরী হয়েছে এবং তারা নিঃসন্দেহে সরব।
আগে যেখানে থেমেছিলাম
“"এয়ারপোর্টে পৌঁছে চেক ইন সহ আরও কাজ শেষ করে উঠে গেলাম প্লেনে বিনা ঝামেলায়। সিটে বসতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ, চোয়াল ঝুলে মাটিতে। এ আমি কি দেখছি?? এও কি সম্ভব??"”
১৪
১৯৭১
মেহবুবা জুবায়ের
'মাওলানা'দের বেহাল দশায় যাদের বুকে কষ্ট
যাদের কাছে এই বিচারে জুলুমটা খুব পষ্ট
তাদের বলি— বাঁচতে হলে জানতে হবে ‘সাচ্চা’
কী ভয়ানক ছিল এসব রাজাকারের বাচ্চা!
ক্লাস থ্রীতে শুরু হলো "হাতের কাজ" বলে একটা বিষয়ের ক্লাস। নানারকম কান্ড করতে হতো সেখানে, নারকেল দড়ি দিয়ে পাপোষ বানাতে হতো, রুমালে ফুল-লতা-পাতার সূচীকর্ম করতে হতো, রঙীন কাগজ বিশেষভাবে কুচি দিয়ে দিয়ে বাহারী মালা বানাতে হতো, মাটির আপেল কলা কমলালেবু আম--এইসব বানাতে হতো, সেগুলোর উপরে আবার রঙও লাগাতে হতো। কমলালেবুতে কমলা রঙ, সরলসোজা খানিকটা। কিন্তু সিঁদুরে আমে ঘন সবুজ আর বোঁটার কাছে লালের ছোঁয়া-এটা বেশ এ