জুড়ানো গল্প

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: রবি, ১১/০৭/২০১০ - ৮:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার সৃজনশীল সাহিত্যে(!) হাতেখড়ি গুঁড়াকালে, স্কুলে যাওয়ার আগেই। বর্ণপরিচয়ের পর অক্ষরের পিঠে অক্ষর বসিয়ে শব্দ গড়তে শেখার পরই আমার রুলটানা খাতাটায় লিখেছিলাম বুনাব্দের(বুনো+অব্দ=বুনাব্দ) প্রথম ছড়া।

মেঘ ডাকে গুড়গুড়
পায়রা যায় অনেকদূর

মেঘের গুড়গুড়ানির সাথে পায়রার ওড়াউড়ির কোনো প্রত্যক্ষ যোগ না থাকলেও এটি যে একটি অমর সাহিত্যকর্ম তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এরপর আর কী কী লিখেছি মনে নেই। খাতাগুলোও আর নেই। স্কুলের পুরোনো এক খাতায় একটা গল্প খুঁজে পেলাম কিছুদিন আগে। হাতের লেখা যেহেতু নিজের, তাই গল্পটা আমারই লেখা হওয়ার কথা। তবে সেটা জার্মান রূপকথা “হ্যান্সেল এন্ড গ্রেটেল” দ্বারা বহুলাংশে অনুপ্রাণিত বলে মনে হলো।

কেজি, নার্সারি, প্লে-গ্রুপ আর জানি কী কী ক্লাস আছে, আমি ওগুলোর কোনোটাতেই পড়ি নি। দেশে এসে এক লাফে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছি। বছরের শেষভাগে আমাদের কিছু লেখা দিতে বলা হলো স্কুলের বার্ষিক পত্রিকার জন্য।

স্কুল ব্যাপারটাই আমার জন্য নতুন। স্কুল ম্যাগাজিন কী জিনিস জানি না।
আব্বুকে বললাম, “ভালো করে একটা ছড়া লেখো তো দেখি!”
আব্বু লক্ষ্মী ছেলের মতো একটা ছড়া লিখে দিলো আমাকে। আর আমি সেটা জমা দিলাম স্কুল-পত্রিকার জন্য। যথাসময়ে সেটা ছাপা হরফে বেরও হলো।
আব্বুকে নিয়ে দেখালাম।
“দেখো! এই ছড়াটাই সবচেয়ে ভালো। অন্যদেরটা পচা।”

ঘটনার ধাক্কা সামলে নিয়ে ঠাণ্ডা গলায় আব্বু বললো, “হুম। ওগুলো ওরা নিজেরা লিখেছে। অন্য কাউকে দিয়ে তো লিখিয়ে নেয় নি।”

অন্য কারুর লেখা নিজের নামে মেরে দেওয়া যে ঠিক না সে কি আমি জানতাম? আমার কাছে লেখা চেয়েছে, আমি দিয়েছি। আমাদের বন্ধুদের কতজন তো রবিঠাকুর আর কাজী নজরুলের লেখা জমা দিয়েছিলো। আমি তো আর তা দিই নি।

সে যা-ই হোক।
এরপর থেকে ছাপা হরফে নিজের নাম দেখতে হলে নিজেকেই খাটতে হবে, বুঝে গেলাম।

আমি লিখলাম। শিশু পত্রিকায়, কচিকাঁচার আসরে, ছোটদের কাগজে, ক্রীড়ালোকে। নিজের স্কুল-ম্যাগাজিনে তো বটেই। ছুটাছাটা ডায়েরি লিখতাম। তুতো ভাইবোন আর বন্ধুদের চিঠি লিখতাম। স্কুলে রোববারের বিশেষ প্রার্থনা লিখতাম। বিদায়ী মানপত্র লিখতাম।

লেখালেখির জন্য আরেকটা দারুণ জায়গা ছিলো পরীক্ষার খাতা। হাত-পা খুলে, মনের মাধুরী মিশিয়ে যা খুশি তা-ই লিখতাম সেখানে। বাংলা রচনা লেখার জন্য বেছে নিতাম শরৎকাল, কাঁঠাল-এর মতো বিষয়গুলো যেগুলো কস্মিনকালে কেউ লিখেছে বলে মনে পড়ে না। এই অজনপ্রিয় বিষয়গুলোতে কবিরাও নীরব। তাই প্রয়োজনীয় “কবি বলেছেন” জাতীয় কাব্যও আমাকেই জোগাতে হতো। যেমন, পাট রচনায়
“এইজন্যই কবি বলেছেন:
এই যে হেরিনু দিগন্তছোঁয়া সূতিকার সোনারঙ …”

বারো বছর এভাবেই বেশ হেসেখেলে কেটে গেলো। এর মাঝে ব্যক্তিগত ডায়েরিবিষয়ক একটা তামাশা ঘটে গেল যে কারণে ডায়েরি লেখা ছাড়লাম।

কথায় বলে, ঢেঁকি স্বর্গে গিয়েও ধান ভানে। আর আমি বুয়েটে গিয়েও লিখতে লাগলাম। বুয়েটের পত্রিকাগুলোতে, পোস্টারে, টিশার্টে, ক্লাসনোটের ফাঁকে ফাঁকে, বন্ধুদের জন্মদিনের কার্ডে। আফসোস, সার্কিট সংক্রান্ত কাব্যে আমাদের টিচারদের বিশেষ আগ্রহ নেই। তাই পরীক্ষার খাতায় “এজন্যই কবি থেভনিন ইকুইভ্যালেন্ট সার্কিট সম্পর্কে বলেছেন” জাতীয় কাব্যসৃষ্টি সম্ভব হলো না এবং আমি উপর্যুপরি বাঁশ খেতে লাগলাম। বাঁশ খেয়েই নাকি সার্কিটের প্যাঁচে পড়েই কি না জানি না, একটা সময় আমার আর লেখা আসে না। আসে না তো আসেই না। সিরিয়াস রাইটার্স ব্লক (ওরে আমার রাইটার রে! তার আবার ব্লক!)। আমি ফেসবুকে খুটখাট নোট লিখি। একজন পড়ে তো একশজন পড়ে না। দুয়েকজন দরদী বন্ধু দয়া করে লাইক দেয়। এক কবি বন্ধু দুদিন পরপর ঠেলা দেয়, “হবে হবে, লেখো।” ☺

এরমধ্যে একদিন আরেক বন্ধুর সূত্র ধরে বুয়েটের এক সিনিয়রকে অ্যাড করা হলো। তার প্রোফাইল ঘেঁটে গেলাম তার ব্লগে। লেখা পড়েই মেজাজ চটে গেলো। খুবই খারাপ লোক। বিশ্রী রকমের ভালো লেখে সে। ফেসবুকে নক করে জানালাম সে কথা। আমি হিংসুটে হতে পারি, নির্দয় তো আর নই। তাই একটু পিঠ চাপড়ে উৎসাহও দিতে চেষ্টা করলাম। ভাবখানা এমন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, আপনাকে দিয়েই হবে।”

তিনি বললেন, “আপনি বোধহয় আমার ব্লগস্পট ফলো করছেন। ওগুলো বেশ পুরোনো। আমি সচলায়তনে লিখি।” ☻

বেশ। জানলাম “সচলায়তন” বলে একটা জায়গা আছে যেখানে লেখালেখি করা যায়। গেলাম এবং ফিরে এলাম। ওখানে সবাই অনেক ভালো লেখে। আমার লেখা আদৌ লেখা কি না সে নিয়েই সংশয়ে পড়ে গেলাম। আমার কবি বন্ধু তা-ও বলে, “হবে হবে, লেখো”। bunohaashঅ্যাটyahoo ইমেইল আইডি ছিলো অনেক আগে থেকেই। জীবনানন্দের বুনো হাঁস কবিতাটা মাথায় ছিলো সে সময়। নতুন ইমেইল আইডির ঝামেলায় না গিয়ে সে নামেই রেজিস্ট্রেশান করলাম।

এরপর আমি একটা করে লেখা দিই আর হৃদপিণ্ড খামচে ধরে বসে থাকি। লেখা দেখে মানুষজন মারতে না আসে, সেই ভয়ে থাকি। এর মধ্যে আমার স্কুলের এক সিনিয়র আমার ফেসবুক নোট পড়ে জানতে চাইলেন আমি সচলায়তনে লিখি কি না। আমি তখনো হাচল হই নাই। কোন মুখে বলব? আমি তাই একদম চুপ।

আমার ধারণা ছিলো আমি কবিতা লিখতে পারি। তাই কিছু অপাচ্য কবিতাও দিলাম। বোধোদয় হতে দেরি হয় নি অবশ্য। তাই সেই রণে ভঙ্গ দিলাম অচিরেই। আমার আরো ধারণা ছিলো যে আমি ছবি তুলতে পারি। সে ধারণা ভাঙতেও সময় লাগল না। আমার ক্যামেরাও তাই শীতনিদ্রায় চলে গেল। সচলাড্ডার ছবিগুলো দেখে হাঁসফাঁস করতাম। দেখতে দেখতে একটা সময়ে আমিও এই আড্ডাগুলোর অংশ হয়ে গেলাম। বইমেলার সন্ধ্যেগুলো জমজমাট হয়ে উঠল। দুপুরবেলা হুট করে জিলাপি খেতে ইচ্ছে করলেও এই আড্ডাপাগল সচল বন্ধুদেরকেই মনে পড়ে আমার। এরা আমাকে নতুন করে লিখতে-পড়তে শেখান। আমার রাজ্যের হুজুগে ভাবনার হাওয়ায় পাল তুলে দেন। আর তাই কখনো অ্যাম্বিঝড় বয়ে যায়, কখনো বানান নিয়ে হুলুস্থূল বাধে।

বানান সংশোধন করতে গিয়েই একটা নতুন পোকা কুটকুট করে মাথা খেতে শুরু করে। আমি নিজের লেখার বানানের ভুল সংশোধন করতে পারি না। রেস্ট্রিক্টেড মন্তব্য দেখে নিজেকে একটু বঞ্চিত মনে হয়। তীর্থের কাকের মতো সচলত্বের পথ চেয়ে বসে থাকি। আর মনে মনে বুক চাপড়াই, “আমি সচলায়তনের দেহ পাইলাম, মন পাইলাম না!”

এরমধ্যে এক বহুজাতিক কোম্পানিতে ইন্টারভিউয়ের ডাক পড়ল। আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো এতদিন ধরে কী কী করেছি আমি। ভেবে দেখলাম যা করেছি তার কোনোটাই ওই পদের সাথে যায় না। তা-ও বললাম, হেন কর্সি, তেন কর্সি, ব্লগিং কর্সি।

“কই ব্লগিং কর্সো?”

“সচলায়তন-এ”

“দেখি অ্যাড্রেস দাও”

ভদ্রলোক ভারতীয়। বাংলা পারেন না। তা-ও আমার কাছ থেকে অ্যাড্রেস নিয়ে চেক করে দেখলেন আদৌ এমন কোনো ব্লগ আছে কি না।

তারপর বললেন, “তুমি কি এই ব্লগে টেকি কোনো পোস্ট দিসো?”

“হ হ দিসি।” দেঁতো হাসি

“কী দিসো, বুঝায় বলো”

আমি উনাকে বুঝাইলামদেঁতো হাসি

অতঃপর আরো কিছু বিনিদ্র হাচলরাত্রি কাটিয়া গেল।

গত সাত তারিখে একটা চিঠি এলো সচলায়তনের তরফ থেকে: “আপনাকে আমরা সচল করতে আগ্রহী। বলেন কবুল।”

আমি মনে মনে বলি, “আবার্জিগস। কবুল কবুল কবুল।”

চিঠি দিয়ে তাদের কবুল-এর অপেক্ষায় বসে থাকি। এরপর কত প্রহর, কত মুহূর্ত, কত ক্ষণ কেটে গেল মনে নেই। এক সকালে লোকমুখে খবর পেয়ে লগিন করে দেখি আমি সচল হয়ে গেছি।

ভেবেছিলাম সচল হলে আকাশ থেকে উল্কা খসে পড়বে কিংবা দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হবে। তেমন কিছুই হলো না। “অদ্য আমি সচল হইলাম” পোস্ট দেওয়ারও তেমন গরজ হলো না কেন জানি। আমি নিজেকে অনেক আগে থেকেই সচল পরিবারের অংশ ধরে নিয়েছিলাম। সে কারণেই হয়ত। দেখা যাচ্ছে অনেকে খেয়াল করেন নি। আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হচ্ছেন কেউ কেউ। তাই এবার বলে ফেললাম, “জ্বি, আমি সচল হইলাম।” Smiley

সচলত্বপ্রাপ্তির পর একটা মুচমুচে নতুন লেখার দাবি জানিয়েছিলেন কয়েকজন। মিইয়ে যাওয়া এই কাহিনি সে মানের হলো কি না জানি না। না হলেও ক্ষতি নেই। খারাপ খারাপ লেখা দিয়ে সবার মাথা খারাপ করতে করতেই ভালো করে লিখতে শিখে যাব একদিন।

☻ এই সচলের নাম বললে গণপিটুনি খাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা, তাই আর বললাম না।
☺ কবি বন্ধুর নাম বলতে বারণ। Smiley

পুনশ্চ: সচল হওয়ার সবচেয়ে বড় বিপদ লেখা ছাড়ার আগে আকাশপাতাল চিন্তা করতে হয় দিবো কি দিবো না। আগে মডারেটরদের ঘাড়ে দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে বসে থাকা যেত। এখন আর সে উপায় নেই।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

অভিনন্দন।

☻!! দেখেই চেনা যাচ্ছে। হো হো হো


কি মাঝি, ডরাইলা?

নাশতারান এর ছবি

আর কত অভিনন্দন দেবেন?

☻ দেখে চিনলেন কী করে? আমি তো মুখোশ পরা ছবি দিলাম। চিন্তিত

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমি তো খেয়ালই করি নাই যে আপনি কোনদিন হাচল ছিলেন হেহে

নাশতারান এর ছবি

এই কথা আমি আগেও শুনেছি গো, ভাইডি ...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আজিব!! বাবাকে দিয়ে জীবনের প্রথম পদ্য লিখিয়ে 'স্কুল ম্যাগাজিন' নামক এক স্থানে প্রকাশের এই সুমহান কীর্তিটি আমিও করেছি ঐ ক্লাস ওয়ানেই! (ঐ যে ওডিন বলেন না মাঝে মাঝেই - সব পাপীরা যে ক্যাম্নে ক্যাম্নে যে এক জায়গায় হয়!) এর পরে জুটে ছিল নিজের ডায়েরী (বাবার তরফ থেকেই) আর তাতে প্রতিদিন আমার অসাধারণ (?) কাব্যপ্রতিভার বিকাশ। দেঁতো হাসি
তারপর ধর ঐ উচ্চ-শিক্ষার তোড়ে সাহিত্যিকের মৃত্যুটাও খুবই চেনা ঠেকল! চিন্তিত

চমৎকার লাগল স্মৃতিচারণ। আবারো অভিনন্দন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

হো হো হো
যাক, বাবা! আমি তাইলে একলা পাপী না! দেঁতো হাসি

আবারো ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

হাসিব এর ছবি

হে. হে. হে. লেখা ভাল্লাগছে । সচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন ।

... ইয়ে ঐ ডায়রির গল্পটা কী ?

নাশতারান এর ছবি

সে এক বিশা-আ-আ-আ-আ-আ-ল ইতিহাস। অন্য কোনোদিন।

অভনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

হাসিব এর ছবি

auto

অভনন্দনের > অভিনন্দনের
এইবারে ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ !

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ওডিন এর ছবি

দুনিয়াতে সবচে' মজার কাজের একটা হইলো লুকায়া লুকায়া অন্যের ডায়রি পড়ে ফেলা। অনাবিল আনন্দের একটা ব্যপার। হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

নাশতারান এর ছবি

সে আর বলতে ... মন খারাপ

আপনি সচল হয়ে গেলেন কোন ফাঁকে? দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ওডিন এর ছবি

এইটা হচ্ছে সচল আপগ্রেডিং এর বাগ এর ফলাফল। দেঁতো হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

রাফি এর ছবি

সচলাভিনন্দন......

ইঞ্জি পাস করে বহুজাতিক কোম্পানীতে চাকরি পেতে ব্লগিং এর অভিজ্ঞতা কাজে লাগে শুনে টাস্কি খাইলাম।

(অন্যকথাঃ যদ্দুর জানি এই কবিতার শিরোনামে 'বুনো-হাঁস' >> 'বুনো হাঁস' )

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

নাশতারান এর ছবি

কবিতার নাম "বুনো-হাঁস"ই।

কোম্পানিঅলারা কি আর ব্লগিংয়ের অভিজ্ঞতা চেয়েছে নাকি? ওটা তো আমার স্বরচিত প্রশ্ন।

অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাফি এর ছবি

জীবনবাবু বিষয়ে বাতিক আছে। সেখান থেকে ব্যক্তিগত কৌতুহলবশত জানতে চাই...
আপনি জীবনানন্দের কোন কবিতাসমগ্র অনুসরণ করছেন?
মানে কার সম্পাদিত?

সিগনেট প্রেস থেকে ছাপা 'বনলতা সেন'র প্রথম কপি আমার সংগ্রহে আছে তা বলছে 'বুনো হাঁস'।
আব্দুল মান্নান সৈয়দ সম্পাদিত সংগ্রহ, তাও বলছে 'বুনো হাঁস'।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

নাশতারান এর ছবি

বুনো-হাঁস > বুনো হাঁস করে দিলাম।

[ আমারটা মৌ প্রকাশনীর, রবিউল ইসলাম সম্পাদিত।]

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাফি এর ছবি

হাসি

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সচল হওয়া সার্থক হোক।

সবাই লেখেন কীভাবে সচল হলেন কিন্তু কীভাবে হাচল হলেন তা তো লেখেন না!
আমরা যারা অচল তাদের তা জানতে ইচ্ছে করে।
যেহেতু কোনো মডু ভাই কে চিনি না উত্তরও পাই না।
উত্তরটা না হয় আপনিই দিন।
পুনশ্চ: লেখাটা অসাধারণ লাগল। ক্রমশঃ উন্নতি দেখছি আপনার লেখায়।

জ.ই.ন.

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ।

কোনো পরিচিত মডুভাই থাকার দরকার নেই। এখানে দেখুন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!
লঘু চালে লেখা সন্দেশের প্রশ্নোত্তর পড়ে খুবই মজা পাওয়া গেল।
...............ঠিক আছে তাহলে কলমই পিষতে থাকি!

জ.ই.ন.

নাশতারান এর ছবি

আচ্ছা, আপনি কোন নিকে লেখেন জানতে পারি? জ.ই.ন. নামে কারুর লেখা পড়েছি বলে মনে পড়ছে না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দ্রোহী এর ছবি

উনি জহিরুল ইসলাম নাদিম। দেঁতো হাসি


কি মাঝি, ডরাইলা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দ্রোহী ভাইয়ের আইকিউ অসম্ভব হাই দেঁতো হাসি

অনেকটা আমার ছোট চাচার মত, যিনি গ্রাফ পেপার নিয়া দাবা খেলতে বসেন...

_________________________________________

সেরিওজা

নাশতারান এর ছবি

আমিও সেটা সন্দেহ করেছিলাম।
কিন্তু জহিরুল ইসলাম নাদিম > জ.ই.না. হওয়ার কথা না? চিন্তিত

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সব কি আর নিয়ম মেনে চলে ভাই (বোন!)?
কিছু থাকে না নিপাতনে সিদ্ধ? জইন সেরকম। জইনা কেমন যেন লাগত তাই জইন করে নিয়েছিলাম ঘোর ছোট কালে। আর প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর নেয়া হয়েছে এখানে কার নেয়া হয়নি তাই!!!!!

জহিরুল ইসলাম নাদিম

নাশতারান এর ছবি

"নিপাতনে সিদ্ধ" ব্যাপারটা সবসময়ই ভেজালের। জইনা/জইন-এর চেয়ে "জহিরুল ইসলাম নাদিম" ঢের ভালো। চিনতে কষ্ট হবে না অন্তত।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

তথাস্তু!

জহিরুল ইসলাম নাদিম

মুস্তাফিজ এর ছবি

বহুজাতিক কোম্পানিতে ইন্টারভিউয়ের ফলাফল কী?

...........................
Every Picture Tells a Story

নাশতারান এর ছবি

তারা সম্ভবত সব জাতির মতামত নিতে ব্যস্ত। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আমার ছোটদের কাগজের লেখক ছিলে তুমি।
তোমাকে তো অভিনন্দন জানাতেই হয়।
ভালো থেকো।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

নাশতারান এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ, রিটন ভাই।
আমরা অবশ্য আপনাকে তখন ভাই বলতাম না, বন্ধু বলতাম।
লেখা ছাপার পর শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে একটা গুঁড়োদুধের ডিব্বা আর একটা ঢাকনাওয়ালা বাচ্চাদের ঘড়ি স্কুলে পৌঁছেছিলো আমার নামে। ওটা আমার শৈশবের অন্যতম সুখস্মৃতি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারও কেন জানি মনে হয় সচল হলে ঝামেলা বেশি। কি লিখতে কি লিখে ফেলি, দেখা যাবে দৌড়ের উপরে আছি।
কবিতা তেমন একটা পড়া হয় না, তবে মনে হয় বুনোহাঁস কবিতাটা পড়া হবে অতিশীঘ্রই।
লেখা ভালো লেগেছে। আপনার সচলত্ব শান্তিময় হোক।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল

নাশতারান এর ছবি

আসলেই সচল হলে ঝামেলা বেশি। এই লেখাটা দেবার আগে যত ভেবেছি আগে লেখা জমা দেবার আগে এতটা ভাবিনি মোটেই।

"বুনো হাঁস" কবিতার লিঙ্ক এখানেই দেওয়া আছে। যে কোনো সময় পড়ে নিতে পারো।

শান্তিময় সচলত্বের প্রত্যাশার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

অভিনন্দন!

"বাঁশ খেয়েই নাকি সার্কিটের প্যাঁচে পড়েই কি না জানি না, একটা সময় আমার আর লেখা আসে না। আসে না তো আসেই না। সিরিয়াস রাইটার্স ব্লক (ওরে আমার রাইটার রে! তার আবার ব্লক!)। "

এইটা তো আমার মনের কথা... কপিরাইট মামলা দিমু নাকি !

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

নাশতারান এর ছবি

হ, মামলা দেন। আমি আছি আপনার সাথে দেঁতো হাসি

অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তুলিরেখা এর ছবি

সচলত্বপ্রাপ্তিতে অভিনন্দন।
হাত খুলে, প্রাণ খুলে, মনের আনন্দে লিখতে থাকুন।

-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ গো, দিদি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

সচল হওয়াটা ওয়েল ডিসার্ভড। আফিসিয়ালি জানায়ে দেই, তোমার লেখা আমার খুবই পছন্দ। ডাবল স্পিডে লিখতে থাক। চাকরির অফার পেলে না করে দিও, লেখালেখি ক্ষতি করে কাজ করার দরকার নেই দেঁতো হাসি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, তাসনীম ভাই। পুরোদস্তুর লেখালেখি করতে চাইলে আর লেখা আসবে না। আমার অকাজ ভালো হয়, কাজ ভেবে করতে গেলেই মুশকিল! খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

এই লেখাটাই তো অনেক জোশ হইছে ।
অভিনন্দন আপু।
আমার লেখা কোবতে নটরডেম এর ব্লু এন্ড গোল্ডে ছাপা হইছিলো। স্কুলে থাকতে দুইবার লেখা দিছিলাম দুইবারই রিজেক্টেড!

শেষ কথাটার সাথে একমত! এখন পোস্ট করে ভাবি পাব্লিশ হইলে মাইর দিলে কমু মডুরে জিগান সে পাব্লিশ করছে ক্যান!
লেখা পরে পাব্লিশ করলেও আমি মাইন্ড খাই না, তয় কমেন্ট পরে পাব্লিশ করলে দুক্কু পাই ।

_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ!

এ পর্যন্ত আমার একটা লেখাই রিজেক্টেড হয়েছে। কলেজের বার্ষিক পত্রিকায় একটা কবিতা। অতিপক্কতার দায়ে সেটা ছাপানো হয় নাই। আমি এক বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলাম। তাঁরা ভেবেছেন বুঝিবা আমার কোনো গোপন প্রেমিককে নিয়ে লেখা Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিরাট অভিনন্দন
গেলো... মডুরা এরেও পাঠায়ে দিলো শীতনিদ্রায় এবার...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

হ। আমার কোনো দোষ নাই। সব মডুদের দোষ Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আকতার আহমেদ এর ছবি

বিশাল অভিনন্দন!

নাশতারান এর ছবি

বিশাল ধন্যবাদ!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

অভিনন্দন‍

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হাহাহা, বহুদিন পরে একটা ব্লগরব্লগর পড়ে দারুণ মজা পাইলাম...

আর 'জুরোনো' বানান দেখে মন্টা উদাস হয়ে গ্লো...

_________________________________________

সেরিওজা

নাশতারান এর ছবি

উরে! খাইসে রে! Smiley
ঠিক্করে দিলাম Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কস্কি মমিন !!!!

আমি তো ভাবসিলাম নতুন নিয়মে সত্যি 'জুরোনো' হবে !!!

_________________________________________

সেরিওজা

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এইবার ঠিকঠাক মতো অভিনন্দন! "আমি সচল হইলাম" জাতীয় লেখা নতুন আর এমন খোশগল্পের হওয়াই উচিত।

ফলশ্রুতিতে কখনো অ্যাম্বিঝড় বয়ে যায়, কখনো বানান নিয়ে হুলুস্থূল বাঁধে

এখানে 'ফলশ্রুতি' শব্দটা ব্যবহার বোধহয় ঠিক হলনা। 'ফলে' বলাটা ঠিক হতো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, পাণ্ডবদা!

সংসদ বলছে "ফলশ্রুতি - কর্মের, বিশেষতঃ পুণ্যকর্মের ফল-বর্ণনা ও তাহা শ্রবণ; 'পরিণাম', 'তাৎপর্য' ইত্যাদি অর্থেও শব্দটির প্রয়োগ হইয়া থাকে।"

'ফলে' বললে তো ঠিক বটেই। কিন্তু মনে হচ্ছে ফলশ্রুতি-ও চলে, পরিণাম অর্থে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

'পরিণাম', 'তাৎপর্য' ইত্যাদি অর্থেও শব্দটির প্রয়োগ হইয়া থাকে

প্রয়োগ হইয়া থাকে ঠিকই, তবে তা ভুল প্রয়োগ হইয়া থাকে। আমরা হরহামেশাই এই ভুলটা করছি। যেমন আরেকটা ভুল হচ্ছে প্রস্তাবকে প্রস্তাবনা বলা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নাশতারান এর ছবি

হো হো হো
বদলে দিলাম।
আরেকটা বহুলপ্রচলিত ভুল আছে: "একটি ছাগলের বাচ্চা হারানো গিয়াছে ..."
হারাইয়া গিয়াছে-কে হারানো গিয়াছে কেন বলে বুঝি না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

অভিনন্দন! তবে, সচল হলেন, এবার 'বুনো ঘুমোলো পাড়া জুড়োলো...' না হয়ে যায় আবার! আপনার বানান-সংক্রান্ত কমেন্টগুলো তো তেমন দেখি না আজকাল...

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ।
মন্তব্যে বানান নিয়ে সচরাচর আলাপ করি না এখন। ব্যক্তিগত মেসেজে জানাই কিংবা নিজের ব্লগে তুলে লিংক দিয়ে দিই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

সচল হলে যে মানুষ লেখা ছেড়ে দেয় তা আবারও প্রমাণ হতে যাচ্ছে
অন্যরা ছাড়ে না লিখে
আর এই পাব্লিক দেখি লেখা ছাড়ছে নিজের আত্মজীবনীর শেষ অধ্যায় লিখে

নাশতারান এর ছবি

শেষ অধ্যায় হতে যাবে কোন দুঃখে?
আর কিছু লিখতে পারি আর না পারি "আত্মজীবনীর দুখপাঠ্য কিস্তিসমূহ" নিয়ে ফিরে আসব ঠিকই শয়তানী হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

দিলো আরেকটারে শীতনিদ্রায় পাঠিয়ে....

অভিনন্দন বুনো হাসি
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

নাশতারান এর ছবি

Smiley (শীতে কাঁপতেসি)

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

পাঁজি মাইয়া লেখা ছাড়লে তোমার কাঁপাকাপিতেও কাজ হবেনা, ধরে এক্কেবারে হাঁসের পালক ছিড়ে দেব খাইছে
.......................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

নাশতারান এর ছবি

অসুবিধা নাই। দেশ ও জাতি আমার পালক দোয়াতে চুবায় চুবায় লিখবে আর সাহিত্যের জন্য আমার এই মহান আত্মত্যাগকে স্মরণ করবে Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মর্ম এর ছবি

আগেই একবার বলেছি, তবে 'অনানুষ্ঠানিক' আনুষ্ঠানিক লেখার সূত্র ধরে আবার 'অভিনন্দন' জানাতে এলাম! হাসি

বুনোহাঁসের সচল হওয়াটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, আগেই হওয়া উচিত ছিল, একটু বরং দেরি হয়েছে বলেই আমার মনে হয়।

মজার লেখা পড়ে মজার একটা ঘটনা মনে পড়লো। ভার্সিটির পয়লা বছরে এক বন্ধু রীতিমতো অর্ডার দিয়ে আমাকে দিয়ে ক'লাইন লিখিয়ে নিলো পছন্দের মানুষটিকে দেবে বলে। ওমা ক'দিন পরে দেখি ও তাবলিগী হয়ে গেছে! জিজ্ঞেস করলাম, "দিয়েছিলা?" উত্তর পেলাম, "নাহ্!" আমার অমন সাহিত্যকর্ম বৃথা যায় যায় অবস্থা! কি করি কি করি করতে করতে শেষমেষ পরের ভ্যালেন্টাইনে সবাইকে ম্যাসেজ করে ওটাকে পাঠিয়ে দিয়ে অনাবিল আনন্দ লাভ করতে বাধ্য হয়েছিলাম!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

এমন মর্মস্পর্শী মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, মর্ম!

সেই প্রেমময় জাতীয় কাব্যটা জানতে কৌতূহল হচ্ছে! দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মর্ম এর ছবি

আগ্রহী পাঠক-কে অপেক্ষায় রাখা ঠিক না, তাই দিয়ে দিলাম এখানেই।
অদ্ভূত ব্যাপার হল নিজের পাঠানো অগণিত ক্ষুদেবার্তার মধ্যে কেবল এই একখানাই যখন তখন মনে করতে পারি-

"সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা-রাতে,
কিংবা কোন ভোরবেলাতে,

যারেই পড়ে মনে,

সে-ই তোমারি ভালোবাসা,
সেই সে বিশেষ ক্ষণে!!"
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নাশতারান এর ছবি

আপনি প্রত্যেককে এই কথা বললেন? প্রত্যেকের সাথে আপনার বিশেষ ক্ষণের ভালোবাসার স্মৃতি আছে? অ্যাঁ

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মর্ম এর ছবি

আহা!! আমি বললাম কই?!
যাদের পাঠিয়েছি তাদের একটা 'বৈশ্বিক সত্য' আমার মত করে জানিয়েছি কেবল...!!

আর হ্যাঁ, বলি-ই যদি, তাতেও দোষ কোথায়?

আমার বন্ধুদের, পরিবারের মানুষগুলোর সাথে আমার কি ভালবাসার স্মৃতি থাকতে পারেনা?!

[মোবাইল হারিয়ে বিপদে পড়ায় প্রথম লাইনে 'দাঁত বের করা হাসি' আর দ্বিতীয় লাইনে 'চোখ টিপি'র ইমো দেয়া থেকে বিরত থাকলাম!]
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।