আমি যদি মডু হইতাম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৭/০১/২০০৯ - ৫:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলা ব্লগজগতে সবচেয়ে নিষ্ঠুরহৃদয় সব মডারেটরদের ক্লাবঘর হল সচলায়তন। সম্ভবত সব অতিথি সচলই মনে হয় এর সাথে একমত হবেন। তাই ভাবলাম অতিথিদের জন্য একটা লেখা দেয়া যায়, মনে করুন আপনাকেই বানিয়ে দেয়া হয়েছে সচলের মহামান্য মডারেটর / মডারেটরদের একজন।

কি করতেন আপনি? দেঁতো হাসি নতুন ফীচার যোগ করতেন? প্রিয় অতিথিদের ঘ্যাঁচ করে সচল করে দিতেন? হিমুর সবগুলো লেখা মুছে দিতেন? বলতে থাকুন আপনাদের হৃদয়ের গহীন কোনাকাঞ্চি থেকে উঠে আসা গভীর দীর্ঘশ্বাসগুলো।

মনে রাখবেনঃ with great power comes great responsibility.

[প্রভাইডেডঃ এই লেখাটাও মডারেটেড হয়ে জীবন পেয়েছে মু হা হা হা...]

ফরিদ


মন্তব্য

অভ্রনীল এর ছবি

হিমুদার পিছে লাগসেন ক্যান?? সে আপ্নের হৃদয়ের গহীন কোনাকাঞ্চিতে বইসা কি করসে? জাতি এইটা জানতে চ্রমভাবে উদগ্রীব...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

এনকিদু এর ছবি

আমার জানামতে হিমু ভাইয়ের উপর মানুষ খেপতে পারে দুইটি কারনে ।

১) শানিত বুদ্ধির ঝিলিক দিয়ে আপনাকে সাময়িক অন্ধ করে যখন আপনার সাথে মারাত্নক একটা দুষ্টুমি করে
২) আপনার লেখা মডারেট করে

আপনার লেখা মডারেট করেনাই, কাজেই ২ বাদ। বাকি থাকে ১। এখন ঠিক মত বলেন দেখি, আপনার সাথে কোনকানে কোন কঙ্কাল কীর্তি করেছিল কিনা চোখ টিপি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কি করতেন আপনি?
আমি নিজের লেখা ছাড়া আর কারো লেখা প্রথম পাতায় থাকতে দিতাম না
লগিন করার সময় আমার পোস্টে পজিটিভ কমেন্ট করা বাধ্যতামূলক করে দিতাম

প্রিয় অতিথিদের ঘ্যাঁচ করে সচল করে দিতেন?
অবশ্যই। তবে কমপক্ষে ১০০০বার আমাকে তেল মারার পরে

হিমুর সবগুলো লেখা মুছে দিতেন?
অবশ্যই না
তবে তার লেখার নিচের লাইন উপরে
উপরের লাইন নিচে নিয়ে আউলা ঝাউলা করে দিতাম
যাতে কেউ পড়ে কিছু বুঝতে না পারে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ফরিদ লিখেছেন:
With great power comes great responsibility.

সত্যি কথা। কিন্তু সচলায়তনে মডারেশনে ক্ষমতাকে GREAT POWER বলার কোন কারন দেখি না। কয়েকটা ক্রাইটেরিয়া দেখে সিম্পলী কোয়ালিটি কন্ট্রোল করে মডারেটররা। ক্ষমতা যদি থাকে তাহলে সেটা লেখকের। কারন লেখা দিয়েই লেখক জয় করতে পারে অনেক কিছু।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মুজিব মেহদী এর ছবি

হিমু মডারেটর হিসেবে নিষ্ঠুর হলেও লেখক হিসেবে ভালো। আমি মডারেটর হলেও ওঁর লেখা ঠিকঠাক ছাড় দিতাম।
অতিথিদের সচল করতাম আরো দ্রুত। একজন লেখক কেমন লেখক এবং তাঁর কথাবার্তার কেমন ধরন তা জানতে-বুঝতে বড়োজোর একমাসের বেশি লাগা যৌক্তিক নয়।
মডারেটর হিসেবে আমি আরেকটা যে কাজ করতাম, তা হলো, কিছু লেখককে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে না জানিয়েও সচল হবার আমন্ত্রণ জানাতাম, যেটি নাকি সচলায়তনের শুরুতে করা হয়েছিল বলে শুনতে পাই।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

অতিথি লেখক এর ছবি

একজন লেখক কেমন লেখক এবং তাঁর কথাবার্তার কেমন ধরন তা জানতে-বুঝতে বড়োজোর একমাসের বেশি লাগা যৌক্তিক নয়

একজন লেখক কেমন তা বুঝতে একটি লেখা অথবা মোটামুটি আকারের একটি কমেন্ট-ই বোধহয় যথেষ্ট। মাথায় অতটুকু মশলা না থাকলে বিচারক যে ভাল তা বুঝব কি করে?

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

হিমু এর ছবি
সৌরভ এর ছবি

প্রফাইল ভাই/আপু
আমি আপনার ফ্যান হয়ে যাচ্ছি।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

অভ্রনীল এর ছবি

ইনি মনে হয় ভ্রাতাগোষ্ঠীর অন্তুর্গত... ইমেইলখানা দ্যাখেননা!
_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

জুয়েল বিন জহির এর ছবি

অতিথিদের সচল করতাম আরো দ্রুত। একজন লেখক কেমন লেখক এবং তাঁর কথাবার্তার কেমন ধরন তা জানতে-বুঝতে বড়োজোর একমাসের বেশি লাগা যৌক্তিক নয়।

আমি আধা সচল (অতিথি সচল) অইছি সম্ভবত ১৮ ফে.২০০৮ এ। এখনো মাশাআল্লাহ সেখানেই। এটা নিয়ে আমার তেমন কোন আগ্রহও নাই। তবে পোস্ট বা মন্তব্য করার পর যখন দেখি সেটা মডারেশন কিউতে পড়ে থাকে অনেকক্ষণ তখন বেশ বিরক্ত লাগে। পরবর্তীতে মন্তব্য করতে তেমন একটা আগ্রহ পাই না। এই বিরক্তিটা আমার শুরুতেও ছিল এখনো আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইয়ে মানে যেই কজনের লেখা পড়ার জন্য মাঝে মধ্যে সচলে আসি তাদের মধ্যে মডুহিমু অন্যতম তাই ঝটকার মধ্য তার নামই প্রথমে এসেছিল।

পরে মনে হল যে আরেকটু তরল কিছু যেমন ধুগোর সব লেখায় শালীর যায়গায় শ্বাশুড়ী/শালা বসিয়ে চব্বিশ ঘন্টার জন্য মজা দেখব এইরম কিছু লিখলে ভাল হত, মাগার এডিট তো করা যায়না মন খারাপ

তয় হিমুর প্রতিটি অসমাপ্ত সিরিজের জন্য নিশ্চই কোন শক্ত জরিমানার ব্যাবস্থা করতাম

ফরিদ

শামীম এর ছবি

ফরিদ ভাই খবর কী?

যদিও অতিথি নই তারপরও সিচুয়েশনটা ভাবলাম।

কি করতেন আপনি?
- ঘুম থেকে উঠে আধ জগ পানি খাইতাম .... কারণ এইসব কামে গলা শুকায় যায়।

নতুন ফীচার যোগ করতেন?
- নাহ্ .... টেকি মানুষ না। তাছাড়া ঐটা এ্যাডমিনদের ডিপার্টমেন্ট - মডুদের কাম না।

প্রিয় অতিথিদের ঘ্যাঁচ করে সচল করে দিতেন?
- হুঁ সম্ভবত। "প্রিয়" কথাটা কিন্তু খুউব খিয়াল কইরা।

হিমুর সবগুলো লেখা মুছে দিতেন?
- আরে না .... । ঐ সিচুয়েশনে তো হিমু মডুগিরির সিনে নাই। ওঁর উপর ক্ষেপারও কারণ থাকতো না। তবে ব্যাথার ওষুধ কেনার খরচ উঠানোর জন্য ট্যাক্স বসাইতাম। কারণ ওঁর বেশির ভাগ লেখা পড়ে অবস্থা হয় - হা হা প গে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

শামিম ভাই, বিশ্বাস করবেন না, আজকেই আপনার কথা ভাবছিলাম। টেমসের পাড়ে এইটা দেখে আপনার বুড়িগঙ্গা প্রোজেক্টের কথা মনে পড়ছিল তাই তখুনি ক্যামেরায় ঘ্যাচাং!

টেমসের মত বুড়িগঙ্গাতেও কি এরকম রাবিশখোর বসানো যায় নাকি? একবার কই যেনো পড়েছিলাম তটেমসের বায়ু সঞ্ছালনের জন্য আসলেই কোথায় কোথায় টারবাইন সেট করা আছে।
রাবিশখোর

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মঢিমুর লেখা মুছতাম না, গায়ের জোরে লেখা প্রকাশের ব্যবস্থা করতাম।

ফাঁকিবাজের ফাঁকিবাজ।

আরেকটা কাজ করতাম। বিপ্লব, কস্কি-মমিনের মত "চা খেয়ে আসি" নামে একটা আইকন তৈরি করতাম। সেটা হত পড়তে-আরাম-কিন্তু-মাঝপথে-গিয়ে-ছ্যাঁক-দেওয়া লেখার প্রতীক।

ফাঁকিবাজের ফাঁকিবাজ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

যদিও অতিথি নই, তবুও মজার কিছু মাথায় এলো:

মডু হইলে হিমুর সব লেখা আমার নামে চালানোর ব্যবস্থা করতাম। চোখ টিপি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

মডুদের জন্য ইমো

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লেখাটা আরেকটু ডিটেলসে হলে ভালো লাগতো। আমি মডু হলে আপনার বিজ্ঞাপনী ইমেইল অ্যাড্রেস দেখেই এই লেখা শ্রীঘরে পাঠিয়ে দিতাম। চোখ টিপি

নিয়মিত লেখেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম, লেখাটা মনে হয় হটাৎ করেই লেখা পড়তে পড়তে, আজকে তেমন কোন নতুন লেখা না দেখে। আর মূলত লেখা হয়েছিল অন্যান্য অতিথিদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য সচলের সুদৃড় মডারেশনের জাল সম্পর্কে। তাই আমার চেয়ে অন্যদের মন্তব্যই বেশী কাম্য ছিল। তয় হিমুর নামোল্লেখ কইরা মনে হয় বুদ্ধিমানের কাম হয় নাই। মন খারাপ

এইরে, নিতান্ত পারিবারিক মেইল ছাড়া বেশিরভাগ যায়গাতেই আমি এই মেইলই ব্যাবহার করি। এখন মেইল ঠিকানা না দিলে বেশীরভাগ সময়েই অতিথি লেখা নেয়া হয়না তাই দেয়া, মনে হয়না একজনও এখান থেকে বিজ্ঞাপিত ঠিকানায় যেতে নতুন করে উৎসাহিত হবেন। অইখানে গাদাগাদা লিস্টি ছাড়া আর কিছুই নাই, তাইতো মশলাদার লেখা পড়ার জন্য এইদিকে মাঝেমধ্যে ঘুইরা যাই চোখ টিপি

অভ্রনীল এর ছবি

কি করতেন আপনি?

নিজে না লেখালেখি কইরা অন্যের লেখায় কমেন্টাইতাম... দেঁতো হাসি লেখালেখি বহুত কষ্টের কাম... এর চেয়ে পড়তে আর কমেন্টাইতেই ভাল লাগে!

নতুন ফীচার যোগ করতেন?

১। এই ব্লগে সার্চানোর কোন অপশন নাই। সার্চ অপশনটা নগদে দিয়া দিতাম।
২। ব্লগের টেমপ্লেটখানাও বদলাইতাম... বেশি সাদাসিধা লাগে... এরচেয়ে একখান ম্যাগাজিন স্টাইল টেম্পলেট লাগাইতাম।
৩। ক্যাটাগরীর একটা আলাদা লিস্টি থাকতো।

প্রিয় অতিথিদের ঘ্যাঁচ করে সচল করে দিতেন?

প্রথমতঃ আপনে "প্রিয়" বলিতে কি বুঝাইসেন? চোখ টিপি আমি একেকজনকে দেড় থেকে দুই মাসের ভিতরে সচল কইরা দিতাম... এইক্ষেত্রে আমি মুজিব'দার সাথে একমত - "...একজন লেখক কেমন লেখক এবং তাঁর কথাবার্তার কেমন ধরন তা জানতে-বুঝতে বড়োজোর একমাসের বেশি লাগা যৌক্তিক নয়..."। দশখান পোস্ট আর শখানেক কমেন্ট নাড়ানাড়ি করলেই বুঝা যায় যে একজন পাবলিক কেমন... এর জন্য দিনের পর দিন মেহমান কইরা ঝুলায় রাখার কোন মানে নাই...

হিমুর সবগুলো লেখা মুছে দিতেন?

মাথা খারাপ না পেট খারাপ? তবে এই লোকের "শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ" টাইপের জিনিসগুলারে নিজেই শেষ কইরা দিতাম দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই লোকের "শেষ হইয়াও হইলোনা শেষ" টাইপের জিনিসগুলারে নিজেই শেষ কইরা দিতাম

তথাস্তু! করে ফেলুন শেষ। দরকার হয় আপনাকে "অতিথি মডুরাম" করার জন্য লবিং করবো আমি। তবু সেরে দিন।

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

মডু হিসেবে হিমু ভাইয়া আসলেই মনেহয় রঙচঙে ব্যক্তি সচলে কিন্তু উনার লেখা আসলেই ভাল লাগে আমার কাছে যদিও কোনও কোনও সময় কিছু কিছু লেখায় কি বুঝাতে চাচ্ছেন কিছুই বুঝিনা তবুও উনার লেখার বেশ বড় ভক্ত আমি ব্যক্তিগতভাবে। না শেষ করা সিরিজ এত আছে যে অনেক গুলোর কথা মনেই নাই হয়তো আমাদের আজ। তবে সেসব সিরিজ শেষ হলে পাঠক হিসেবে খুশি হতাম।

মডু হিসেবে হিমু ভাইকে অনেকে চিনলেও অন্যান্য অনেক মডারেটর অথবা এডমিনকে আমরা চিনিও না। তাহলে এখান থেকে কি বুঝতে পারছি আমরা যে মডু হিসেবে কঠোর হবার কারনেই হয়তো ইতোমধ্যেই একটা তারকাখ্যাতি পেয়ে গেছেন হিমু ভাই। আমার মনেহয় মডারেশন ইতিহাসে যদি কোনওদিন বিভিন্ন স্তরের মানের প্রচলন করা যায় তাহলে হয়তোবা আমরা দেখতে পাবো কোথাও কোথাও "হিমু মডারেশন স্ট্যান্ডার্ড" চালু করা হয়েছে।

মডু হইতে আসলে সেরকম যোগ্যতা লাগে যেসব আমার নাই তাই সচলের মডু হবার চিন্তা মাথাতেও আনিনা। কোনওদিন ল্যাজের অতিথি লেখাটা ঘুঁচাতে পারবো বলেও মনেহয়না, তাই অযৌক্তিক চিন্তা-ভাবনা করে লাভ নাই।

-----------------------------------

--------------------------------------------------------

মাল্যবান এর ছবি

হিমুর লেখায় হাত! মাথা খারাপ??!! হিমু যদি আমারে সারাজীবনের লাইগা ব্যান কইরা রাখে তাও আমি হাসিমুখে তারে সালাম দিমু। ক্যান?
একবার এক অজি-সিঙ্গাপুরি রাজাকার তনয়ারে এমুন ধোলাই দিছিল হিমু যে জামাতিবিবি কাইন্দা পলাইছিল জুতা খাইয়া। সেইটা একটা ক্লাসিক হয়া আছে। আ-হা-হা। ওই এক এপিসোডেই চিরকালের জন্য হিমু আমার হিরো। সালাম গুরু।
আর ওর লেখার কথা তো কইলামই না।

অতিথি লেখক এর ছবি

জামাতিবিবি কাইন্দা পলাইছিল...

মনে আছে। তবে তিনি সম্পর্কে সৌদি বাদশারও কিছু হতে পারেন। নয়ত কথায় কথায় এত ঘনঘন হজ-ওমরা করার জন্য কেন অস্থির থাকেন?

প্রফাইল

....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় যে অতিথিদের মনের কথা হল-
"সব ক'টা জানালা খুলে দাও না"
-আমি শুধু জানালা নয়, দরজাও খুলে রাখতাম।

/ছোট মানুষ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এত কিছু জানি না ভাই। আমিও প্রকৃতপেমিকের মত অসমাপ্ত সিরিজগুলা ছাড়া হিমু ভাইয়ের বাকী সব লেখা নিজের নামে চালায়া দিতাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

মডু হইলে? হা হা এই চিন্তা করতেই হতো না----
যা খুশি...

...বর্ণচোরা

হিমু এর ছবি

সচলের মডারেটররা সবাই জিলিপির মতো "ষড়ল"সোজা মানুষ ;)। শুধুশুধু এই নিরীহ লোকগুলির বদনাম! দিক্কার!

রসিকতা সরিয়ে রেখে বলি, মডারেটরদের কাজের আঁচ অতিথিদের গায়েই গিয়ে লাগে কয়েকটি কারণে। প্রথমত তাঁদের কিছু লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয় না কখনো কখনো। দ্বিতীয়ত তাঁদের আতিথ্য নিয়ে থাকতে হয় এবং কিছু ফীচার থেকে বঞ্চিত হতে হয়। তৃতীয়ত, রেসপন্স টাইম সবসময় কম হয় না, একটা মন্তব্য দিয়ে একটু অপেক্ষা করতে হয়। এইসবই অতিথিদের ক্ষুব্ধ করার জন্যে যথেষ্ঠ। তার পরও যে তাঁরা সচলে নিয়মিত লেখেন সচলের টানে, এ জন্যে প্রত্যেকেই ধন্যবাদার্হ।

প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কেন মিছিমিছি বেচারাদের ভোগানো?

উত্তর হচ্ছে, সচলের গড় মানকে এর লেখকেরা যে পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, সেটিকে অতিক্রম করে, এমন লেখাই প্রথম পাতায় প্রকাশ পায়। অতিথিরা যদি সে মান ছুঁই ছুঁই করেন, তাহলে লেখা তাঁদের নিজেদের ব্লগে প্রকাশ পায়। যদি সেই মান লেখায় না থাকে, তাহলে তা প্রকাশিত হয় না। সচলের অল্প কিছু নীতি আছে লেখা প্রকাশের ব্যাপারে, সেগুলোও মডারেশনের সময় অনুসৃত হয়। বাস, এ-ই তো। আমাদের পিতারা তো বাজার থেকে বেছেবুছে মুরগি, শাক, ফলমূল কিনে এনেছেন আমাদের জন্যে, কখনও কি আমরা বলি যে তাঁরা নিষ্ঠুর বাজারু হাসি ?

পক্ষান্তরে আতিথ্যকাল নির্ধারণে বরং মডারেটররা নির্মম। অতীতে সচলে কিছু পীড়াদায়ক ঘটনা ঘটেছে এর ব্যত্যয় হবার কারণে। এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। দীর্ঘ প্রতীক্ষার কাল অসহনীয় ঠিকই, কিন্তু এ-ও সত্যি যে এতে করে সচলের সাথে বন্ধন আরো গাঢ় হয়। সময়ের সাথে সচলরা যে নীরব পিয়ার রিভিউ করেন একজন সচলেচ্ছু অতিথির ব্যাপারে, সেটিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়, মডারেটরদের ব্যক্তিগত পক্ষপাত বা সেরকম কিছু নয়। নতুন সচল গোটা সচলায়তনের অংশ, তাঁকে যেমন প্রস্তুত হতে হয় এই সময়টা ধরে, তাঁর জন্যেও সচলায়তন প্রস্তুত হয়। কেউ কি ভেবে দেখেছেন, অপেক্ষার সময়টি সচলায়তনের ক্ষেত্রেও খাটে? সচলায়তন নিছক একটা লেখা প্রকাশের জায়গা নয়, এটি একটি পরিবারের চেহারা নিয়েছে। এই সমাবেশের অংশ হয়ে লিখবেন এমন লেখক কামনা করি আমরা সবাই, তাই এই দীর্ঘ পীড়াদায়ক অ্যাকালটারেশন পিরিয়ড।

সচলের দরজা জানালা সবই খোলা প্রবেশযোগ্য উপাদানের জন্যে। অতিথিরা তো সচল মাতিয়ে রেখেছেন চমৎকার সব লেখা দিয়ে। তাঁরা আরো সক্রিয় হোন, দ্রুত সচল হয়ে উঠুন, এ তো মডারেটরদের কামনা, তাহলে আর তাদের রোজ শ'য়ে শ'য়ে মন্তব্য পড়ে পড়ে সেগুলো ছাড়তে হয় না হাসি

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমুর জন্য চা খাওয়া নিষিদ্ধ করতাম [রাগী রাগী আইকন ক্যাম্নে দ্যায়?]।
সিরিয়াল লেখা হলে সিরিজ শ্যাষ করে পুরা সিরিজ জমা দিয়া তারপরে ফ্রন্টপেজ।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

যেই পোলা সারাদিন বেতের বাড়ি খায়, বড় হইয়া হেডমাস্টার হইলে সে যে কি করবে তা তো পুরাই হোয়াইট প্লাসের মতন ফকফকা দেঁতো হাসি.... তো আমি মডু হইলে - (আপনারা দোয়া দরূদ পড়তে থাকেন, কেয়ামতের আগেই যেন সেই দিন আসে... তাইলে নরকে গিয়েও শান্তি পাইতাম)

১) আমার প্রথম উদ্যোগ হবে সবচেয়ে কুখ্যাত মডু হওয়া ... কঠোর মডারেটর হিসেবে হিমু ভাইয়ের খেতাব নিজের করে নিতাম...
২) আমাকে তেল না দিয়ে লিখলেই ঘ্যাচাং.....
৩) আর সচল হওয়ার থেকে পারলৌকিক সুখ নিশ্চিত করণ সহজতর ও দ্রুততর হইত...

(দীর্ঘশ্বাস.... )...

তবে আরেকজনের যে লেখা আমি প্রকাশ হতে দিতাম না, নিজেও এমন কোন কিছু না লেখার চেষ্টা করতাম (এস ইন নিজের লেখাও হত তেল-চর্বি সর্বস্ব)....

আর "মান" ব্যাপারটা যেহেতু সাবজেক্টিভ তাই মানের বিচারে (বিশেষ করে ব্লগের) একাধিক (কমপক্ষে তিনজন) মডারেটরের মতামত বিবেচনা করার ব্যবস্থা করতাম... মেজরিটি উইনস... তাইলে প্রকাশে একটু দেরী হইলেও বিষয়টা ফেয়ার হবে, স্বৈরাচারের অভিযোগও উঠবে না..

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

পলাশ দত্ত এর ছবি

সবাই তো সব ব'লে ফেললো মন খারাপ

একটা খালি আমার মাথায় আছে (যেইটা আর কারো মাথায় নাই চোখ টিপি
আমি খালেদা জিয়ার আজীবন চেয়ারপার্সনের মতো আজীবন মডু হইতাম। হু হু হা হা হা চোখ টিপি কিন্তু কোনো কাজ করতাম না হাসি

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অতিথি লেখক এর ছবি

সচলায়তনের সবই মোটামুটি ঠিকই আছে তবে আমি মডু হলে হিমু কে যত্নের সাথে বাশ মারতাম..........হাসি ( এই কমেন্ট এর পর আমার কপালে সচল হওয়া গেছে..)

(জয়িতা)

এনসাইক্লোপিডিয়া এর ছবি

আমি সচল হইলে আর যাই হোক কখনো আতিথি হওয়ার চেষ্টা করতাম না।

এনসাইক্লোপিডিয়া এর ছবি

আমি মডু হইলে আর যাই হোক কখনো আতিথি হওয়ার চেষ্টা করতাম না।

এনসাইক্লোপিডিয়া এর ছবি

আমি মডু হইলে আর যাই হোক কখনো আতিথি হওয়ার চেষ্টা করতাম না।

খেকশিয়াল এর ছবি

মাথ্‌থা খারাপ?? মডু হই আর বদ্দোয়া, গাইল খাই ??

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।