আনিসুল হক আমাদের নিয়ে গেছেন মাটির ঢিবিরও নিচে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৮/০৯/২০১০ - ২:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আনিসুল হক এভারেস্টেরও উঁচু থেকে ঘুরে এসেছেন। সেটা নিয়ে তিনি প্রথম আলোর ঈদ উপহারে একটি রম্য স্মৃতি লিখেছেন। তিনি নিজেতো এভারেস্ট থেকে উঁচুতে ঘুরলেন কিন্তু আমাদের কীভাবে মাটির ঢিবিরও নীচে নিয়ে গেছেন আসেন দেখি।

বাঙালি মারলে জরিমানা হবে না, কিন্তু একটা সাদা মারলে খবর আছে”! এইরকম একটা কথা লেখার মানে কী? এইগুলা রম্য? এই ধরণের রেসিস্ট কথা বলে বাঙালিদের ছোট করার মানে কী? ওনার এই লেখাটা হয়তোবা কোন স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করলো, ওর মনে কী এই ধারণার জন্ম হবে না যে সাদা মাত্রই মহান আর বাঙালি এতই পানিতে পড়ে গেছে যে মরে গেলেও কারো কিছু যায় আসে না? যে লোক নিজের জাতিকে সম্মান দিতে পারেনা তার মত বাঙালি মারা গেলে কিছু যাবে আসবে না।বাকীরা মারা গেলে ঠিকই আসবে যাবে।

আনিসুল হক আশীফ এন্তাজ রবিকে মেটাফর হিসেবে দেখিয়ে মুসার কাহিনী বর্ণনা করলেন। কিভাবে রবির সিট বেল্ট আটকে গিয়েছিল আর একজন অস্ট্রেলিয়ান এসে তাকে সাহায্য করে। এতটা অসম্মান! যারা মুসার জীবন বাঁচালো তাদেরকে নিয়ে এই ধরণের উক্তি করা ওনার কাছে রম্য লেখার উপাদান? যারা মুসার জীবন বাচাঁলো তাদের কে নিয়ে মুসা কয় কলাম লিখে ধন্যবাদ দিয়েছে? নামটাও তো ঠিক মত বলেনি। কিন্তু অন্য মাউন্টেনিয়ারদের গীবত করতে তো দেখি কোন ক্লান্তি নাই। আর এখন আনিসুল হক এসেছেন যারা জীবন বাচিঁয়েছে তাদের নিয়ে নিয়ে রম্য লিখতে? জানতে ইচ্ছা হয় রম্য লেখা কী সেটা কী আপনি আদৌ জানেন কী না? ইন্টারনেট থেকে জোকস ডাউনলোড করে সেগুলা দিয়ে একটা গদ্য লিখে চালিয়ে দিয়ে আপনি ভাবছেন খুব বড় রম্য লেখক হয়ে গেছেন? আর রম্যের নামে এখন যা ইচ্ছা বলে মানুষকে অপমান করবেন?

আনিসুল হক, আপনি সিদ্দিকুর রহমানের নাম শুনেছেন? যার বাবা একজন দরিদ্র অটোরিকশা চালক ছিল, যে কিনা দুইবেলা ঠিকমত খেতে পায়নি কিন্তু আজকে নিজের অধ্যবসায় আর পরিশ্রমে বলবয় থেকে দেশের প্রথম পেশাদার গলফ খেলোয়াড় হিসেবে এশিয়ান ট্যুর জয় করে এসেছে। সিদ্দিকুর রহমান কার কাছে যেয়ে ন্যাকা কান্না কাঁদছে যে ও খেতে পায়নি, ওকে কেউ সাহায্য করেনি। কয়জন গলফারের নামে গীবত করেছে? কতবার টাকার জন্য গলা শুকিয়েছে? জিতে আসার পরও শুধু বলে যাচ্ছে আমাকে আরো পরিশ্রম করতে হবে, আমার দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবার উপরে নিয়ে যেতে হবে। জায়গায় জায়গায় যেয়ে নিজের আসল কাজ বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছে না। আর নিজেকে প্রমাণ করার জন্য আপনার মত লোকদের পিছনে পিছনে ঘুরে এইসব রম্য লেখা লিখে দেওয়ার জন্য তেল দিচ্ছে না।

এইবার আসি আপনার সস্তা মানসিকতার পরিচয় নিয়ে। আপনি বলেছে- “রবি জানালেন, ‘মিতু বিশ্বাস করেছে আমরা এভারেস্ট জয় করেছি। মিতু বিশ্বাস করেছে। আমার চোখে জল। এইরকম স্ত্রী তো দরকার, যে স্বামী যা বলবে প্রশ্নহীন বিশ্বাস করবে। কেন আমাদের ঘরে ঘরে এইরকম স্ত্রী থাকে না?” আপনার মুসা এভারেস্ট জয় করেছে কি করে নাই সেটা নিয়ে সন্দেহের জবাবের উত্তর আপনি মেয়েদের নিচু দেখিয়ে দিবেন? যে দেশে স্বামীর অত্যাচারের কারণে স্ত্রীরা সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করে, গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়ে মরে, স্বামীরা যৌতুকের কারণে স্ত্রীদের হত্যা করে সেই দেশে আপনি আসছেন বলতে ঘরে ঘরে কেন এইরকম স্ত্রী থাকে না যে প্রশ্নহীন ভাবে স্বামীর কথা মেনে নিবে! সাবাশ আপনাকে। সাবাশ দিলাম রবিকেও। যে কিনা নিজের স্ত্রী এর এত বড় অপমান বোঝে না। উল্টো বলে বেড়ায় এই লেখা ছাপা হবার পর প্রথম আলোর সব কপি দুপুর বারোটার মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। খুব ভালো কথা। আপনার আর রবির মত স্বামীরা এই লেখা পড়বে আর বলবে, আনিসুল হক বলেছেন, ঘরে ঘরে রবির বউ এর মত বউ থাকতে হবে, যাই বউকে দুই-চার ঘা লাগিয়ে আসি, প্রশ্ন করলে আরো দুই-চার ঘা লাগাবো কারণ আদর্শ বউ তো আর প্রশ্ন করে না।

যে লোক এখনো নিজের কাজের প্রমাণ দিতে পারেনি, তাকে বাঁচানোর জন্য আপনি সবাইকে যা ইচ্ছা তাই বলেছেন লেখায়। আপনার উচিত এইরকম একটা লেখার জন্য মেয়েদের + সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া। আপনার এই লেখা অর্থ যদি একটা ছেলেও অন্যভাবে নেয়, আর সেটার ভুক্তভোগী হয় একটা নির্দোষ মেয়ে, সেই দায় কে নিবে আনিসুল হক?

নুসদিন।


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

আনিসুল হক একটা পিউর তামাশা হয়ে গেছেন। আজকাল তাঁর ফ্লপ রসিকতার অন্ত নাই।

ফ্লপ রসিকতা নিয়ে বদ্দার একটা লিজেন্ডারি ডায়লগ আছে, দেওয়া উচিত হবে কিনা ভাইবা, চাইপা গেলাম।


অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

উনি তামাশা হন নাই। উনি বাকি সবাইকে তামাশা ভাবেন আর নিজেকে ভাবেন সুব কিছু করার লাইসেন্সধারী। এই লোক যা যা বলেছে, তার জন্য অন্য কোন দেশ হলে ওনার উপম্পাদক পদ আর থাকতো না।
নুসদিন।

কৌস্তুভ এর ছবি

বদ্দার ডায়লগ শুন্তে চাই!

অতিথি লেখক এর ছবি

যে কিনা দুইবেলা ঠিকমত খেতে পায়নি কিন্তু আজকে নিজের অধ্যবসায় আর পরিশ্রমে বলবয় থেকে দেশের প্রথম পেশাদার গলফ খেলোয়াড় হিসেবে এশিয়ান ট্যুর জয় করে এসেছে

জয়তু সিদ্দিকুর রহমান! তাঁর মতো আরো অনেক বাঙ্গালী সাফল্যের শীর্ষে আরোহণ করেছেন কোন রকম মিডিয়ার সহায়তা ছাড়া। অন্যের নিন্দা করাটা আমাদের একরকম অভ্যাসে পরিণত হযে যাচ্ছে।
আর রেসিসিজম এর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। মন খারাপ
আপনার লেখা ভালো লাগলো হাসি

শুভকামনা
সন্ধি
উত্তর মেরু

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। পয়েন্ট অফ ভিউটা বোঝার জন্য হাসি আপনিও ভালো থাকবেন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আমরা আমজনতা সিদ্দিকুর রহমানদের অপেক্ষায়। সিদ্দিকুর রহমানের সুকৃতি বিষয়ে লেখকের সঙ্গে সহমত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আনিসুল হকের দুষ্কৃতির সাথে সহমত না?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সহমত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

সহমত শব্দটা দিয়ে কী বুঝাতে চাইলেন তা পরিষ্কার বুঝলাম না।

"আনিসুল হক যা করছেন তা ঠিক করছেন" - এর সাথে একমত পোষণ করলেন নাকি "আনিসুল হক কাজটা ভাল করেন নাই"-এর সাথে সহমত পোষণ করলেন?

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আনিসুল হকের দুষ্কৃতির সাথে সহমত না?

এই মন্তব্যের সাথে সহমত। কারণ কোন হকের দুষ্কৃতিই সমর্থন যোগ্য না।

তবে আনিসুল হকের কথিত দুষ্কৃতি প্রমাণিত হবার আগে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো নৈতিক নয় আমার কাছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

একবার বলে,

কারণ কোন হকের দুষ্কৃতিই সমর্থন যোগ্য না।
আবার বলে
তবে আনিসুল হকের কথিত দুষ্কৃতি প্রমাণিত হবার আগে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো নৈতিক নয় আমার কাছে।
আপ্নে আপনার নিজের কথাটা আগে নিজে বোঝার চেষ্টা করেন। কেউ বলসে আপনাকে পৌঁছাতে? আপনি গায়ে পড়ে এসে আনিসুলের সাফাই গাচ্ছেন ক্যান?

নুসদিন।

বোহেমিয়ান এর ছবি

তবে আনিসুল হকের কথিত দুষ্কৃতি প্রমাণিত হবার আগে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো নৈতিক নয় আমার কাছে।

বাকি হকদের দুষ্কৃতি প্রমাণিত হবার আগে সিদ্ধান্তে পৌছানো আপনার কাছে নৈতিক?
_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

কৌস্তুভ এর ছবি

লেখা ভাল লাগল।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ওখানে জবাবদিহিতা নাই, সেজন্যই ওরকম লেখা সম্ভব। (ওই লেখা পড়িনি এখনো, আপনার লেখার ভিত্তিতে বললাম)।

পুতুল এর ছবি

লোকটা ভাড় হয়ে গেলো!
লেখা ভাল লেগেছে।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

জাহামজেদ এর ছবি

উনারা একটা সার্টিফিকেট পাইছেন এভারেস্ট জয়ী হিসেবে এটার কথা দেখি কইলেন না !

আনিসুল হক তামাশা করতে পারেন বলেই মুসা ইব্রাহিম এভারেস্টে না চড়েও জাতির সঙ্গে তামাশা করার সাহস পায় !

মুসার এভারেস্ট জয়ের ছবি দেখতে চাই মিস্টার আনিসুল হক, আপনাদের এভারেস্ট জয়ের ছবি নয়।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাবতেসি এই ধরণের উস্কানিমূলক লেখা আর মেয়েদেরকে ছোট করার জন্য ওনার নামে আইন ও সালিশ কেন্দ্রে বা নারীপক্ষে কোন নালিশ করা যায় কি না।

নুসদিন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

তানিয়া আমীর এই কেসটা নিতে পারেন। প্রধান সাক্ষী আনিসুল হকের স্ত্রী, কারণ এখানে প্রথম অবমাননা তাকে, তারপর শাশত বাঙ্গালী নারীকে করা হয়েছে।
জটিল মামলা হবে নুসদিন ভাই। আনিসুল হক প্রকারান্তরে এরকম সরলা স্ত্রী বিরল বলে মন্তব্য করায় তরুণ সমাজ বিবাহে সংশয়াপন্ন হয়ে পড়েছে। এই লেখার সামাজিক অভিঘাত ব্যাপক। আর বাঙ্গালীর জীবন সাদাদের জীবনের তুলনায় কিছুই নয় বলে আমাদের ঈদটা মাটি করে দিলেন।

নুসদিন ভাইকে ঈদের শুভেচ্ছা।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই তাহলে উপহাসই করলেন বিষয়টা নিয়ে!

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

উপহাস শব্দটা খুব ভারী । আনিসুল হক ভাই আমার চোখে তাঁর লেখক জীবনের ধুসর গোধূলিতে। সম্ভবত সে কারণেই উনার এই রম্য রচনা নিয়ে পোস্টে মনটা একটু খারাপ।তাই একটু মজা করে মন খারাপের কথা জানালাম।ব্লগে একটু ব্যক্তিগত মায়াকান্নার অধিকার থাকে বৈকি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কোথায় লেখা আছে যে লেখক জীবনের ধূসর গোধূলিতে থাকলে সে যা ইচ্ছা তাই লেখার লাইসেন্স পেয়ে যাবে? লিঙ্কটা দেন। আমরা সবাই পড়ে দেখি।
নুসদিন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এদের দুজনকে ফোনে পাওয়া মুশকিল,প্রথমত আনিসুল হক তার স্ত্রীকে তাঁর যৌথ ফোন এবং ফেসবুক একাউন্টে রেখেছেন।কলকাতার কবি সুবোধ সরকার ও তার স্ত্রীর একি অবস্থা।
আর তানিয়া আমীর টকশো নিয়ে ব্যস্ত। ফোন নাম্বার কোন পত্রিকা অফিসে ফোন করে নিতে পারেন। এখন ফোন না করাই ভালো সবাই ঘুমাচ্ছে।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন, আনিসুল হকের সরলা স্ত্রী এর ফোনের উপরও আনিসুল হক অর্ধেক দখল করে রেখেছেন? এ থেকেই বোঝা যায়, নারীর প্রতি ওনার দৃষ্টি ভঙ্গি কেমন।
ও আল্লাহ! তাই! ওনারা যে রাতে ঘুমায় আপনি রাত জেগে এই খবর বিলি না করলে কিভাবে যে জানতাম!

নুসদিন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আপা সেহরী করতে উঠেছেন। আর আনিসুল হকের ঘুমানোর সময় কোথায় ঈদের নাটকের রাফ কাট দেখছেন রাত জেগে।

আর বুদ্ধিজীবীরা সবাই তাদের স্ত্রীকে কড়া শাসনে রাখে। লোকের সামনে একটা স্ত্রীকে ভয় পাই জাতীয় প্রপাগান্ডা জারী রেখে, শুধু আনিসুল হক না রবীন্দ্রনাথও, স্ত্রীকে ধমক দিয়ে তারপর গেয়ে উঠলেন,আমারো পরানো যাহা চায়,তুমি তাই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

"আনিসুল হক এখন টয়লেটে বসে নাক, মুখ কুঁচকে হাগুর রং পরীক্ষা করছেন" আপডেটটা কখন দিবেন তা দেখার জন্য বসে আছি।

হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো হো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

শৈশবে টয়লেট ট্রেনিং না হলে অন্যের মলাবর্ণ নিয়ে আগ্রহ জাগে। এবিষয়ে ফ্রয়েড পাঠ্য।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

আনিসুল হক আদৌ হাগেন তো? আমি সন্দিহান!

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

নইলে এতো বই আসে কোত্থেকে?

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুদাপেজ-৪

মফিজ এর ছবি

এ ধরনের মন্তব্য বেশ আপত্তিকর, সচলায়তনে এ ধরনের মন্তব্য আশা করি না, মনে হচ্ছে যেন কোমড় বেধে ঝগড়া করতে নামা। পুরো লেখাটাই আর সেই সাথে লেখকের মন্তব্যগুলো কোনটাই ভাল লাগল না।

দ্রোহী এর ছবি

নইলে এতো বই আসে কোত্থেকে?

হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা হা।

এটা একটা জটিল মন্তব্য করেছেন। মুগ্ধ না হয়ে থাকা গেল না।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

যখন যেমন লেখার ইচ্ছা মানুষের চিরন্তন মুক্তির প্রতীক,মৌলিক অধিকার,এর জন্য এরিওপিজিটিকার লিংক দিয়ে একে ভারী করার দরকার নাই,যে কারণে একজন মানুষের গান থামানো যায় না,ছবি আঁকা থামানো যায়না,একই কারণে হিটলার ছাড়া আর কেউ বই পোড়াবে না ভবিষ্যতে।

লেখার লাইসেন্স আপনার আমার সবার আনিসুল হকের এবং যে কোন হকের।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার অধিকার যখন সবার আছে কিন্তু আলতু-ফালতু কথা বলার অধিকার কারো নাই।

নুসদিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

সমস্যা কী আপনের? এইটা কী ফেসবুক পাইসেন নাকি যে ওনাদের আপডেট দিয়ে বেড়াচ্ছেন? আমিতো আপনের কাছে আপডেট জানতে চাই নাই। ওনাদের ওকালতি ওনাদের সামনে যেয়ে কইরেন। এখানে আনিসুল হকের খাওয়া-ঘুমের আপডেট জানতে কেউ আগ্রহী না।

নুসদিন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মিস নুসদিন,

আপনি আমার প্রিয় কবিকে ডিফেম করে একটি অত্যন্ত ছেলেমানুষী পূর্ণ লেখা পোস্ট করেছেন। তবে গলফ খেলোয়াড়ের সাফল্যের উদাহরণ টি প্রশংসনীয়।
আপনি ব্লগে যা খুশী লিখতে পারেন,আমি তার প্রতিবাদ করতে পারি,কিন্তু সরোয়ার ফারুকীর নাটকের ওভারস্মার্ট চরিত্রের মতো বললেন

সমস্যা কী আপনের? এইটা কী ফেসবুক পাইসেন নাকি যে ওনাদের আপডেট দিয়ে বেড়াচ্ছেন? আমিতো আপনের কাছে আপডেট জানতে চাই নাই। ওনাদের ওকালতি ওনাদের সামনে যেয়ে কইরেন। এখানে আনিসুল হকের খাওয়া-ঘুমের আপডেট জানতে কেউ আগ্রহী না।

সুতরাং আপনার সঙ্গে আর কথা নয়, আমাদের ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুল আলাদা।ফলে যোগাযোগ অসম্ভব।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

খুদাপেজ।

নুসদিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

সরোয়ার ফারুকীর নাটকের ওভারস্মার্ট চরিত্র গুলা আনিসুল হকেরই লেখা। আর সেই ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলটাও আনিসুল হকেরই আবিস্কার।

নুসদিন।

জাহামজেদ এর ছবি

সরোয়ার ফারুকীর নাটকের ওভারস্মার্ট চরিত্র গুলা আনিসুল হকেরই লেখা। আর সেই ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলটাও আনিসুল হকেরই আবিস্কার।

এই একটা কাজ করেই আনিসুল হক বাংলা টিভি নাটককে কি বাঁশ দিয়েছেন, সেটা কল্পনারও বাইরে। এটা যদি আজ অন্য কেউ করতো, তাহলে আনিসুল হক আর বছর বছর ভাষার সঠিক ব্যবহার নিয়ে ভাষা বিয়োগ অনুষ্টান করা আলু ঠিকই হাউমাউ কইরা কাইন্দা উঠতো, যেহেতু আনিসুল হক কাজটা করছেন তাই এটা সঠিক, এটাই আসমানী কিতাব !
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

দ্রোহী এর ছবি

মাসকাওয়াথ আহসান লিখেছেন:
যখন যেমন লেখার ইচ্ছা মানুষের চিরন্তন মুক্তির প্রতীক,মৌলিক অধিকার,এর জন্য এরিওপিজিটিকার লিংক দিয়ে একে ভারী করার দরকার নাই,যে কারণে একজন মানুষের গান থামানো যায় না,ছবি আঁকা থামানো যায়না,একই কারণে হিটলার ছাড়া আর কেউ বই পোড়াবে না ভবিষ্যতে।

বেশ কিছুদিন আগে মুখফোড়ের স্যাটায়ারের প্রতিক্রিয়া হিসাবে আনিসুল হক কত বড় মাপের মানুষ সে বিষয়ে বিশদ বর্ণনা দিয়ে প্রতি প্রতিক্রিয়া, আদমচরিত শিরোনামে পোস্ট লিখে আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে বড় মাপের মানুষদের নিয়ে স্যাটায়ার লেখা উচিত না।

আজ আবার দেখি উল্টো কথা বললেন। মশাই, আপনি দেখি গাছের খান, তলারটাও কুড়ান। হো হো হো

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

এক কাপ চা কোন দিন খাওয়ান নি আর এরকম খাওয়ার খোঁটা,

আমার কথা হচ্ছে আনিসুল হকের লেখা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হোক।
কিন্তু প্রথম আলোতে চাকরী করার সুবাদে যে ব্রান্ডিং এ তার অংশ নিতে হয়, সেটা থেকে তার নানারকম কুতসা তৈরী পশ্চাদপদতা। যে কিছু করবে,সে সিদ্দিকের মতো গলফ খেলে মুসার সাফল্যকে ম্লান করে দেবে,ব্লগে কাসুন্দি ঘেঁটে কোন লাভটা হয় কীনা আমি জানিনা।এটা বিনোদনহীনতার স্টোরী।নেভারেস্ট গবেষণা কাজটি যেমন কাজের কাজ। আর বালখিল্য গালফোলানো পোস্ট, নবীণ বরণের ফ্লপ নাটকের মতো। এইতো।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

মি. মাসকাওয়াথ, খুদাপেজ-২

নুসদিন।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই,
আনিসুল হকের সাথে আপনার ব্যক্তিগত সখ্যতা, বুঝা গেলো। উনার সমালোচনা করা হলে আপনার লাগে সেটাও বুঝা গেলো।
ব্যক্তিগত সম্পর্কের বাইরে আমরা কেউই নই। আপনার সাথে ভার্চুয়াল পরিচয়, এর সুত্রেই হয়তো অন্য কোথাও আপনাকে কেউ গালি দিলে আমি প্রতিবাদ করবো, হয়তো আপনি ও করবেন।
তবে মেরিটটা তো একটু বুঝতে হয়। প্রথম আলো দিনের পর দিন ফাউল করে যাচ্ছে, আনিসুল হক সেই ফাউলামির অংশ হিসেবেই নিজেকে প্রচার করছেন। মুসার দুই নাম্বারী হিমালয় জয় নিয়ে আনিসুল হকের সস্তা ক্যানভাসিং এর কথা বাদই দিলাম আজকের লেখার কথাই ভাবুন। একটা জাতীয় দৈনিকের পাতায় এরকম বালখিল্য লেখা!
সাংবাদিকতায় আপনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা দেশ-বিদেশ মিলিয়ে, একাডেমিক পড়াশুনোও অনেক। আমাদের পুরুষতান্ত্রিক অভিজ্ঞতায় যা কেবলই হাস্যরস একজন সংবেদনশীল নারীর কাছে তা আঘাত তো হতে ও পারে, পারেনা? সাদা মানুষ, কালো মানুষ এভাবে সভ্য মিডিয়ায় বলা যায়না, লেখা যায়না রম্য হিসেবেও। বাংলাদেশে হয়তো এই চর্চা এখনো হয়নি, নিগ্রো শব্দটাযে আপত্তিকর সেটাই আমরা জানিনা। কিন্তু আপনার জার্মানীর অভিজ্ঞতায় তো এসব না জানার কথা নয়।
এখানে আনিসুল হকের সাথে তো কারোরই কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। যা সমালোচনা হচ্ছে সেটা তার কৃতের কারনে।

যদি তার বন্ধু, ভাই, শুভাকাংখী হন তাহলে তাকে জানান এগুলো। লেখক হতে হতে তিনি মিডিয়ামাস্তান হয়ে উঠেছেন, কতগুলো স্তাবক পরিবেষ্টিত হয়ে থাকেন। তার প্রতি পাঠকের ক্ষোভ, বিরক্তি, হতাশা এগুলো তার জানা দরকার। আপনি একা এক মাসকাওয়াথ হাসান কতো বাঁধ দেবেন বলুন।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দ্রোহী এর ছবি

আফসোস, আমি এরকম গুছিয়ে বলতে পারি না।

দ্রোহী এর ছবি

মন্তব্যে বিয়াপক মজা প্লুম। আপনার জবাব নেই জনাব।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেন, তানিয়া আমীরের ফোন নাম্বারটা দেন। আনিসুল হকের সরলা স্ত্রী এর ফোন নাম্বারটাও দেন।

নুসদিন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সহমত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

কোপাইয়ালাইছেন গো নুসদিন চোখ টিপি

প্রথম আলু: বাংলাদেশে কালো বাংলা ছাগলের একমাত্র পরিবেশক। তাদের আর কোথাও কোন শাখা নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ চোখ টিপি মাফ চাওয়াইতে পারলে পরাণটা জুড়াইতো।
নুসদিন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

মানুষ সৃষ্টিকর্তা বা ডারউইন ছাড়া আর কারো কাছে মাফ চায়না। ফলে আপনার এই ঐশরিক আকাংক্ষা পূরণ হবার নয়। টাফ লাক।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার আকঙ্খা নিয়ে আপনি এত চিন্তিত ক্যান?

নুসদিন।

হিমু এর ছবি

আনিসুল হকের লেখাটা পড়ে আমি বুঝলাম না, আশীফ এন্তাজ রবির স্ত্রীকে অযথা জাতীয় দৈনিকের ঈদ সংখ্যায় এভাবে অপমান করার কী দরকার ছিলো ওনার? রবির সাথে আনিসুল হক সাহেবের কোনো মন কষাকষি আছে কি না জানি না, কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে তার ব্যক্তিগত জীবনকে টেনে এনে তার স্ত্রীকে অপদস্থ করা কুরুচির পরিচায়ক।

লেখাটা শুরুই হয়েছে মুসা পাটগ্রাম থেকে এসেছে আর তিনি রংপুর থেকে এসেছেন এই জাতীয় কদর্য আত্মম্ভরিতা দিয়ে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আনিসুল হক এক বিচিত্র ভাঁড়ে পরিণত হচ্ছেন। দুঃখজনক। তার চামচারা এ কথা হৃদয়ঙ্গম করতে হয়তো আরো কয়েক বছর সময় নেবে। সেটা আরও দুঃখজনক।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

দ্রোহী এর ছবি

অপমান বলছেন কী? গিয়ে দ্যাখেন আশীফ এন্তাজ রবি আনন্দে ডিগবাজি খাচ্ছে। মিটুন ভাই তার কথা পত্রিকায় লিখে তাকে দেশবাসীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। কর্তায় কইছে শালার ভাই, আনন্দের আর সীমা নাই।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

ঘাসের মধ্যে পা দুখানা আকাশে ছড়িয়ে দেয়া চড়ুই পাখিকে জিজ্ঞেস করলাম, কি চড়ুই পা দুখানা উপরে কেন, ব্যায়াম করছো নাকি।

চড়ুই উত্তর দিলো দেখছ না পা দুখানা উপরে দিয়ে সাহিত্যের আকাশ টাকে ভেঙ্গে পড়ার হাত থেকে বাঁচাচ্ছি,তাই তো সত্যিই ভুল হয়ে গেছে বাঙ্গালীর জাতীয় বিবেক তো আসলে ওই চড়ুই।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

দ্রোহী এর ছবি

আনিসুল হক চিত হয়ে শুয়ে দু পা দিয়ে সাহিত্যের আকাশ ভেঙে পড়ার হাত থেকে ঠেকাচ্ছেন - দৃশ্যটা কল্পনা করে হেসে গড়াগড়ি খেলাম।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মাসকাওয়াথ ভাই,
আমি আবারো দু:খের সাথে দেখছি আপনি আস্তে আস্তে পিছলে পড়ছেন। কেন রে ভাই? আপনি আমাদের অনেক সিনিয়র-- অভিজ্ঞতায়, সময়ে, (অনেকের চেয়ে হয়তো) লেখালেখিতেও। কিন্তু আপনাকে এই জিনিসটা বুঝতে হবে যে কোথায় থামতে হবে।

আপনার বন্ধুকে নিয়ে কোন লেখার প্রতিবাদ আপনি করতেই পারেন। কিন্তু সেটা যদি এদিকে মোড় নেয় সেটার দায়ভাগ আপনার উপরেও পড়ে। আমি লজ্জা বোধ করি বারবার আপনাকে একই অনুরোধ করছি বলে। ব্লগে আসলে সবাই নিজের-নিজের। সেখানে আমি আপনাকে সম্মান করেই এই কাজটা করছি। কিন্তু আপনি আমলে নিচ্ছেন না।

আপনি সবসময়ই জয়তু সচলায়তন বলেন, ব্লগের শক্তির কথা বলেন। কিন্তু মাঝে মাঝে নিজের মতেরই প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হন। ছোট মুখে বড় কথা বলে ফেললাম হয়তো। ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন।

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

পিপিদা,

অনলাইনে অযৌক্তিক ডিফেমেটরী পোস্ট উতসাহিত করলে ব্লগ সংস্কৃতির ক্ষতি তাতে।আজকেই দেখেন কতগুলো জরুরী চলতি বিষয়ে কতো ভাল আলোচনা চলছে। সেখানে এতো লঘু পোস্ট ভাল লাগেনা। কচলাকচলির সংস্কৃতিটাই খারাপ। ঠিক আছে নিজের চরকায় তৈল দিই। থ্যাংক ইউ বস।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

হিমু এর ছবি

উনি কিন্তু নিজের পোস্টে কোনো কমেন্ট মনমতো না হলে তিনি ওটা মুছে দেন সূত্রধার হিসাবে। আর অন্যের পোস্টে কী করেন, সেটা দেখতে পাচ্ছি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

সরি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই মাসকাওয়াথ লোকটা সমানে আমার পোস্টে উল্টাপাল্টা কমেন্ট করে আলোচনা ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। আমি এর প্রতিকার চাই।

মিস নুসদিন,আপনি আমার প্রিয় কবিকে ডিফেম করে একটি অত্যন্ত ছেলেমানুষী পূর্ণ লেখা পোস্ট করেছেন।
ওনার প্রিয় কবিকে নিয়ে পোস্ট দেয়ায় আমার পোস্ট ছেলে-মানুষী হয়ে গেল! এই ধরণের অপমান জনক কথার মাধ্যমে উনি শুধু আমাকে না সচলের মডারেটদেরও অপমান করছেন।

নুসদিন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমার মন্তব্য করছি:

আনিসুল হকের লেখাটা পড়লাম। সত্যি বলতে কি এই পোস্টে লেখক কিছু কিছু লাইনকে যেভাবে বর্ণনা/ব্যাখ্যা করেছেন আমার কাছে তেমন মনে হয়নি। এমনকি প্রথম আলো'র লেখাটি পড়ার আগেই এই পোস্ট পড়ে এক ধরনের "প্রেজুডিস" থাকার পরেও তেমনটা মনে হয়নি।

আমার বরং মনে হচ্ছে পাঠক এই দুই পোস্ট পড়ে লেখকের সাথে প্রথম আলোর লেখাটির লেখকের কোন দ্বন্দ্ব আছে এমনটা ভাবতে পারে।

আপনি আনিসুল হকের লেখাটিকে রম্য স্মৃতি বলছেন কেন সেটা বুঝতে পারিনি।

অতিথি লেখক এর ছবি

কারণ লেখটা রম্য স্মৃতি টাইটেল এর আন্ডারে ছাপানো হয়েছে। হার্ড কপিটা পড়ে দেখতে পারেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তাই নাকি? এই লেখার মধ্যে আমি অন্তত রম্য খুঁজে পাইনি। বুঝলাম না প্রথম আলোর বিভাগীয় সম্পাদকদের কাজ কী তাহলে! হয়তো আমি লেখাটাই বুঝতে পারিনি (!)

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

শ্রদ্ধেয় মডারেটর,

আমার সবিনয় নিবেদন,এই পোস্টের লেখিকা বাংলাদেশের একজন নাগরিকের একটি রম্য লেখার অপব্যখ্যা করে তাকে রেসিস্ট বলে ডিফেম করেছেন। উনি নারীসমাজের মধ্যে আনিসুল হক সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন এই পোস্টে। মুসা বিতর্ককে ঘিরে আনিসুল হককে নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক বিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে যা মুসা রহস্য অনুসন্ধানে সহায়ক। কিন্তু এই পোস্টটি স্ল্যান্ডারাস, অনলাইন নৈতিকতা ডিফেমেশন বা স্ল্যান্ডার নিরুতসাহিত করে। আশা করছি এই ধরণের কুতসামূলক পোস্টের বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণ জারী রাখবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

শ্রাবন্তিকে নিয়ে যে আপনি পোস্ট দিয়েছিলেন সেটা বুঝি ডিফেম ছিল না? দুই দুই বার মেটা ব্লগিং এর কারণে কার পোস্ট ব্লগে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল? দ্রোহী ভাই ঠিকই বলেছে, আপনি গাছেও খান, তলেরও টোকান।

অতিথি লেখক এর ছবি

আনিসুল হকের লেখা ভালো লাগলো না। রম্যের চে' তার নাক উঁচু ভাবটাই প্রবলভাবে দৃশ্যমান হলো।
মাসকাওয়াথ আহসান এর মন্তব্যগুলিও কেমন যেন লাগলো, পোস্টের লেখকের প্রতি অপ্রাসঙ্গিক আক্রোশ মনে হচ্ছে।
সবারই ইচ্ছেমতো লেখার এবং সমালোচনা করার অধিকার আছে। তাই বলে লেখকের সাথে কাইজ্জা করার পর্যায়ে নামার দরকার হয় না।
সচলায়তনে সুস্থ মতামত আদান প্রদান আশা করি।

-শিশিরকণা-

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

আচ্ছা দিদি।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

লাল-মডু এর ছবি

প্রিয় মাসকাওয়াথ আহসান,

আপনি সচলায়তনের একজন পুরনো সদস্য। সচলায়তনের পুরনো নিয়ম অনুযায়ী আপনাকে সরাসরি একজন সচল সদস্যের সুপারিশ অনুযায়ী আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো, এবং সচল করা হয়েছিলো।

এরপর আপনি দীর্ঘদিন সচলায়তনে অংশ নেননি। আপনি নিজেই জানিয়েছেন আপনার হয়ে আপনার লেখা ধূসর গোধূলি সচলে যোগ করতেন। আমরা ধারণা করছি, সচলায়তনের মিথষ্ক্রিয়া সম্পর্কে কোনো সম্যক ধারণা ছাড়াই আপনি একজন পূর্ণ সচল হিসেবে সচলায়তনকে হঠাৎ আবিষ্কার করেছেন। যদিও বর্তমানে দীর্ঘদিন পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় রেখে আলোচনায় অংশগ্রহণের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে একজন ব্যক্তিকে সচল হতে হয়, আপনার আচরণ এই ব্যবস্থাটি সম্পর্কে পাঠক ও নবীন অতিথিদের ধারণা পরিবর্তন করতে বাধ্য। আমাদের পর্যবেক্ষণ, সচলে মিথষ্ক্রিয়ার প্রকৃতি নিয়ে আপনি অবগত নন।

আপনি ইতিপূর্বে দুইবার সচলায়তনের কতিপয় পূর্ণ সদস্য ও শ্রাবন্তী নাম্নী জনৈকা অতিথি সম্পর্কে কদর্থক বক্তব্যসম্বলিত পোস্ট লিখে মডারেশনের মুখোমুখি হয়েছেন। আপনি নিজের পোস্টে আলোচনার রাশ টেনে ধরতে বরাবরই উদগ্রীব, কিন্তু অন্যের পোস্টে এসে অপ্রাসঙ্গিক তর্ক থেকে প্রকারান্তরে খিস্তির দিকে চলে যেতেও দ্বিধা করছেন না।

অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, আপনার আচরণ সচলসুলভ নয়।

আপনাকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে, নিজের আচরণ পুনর্বিবেচনা করার। এরপর আপনি যদি নিজেকে নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, মডারেটররা সে নিয়ন্ত্রণের ভার নিজেদের হাতে তুলে নেবে।

আপনাকে আরো স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, মডারেটররা আপনার সাথে কোনো তর্কে প্রবৃত্ত হবে না।

মতপার্থক্য থাকাই স্বাভাবিক, তার প্রকাশ আরো সংযত হওয়া বাঞ্ছনীয়। ধন্যবাদ।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আমি অবশ্য আপনার সাথে একমত হতে পারলামনা।

আমার কাছে মনে হয়েছে আনিসুল হক লেখাটিতে ব্যঙ্গ না করার সুরে ব্যঙ্গ করেছেন, যেটা উল্টে রম্য হিসেবে একটা নতুন স্বাদ দিয়েছে
আপনি স্বীকার করুন আর নাই করুন, মিডিয়ার বা বিশ্বের যে কোন দেশের সরকারগুলোর আচরণে এই বিংশ শতাব্দীতেও এটা মনে হতে বাধ্য যে গায়ের রংয়ের উপর জীবনের দাম নির্ভর করে। এটাকে তিনি এতটাই নিপুনভাবে ব্যঙ্গ করেছেনযে আপনি বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন যে এটা সারকাস্টিক না সিরিয়াস থট।

বাকী যে দুটো প্রসঙ্গে অভিযোগ এনেছেন দুটোই হালকা রসিকতা। সাত-আটজন সাংবাদিক বন্ধু মিলে যে খুব ফুর্তি করেছেন, তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্কের একটা সুন্দর ডেপিকশনই আমি দেখেছি। যেমন আশিফের সিটবেল্টের কাহিনীটা পড়ে আমার শুধু এটাই মনে হয়েছে যে রসিকতা করে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে পায়ে হেঁটে এভারেস্টে ওঠার মতো প্লেনে চড়ে ওঠার বেলায়ও "জটিল" চোখ টিপি সমস্যার মুখে পড়তে পারে মানুষ। আর অস্ট্রেলিয়ানের প্রসঙ্গও সেভাবেই এসেছে, এতে মুসাকে সাহায্য করা অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে কিভাবে হেয় করা হলো বোধগম্য হলোনা।

বউয়ের প্রসঙ্গে "কেন আমাদের ঘরে ঘরে এইরকম স্ত্রী থাকে না" -- এই বাক্যটির পরেও কি আপনার মনে হয়না এটা স্রেফ হালকা একটা রসিকতা? রম্য রচনায় আরো কতরকম রসিকতা করা হয়। আমার মনে পড়ছে শিব্রামের একটা গল্প,বিয়ের আগের রাতে বেড়াল মারা নিয়ে। সব রসিকতাকে এভাবে সিরিয়াসলি নিতে নেই, কিছু কিছু সময় রসিকতা এটা ইন্ডিকেট করে যে আমাদের ওরকম হলে চলবেনা। হয়তো আনিসুল মেয়েদেরকে সেরকম একটা ইঙ্গিতই দিয়েছেন যে জামাই যাই এসএমএস করবে সেটাই বিশ্বাস কর ফেলবেনা ;)।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

হো হো হো জ্বী গায়ের রং এর উপর বিংশ শতাব্দীতে এসেও অনেক কিছু নির্ভর করে, কারণ আনিসুল হকের মত লোকের এই জিনিশ গুলার চর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সিট বেল্টের কাহিনী দিয়ে উনি মোটেও এভারেস্টের জটিলতা বোঝাতে চাননি। আপনাকে পুরোটা এইজন্যই আবার পড়তে বলেছিলাম। সেখানে রবিকে মুসার মেটাফোর হিসেবে দেখিয়ে মুসার এভারেস্ট জয়ের পুরো ঘটনাটা আবার বর্ণনা করা হয়েছে।

"এইবার আমাদের আশীফ এন্তাজ রবির মুখ খুলে গেল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায় এসএমএস পাঠালেন, এই মাত্র খবর পাওয়া গেল, ঢাকার আটজন সাংবাদিক এভারেস্ট জয় করে কাঠমান্ডুতে ফিরেছেন।
তিনি টেলিভিশনের ক্যামেরায় সাক্ষাৎকার দিতে শুরু করলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম একদিন এভারেস্ট জয় করব। এবার ভাবলাম করতেই হবে। কিন্তু প্রথম বাধা ছিল অর্থনৈতিক। ১০ হাজার টাকা করে লাগে। এত টাকা নিয়ে তো কাঠমান্ডু আসিনি। এই সময় কাজে লাগল আমার বন্ধু ব্যাংকার নাসির উদ্দীন মাহমুদ জুয়েল। আমি তাঁর মানিব্যাগ থেকে টাকা চুরি করে নিয়ে প্লেনে উঠে পড়লাম। প্লেনে উঠে একবার বিপদ হয়েছিল। আমার সিটবেল্ট আটকে গিয়েছিল। আমি আর কিছুতেই উঠে এয়ারহোস্টেজের কাছে গিয়ে দাঁড়াতে পারছিলাম না। মহাবিপদ। তখন সাহায্য করলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। তিনি আমার সিটবেল্টটা খুলে দিলেন। আমার জীবন ফিরে পেলাম। আমি এয়ারহোস্টেজের হাত থেকে সনদ নিলাম। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম।’
আমরা বিমানবন্দরে পেছনে প্লেনটাকে নামিয়ে সনদ হাতে ভি চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তুললাম।
রবি ঢাকায় যে আমাদের এভারেস্ট জয়ের খবর এসএমএস করে পাঠিয়েছিল, তা কেউ বিশ্বাস করল না। কিন্তু একজন করলেন। তাঁর নাম মিতু। তিনি রবির স্ত্রী।
রবি আমাদের জানালেন, ‘মিতু বিশ্বাস করছে আমরা এভারেস্ট জয় করছি। মিতু বিশ্বাস করছে।’
আমার চোখে জল। এই রকম স্ত্রীই তো দরকার, যে স্বামী যা বলবে তা-ই প্রশ্নহীন বিশ্বাস করবে। কেন আমাদের ঘরে ঘরে এই রকম স্ত্রী থাকে না?

মুসা এভারেস্ট জয় করতে চাইতো কিন্তু তার অর্থনৈতিক বাঁধা ছিল। টাকার জন্য এগিয়ে আসে তার বোন। এইখানে এসেছে রবির ব্যাংকার বন্ধু। মুসার জীবন নিয়ে সংশয় দেখা দেয় তার জীবন বাচিঁয়েছিল এক অস্ট্রেলিয়ান। সেই ঘটনাকে একটা সিটবেল্ট খোলার সাথে তুলনা করে অবশ্যই তাকে ছোট করা হয়েছে। এয়ার হোস্টেজ কে তুলনা করা হয়েছে এভারেস্টের চূড়ার সাথে। রবি জীবন ফিরে পাওয়ার পর এয়ার হোস্টেজের কাছে যেয়ে সনদ নেয় আর ভি চিহ্ন দেখায় যেমন দেখিয়েছিল মুসা। মুসার এভারেস্ট জয়ের খবর অনিক খান এস.এম.এস করে ঢাকায় জানিয়েছিল ঠিক যেমন রবি তার বঊকে এস.এম.এস করে জানালো। রবির বউকে, যারা মুসার এভারস্ট জয়ের কথা কোন সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস করছে তাদের সাথে তুলনা করে বোঝানো হয়েছে যে ঘরে ঘরে কেন এখনও মানুষ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করছে না মুসার এভারেস্ট বিজয়। যে মুসা এখনও এভারেস্ট জয়ের প্রমাণ দেখাতে পারে নাই দেশবাসীকে, সেই মুসার পিঠ বাঁচানোর নাম করে উনি মেয়েদের স্টেরিও টাইপিং করে রম্য লিখবেন? মুসা এমন কেউ না যে তার পিঠ বাঁচানোর জন্য মেয়েরা আনিসুল হকের রম্যের উপাদান হবে।

সবকিছু নিয়ে রম্য করা যায় না। আপনার কাছে যেটা হালকা রসিকতা লাগলো একজন মেয়ের কাছে সেটা চরম অপমানজনকও লাগতে পারে। আর সবাই যে হালকা রসিকতা বুঝে সেইভাবে নিবে তার নিশ্চয়তা কোথায়? একটা ছেলে যে এই কথাকে অন্যভাবে নিয়ে যে একটা মেয়ের কাছ থেকে এই আশা করবে না যে আমি যা বলবো তাই শুনবে সেই কথারই বা নিশ্চয়তা দিতে পারবেন? এই ঈদ সংখ্যাটা নিশ্চই গুটি কয়েকজন রম্য বুঝতে পারা লোকজন পড়বেন না? আর বাংলাদেশের সব মানুষ নিশ্চয়ই আনিসুল হকের মত সমঝদার না।

নুসদিন।

রেশনুভা এর ছবি

এয়ার হোস্টেজ কে তুলনা করা হয়েছে এভারেস্টের চূড়ার সাথে।

আচ্ছা।
রবি জীবন ফিরে পাওয়ার পর এয়ার হোস্টেজের কাছে যেয়ে সনদ নেয় আর ভি চিহ্ন দেখায় যেমন দেখিয়েছিল মুসা।

এইবার আর তাল রাখতে পারলাম না। মুসা কী তাহলে সরাসরি এভারেস্টের চূড়ার কাছ থেকেই সনদপত্র নিয়েছিল?

অতিথি লেখক এর ছবি

নাহ! এভারেস্টে ঊঠার আগেই নিয়ে নিসিলো। মাই ব্যাড হো হো হো

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ।

বোরাত মুভিটার একটা দৃশ্য ছিলো এমন: কাজাখস্থানের বোরাত এক ধনী শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানের বসার ঘরে। ধনী ব্যক্তির কেয়ারটেকার কালো এক লোক এসে তাদের কিছু খাবার সার্ভ করলেন। কেয়ারটেকার চলে যাবার পর তাকে দেখিয়ে বোরাত গৃহকর্তাকে জিজ্ঞেস করলো, "তোমার ক্রীতদাস?"

এই ধরনের অবভিয়াস ঢংয়ে বক্তব্য দিয়ে সারকাজম করাটা যে একটা বিরাট আর্ট সেটা বুঝেছিলাম ঐ দৃশ্যটা দেখে। আনিসুল হকও শেষমেষ ব্যঙ্গই করেছেন, সাদাদের প্রতি গদগদ হওয়া ভক্তি কিন্তু তাঁর বক্তব্যে ফুটে ওঠেনা।

দ্বিতীয় পয়েন্টে, দুঃখিত আমার আগের কমেন্টে ভুল ইমপ্রেশন দিয়ে থাকলে। হিমালয়ে চড়ার জটিলতা বুঝাইনি, "" এর ভেতর "জটিল"কে রেখে যা বোঝাতে চেয়েছিলাম আপনি আপনার মন্তব্যে সেটা খুব ভালোভাবে ফুটিয়েছেন। দেখুন, পুরো অংশটুকু পড়লে মূল যে ইমপ্রেশন হয় তা হলো আশিফ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে রসিকতা করে বলতে চাইলেন যে মুসার পায়ে হেঁটে এভারেস্ট জয়ের চেয়ে তাদের প্লেনে চড়ে এভারেস্ট "জয়"টা কোন অংশে কম না। সেটারই প্রাসঙ্গিকতায় টাকা জোগাড়, অস্ট্রেলিয়ান সাহায্যকারী, সনদপত্র এসব প্রসঙ্গ এনেছেন। বক্তব্যটা আপনি এভাবে নিচ্ছেন না কেন যে, তিনি বলতে চাইছেন শুধু মুসাকেই অস্ট্রেলিয়ান কোন ব্যক্তি সাহায্য করেনি, আশিফদেরকেও করেছে। এটাতো আমার বরং মনে হয়েছে যে সেই অস্ট্রেলিয়ান পর্বতারোহীর সাহায্য করার ঘটনাটিকে বিশেষ ফোকাসেই আনা হয়েছে। পুরো বর্ণনাটা পড়লে বরং মুসা একটু ক্ষেপতে পারতেন, যদি লেখকের বন্ধুরা মুসারও ঘনিষ্ট বন্ধু না হতেন।

তৃতীয় ব্যাপারটায় আপনি যা বললেন তারপর সেটা মেনে না নিয়ে আমার উপায় নেই। একেকজনের অনুভূতি একেকভাবে কাজ করে। তবে খেয়াল করুন, ছেলেদের নিয়েও অনেক মজা করা হয়। এখানে আসলে কোন সীমা পরিসীমা বেঁধে দেয়া কঠিন। রম্যর সমস্যাই এখানে, খুব সেনসিটিভ মানুষের কাছে এটা ডিস্টার্বিং হয়ে ধরা দিতে পারে। তবে ওটা পড়ে আমার যা অনুভূতি হয়েছে, তা হলো, তিনি কোনোভাবেই এটা মিন করেননি যে মেয়েদের স্বামীর বলা কথা অক্ষরে অক্ষরে বিশ্বাস করা উচিত।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

বিভ্রান্ত আমি হইনি, বিভ্রান্ত আপনি হয়েছেন হাসি । পোস্টটা আরেকবার পড়েন, রম্য স্মৃতি আরেকবার পড়েন। এরপরও যদি না বুঝতে পারেন, তাহলে তো আর কিছুই করার নেই।

নুসদিন।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

পোস্ট বা রম্যস্মৃতিতে এমন কোন উপাদান নেই যে বারবার পড়ে বুঝতে হবে বা একবার পড়লে বিভ্রান্ত হবো।
আপনার অভিযোগ আনা তিনটা পয়েন্ট নিয়েই আমি ব্যাখ্যা করেছি কেন সেগুলোকে আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়নি। ওগুলোর সাপেক্ষে প্রত্যুত্তর পেলে ভালো হতো চোখ টিপি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

শিব্রামের বিয়ের আগের রাতে বেড়াল মারা নিয়ে গল্প যেমন পড়েছি ঠিক তেমনই ছোটবেলায় আরেকটা একটা পড়েছিলাম, কিছু দুস্ট বালক একটা পুকুরে যেয়ে ব্যাঙদের ঢিল মারে মজা হচ্ছে ভেবে। কিন্তু ওদের কাছে যেটা মজা ছিল ব্যাঙদের জন্য সেটা ছিল মৃত্যু। একজনের কাছে যেটা রসিকতা আরেকজনের জন্য সেটা বিপদও ডেকে আনতে পারে। বুঝাতে পারলাম? হাসি

নুসদিন।

রাফি এর ছবি

ক্যাঁচাল ঘরানার পোস্ট মনে হওয়ায় এক রেটিং দিয়ে গেলাম। আনিসুল হক ভুল করছেন, লেখক হিসেবে তিনি উঁচুমানের নন সব মানলাম...

কিন্তু আপনার লেখার একটু সমালোচনা করতেই এত তেলে বেগুনে জ্বলে উঠার ভাব দেখাচ্ছেন কেন? নাকি আশা করেন আপনি যা লিখবেন সবাই তাতে টেবিল চাপড়ে মারহাবা, উত্তম জাঝা দিয়ে বেড়াবে?

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

অতিথি লেখক এর ছবি

কোনটা সমালোচনা ছিল আর কই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলাম একটু দেখায় দেন। হাসি

নুসদিন।

তাসনীম এর ছবি

আনিসুল হকের লেখাটা একটু ডার্ক হিউমার মনে হলো। তবে নুসদিন মনে হয় একটু বেশি ক্রিটিক্যাল এন্যালাইসিস করে ফেলেছেন। আরেকটু গঠনমূলক সমালোচনা হলে ভালো হয়।


মিতু বিশ্বাস করেছে আমরা এভারেস্ট জয় করেছি। মিতু বিশ্বাস করেছে। আমার চোখে জল। এইরকম স্ত্রী তো দরকার, যে স্বামী যা বলবে প্রশ্নহীন বিশ্বাস করবে। কেন আমাদের ঘরে ঘরে এইরকম স্ত্রী থাকে না?”

ভাগ্য ভালো এরকম স্ত্রী বেশি নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য যে পত্রিকা পড়ে প্রশ্নহীন বিশ্বাস করে এমন মানুষ প্রচুর পরিমাণে আছে, আর সেই সুযোগটাই তো নিচ্ছে এনারা...

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, উনি ডার্ক হিউমার না, ডার্ক খোঁচা দিয়ে লেখাটা লিখেছেন। মুসাকে বাঁচানোর জন্য উনি এমন কিছু টার্ম ব্যবহার করেছেন যেটা যে কেউ না বুঝে অন্যভাবে নিতে পারে। একটা প্রথম সারির দৈনিকে এই ধরণের উস্কানিমূলক লেখা ছাপা হওয়া ঠিক না। এটাই বোঝাতে চাচ্ছি মন খারাপ

নুসদিন।

সম্রাট [অতিথি] এর ছবি

মনে হয় এই ব্লগটিতে সব কিছুই একটু বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে। আনিসুল হকের লেখাটি পড়লাম। নুসদিন আপনি সম্ভবত একটু বেশি ক্রিটিক্যালি চিন্তা করছেন। হাজার হোক লেখাটা রম্য রচনা।
তবে আনিসুল হকের উপর আমার বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ ধীরে ধীরে কমছে। তার মতো একজন প্রথম সারির লেখকের দায়িত্ব অনেক। মুসা ইব্রাহীমকে নিয়ে প্রথম আলো এবং আনিসুল হক যা করছেন তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।
জ্বিনের বাদশা ঠিকই বলেছেন এটা একটা রম্য রচনা। তবে আনিসুল হকের মত লেখক, যাদের লেখা সবাইকেই প্রভাবিত করে, তাদের আরো একটু সাবধান হওয়া উচিত। হোক সেটা রম্য রচনা।
মাসকাওয়আথ ভাইয়ের আচরণে আমি অবাক হলাম। জেগে ঘুমায় মৌলবাদীরা। বুজলাম আনিসুল আপনার কাছের মানুষ, প্রিয় মানুষ। তাই বলে তার সব কিছুই ওহী হয়ে যাবে, তাতো নয়। আর কারো মতামতের সমালোচনা করা উচিত যুক্তি দিয়ে, তাকে অপমান করে নয়। মনকে উন্মুক্ত করুন, মুক্তচিন্তা বিকল্পহীন।
=======================
বালক ভুল করে নেমেছিল জলে

সম্রাট

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা যে একটা রম্য লেখা না সেটাই তো বোঝাতে পারছি না, বরং মুসার পিঠ বাঁচানোর জন্য উনি মানুষকে কটাক্ষ করেছেন। আর সেটা করতে যেয়ে উনি স্পর্শকাতর সব মেটাফোর ব্যবহার করেছেন। সেটা কড়া গলায় সমালোচনা করলে কেন বেশি ক্রিটিকাল হয়ে যাবে? উনিতো কোন উঠতি লেখক না যে উনি জানেন না, কী করলে কী হবে। ওনার কী একবারও ভাবা উচিত ছিল না এই লেখাটা কত মানুষ পড়বে?

নুসদিন।

অদ্রোহ এর ছবি

বিভ্রান্ত আমি হইনি, বিভ্রান্ত আপনি হয়েছেন হাসি । পোস্টটা আরেকবার পড়েন, রম্য স্মৃতি আরেকবার পড়েন। এরপরও যদি না বুঝতে পারেন, তাহলে তো আর কিছুই করার নেই।

এই টোনটা ভাললাগলনা, দুঃখিত। তবে লেখার মূল সুরের সাথে একমত।

---------------------------------------

আজি দুঃখের রাতে, সুখের স্রোতে ভাসাও তরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমিও দুঃখিত। বুঝিয়ে বলা কমেন্টটা করা উচিত ছিল।
নুসদিন।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১. ‌'সাদা মরলে খবর আছে, আমরা বাঙালিরা মরলে খবর নাই' এই ধরনের স্টেটমেন্টকে নুসদিন যদিও রেসিস্ট মন্তব্য বলেছেন, তবে আমার কাছে তা মনে হয় নি। বিশ্ব বাস্তবতা হচ্ছে পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলোর নাগরিকের জীবনের দাম তাঁদের দেশে আছে। আমরা যেটি নিজেদের দেশে করতে পারি নি। আমেরিকার এক হিরোইন বিক্রেতাকে বাংলাদেশে গ্রেফতার করে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছিল, এক সিনেট সদস্যা নাকি কংগ্রেস ম্যান...সকালে ঢাকায় এসে বিকালের ফিরতি ফ্লাইটে ঐ ফাঁসির আসামীকে নিয়ে ফেরত গিয়েছিল...কেউ ট্যাঁ ফো করতে পারে নি। ঘটনাটি ৯৩/৯৪ সালের দিকের, আশা করি এখনও অনেকের মনে আছে।

বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ পাশের দেশ ভারত থেকে শুরু করে সুদূর আফ্রিকায় বন্দি আছে। এরা কিন্তু হিরোইন বিক্রেতা না, নিছকই সাদামাটা পরিশ্রমী মানুষ..আমরা এদেরকে ছাড়িয়ে আনতে পারি না।

এটা সত্যি কথা যে যদি ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের জন্য কিছু করা হয় তাহলে এটার নিরাপত্তা নিয়ে এই অঞ্চল বেশি ভাবিত হয় না। লঞ্চে তো যাত্রী ডুববেই, এটা হচ্ছে সাধারণ মানসিকতা। আমাদের মানুষের জীবনের দাম বড় কম।
কিন্তু নেপাল যদি একটি টুরিস্ট আয়োজন করে যেটিতে পশ্চিমারা উপভোগ করবে ( মোটা দাগে এটা সাদা চামড়ার ব্যাপার না, শক্তিশালী দেশের সাদা-কালো-ধূসর-বাদামী সবাই ) তাহলে সেটার নিরাপত্তাটা মানসম্পন্ন করেই করবে, এটা যদি কেউ ধরে নেয়, তাহলে খুব অস্বাভাবিক হবে না। আনিসুল হকের লেখার এই অংশে আমি এটাই বুঝলাম, বিষয়টা তাই যদিও শব্দগত ভাবে বর্ণবাদী, কিন্তু আমার কাছে এর প্রকাশটা বর্ণবাদী মনে হয় নি।

অতিথি লেখক এর ছবি

লঞ্চে তো যাত্রী ডুববেই, এটা হচ্ছে সাধারণ মানসিকতা।
আপনি কী চান না মানসিকতাটা পাল্টাক? আমরা যদি ধরে নিয়ে বসে থাকি এটাই স্বাভাবিক আর সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে মজা হিসেবেই দেখি তাহলেতো কোনদিনও পাল্টাতে পারবোনা। ৯৩/৯৪ সালের সময় আর ২০১০ সালের সময়তো এক না ভাইয়া। এখন আমাদের প্রতিবাদ করার সুযোগ অনেক বেশি। নিজেরা নিজেদের ছোট করে দেখলে কিভাবে হবে!

আপনি আমাকে একটা কথা বোঝান। ধরেন এই লেখাটা একটা স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা এভারেস্টের শিরোনাম দেখে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে নিল। ও কি বুঝবে এত কথা? ও তো শিখবে সাদা মাত্রই দামি আর বাঙালির অবস্থা এতই খারাপ যে মরে গেলেও নাকি কিছু হয় না। প্রথম আলোতো প্রাপ্ত বয়স্কদের পত্রিকা না যে ছোটদের পড়া মানা। আর এটাতো এভারেস্ট নিয়ে লেখা, কোন কঠিন রাজনৈতিক রম্য না যে শুধু বড়রাই পড়বে। ওনার মত একজন লেখক, সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিকের উপসম্পাদক হিসেবে ওনার ভাবা উচিত ছিল যে উনি কী নিয়ে লিখছেন, কারা পড়বে, কী প্রভাব পড়তে পারে। এটাতো একটা নিউজপেপারে কিছু দিন কাজ করা মানুষও জানে যে প্রথম যে কথাটা সাংবাদিকদের বলা হয় সেটা হচ্ছে সব সময় মাথায় রাখবে তোমার টার্গেট অডিয়েন্স কে। একজন উপসম্পাদক যদি এটা না বোঝে তাহলে আমরা কী শিখবো!

নুসদিন।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

অবস্থা পাল্টাক এটা চাই তো অবশ্যই। কিন্তু অবস্থা না পাল্টানো পর্যন্ত এগুলো লেখাতে আসলে অস্বাভাবিক কিছু দেখি না।
-
শিশু পড়বে, কিশোর পড়বে, ব্লগের পাতায় বাবা মা'র সঙ্গে পড়া যায় না এমন লেখা কেন আসে..এসব আলোচনা আসলে পুরোনো।
আমি যেমন বুঝি না যে একটা ব্লগ, পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে স্ক্রিনে কোনো পরিবার পড়তে বসে কেন, তেমনই পত্রিকার পাতায় অজস্র লেখার ভিড়ে একটা শিশু আনিসুল হক পড়েই তার বিদ্যা অর্জন করে ফেলে, এতো বেশি চাওয়াটাকে নিতে পারি না।

আমার বাচ্চাটা দেখে যে দুনিয়ার সব এয়ারপোর্টে আমি আমার সবুজ পাসপোর্টের জন্য প্রতিবার হেনস্থা হই, সেটা শেখার/দেখার/বুঝার জন্য তাঁকে আনিসুল হক পড়তে হয় না।

আর বাচ্চারা খুব দ্রুতই বড় হয়, তখন তাঁদের কাছ থেকে আনিসুল হককে দূরে রাখলেও তাঁরা বুঝতে পারে যে দুনিয়ায় সবার দাম সমান না।
সমাজে যা আছে, তা বাচ্চারা জানবেই। আজ হোক কিংবা কাল হোক। বাচ্চার কাছ থেকে লুকিয়ে রাখার চাইতে সমাজ থেকে উপস্থিতি বিনাশটা অনেক বেশি কার্যকর।

অতিথি লেখক এর ছবি

লিখলে লেখার মত করে লিখুক। আমিই নিজেই খুশি হব। সস্তা রসিকতার কোন মানে হয় না।

পত্রিকার পাতায় অজস্র লেখার ভিড়ে একটা শিশু আনিসুল হক পড়েই তার বিদ্যা অর্জন করে ফেলে, এতো বেশি চাওয়াটাকে নিতে পারি না।
আনিসুল হকতো যেন তেন কেউ না। ওনার কথাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। একটা বাচ্চা যখন দেখবে ওর ছোটদের পাতার প্রিয় লেখক এইরকম একটা লেখা লিখেছে, ওর মনে যে সেখান থেকে ধারণাটা শক্ত হবে না সেই নিশ্চয়তাটা কোথায়? সবার বুদ্ধিতো সমান না ভাইয়া। কেউ কেউ এক লেখা পড়েই বিদ্যা অর্জন করে ফেলে।
আমি মানি দুনিয়ায় সবার দাম এক কিন্তু ভেদাভেদটা মানুষের তৈরি করা। ভেদাভেদ দেখুক, কিন্তু কখনও যাতে নিজেকে ছোট না ভাবে হাসি আমি বাঙালি তাই আমার দাম নেই আমি যদি আগেই হীন্মন্যতায় ভুগি, তাহলে কিভাবে হবে! উনি কী ওনার মত প্রকাশটা পজেটিভ ভাবে করতে পারতেন না? অবশ্যই পারতেন। কিন্তু ওনার মাথায় আছে মুসাকে বাঁচানো, উনি কী লিখেছেন, সেটা নিয়ে মনে হয় না বিন্দু মাত্র ভেবে লিখেছেন। আমার অভিযোগ এখানেই। একজন লেখক, সাংবাদিক, সম্পাদক/উপসম্পাদকের অনেক দ্বায়িত্ব থাকে। ওনার যা ইচ্ছা তাই করতে পারেননা।

নুসদিন।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

লিখলে লিখার মতো লিখুক, এটা আসলে আপেক্ষিক একটা কথা। লেখার মান নিয়ে আলোচনা হতে পারে, কিন্তু এই লেখায় রেসিজম আছে টাছে এই ব্যাপারে একমত হতে পারলাম না।

আপনি লিখেছেন,

কিন্তু ওনার মাথায় আছে মুসাকে বাঁচানো, উনি কী লিখেছেন, সেটা নিয়ে মনে হয় না বিন্দু মাত্র ভেবে লিখেছেন। আমার অভিযোগ এখানেই।

এই জায়গায় হালকা পাতলা সহমত। 'মুসাকে বাঁচানো' হয়তো ঠিক না, তবে 'মুসা প্রচার' যে আনিসুল হকের বর্তমান মিশন, এটা তো প্রথম আলোর যে কোনো পাঠকই বুঝবে।
সেই গল্পের ছেলেটার মতো- যে কোনো গল্পেই সে শেষ পর্যন্ত কুমির টেনে আনে।

মনে হচ্ছে আপাতত আরো বছর খানেক ( আগামী বইমেলা পর্যন্ত-আমার ধারণা) আনিসুল হক পড়তে গেলে এই গল্পের কুমিরকে আপনার হজম করেই যেতে হবে। হাসি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মন্তব্যটায় ৫ দিতে চাই
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

কোন মন্তব্যে?

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

উত্তর দিতে ডর লাগতেসে অ্যাঁ
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

ডরাইলেতো হবে না দেঁতো হাসি না বুঝলে অসুবিধা নাই, আবার বুঝানোর চেষ্টা করবো।

নুসদিন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

জেবতিক ভাই,
'সাদা মরলে খবর আছে, আমরা বাঙালিরা মরলে খবর নাই' - একজন শক্তিশালী লেখকের কলম থেকে এই কথা বেরুলে চিন্তিত হবার কারন আছে বৈকি! সাধারণ মানুষ যাই ভাবুক 'রেস ডাজ নট ম্যাটার' এই সত্যটা আনিসুল হক এবং আপনার মত শক্তিশালী লেখক, সাংবাদিকদের অনুধাবন এবং প্রচার করতে হবে। নইলে রেসিজম পৃথিবীর বুক থেকে বিদায় নিতে অনেক দিন লেগে যাবে।

আপনার কাছে আমার প্রশ্ন - 'সাদা মরলে খবর আছে, আমরা বাঙালিরা মরলে খবর নাই' - আপনিও কি এটা বিশ্বাস করেন?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপনার কাছে আমার প্রশ্ন - 'সাদা মরলে খবর আছে, আমরা বাঙালিরা মরলে খবর নাই' - আপনিও কি এটা বিশ্বাস করেন?
তার আগে আমারে একটা কথা বলো তো মুর্শেদ, নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রতিদিন কয়টা হত্যা-খুন-দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা পড়া মানুষের খবর প্রকাশিত হয়! আর সে তুলনায় আমাদের দেশের পত্রিকায় কয়টা খবর থাকে!

এইবার বলো, সেই সাপেক্ষে আলোড়ন কোথায় বেশি হয়? কোথায় কয়টা ঘটনা সঠিক তদন্তের মুখ দেখে। কয়টা কেইসের সঠিক বিচার হয়? কয়টা জায়গায় সাবধানতা অবলম্বন করা হয়! আর কোন ক্ষেত্রে পরের সপ্তাহে মারা পড়ার ঘটনা হ্রাস পায়?

এইবার প্রশ্নটা আবার বেগতিক ভাইরে করো।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জ্বি, এইটা বিশ্বাস করি। কারন আমার চোখে এরকমই পড়ে ব্যাপারটা।
'রেস ডাজ নট ম্যাটার' এটা প্রচার করার মানেই হচ্ছে আমি স্বীকার করে নিচ্ছি যে রেসিজম আছে। তাই আমাকে বলতে হয়, 'রেস শুড নট বি এ ম্যাটার।' কোনো কিছু থাকলেই তাকে প্রতিরোধ করার কথা উঠতে পারে। আমি প্রতিরোধ করতে চাই, কিন্তু অবশ্যই এটা মেনে নিয়ে করতে চাই যে এটা আছে এজন্যই প্রতিরোধ দরকার।

আমার কাছে আনিসুল হকের এই অংশটাকে হীনমন্যতা মনে হয় নি একারনেই। আমার মনেও হয় না যে উনি রেসিজম প্রকাশ বা প্রচার করার জন্য এটা বলেছেন।

আমি যখন কোনো এয়ারপোর্টে আটকা পড়ি এই দোষে যে আমার পাসপোর্টটা সবুজ, তখন আমি এটা প্রচার করতে দোষ দেখি না। এটা জাতিগত বিদ্বেষ। আমি এটার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে চাই।
আমার মেয়েটা যখন আরেকটু বড় হবে, পুরোটা বুঝার মতো হবে, তখন আমি কোনো এয়ারপোর্টে অনাবশ্যক আধাঘন্টা বেশি ব্যয় করার পরে ফিরে এসে আমার মেয়েকে বলব- ‌‌‍'মা, সবুজ পাসপোর্টের জন্যই ওরা আমাকে আটকায়। কারন আমরা গরীব দেশ, তারা মনে করে গরীব মানেই চোর ছ্যাচড়া, তাদের দেশে থেকে যেতে এসেছি। এই অপমানটা আমার না, আমার গোটা দেশের। এটা তোমাকে বুঝতে হবে এবং নিশ্চয়ই তোমাদের জীবদ্দশায় এই অবস্থাকে কাটিয়ে উঠতে পারবে তোমরা। তখন তোমাদেরকে আর তোমাদের সন্তানের সামনে এমন অবস্থায় পড়তে হবে না।'

আমি এটাকে "শিশুদের কাছ থেকে" লুকিয়ে রাখার কোনো কারন দেখি না। এটাকে দুভাবে দেখা যাবে, কেউ দেখবেন এর মাধ্যমে শিশুর মনে হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দেয়া হলো, আমি দেখি এর মাধ্যমে শিশুর মাঝে জেদ ঢুকিয়ে দেয়া হলো।

তিথীডোর এর ছবি

আনিসুল হকের ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র উচ্চ ধারণা নেই, আলুপত্রিকা এখন নির্মল বিনোদন... সহমত!

তবে লেখিকার মন্তব্যের উত্তর দেবার ভঙ্গিটা ভাল্লাগলো না!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আপু, একজন এসে যেভাবে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছিল, উত্তর না দিয়ে উপায় ছিল না।

নুসদিন।

জাহামজেদ এর ছবি

আনিসুল হকের ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র উচ্চ ধারণা নেই, আলুপত্রিকা এখন নির্মল বিনোদন...

রস+আলো ছিলো হাসি তামশার জন্য, আর এখন পুরো পত্রিকাই দিনে দিনে নানা কারণে মানুষের কাছে হাসি ঠাট্টার বিষয় হয়ে উঠছে।

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

লেখা আর মন্তব্য পড়লাম... দুয়েকটা বিষয়ে দ্বি-মত থাকলেও, 'প্রথমালু একটি ফালতু পত্রিকা এবং আনিসাইল তাহার একনিষ্ঠ ফাজিল'- স্টেটমেন্ট দিয়ে গেলাম চোখ টিপি

মতভিন্নতা থাকবেই, এর জন্যে সরাসরি খেপে ওঠাটা দৃষ্টিকটু লাগে, পড়তে বিরক্তিও লাগে।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

আনাম এর ছবি

আপনার আগের লেখাতা সুন্দর হয়েছিল, সেটার দুই নম্বর পার্ট কই?

অতিথি লেখক এর ছবি

আগের লেখাটাও তো সমালোচনা ছিল কিন্তু সেটাতো কোন ঝামেলা করলো না। কিন্তু আনিসুল হকের ভুল ধরিয়ে দিয়ে কঠোর সমালোচনা করায় সমস্যা দেখে দুই নম্বর পার্ট একটু চিন্তিত খাইছে

নুসদিন।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

৯৩ মন্তব্য হাসি
আমরা না হয় থামি এবার, যদি আর নতুন কিছু না হওয়ার থাকে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রেশনুভা এর ছবি

আমি মূল লেখাটা পড়েছি। আনিসুল হক যেখানে লিখেছেন-

আমার চোখে জল। এই রকম স্ত্রীই তো দরকার, যে স্বামী যা বলবে তা-ই প্রশ্নহীন বিশ্বাস করবে। কেন আমাদের ঘরে ঘরে এই রকম স্ত্রী থাকে না?

আমার কাছে পড়ে মনে হয়েছে আমরা যেমন বলি মজা করে - "চউক্ষে ফানি চলে আসলো" ওনার চোখের জলটাও আমার তেমনই মনে হয়েছে। সুতরাং, পরের দুটো লাইনের অর্থ আমার কাছে যেভাবে লিখেছেন সেভাবে ধরা দেয়নি।
যে দেশে স্বামীর অত্যাচারের কারণে স্ত্রীরা সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করে, গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়ে মরে, স্বামীরা যৌতুকের কারণে স্ত্রীদের হত্যা করে ...

ঠিক। এরকম অনেক ঘটনাই ঘটে।
আবার এর বিপরীত ঘটনাও ঘটে। যেমন, পরকীয়ার সুবিধার জন্য নিজ সন্তানকে মেরে ফেলা, নিজ সন্তানের গলিত লাশ কার্নিশ দিয়ে ফেলে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।
উপরোক্ত ঐসব ক্ষেত্রে আপনার ভাবনা কী?

অতিথি লেখক এর ছবি

১. ওনার চোখে জল স্ত্রী দের মহানুভবতা দেখে আসে নাই। আসছে যারা মুসার এভারেস্ট জয় চুপচাপ মেনে নিয়েছে তাদের মহানুভবতা দেখে। সমস্যাটা হচ্ছে এইটা বোঝানোর জন্য উনি স্টেরিও টাইপ কথা মেটাফর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ওনার এই মজা করে চউক্ষে ফানি চলা আসা সবাই নাও বুঝতে পারে। আপনি নিজেও কিন্তু বুঝতে পারেন নাই আসলে উনি কী বোঝাতে চাইসে।

২. অবশ্যই ঘটছে। কিছু দিন সাংবাদিকতা করার কারণে এই ঘটনা গুলার ঘটার সময় যা জেনেছিলাম সেটা হচ্ছে এইগুলা নিয়ে লেখার সময় যখন এক্সপার্টদের অপিনিওন নেয়া হয় তখন সবাই ঢালাওভাবে হিন্দি সিরিয়ালের দোষ দেয়।কিন্তু আমিতো এইখানে কোথাও তাদের সাপোর্ট দিয়ে কিছু বলি নাই। আমার ভাবনা কী সেটা এইখানে না বলে আরেকটা পোস্ট দিয়ে বলবোনে। ভালো থাকেন।

নুসদিন।

কনফুসিয়াস এর ছবি

আনিসুলের লেখাটা আগেই পড়েছিলাম, তারপরে এই পোস্টটা পড়ে মনে হয়েছে নুসদিন হয়তো একটু ওভাররিয়্যাক্ট করে ফেলেছেন। আনিসুলের লেখাটা রম্য নাকি ভাঁড়ামি বা অন্য কিছু, অথবা রসিকতাই হয়তো। হতে পারে একটু সস্তা রসিকতাই হয়ে গেছে, কিন্তু সেটাকে অনেক ভেবে চিন্তেও রেসিজম বা নারী অবমাননা বা এরকম আর কোন কাঠগড়ায় তুলতে পারলাম না। বরং নুসদিনের পুরো পোস্ট পড়ার পরে আমার কাছে মনে হয়েছে, যারে দেখতে নারি...-র সুর বিদ্যমান আগাগোড়া। এমনকি মন্তব্যে মাসকাওয়াথ আহসানের সাথে আপনার বাক্যালাপের টোনটাও খুব চোখে লাগলো।

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, আপনার আগের পোস্ট, সাংবাদিক সংক্রান্ত যেটা, পড়ে খুবই মজা পেয়েছিলাম, ডেকে এনে আরও দুয়েকজনকে পড়িয়েছি। এবারে সেটা হলো না। মন খারাপ

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

এমনকি মন্তব্যে মাসকাওয়াথ আহসানের সাথে আপনার বাক্যালাপের টোনটাও খুব চোখে লাগলো।
ভাইয়া, মাসকাওয়াথ হাসানের টোনটা কী আপনার চোখে পরলো না? আমি কী ওনাকে কিছু বলেছিলাম? সবার সবকিছু ভালো নাও লাগতে পারে। ব্যাপার না হাসি

নুসদিন।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নুসদিন ভাই/আপু, আমি আসলে কনফুসিয়াস ভাইয়ার মত ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারিনি- তাই, মন্তব্য থেকে এতক্ষণ বিরত ছিলাম। কিন্তু ওনার মন্তব্যর সাথে আমি শতভাগ সহমত।

...দেখেন ভাই, আপনার উপর তো কারো কোন ব্যক্তিগত ক্ষোভ নেই। আপনার বিগত লেখাটা অনেকেই আগ্রহ নিয়ে পড়েছেন, সকলের ভালোও লেগেছে। প্রথমালোর আনিসুল হকের লেখাটা ভালো লাগেনি- আমারও, অনেকেরই, আপনারও। আপনার লেখায় আপনি আপনার যে মূল মতামত ব্যক্ত করেছেন- তার সাথে সহমত, আনিসুল হকের সতর্কতর হওয়া উচিত।

মাসকাওয়াথ ভাইয়ার উত্তরের ধরণ তীব্রভাবে অপছন্দ হয়েছে অনেকের, আমারও। অনেকে সেটা বলেও গিয়েছেন। কিন্তু, সত্যি বলছি ভাইয়া, আপনার কিছু মন্তব্যও আমার বেশ রুক্ষ বলে মনে হয়েছে- নীচের একটি মন্তব্যে মুর্শেদ ভাইয়ার প্রতিক্রিয়া লক্ষ করুন- সত্যিই ভালো লাগেনি।

... যাজ্ঞা, ছোট মানুষ- ভুল কিছু বললে নিজগুণে ক্ষমা করে দিয়েন। আপনার পরের লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

শুভেচ্ছা।

_________________________________________

সেরিওজা

নুসদিন [অতিথি] এর ছবি

হেপরের লেখা আর আসবে না ভাইয়া, সে গুলাও তো আনিসুল হকের মত লোকদেরই সমালোচনা। আনিসুলের হক যা বলেছেন সেটা বেশিরভাগ মানুষের কাছে নিছক রম্য। আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটাকেও রম্য বলে রিফিউট করা যাবে। শুধু শুধু একই কথা আবার লিখে কী লাভ। আমার কোন মন্তব্য যদি আপনার রুক্ষ মনে হয়ে থাকে সে জন্য দুঃখিত। জ্বীনের বাদশাহকে করা সেই কমেন্ট এর জন্যও আমি সকালেই এসে দুঃক্ষ প্রকাশ করেছি, কিন্তু সেটা কারো চোখে পড়লো না। কিন্তু যদি মি. মাসকাওয়াথকে করা আমার মন্তব্যে দুঃক্ষ পেয়ে থাকেন তাহলে কিছু বলার নাই। ওনার উস্কানিমূলক আচরণ কারো চোখে পড়লো না, মাঝখান দিয়ে আমাকে ঔদ্ধত বলে দেয়া হল। মাসকাওয়াথ আহাসানের করা সেই মন্তব্য গুলার কারণেই তখন আমি মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে জ্বীনের বাদশাহকে সেই কথাটা বলেছিলাম।

নুসদিন আপনার লেখা আর ঝগড়া পড়ে খুব মজা পেলাম। শুধু শরৎকালেই দেখতাম তাকে পদ্ম আর শাপলা-র বেসাতি করতো।
এই ধরণের ব্যঙ্গাতক ব্যক্তিগত আক্রমণ করে আমাকে ঝগড়াটে বলায় কয়জন এসে প্রতিবাদ করেছে? কিন্তু যখন আমি উত্তর দিলাম মুর্শেদ ভাই এসে বললো। থাক আর কথা না বাড়াই। ভালো থাকেন হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

জ্বীনের বাদশাহকে করা সেই কমেন্ট এর জন্যও আমি সকালেই এসে দুঃক্ষ প্রকাশ করেছি, কিন্তু সেটা কারো চোখে পড়লো না। কিন্তু যদি মি. মাসকাওয়াথকে করা আমার মন্তব্যে দুঃক্ষ পেয়ে থাকেন তাহলে কিছু বলার নাই। ওনার উস্কানিমূলক আচরণ কারো চোখে পড়লো না, মাঝখান দিয়ে আমাকে ঔদ্ধত বলে দেয়া হল।
এইখানে কয়েকটা পয়েন্ট আছে, ভালো করে খিয়াল করবেন আশা রাখি।

পয়েন্ট নাম্বার একঃ দুঃখ প্রকাশ করলেই আপনার পূর্ব প্রকাশিত ঔদ্ধত্য অমায়িকতায় রূপান্তরিত হয়ে যায় না। বরং উলটোটা প্রমাণিত হয়। আপনি যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন, সেটা আপনি নিজেই জাস্টিফাই করে গেলেন। এর পরেও বলেন আপনি 'কোথায়' ঔদ্ধত্য আচরণ করেছেন সেটা দেখাতে, যাতে আপনি 'শিখতে' পারেন? তাহলে বলবো, সচলায়তনে কেউ আপনার শিক্ষকের দায়িত্ব করার মহান ব্রত নিয়ে বসে নি। ঐ কাজটা অর্থাৎ মানুষের সাথে কথা বলার ন্যুনতম ভদ্রতা জ্ঞান পরিবার থেকে শিখে আসুন আগে, তারপর নাহয় এখানে সবার মাঝে ব্লগিং করবেন।

পয়েন্ট নাম্বার দুইঃ আপনি মি. মাসকাওয়াথকে খুজাপেজ এর সাথে ধারাপাতের সংখ্যা লাগিয়ে বললেন নাকি ডেকে চা-সিঙ্গারা খাওয়ালেন, দ্যাটস নান অফ মাই বিজনেস। আমার বিজনেস হলো, আপনি একজন সচলের সাথে ঠিক 'কীভাবে' মিথষ্ক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন! মনে রাখবেন, এই সচলায়তনে আপনার চেয়ে একজন পূর্ণ সচল অনেক বেশি অধিকার সংরক্ষণ করেন। আর আপনি ধাম করে সেরকম একজনকে বেয়াদবের মতো সম্বোধন করতে পারেন না। ট্রাই টু লার্ন সাম ম্যানার। এটা ভবিষ্যতে একজন মি. এক্স এর সাথে কথা বলার সময়ে কাজে দিবে।

পয়েন্ট নাম্বার তিনঃ মাঝখান দিয়ে আপনাকে উদ্ধত বলা হয় নি। বলা হয়েছে যথোপযুক্ত কারণেই। নিবন্ধিত সচল হরফ এর মন্তব্যের জবাবে আপনার ব্যঙ্গশ্ল্যাশাত্বক 'চউক্ষে পানি আয়া পড়লো' টাইপের কথা আর যাই হোক, সচলায়তনে দুই পোস্ট দেয়া একজন সম্মানিত অতিথি সচলের সাথে যায় না! বোধকরি, সচল অনেকদিন থেকেই পড়েন আপনি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে আগাগোড়া ভুল বুঝে আছেন সচলকে নিয়ে। পরেরবার সচলে পোস্ট বা কমেন্ট করার আগে নীড় পাতায় জ্বলজ্বল করতে থাকা একটা লিংক, "অতিথিদের জন্য" তে ক্লিক করে তার বক্তব্য ভালো করে আত্নস্থ করে নিবেন।

পয়েন্ট নাম্বার চারঃ বাংলাব্লগে রাগীমন সিন্ড্রোম বলে একটা বহুল প্রচলিত টার্ম চালু আছে। আমি বলছি না আপনার মধ্যে তীব্রভাবে সেই জিনিস পরিলক্ষিত হচ্ছে, কিন্তু সবার ধারণা আমার মতো নাও হতে পারে। যেমনটা আপনি বললেন, কে, কী থেকে কী নিবে, সেইটা তো আর কেউ বলতে পারে না!

পয়েন্ট নাম্বার লাস্টঃ 'আনিসুল হকের ওই লেখা শিশুরা পড়লে দুষ্টু হয়ে যাবে ব্লা ব্লা ব্লা' পড়ার পর আপনার ব্যাপারে ধারণা পাল্টে যেতে পারে জনগণের। যেটা আমজনতা বারবার পড়ার পরেও এমনকি আপনার গাইডলাইন নিয়েও বুঝে না, আপনি সেইটা বুঝেন! কী তামশা, না! দুনিয়া বড়ই রঙ্গময় জায়গা আসলে।
তা পেপার টেপার পড়েন তো, নাকি কেবল নামেই আপনি হবু-সাংবাদিক? ছোটবেলা থেকেই পেপারে খুন-জখম-হত্যা-মানুষের প্রতি অত্যাচার পড়ে পড়েই এতো বড় হলাম! রেসিস্ট, ধর্ষক, খুনী হয়ে পড়েছি বলে তো মনে হচ্ছে না। আনিসুল হকের ভাঁড়ামোর চেয়েও ভয়ানক ক্ষতিকর খবর পড়েছি, পড়ছি পেপারে। সেগুলোর দিকে দৃষ্টি গেছে কখনো আপনার? নাকি এখন শীর্ষ স্থানীয়, নেতৃস্থানীয় সব পেপারে সুন্দর ফুল-ফল আর মিঠা নদীর পানির বয়ান হয় যে তার মাঝে আনিসুল হকের এই লেখাটা শিশু কিশোরদের মনোভাব পরিবর্তন করে 'রেসিস্ট' বানিয়ে ফেলার মতো ভয়ঙ্কর হয়ে গেলো!

মানুষকে সাদা মানুষ, কালো মানুষ, এশীয় মানুষ, আফ্রিকান মানুষ, বালছাল মানুষ- এই টাইপের ট্যাগ না করতেই শিখছি। মানুষকে কেবল মানুষ হিসেবে পরিচিত করতে শিখছি। এইটা আলু-কালু পেপার, প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক আনিসুল হক কিংবা হইতে যাওয়া বিখ্যাত সাংবাদিক নুসদিন শিখায় নাই। এইটা শিখাইছে মানসিকতা। এইটা শিখাইছে আমার আশেপাশের মানুষজন। তবে একটা ব্যাপারে কপাল বেশ ভালোই বলা যায় আমার। সেইসব মানুষজনের মধ্যে আপনার মতো এক্সরে বুঝ সম্পন্ন কোনো অতিমানব আছিলেন না।

আপনার সাথে কথা বাড়ানোর কোনো আগ্রহ ছিলো না আমার, থাকার কথাও না। আমি নিতান্ত সাধারণ মানুষ, আপনার মতো অতিবুঝনঅলা মানুষের সাথে কথা বলার যোগ্যতা আমি রাখি না। কিন্তু সুহানের মন্তব্যে আপনার করা বক্রোক্তির কারণে কিছু কথা না বলে থাকা গেলো না। গুস্তাখি মাফ করবেন। আর ঐযে বললাম, নেক্সট টাইম মন্তব্য এবং পোস্টের আগে অতিথিদের জন্য লিংকটা পড়ে আত্মস্থ করবেন আমার মতো অতি সাধারণ মানুষের এ জাতীয় মন্তব্য এড়াতে। কেমন!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

হিমু এর ছবি

এই কমেন্টে ব্যক্তি আক্রমণ করার জন্যে আপত্তি জানালাম।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

সচলায়তনে কেউ আপনার শিক্ষকের দায়িত্ব করার মহান ব্রত নিয়ে বসে নি। ঐ কাজটা অর্থাৎ মানুষের সাথে কথা বলার ন্যুনতম ভদ্রতা জ্ঞান পরিবার থেকে শিখে আসুন আগে, তারপর নাহয় এখানে সবার মাঝে ব্লগিং করবেন।

মনে রাখবেন, এই সচলায়তনে আপনার চেয়ে একজন পূর্ণ সচল অনেক বেশি অধিকার সংরক্ষণ করেন। আর আপনি ধাম করে সেরকম একজনকে বেয়াদবের মতো সম্বোধন করতে পারেন না। ট্রাই টু লার্ন সাম ম্যানার। এটা ভবিষ্যতে একজন মি. এক্স এর সাথে কথা বলার সময়ে কাজে দিবে।

নিবন্ধিত সচল হরফ এর মন্তব্যের জবাবে আপনার ব্যঙ্গশ্ল্যাশাত্বক 'চউক্ষে পানি আয়া পড়লো' টাইপের কথা আর যাই হোক, সচলায়তনে দুই পোস্ট দেয়া একজন সম্মানিত অতিথি সচলের সাথে যায় না!

তা পেপার টেপার পড়েন তো, নাকি কেবল নামেই আপনি হবু-সাংবাদিক?

এইটা আলু-কালু পেপার, প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক আনিসুল হক কিংবা হইতে যাওয়া বিখ্যাত সাংবাদিক নুসদিন শিখায় নাই। এইটা শিখাইছে মানসিকতা। এইটা শিখাইছে আমার আশেপাশের মানুষজন। তবে একটা ব্যাপারে কপাল বেশ ভালোই বলা যায় আমার। সেইসব মানুষজনের মধ্যে আপনার মতো এক্সরে বুঝ সম্পন্ন কোনো অতিমানব আছিলেন না।

আপনার মতো অতিবুঝনঅলা মানুষের সাথে কথা বলার যোগ্যতা আমি রাখি না। কিন্তু সুহানের মন্তব্যে আপনার করা বক্রোক্তির কারণে কিছু কথা না বলে থাকা গেলো না। গুস্তাখি মাফ করবেন। আর ঐযে বললাম, নেক্সট টাইম মন্তব্য এবং পোস্টের আগে অতিথিদের জন্য লিংকটা পড়ে আত্মস্থ করবেন আমার মতো অতি সাধারণ মানুষের এ জাতীয় মন্তব্য এড়াতে। কেমন!

মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আমার পোস্টে আমি কাউকে পরিবার তুলে বা ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। যারা যারা মন্তব্য করেছেন তাদেরকে আমার যুক্তিটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যার সাথে আমার মন্তুব্যে উদ্ধত প্রকাশ পেয়েছে তার কাছে যেয়ে ক্ষমাও চেয়েছি। এইভাবে আমাকে আমার পরিবার টেনে এনে মন্তব্য করা, পূর্ণ সচল মাত্রই একজন অতিথিকে যা ইচ্ছা তা বলতে পারার অধিকার আছে বলা, দুই পোস্টের লেখক, হবু সাংবাদিক, বিখ্যাত সাংবাদিক, এক্সরে বুঝ সম্পন্ন কোন অতিমানব, যুক্তি দেয়াকে বক্রোতির সাথে তুলনা করে ব্যঙ্গ করায় হতভম্ব হয়ে গেলাম। এখন আমার কী করণীয় বলে আপনারা সাজেস্ট করেন?

নুসদিন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কার কাছে সাজেশন চান? এই 'আপনারা'র মধ্যে আমিও আছি? তাইলে তো সাজেশন দেয়াই হয়েছে আমার আগের মন্তব্যে। "অতিথির জন্য করণীয়" পড়ুন মন দিয়ে। সচলের পোস্ট, মন্তব্য-প্রতি মন্তব্য খেয়াল করুন, মন দিয়ে হৃদয়ঙ্গম করুন। তারপর এখানে লেখা চর্চা করুন। এটাই আপনার জন্য করণীয়।

আর এই পোস্টে আগাগোড়া সচলদের প্রতি চড়াও হয়ে, মন্তব্যে নিজের 'ড্যাম কেয়ার ভাব' প্রকাশ করে, একাধিক পূর্ণ সচলকে যাচ্ছেতাইভাবে বলে এখন আমার নামে নালিশ করছেন

পূর্ণ সচল মাত্রই একজন অতিথিকে যা ইচ্ছা তা বলতে পারার অধিকার আছে বলা, দুই পোস্টের লেখক, হবু সাংবাদিক, বিখ্যাত সাংবাদিক, এক্সরে বুঝ সম্পন্ন কোন অতিমানব, যুক্তি দেয়াকে বক্রোতির সাথে তুলনা করে ব্যঙ্গ করায় হতভম্ব হয়ে গেলাম
এরকম বলে! আপনাকে কেউ যাচ্ছেতাইভাবে বলে নি। হয়েছে উল্টোটা। দেখা যাচ্ছে এই পোস্টের বেশ কিছু মন্তব্য উধাও হয়ে গেছে। কিন্তু চিন্তার কারণ নেই। স্ক্রিনগ্র্যাব করা আছে। আশাকরি শব্দ নিয়ে খেলবেন না। টুইস্টও করবেন না আমার কোনো বক্তব্যের। আপনাকে ব্যক্তিআক্রমন করা হয় নি। আপনি যে অতিথি হিসেবে আপনার সীমাবদ্ধতার লাইন ক্রস করেছেন, সেটা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে মাত্র। এই অপছন্দনীয় কাজটা আমাকেই করতে হয়েছে, এটা দুঃখজনক।

এই লাইন যদি আপনি নিজে থেকে দেখে, মেনে চলতে না পারেন। তাহলে দেখবেন প্রতি পদে পদে কেউ না কেউ এসে আপনাকে সেটা দেখিয়ে দিচ্ছে। কয়জনের নামে, কয়জনের কাছে 'নিজের করণীয়' জানতে চাইবেন?



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

নীল-মডু এর ছবি

প্রিয় ধূসর গোধূলি,

ওপরে মন্তব্যে নুসদিনের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আপনি সচলায়তনের ঠিকানা contact অ্যাট sachalayatan.com বরাবর মেইল করে তিনদিনের মধ্যে জানান, কীভাবে এই পোস্টে পোস্টলেখকের পরিবার, তার পেশা কিংবা সচলায়তনে তার লেখা পোস্টের সংখ্যা সম্পর্কে আপনার মন্তব্য প্রাসঙ্গিক।

আপনার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে ব্যক্তি আক্রমণের কারণে আপনার অ্যাকাউন্টটি সাতদিনের জন্যে মডারেশনের আওতায় নেয়া হবে।

"অতিথিদের জন্যে" পোস্টটি আপনাকেও মনোযোগ দিয়ে পাঠ করার অনুরোধ রইলো।

ধন্যবাদ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আনিসুল হকের লেখাটা উত্তরাধুনিক রম্য হইছে। লেখাটা তরল এবং পিচ্ছিল। এইসব পিচ্ছিল জিনিস নিয়া নিজেরা আলোচনা করতে গেলে লস। কারণ, যে যেভাবে বুঝবে, সেখান থেকে তাকে নড়ানো যাবে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হরফ এর ছবি

নুসদিন আপনার লেখা আর ঝগড়া পড়ে খুব মজা পেলাম। আমার ছোটবেলায় দাদু-র পাড়ায় দেখা এক শাপলা দিদি ছিল, ডাগর-ডাগর চোখ, নাকে নোলক, অনভ্যস্ত রাঙা পেড়ে ডুরে শাড়ি পরা একটা ছোট মেয়ে। শুধু শরৎকালেই দেখতাম তাকে পদ্ম আর শাপলা-র বেসাতি করতো। ভারি মিষ্টি লাগতো আমার। আজ এত বছর পর, হাজার হাজার মাইলের দূরত্বে বসে তার কথা মনে পড়লো আপনার লেখা পড়ে। ঈদ শুভ হোক, ভাল থাকুন।

"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার প্রতি আপনার শ্রদ্ধাবোধ দেখে চউক্ষে পানি চলে আসলো।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই ধরনের মন্তব্য ছাড়া হচ্ছে দেখে অবাক হলাম!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হরফ এর ছবি

আই রেস্ট মাই কেস হাসি
----------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

রেসিজম, সাংবাদিকের ভূমিকা, প্রচারমাধ্যমের কাছে প্রত্যাশিত সতর্কতা, এবং অডিয়েন্সের 'ওভাররিঅ্যাকশন' ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্বকাপ নিয়ে আমার পুরান একটা পোস্টের বিভিন্ন মন্তব্যে (৬,১৮) কিছু কথা বলসিলাম। 'ওভাররিঅ্যাক্ট' করাটা আমার কাছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঙ্গতই মনে হয়। দরকার আছে।

আনিসুলকে নিয়ে যে এত কথা বলা হয়, তার মূল কারণ সম্ভবত আনিসুলের প্রতিভা না, প্রতিপত্তি। নুসদিনের স্পিরিটকে সমর্থন জানায়া গেলাম।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। একজনও যদি বুঝতে পারে ব্যাপারটা তাতেও আমি খুশি।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ভুলা বুঝার স্কোপ থাকতে পারে। ক্ল্যারিফাই করি। আপনি একজন মন্তব্যকারীর মন্তব্যের জবাবে যে 'না বুঝলে আবার পড়েন' বলসেন, সেটা আমার কাছে ওভাররিঅ্যাক্ট মনে হইসে। এবং সেইটায় আমি সমর্থন জানাই নাই। আমার মন্তব্যটা আনিসুলের লেখার সাপেক্ষে আপনার পোস্ট সম্পর্কে। ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, ২৩.১ নাম্বার মন্তব্যটা দেখেন। আমি কিন্তু বলেছি যে আমার ভুল হয়েছে, ওইভাবে বলা ঠিক হয়নি। বুঝিয়ে বলা উচিত ছিল।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বস, 'মৌলবাদী'- তা সে প্রগতিশীলই হোক আর ধর্মীয় গোড়াই হোক, দুইটারেই সাইড লাইনের বাইরে রাখা জরুরী। আর যে কোনো কিছুতে 'রিয়্যাক্ট' করলে ঠিকাছে, 'ওভাররিঅ্যাক্ট' করলে কোনো কিছুই ঠিক নাই। এর ফলে আসল ঘটনাই হারিয়ে যেতে পারে ওভাররিঅ্যাক্টের ঠেলায়!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হুম, আপনের কথায় যুক্তি আছে।

কিন্তু কোনটা কার চোখে কেন 'ওভাররিঅ্যাক্ট' লাগতেসে এইটাও দেখার বিষয়।
ধরেন, পরীক্ষায় ফেল করসি আব্বা কিছু বলল না। ঝিম মাইরা বইসা থাকল। এরপর টেবিলক্লথে ঝোল ফেলানোর জন্য খাইলাম বিশাল ঝাড়ি। এখন এইটা ঝোলা ফেলানো সাপেক্ষে ওভাররিঅ্যাকশন কিন্তু ফেল করার সাপেক্ষে আবার ঠিকাসে। এইরকম পারিবারিক সিচুয়েশন হয়।

আবার, অনেক রিঅ্যাকশন আমার কাছে ওভার রিঅ্যাক্ট লাগবে, আবার আপনের কাছে লাগবে নাম এমনও তো হইতে পারে। তারপরও, মোটামুটি একটা ইউনিভার্সাল ইয়ার্ডস্টিক নিশ্চয়ই আছে। কি জানি ...

"আসল ঘটনাই হারিয়ে যেতে পারে ওভাররিঅ্যাক্টের ঠেলায়" - আপনার এই বক্তব্যের সাথে 'স্ট্র্যাটেজিকালি' একমত।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আপাতত ইয়ার্ডস্টিক হিসেবে আপনার করা আগের মন্তব্যটাই ধরি না কেনো! আপনি যে 'ওভাররিঅ্যাকশন'কে সমর্থন করলেন, সেটাও তো একটা ওভাররিঅ্যাক্টই হলো, যে কেনো সাপেক্ষেই।

টেবিলক্লথে ঝোল ফেলা আর পরীক্ষায় খারাপ করার পরে বাবার হাতে মার খাওয়াটা ওভাররিঅ্যাক্ট না, ঐটা খুব স্বাভাবিক রিঅ্যাকশন। কিন্তু বাপ যদি মাইর না দিয়ে ফৌজদারী আইনে মামলা করে দিতো, সেইটা হতো ওভাররিঅ্যাকশন।

ওভাররিঅ্যাক্ট না করে কেবল খুব স্বাভাবিক রিঅ্যাক্ট করেই আনিসুল হকের স্যাটায়ার/উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লেখাটার সমালোচনা করা যায়, যেমনটা বলাই'দা মন্তব্যে করেছেন। স্বয়ং আনিসুল হকের নিজেরও সাধ্য নাই এই মন্তব্য রিফিউট করে।

আর প্রসঙ্গতঃ বলে রাখি, আনিসুল হকের লেখাটা এবং এই পোস্ট পড়ে কয়েকজন যে রিলেট করতে অসমর্থ্য হয়েছেন, ওভাররিঅ্যাকশনের কথা বলেছেন, আমি তাঁদের দলেই পড়ি। তবে অন্যদের কথা জানি না, এতে আমার নিজেরই ব্যর্থতা মনে হয়। এই পোস্টের লেখক অনেক কিছুই বুঝেছেন আনিসুল হকের লেখাটা পড়ে। যেটা আমি বুঝি নি। এটা অবশ্যই আমার সীমাবদ্ধতা হবে।

বলাই বাহুল্য, একাধিক সচল-হাচলের মন্তব্যের জবাবে সম্মানিত অতিথি লেখকের মধ্যে বেশ ঔদ্ধত্যের উপস্থিতিও দেখলাম। যেটা দেখতেও ভালো লাগলো না।



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি কোথায় কোথায় ঔদ্ধত্য দেখিয়েছি আমাকে একটু বলেন। ভুল না ধরিয়ে দিলে শিখবো কিভাবে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বস, আমি বলসি কোনো কোনো ক্ষেত্রে - ইন জেনারেল। আর অতিথি লেখকের প্রতিমন্তব্যেও প্রতিক্রিয়া দিসি উপরে।

আমার কমেন্টের মূল অংশ ছিল এইটা:
"আনিসুলকে নিয়ে যে এত কথা বলা হয়, তার মূল কারণ সম্ভবত আনিসুলের প্রতিভা না, প্রতিপত্তি।"


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ঘুমকাতুরে [অতিথি] এর ছবি

@রেশনুভা ব্যক্তিগত আক্রমনে যাচ্ছেন কেনো ????

পোষ্টটা ভালো লাগলো...... হাসি
তবে মন্তব্যগুলো এখন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে ...... ইয়ে, মানে...

- ঘুমকাতুরে

রণদীপম বসু এর ছবি

পোস্ট থেকে শুরু করে সবগুলো মন্তব্যই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।

যে কোন পোস্টেই পোস্টের সাপেক্ষে মন্তব্যগুলোও যে কোন অংশে খাটো নয়, বরং অধিকতর গুরুত্ববহ সেটাই হয়তো আমরা অনেকে ভুলে যাই। কারণ মন্তব্যই আমাদেরকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে। মন্তব্যের সুযোগ না থাকা প্রিন্ট মিডিয়া আর ব্লগের মধ্যকার অন্যতম প্রধান পার্থক্য কি এটা নয় ?
আর লেখক হিসেবে পাঠকের মন্তব্যের উত্তর-প্রতিউত্তর করার মধ্যে মনে হয় যথেষ্ট সংবেদনশীলতা লুকিয়ে থাকে। এটাও একটা আর্ট হতে পারে। আমরা কি এদিকেও একটু যত্নবান হওয়ার চেষ্টা করতে পারি ? অন্তর্জাল আমাদেরকে শেখার অনেক সুযোগ করে দিয়েছে !

যে লেখা পাঠকভেদে ভিন্ন ভিন্ন উপলব্ধি তৈরি না করে লেখকের অনুভূতিকেই কেবল কপি করে, এবং লেখকও তা-ই চান, সেই চাওয়া দূরগামী হয় না বলেই আমার বিশ্বাস। সেখানে আসলে লেখকের কোন প্রাপ্তি নেই, পাঠকের তো নেইই। আমার ধারণায় পাঠকের উপলব্ধিকে কুড়িয়ে নেয়াই তো লেখকের অন্যতম কাচামাল হওয়া উচিত ! যত বেশি ভিন্নমতের বিচিত্রতা, ততই প্রাপ্তির অভিজ্ঞতা ! সবার দেখার চোখ এক নয়, রসোপলব্ধিও ভিন্ন। এটা কখনোই নেতিবাচক নয়, চূড়ান্ত বিচারে ইতিবাচক। তাই সহনশীল হয়ে পাঠকমত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া লেখকের দায়িত্বের অংশ হওয়াটাই বিবেচনাবোধের পরিচয় বলে আমার ধারণা। আশা করি এই মন্তব্যকে একান্তই আমার নিজস্ব মতামত হিসেবেই বিবেচনা করবেন। ভিন্নমতের অধিকার তো সবারই রয়েছে !

ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসিব এর ছবি

মডারেটরদের কাছে এই পোস্টে মন্তব্য বন্ধ করে দেবার অনুরোধ থাকলো।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সহমত
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মেঘলা [অতিথি] এর ছবি

...আপনার এই লেখাটা পড়ে আমার একটা ছোট বেলার আফসোস এর কথা মনে পড়লো, আগে মনে হোতো সাহিত্য math এর মতো না কেন, যার একটাই সমাধান possible?...কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম, আসলে সাহিত্য math না, একি লেখা একেক জনের একেক রকম লাগবে, আর এইটাই সাভাবিক, তাই একটা গল্পো পরে আমি কি ভাবলাম, সেটাই সবাইকে ভাবতে হবে এটা আশা করা একটু বাড়াবাড়ি, এই একি গল্পো পড়ে কেউ হয়তো খুবই মজা পেয়েছে, আবার কেউ হয়তো আপনার মতো বিরক্ত...এটা পাঠকের অধিকার। আর রম্য লেখার ধরন টাই এরকম...ধরুন পাঠান দের বোকামি নিয়ে generalize করে অনেক জোকস আছে, কিন্তু আসলেই কি সব পাঠান এতো বোকা? (আমি আমার uni'r কিছু পাঠান কে চিনি, বলতে দিধা নেই, যারা তাদের কে বোকা বলবে তারা আসলেই বোকার রাজ্যে আছে) সবাই এইগুলোকে কিন্তু মজা হিসেবেই নিয়েছে, (এমনকি পাঠান রাও আমার ধারনা!), কেউ কেউ হয়তো এটা নিয়ে serious হবে, but as it is a jokes, so no one will dig deep! মেয়েদের ছোট করে অনেক কথা সাহিত্য বলে, একি ভাবে ছেলেদের generalize করেও কিন্তু কম জোকস নেই...

...আপনি racist comment এর কথা বললেন, আনিসুল কি প্রথম, যে বাংগালি দের নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন? আমার দেশে আপনি একটা সমস্যা নিয়ে থানায় যান, আর একটা বিদেশি একি প্রব্লেম নিয়ে যাক, আপনি নিজেই রেসিস্ট আচরন দেশে পেয়ে যাবেন। এর কারন কিন্তু শুধু চামড়ার রঙ এর প্রতি ভালোবাসা না, বরং, তারা জানে তাদের দেশ এর সরকার, তাদের নাগরিক দের সম্মান সব দেশে হচ্ছে কিনা এতা নিয়ে সচেতন, এটা বাংলাদেশ এর সরকার না, যে তার দেশের নাগরিক অন্য দেশে গিয়ে হাজার প্রব্লেম এ প্রলেও নিরবিকার থাকবে...
যেমনটা আরিফ জেবতিক বল্লো, আপনি বাইরে কোথাও যান, তখন আসলেই বুজবেন, সবুজ passport এর sufferings, পরিষ্কার হবে, আপনি আর আমেরিকার একটা লোক একনা...

আর সবচাইতে বড়ো কথা হলো, আপনার প্রতিউত্তর অনেক সময় ভালো লাগেনি...

মেঘলা [অতিথি] এর ছবি

সেকি, আমি যা বলার রন্দিপম দা আগেই বলে দিয়ে গেলেন...ঃ)

নাশতারান এর ছবি

কাগজে সেদিন লেখাটা চোখে পড়েছিলো। গরজ করি নি। আপনার লেখাটা পড়েও ঢুঁ দিই নি। তর্ক-বিতর্কের এই দীর্ঘ শিকল দেখে শেষতক পড়েই এলাম। এবার কিছু কথা বলি।

১।

বাঙালি মারলে জরিমানা হবে না, কিন্তু একটা সাদা মারলে খবর আছে

আমার কাছে সারকাজম মনে হয়েছে, রেসিস্ট মনে হয় নি। কারণ এটা একটা নির্মম সত্য।

২।

ওনার এই লেখাটা হয়তোবা কোন স্কুল পড়ুয়া বাচ্চা আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করলো, ওর মনে কী এই ধারণার জন্ম হবে না যে সাদা মাত্রই মহান আর বাঙালি এতই পানিতে পড়ে গেছে যে মরে গেলেও কারো কিছু যায় আসে না?

এ অংশটুকু ছেলেমানুষি মনে হয়েছে। কোন নায়কের কোন নায়িকার সাথে স্ক্যান্ডেল এসব কেচ্ছাও পত্রিকায় ছাপানো হয়। কোনো বাচ্চা যে আগ্রহ নিয়ে সেগুলো পড়বে না তার নিশ্চয়তা কী? ফেয়ার লাভলির বিশাল বিশাল বিজ্ঞাপন পত্রিকার অনেকখানি অংশ জুড়ে থাকে। বাচ্চারা শৈশব থেকেই এগুলো দেখে দেখে বর্ণবাদ লালন করতে শেখে, তার কী হবে?

২। আনিসুল হক যে রবিকে মেটাফর হিসেবে দেখিয়ে মুসার কাহিনি বর্ণনা করেছেন সেটা আপনি না বললে চোখে পড়ত না। বিরক্ত হয়েছি। কী আর বলব?

৩। স্বামী যা বলবে প্রশ্নহীন বিশ্বাস করবে, ঘরে ঘরে এমন স্ত্রী তিনি চাইতেই পারেন। যেমনটা তিনি চান মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট বিজয় সবাই প্রশ্নহীন বিশ্বাস করুক।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অতিসাধারন সচল হিসেবে একটা অনুরোধ রাখিঃ-
এই পোষ্টে কিংবা অন্য কোন পোষ্টে যখন তর্ক-বিতর্ক হয় তখন যেনো আমরা সকলেই সচেতন থাকি একটা প্রাইমপয়েন্টের, যে পয়েন্টের পরে আসলে তর্ক-বিতর্কে নতুন কিছু যোগ হয়না কেবল কুতর্কের একটা ঘুর্ণাবৃত্ত তৈরী হয়। ঐ পয়েন্টে এসে থেমে যাওয়াটা দরকার।
শেষপর্যন্ত এইসব কিছু লেখালেখি কিংবা মতপ্রকাশ মাত্র। হাডুডু খেলা তো নয় যে একদলকে জিততেই হবে,একদলকে হারতেই হবে।

পোষ্টদাতা, মন্তব্যদাতা, সহমত,দ্বিমতকারী সকলেই যদি আরেকটু দায়িত্বশীল হন তাহলে অযাচিত পরিস্থিতি তৈরী হয়না, মডারেটরদেরও অপ্রিয় একশনে যেতে হয়না।
দিনের শেষে সেই আমরা আমরাই তো, নাকি?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

নাশতারান এর ছবি

একটা প্রাইমপয়েন্টের, যে পয়েন্টের পরে আসলে তর্ক-বিতর্কে নতুন কিছু যোগ হয়না কেবল কুতর্কের একটা ঘুর্ণাবৃত্ত তৈরী হয়। ঐ পয়েন্টে এসে থেমে যাওয়াটা দরকার।
শেষপর্যন্ত এইসব কিছু লেখালেখি কিংবা মতপ্রকাশ মাত্র। হাডুডু খেলা তো নয় যে একদলকে জিততেই হবে,একদলকে হারতেই হবে।

দারুণভাবে সহমত।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নীল-মডু এর ছবি

প্রিয় নুসদিন,

সচলায়তনে আমরা আলোচনার উপযোগী পরিবেশ রক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আপনার মন্তব্য পড়ে প্রতীয়মান হয় যে সচলায়তন সম্পর্কে আপনার কিছুটা ধারণা রয়েছে, কিন্তু তার প্রতিফলন আপনার আচরণে স্পষ্ট হওয়া জরুরি। ভবিষ্যতে মন্তব্যে অংশগ্রহণের সময় আপনি আরো সহিষ্ণুতার পরিচয় দেবেন, এমনটি আশা করা হচ্ছে। আপনার বর্তমান মন্তব্যের ধারা কিছুটা রূঢ় ও অসহিষ্ণু। এমন আচরণ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আপনার মনোযোগ কামনা করা হচ্ছে।

এই পোস্টে মন্তব্যের সুযোগ রহিত করা হচ্ছে।