অন্ধকারে সিগারেট

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১১/২০০৮ - ১১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যতবারই মনে পড়ে তাঁকে, এই অন্ধকারে সিগারেটের ছবিই ভেসে ওঠে মনে। বারান্দায় নিঃশব্দে বসে, কিংবা দাঁড়িয়ে, কিংবা পায়চারি করতে করতে একের পর এক সিগারেট পুড়িয়ে যাচ্ছেন আমার বাবা। দূরের শহর থেকে ঘরে ফিরছে তাঁর কোন সন্তান, রাতের ট্রেনে, যথারীতি ট্রেন লেট। আমার বাবা কোনদিন ঘুম ভেঙে উঠে কাউকে ঘরে ঢুকতে দিয়েছেন বলে মনে পড়ে না, যত রাতই হোক, জেগে অপেক্ষা করেছেন। সেই অপেক্ষার সময়গুলিতে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছে তাঁর সিগারেট আর মশা, আর ঘাপটি মেরে পর্যবেক্ষণে ছিলাম আমি। আমার ভাই বা বোন, যে-ই ফিরুন না কেন, সঙ্গে প্রচুর বই নিয়ে ফিরবেন। তাঁদের ব্যাগ থেকে সেই সব বই বার করে, নেড়েচেড়ে গন্ধ নিয়ে তারপরই আমি ঘুমাতে যাবো, তার আগে নয়। তাই বাইরে নিঝুম শহরের নিস্তব্ধতার বুকে বিলি কেটে যখন কোন রিকশার টুংটাং শোনা যেতো, আমার বাবার পেছন পেছন ছুটে গিয়ে আমিও দরজার পাশে দাঁড়াতাম।

এখন মাঝে মাঝে বিষাদ আর আক্ষেপ নিয়ে ভাবি, সেই সময়ে উঠে কখনো তাঁকে সঙ্গ দেয়া হয়নি। ধমকের ভয়ে নয়, কোন তাগিদই অনুভব করিনি। আমি সারাজীবনে হাতে গোনা কয়েকবার ধমক খেয়েছি আমার বাবার কাছে, মার খাওয়া তো দূরের কথা। তাঁর গম্ভীর, নির্বাক পরিমিতিকেই ভীষণ সমঝে চলতাম, তিনি কোন কারণে রুষ্ট হয়ে শুধু নাম ধরে ডাক দিলে মুড়ির মতো মিইয়ে যেতাম, স্পষ্ট মনে আছে।

কিছুদিন আগে আমার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো। অনেকগুলি বছর পেরিয়ে গেছে, পিতৃবিয়োগের শোক স্তিমিত হয়ে এসেছে সময়ের ব্যস্তানুপাতে, কিন্তু পেছনে তাকালে আর ভাবলে কেবল অনুশোচনা ছাড়া আর কিছু হয় না।

অনুতপ্ত হয়ে তাই অনুভব করি, আমার বাবাকে কখনো জিজ্ঞেস করা হয়নি, তিনি কী চেয়েছিলেন জীবনে। আমার চোখের সামনেই আমার পিতামাতা আমাদের ভাইবোনের জন্যে তাঁদের জীবনকে আক্ষরিক অর্থে বিসর্জন দিয়ে, নিংড়ে শেষ করে দিয়েছেন। আমি জানি না, আমার বাবা সেই বারান্দায় নিঃসঙ্গ রাতগুলিতে কী ভেবেছেন নিজেকে নিয়ে। হয়তো তিনি অবসরের জীবনটাকে অন্যভাবে পেতে চেয়েছিলেন, হয়তো গ্রামে পুকুরে ছিপ হাতে বসে একটা চায়ের ফ্লাস্ক আর দুই প্যাকেট সিগারেট নিয়ে কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এক একটা দিন, হয়তো মেঠো রাস্তায় সাইকেল চালিয়ে দূরে কোন বন্ধুর সাথে আড্ডা মারতে যেতে চেয়েছিলেন, হয়তো একদিন কাউকে না জানিয়ে চুপিচুপি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ঘুরে আসতে চেয়েছিলেন কোন আত্মীয় বা বন্ধুর বাড়ি থেকে, ফিরে এসে জমিয়ে গল্প করার জন্যে।

জানি না। কী যে ছোট হয়ে যাই নিজের কাছে এই অজ্ঞানতার জন্যে! মনে হলো, সারাটা জীবন ধরে তাঁকে আমি, আমরা, ব্যবহার করে গেলাম। যেমন অনায়াসে শ্বাস নিই, তেমন অনায়াসেই তাঁকে পরিবেশের একটি নিত্যব্যবহার্য উপাদানের মতো চিনে নিতে শিখেছিলাম শুধু। অথচ সুযোগ ছিলো আমার অনেক। আমি শুধু বিছানা ছেড়ে উঠে গিয়ে তাঁর পাশে বসতে পারতাম, হয়তো প্রশ্নও করতে হতো না, হয়তো তিনি নিজ থেকেই বলতেন তাঁর খুব ভেতরের স্বপ্নগুলোর কথা।

গার্সিয়া মার্কেজের একটি খুব সত্যি বাক্য আছে, মানুষ তখনই বুড়ো হয়, যখন সে দেখতে তার পিতার মতো হতে শুরু করে। আমার চেহারার সাথে আমার বাবার তেমন সাদৃশ্য নেই, তবুও নিজের ভেতরে তাঁকে হঠাৎ হঠাৎ দেখতে পাই, আর আতঙ্কিত হই বার্ধক্যের পদধ্বনির আশঙ্কায়। আর ইতর স্বার্থপরের মতো অনুভব করি, আমি তাঁর মতো হতে চাই না। তিনি যেমন বেঁচেছিলেন আমাদের জন্যে, তাঁর সন্তানদের জন্যে, তেমনটা আমি হতে চাই না। আমাদের জন্যে যে উৎকণ্ঠা তাঁকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত একটু একটু করে খুঁটে খেয়েছে, তার সংক্রমণ আমার কাম্য নয়। আমি আমার জীবনটা স্বার্থপরের মতো নিজের জন্যে বাঁচতে চাই। যা কিছু আমার পিতার ইন্দ্রিয়ের বাইরে রয়ে গেছে আমার পেছনে খাটতে গিয়ে, তার সবই আমি চাই।

তারপরও আমার ভেতরে তাঁর পাশ ফিরে শোয়া অনুভব করি। দূরে অতীতের অন্ধকারে আরেকটা সিগারেটের আলো জ্বলে ওঠে। রিকশার ঘন্টার পর শুনতে পাই তাঁর মন্দ্র স্বস্তিমাখা স্বর, "আসছো?"

নিজেকে ইতর ছাড়া আর কিছু মনে হয় না তখন। আরো তীব্র শূলবিদ্ধি অনুভব করি, যখন দেখি যে মৃত্যুর পরও এই ব্যক্তিকে ব্যবহার করা বন্ধ করতে পারি না, নিজের কষ্টগুলোতে চোখ শুকনো রেখে রেখে অবশেষে উপলক্ষ্য হিসেবে তাঁকে টেনে আনি। হাতের উল্টো পিঠে চোখ মুছে হয়তো কাউকে বলি, মন ভালো নেই, অনেক বছর আগে এই দিনে আমার বাবা মারা গিয়েছিলেন ...। নিজের ওপর এই ক্ষোভ আরো ঘনীভূত হয় এই ভেবে, আমার পিতা আমার কাছে অন্ধকারে সিগারেটের আগুনটুকুই হয়ে রয়ে গেলেন। তাঁর স্বপ্ন, তাঁর গভীরে লালিত সাধ, তাঁর উচ্চাশা, সবটুকুই সেই আগুনের পেছনে অবয়ব হয়ে আমার চোখে অন্ধকারে মিশে রইলো।

হে পিতা, মুক্তি দিন আপনার ছায়া থেকে। আপনার মতো সন্তানবৎসল উৎকণ্ঠাময় জীবনের উদাহরণ থেকে আমাকে মুক্তি দিন। আপনার মতো আমি চাই না স্বার্থপর সন্তানের পিতা হয়ে অন্ধকারে একাকী বসে থাকতে। আমি বরং হই আমার মতন।


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

মন খারাপ
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

... মাঝে মাঝে কথা খুঁজে পাই না...

দ্রোহী এর ছবি

বলার মত কোন কথা খুঁজে পেলাম না..........


কী ব্লগার? ডরাইলা?

পান্থ রহমান রেজা [অতিথি] এর ছবি

............................................................................................

স্পর্শ এর ছবি

একবার, দুইবার... বারবার পড়ে ফেললাম।
হঠাৎ করে নিজেকেই দেখতে পেলাম যেন।
বাবাকে ব্যবহারই করে গেলাম শুধু, এতগুলো দিন...
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

................................................................................

পলাশ দত্ত এর ছবি

কার জন্য বাঁচতে চান আপনি? নিজের জন্য?

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অমিত আহমেদ এর ছবি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেকটা সময় চুপ করিয়ে বসিয়ে রাখলেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আকতার আহমেদ এর ছবি

পৃথিবীর সব বাবা-মা'র জন্য নতজানু শ্রদ্ধা !

আকতার আহমেদ এর ছবি

পৃথিবীর সব বাবা-মা'র জন্য নতজানু শ্রদ্ধা !

সবজান্তা এর ছবি
কল্পনা আক্তার এর ছবি

বাবাকে হারিয়েছি প্রায় বছর খানেক এলো......তার কথা বলতে গেছে আপনার কথার সাথে একটু হয়তো হের ফের হবে।
আসলে আমরা সবাই কোন কোন ধরণের ইতর-ই থেকে গেলাম...

এখন আছেন মা, মা এমনিতেই আমাদের বন্ধুর মতো, তারপরও সামনের
দিনগুলোতে আরো যত্ন নিবো। তাকে হারানোর পর যাতে অনুভুতিগুলো একটু হলেও যেন ভিন্ন হয়..

আপনার বাবার জন্য শান্তি কামনা করছি।
..............................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

বাবার কথা মনে পড়ে গেল আমারো ...............

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

লিজা এর ছবি

" আরো তীব্র শূলবিদ্ধি অনুভব করি, যখন দেখি যে মৃত্যুর পরও এই ব্যক্তিকে ব্যবহার করা বন্ধ করতে পারি না, নিজের কষ্টগুলোতে চোখ শুকনো রেখে রেখে অবশেষে উপলক্ষ্য হিসেবে তাঁকে টেনে আনি। "
"পৃথিবীর সব বাবা-মা'র জন্য নতজানু শ্রদ্ধা !"

মুস্তাফিজ এর ছবি

বাবা বাবার মতই

...........................
Every Picture Tells a Story

নজমুল আলবাব এর ছবি

সকাল থেকে পড়ছি, কিছু বলতে পারিনা, শুধুই পড়ি।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দেবোত্তম দাশ এর ছবি

মন্তব্য করার সাহস ছিল না, তবু মনে হলো আপনাকে আমার অনেক অনেক ধন্যবাদ জানানো উচিত্,সেই মানুষটার জন্য আমার অসংখ্য শ্রদ্ধা হিমুভাই।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

আলমগীর এর ছবি

আমার বাপে ছিলো মোটামুটি অত্যাচারী। আমার বড় ভাই তার জীবনে যে মার খেয়েছে তার বাঁচার কথা না। সেসবের প্রতিটিই আমার চোখের সামনে। একবার চারহাতপা মোটা রশি দিয়ে বেঁধে ঘরের সিলিংএর পাইরের সাথে ঝুলান, তারপর পেটান। আমি তখন নেহাৎ স্কুলে পড়ি। নিজে যদিও তেমন বড় পিটা খাইনি।

আমাদের জন্মেরও আগে তার উপর দ্বায়িত্ব ছিল ভাতিজীদের পিটানো। চটের ছালা পেচিয়ে কাটা তার দিয়ে পেটানোর কিছু কাহিনী পরে শুনেছি।

সেই দজ্জাল ভদ্রলোক মৃতপ্রায় হয়ে হাসপাতালে পড়ে ছিলেন। তখন সেসব কথা ভুলে গিয়েছিলাম। যে ছেলেকে তিনি অহরহ পিটিয়েছেন সেই ছিল কেবল তার পাশে।

এখন তার সব সন্তানই দূরে। এখনও তিনি বেঁচে আছেন বলে কোন মূল্যায়নে যাচ্ছি না। তবে ফাইভ স্টারের বহু প্যাকেটই আমি দোকান থেকে কিনে এনেছি!

রণদীপম বসু এর ছবি

বড় বেশি নস্টালজিক লেখা !
আবারো শ্রদ্ধা জানাচ্ছি আপনার উপলব্ধিকে এবং এই উপলব্ধি ছড়িয়ে দেবার মতো শক্তিশালি কলমটিকে।
আর কষ্টবোধের জন্য একরাশ নৈঃশব্দ......., যেখানে নিজের মতো করে শব্দ সাজিয়ে নিতে পারেন...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

৭ নভেম্বর বাবার মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। আমার কাছে ব্যাপারটা অলৌকিক মনে হচ্ছে রীতিমতো... ঠিক এরকমটাই একটা লেখা লিখতে যাচ্ছিলাম সচলে... মনে মনে লেখাটা যখন গুছিয়ে নিচ্ছিলাম, লাইনগুলো ঠিক এরকমই ছিল... আমার বাবা যেন আজও এক নিরীহ প্রেতের মতো আমাকে ঘিরে রাখেন...
কিন্তু লেখাটা লিখিও নি, দেইও নি। বাবাকে নিয়ে লেখার যোগ্যতা বোধহয় আমার নেই। আর আমার লেখার সাবজেক্ট বানালে তাঁকে বোধহয় ছোটই করা হবে!
জানি না, সব বাবারাই বোধহয় একইরকম...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মৃদুল ভাই, আমার মনে আছে, অনেক আগে (যতদূর মনে পড়ে- মে'র শেষে বা জুনের শুরুতে) আপনি একটা গল্প লিখেছিলেন, আপনার বাবাকে নিয়ে। মনে থাকার কারণ গল্পটা অসম্ভব ভাল লেগেছিল, আর খারাপ লেগেছিল খুব আপনার জন্য।

লাগছে এখনও। এসব বিষয়ে সান্ত্বনা জানানোর কিছু থাকে না মনে হয়। তবে একটা কথা বলব অবশ্যই- আপনি সেই গল্পেই মনে হয় লিখেছিলেন যে, বাবার কাছ থেকেই অন্যকে ভালবাসার মত অসম্ভব সুন্দর গুণটি পেয়েছেন। শ্রদ্ধা জানাই তাঁকে। আপনি নিশ্চিতভাবেই যোগ্য বাবার যোগ্য ছেলেই হয়েছেন।

ভাল থাকবেন আপনি।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

আলমগীর,
আপনার মা কিছু বলতেন না? বাধা দিতেন না?
আর তার আগে, আপনার জেঠিখুড়ীরা? (যখন ভাতিজীরা ভিকটিম ছিলো? )
আর আপনারা? রুখে উঠতেন না? দৌড়ে পালাতেন না? আমগাছে জামগাছে উঠে পড়তেন না?
(আসলে আমার এইসব প্রশ্ন জাগে কারণ দেখি পশ্চিমী কালচারে বাবামা মারে আর ছেলেপেলে পেতে দিয়ে পড়ে থাকে এইটা বিরল। আত্মরক্ষার ও আত্মসম্মান রক্ষার অধিকার ছেলেপেলেরা নিয়মিত প্রয়োগ করে। শিক্ষকরাও সচেতন। আমাদের পুবের দেশের কালচারে ছোটো থেকেই এই "গুরুজন মানো গুরুজন মানো" করে করে নৈতিক মেরুদন্ড দেয় ভেঙে। পরিণামে আমরা শিখি ক্ষমতাশালীর পদলেহন আর দুর্বলের উপরে অত্যাচার। আমাদের সমস্ত জীবনের ভিত্তিটাই যায় নড়ে। )

আলমগীর এর ছবি

মা, জেঠীদের কারোর শক্তি বা অবস্থান কোনটাই ছিল না বাধা দেয়ার মতো।
পালিয়ে গাছে উঠে কতক্ষণ থাকবে? রাতে শুতে আসতে হবে না?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এসব পোস্টে আসলে বলার কিছুই থাকে না। আপনার অনুভূতিগুলো ছুঁয়ে গেল...
দীর্ঘশ্বাস!
এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি, আপনার জন্য খারাপ লাগছে অনেক। ভাল থাকেন হিমু ভাই... ভাল থাকেন আপনি।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় হিমু, যদি কাসেলে না থেকে এখন ঢাকায় থাকতেন তবে বোধহয় এই গভীর রাতেই আপনার খোঁজে বের হয়ে যেতাম। না, আপনাকে ধন্যবাদ দেবার জন্য না। আপনাকে শাস্তি দেবার জন্য। এই অক্ষম মন্তব্যকারী গত ষোল বৎসরে যে কথাগুলো নিজের মনে পর্যন্ত গুছিয়ে ভাবতে পারেনি আপনি আজ তা গুছিয়ে লিখে দিলেন! এই ব্যাপারটা নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারিনা। এমনকি যারা পিতৃহীন তাদের সাথেও। আমি কাউকেই বোঝাতে পারবোনা কি ক্ষমাহীন ভুল হয়ে গেছে। আমার সন্তানের বয়স নয় বৎসর তবুও এক্ষেত্রে আমার বয়স এখনো ১৯৯২ সালে আটকে আছে। আজ নিজের কাছে নিজেকে কুৎসিত সরীসৃপ বা আবর্জনাস্তুপের কীটের মত মনে হচ্ছে। আমার আজকের রাতটা এবং আরো অনেকগুলো একাকী সময়কে আপনি নষ্ট করে দিলেন হিমু! আমি আপনাকে কীভাবে ধন্যবাদ দিতে পারি?

পুনশ্চঃ আমার কথায় যদি আহত হন তাহলে মুখ খুলে গালি দিন। কারন ওটাই আমার প্রাপ্য।



তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রায়হান আবীর এর ছবি

=============================

নন্দিনী এর ছবি

হিমু,
আপনার লেখাটা পড়ে অনেক দিন পর গলার ভিতর একটা কষ্টের দলা কাঁন্না হয়ে বেড়িয়ে আসলো ভাই মন খারাপ

নন্দিনী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

প্রশ্নগুলো নিজেকে করে চিন্তায় পড়ে গেলাম মন খারাপ

নিঝুম এর ছবি

" কোনদিন আর ফিরে আসবে না " এই বোধটাই বড় কষ্টের , বড় ভয়ানক । কাউকে সান্তনা টান্তনা দিতে পারি না ভাই । মানুষের দুঃখে কি বলতে হয়, তাও ঠিক জানিনা কিংবা গুছিয়ে বলতে পারিনা । বুঝি, বুক থেকে কি যেন একটা উঠে এসে গলায় আটকে আছে । এরই নাম কষ্ট কিনা, কে জানে...
------------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

তানবীরা এর ছবি

প্রতিবার দেশে যাবার আগে ভাবি অনেক অনেক অনেকটা সময় মা - বাবার কাছে থেকে আসব, যেয়ে সেই বন্ধু বান্ধব হৈ হুল্লোড় করে ফিরে আসি, এসে যখন আবার অফিস রুটিন আরম্ভ হয়, তীব্র ব্যাথা হতে থাকে মনে কেন করলাম, আবারো তাই করি। ভাবি লক্ষী হয়ে থাকব, কথা শুনব কিন্তু সেই চেচামিচি রাগারাগি করে ফেলি।

বাবা - মা কি কষ্টে আমাদের ধারন ও লালন করেন নিজে মা না হলে কোনদিন সেটা জানতাম না। নিজে মা হয়ে মায়ের কাছে সত্যিকারের ক্ষমা চেয়েছি। অনেক অন্যায় করি মা তোমার উপড়, স্বার্থপর ছেলেমেয়ে আমরা।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কনফুসিয়াস এর ছবি

........................
.......................
........................

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

মনটা খারাপ হয়ে গেল।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ধ্রুব হাসান এর ছবি

কী যে ছোট হয়ে যাই নিজের কাছে এই অজ্ঞানতার জন্যে! মনে হলো, সারাটা জীবন ধরে তাঁকে আমি, আমরা, ব্যবহার করে গেলাম।

ছোট বেলায় ভাবতাম কেন বড়রা এতো বোঝে? কেন বাবা-মা'রা সন্তানদের জন্য এতো উৎকন্ঠায় ভোগেন? কেন তারা বিকেলে খেলার মাঠ থেকে দেরী করে ফিরলে মুখ ভার করতেন? এখন এসবরই উত্তর জানা; কেবল সমাধানের জন্য সময়টা ফুরিয়ে গেছে! বাবা-মা'র কাছ থেকে দূরে সরতে সরতে আজ এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়েছি আর ছুয়েঁ দেখারও সুযোগ নেই তাদের! মা জানেন, আর যাই করি বাবার মতো সবকিছু আগলে রাখার স্বভাবের কারনে পরিবারের কাউকে কষ্ট দিবোনা কিন্তু মায়ের হাতঁ আর আমার মগজের ধমনি ছুতেঁ পারেনা!

এতোইটাই নিজের মতো করে বাচঁতে শিখেছি যে, মাসের মাসের পর নির্ঘুম রাত কাটলেও কারো সাথে দুদন্ড কথা বলারও ইচ্ছে জাগেনা! আজ ভাবি নিজের মতো থাকতে থাকতে কতোটা দূরে সড়ে এসেছি সবকিছু থেকে, মা-ভাইবোন-পরিবার-বন্ধুজন......! তবে বাবাটা এখনো পিছু ছাড়েনা! এমন কি তার সাথে মাঝেসাঝে এখনো সমঝোতা করে চলতে হয় আমার!

ঐদিন প্রাণপ্রিয় ছোট ভাইয়াটা মনে করিয়ে দিলো বাবার (!) দিনটি আসন্ন। প্রথম কয়েকটা বছর ঐদিনটিকে এড়িয়ে বা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করতাম! কিন্তু আমার পিচ্ছিটার (যদিও ও মাষ্টার্সের ছাত্র) সাথে কথা বললে ঐ প্রসংগ এড়ানো বেশ দুষ্কর! ও যেন বাবার যুবা ভার্সন, এতোটা মিল মানুষে মানুষে কি করে থাকে! ওর মন খারাপ হলে আমাকে ফোন দেয় মাঝেসাঝে, আমি ওরে কি সান্তনা দিবো, নিঃশব্দে অশ্শ্রুপাত করা ছাড়া! ভাগ্য ভালো যে কখনো ওর হাতে ধরা খাইনি......!

......একজন মানুষ ছিলো কোন এক সময় যে বিষয়গুলোকে বোঝার চেষ্টা করতো হয়তো, অন্তত বলতে পারি প্রতি বিকেলে দু'জনের প্রচুর কথা জমা হয়ে থাকতো! এমনও হতো, ও বলবে না আমি বলবো তা নিয়ে ধুমছে ঝগড়া হয়ে যেত কয়েক দফা! আমিই পরাজয় মেনে নিতাম সবসময়......ওর খুশিতে লাফ দিয়ে উঠা চোখগুলো দেখতে বড় বেশী ভালো লাগতো! কি করা কখন উচিৎ সময়ে বুঝিনি বলে তাও আজ ইতিহাসের মতো মারা পড়েছে চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড়ের বুকে আর সমুদ্রের তলে!

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সবকিছু ছেড়ে ছুড়েঁ কোথাও পালিয়ে গিয়ে একটা ভালো বাবা হই! জানি, এও মূহুর্তের একটা ছন্নছাড়া ঢং ছাড়া কিছুই নয়! সবকিছু শূন্য থেকে শুরু হয়ে ১০ গিয়ে শেষ হয়, আবার শুরু শূণ্য দিয়ে- এই নিয়ম মানতে মানতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম......

(দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আগে ভাগে ক্ষমা চাইছি)

বিপ্রতীপ এর ছবি

হিমুভাই,
এই লেখাটা পড়ার পর আপনার 'রৌদ্রকরোজ্বল দিনে মন খারাপ' লেখাটি আজ আবার পড়লাম... ভালো থাকুন...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

সুমন রহমান [অতিথি] এর ছবি

অসাধারণ! বাবার মৃত্যুই মানুষকে বোধহয় সবচে বেশি ম্যাচিউর করে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী অসাধারণ একটা লেখা! কিন্তু ভাইয়া মন খারাপ কইরা থাইকেন না। আপনার 'মন খারাপ' দেখে নিজেরই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মুজিব মেহদী এর ছবি

আমার বাবা-মা উভয়েই এখনো আছেন। কিন্তু কখনোই ভিতরটা পড়ে দেখতে গভীরভাবে তাঁদের দিকে তাকানো হয় নি। এই লেখাটি সে কাজে ইন্ধন দিল।
অসাধারণ লেখা।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

ঝরাপাতা এর ছবি

পৃথিবীর কিছু কষ্টের ভাষা পেতে নেই, তারা শুধু একান্ত অনুভবের। যদি তারা ভাষা পেয়ে যায় তবে তার নীল আচঁড়ের দাগ সৃষ্টি করে চিরস্থায়ী ক্ষতের। এই ক্ষতের ভিতরও অনাগত পিতার ছবি দেখতে পেলাম আর নিজেকে বললাম- তৈরি থেকো....

হে সব্যসাচী লেখক (যদিও ইদানীং কবিতা লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন), আপনাকে স্যালুট জানাই।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দু'দিন হলো পড়বো-পড়বো করেও এড়িয়ে গেছি সচেতনভাবেই।
পড়লাম অবশেষে।
কিচ্ছুই বলার নেই, হিমু।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মাশীদ এর ছবি

তোর কোন হাসির লেখা মনে করে পড়া শুরু করে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

ওরকম দুঃখ আমাদের অনেকেরই আছে হয়তো। সে হিসেবে আমরা সবাই একই রকম স্বার্থপর। তুই তো তাও অনেক ছোট ছিলি, বুঝতেই পারিসনি অনেক কিছু সেসময়। অনেকে তো কত বুড়া হয়েও বোঝে না। তবে একটা কথা বলতে পারি, তুই তোর মতই। তোর বাবা কেমন ছিলেন জানি না, তবে তোর মত আর কেউ কোনদিন ছিল বা আছে বলে মনে হয় না। তোর বাবার স্বপ্ন কী ছিল জানিনা, তবে যদি আজকে বেঁচে থাকতেন, আমি নিশ্চিত তোকে নিয়ে গর্ব করার মত অনেক কিছু পেতেন। আমরা বন্ধু হিসেবেই তোকে নিয়ে কত গর্ব করি, আর তোর বাবা করতেন না, এটা হতেই পারে না!

ভাল থাকিস। মন খারাপ থাকুক, তবে বেশিক্ষণের জন্য নয়।


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

রাফি এর ছবি

কিছু সত্য কথা শুনলে বলার ভাষা থাকে না........

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

সৌরভ এর ছবি

কোন মন্তব্য করার যোগ্যতা নাই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রানা মেহের এর ছবি

আসলেই কোন মন্তব্যের ভাষা নেই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

আরিফ জেবতিক এর ছবি

পড়েছি ।

সৌরভ এর ছবি

মনে হলো, সারাটা জীবন ধরে তাঁকে আমি, আমরা, ব্যবহার করে গেলাম। যেমন অনায়াসে শ্বাস নিই, তেমন অনায়াসেই তাঁকে পরিবেশের একটি নিত্যব্যবহার্য উপাদানের মতো চিনে নিতে শিখেছিলাম শুধু।

আমিও, আমার ভাই-বোনেরাও তাই করেছি। কষ্ট হয়।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

উদারমনা এর ছবি

আমি নতুন করে আর কিছু বললাম না।
নভেম্বর মাস আমার জন্যেও একই শোকের মাস।
আর উপলব্ধি ?
ওটা আমারো ভিন্ন কিছু নয়।
স্বার্থপরের মতন নিজের জন্যে বাঁচা ছাড়া এখনো অন্যকিছু ভাবতে পারছি না। বাবার কথা আর স্মৃতিগুলো না হয় আমার হয়েই থাক।

লেখাটা পড়েছি ভাইয়া, নতুন করে আর কিছু ভাবতে পারিনি, যে ঘোরের মধ্যে থাকি নভেম্বর মাস এলে, সে ঘোরেই ছিলাম।

সিরাত এর ছবি

এটা আমার বড় প্রিয় লেখা। চান্সে পাঁচ দিয়ে গেলাম। হাসি

অকুতোভয় বিপ্লবী [অতিথি] এর ছবি

ঠিক একবছর পর খুঁজে বের করে এই নভেম্বরেই আজ আবার এই লেখাটা পড়লাম।

অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও চোখ ভিজে ওঠা আটকাতে পারলাম না।

কিন্তু দমকা বাষ্পোচ্ছাসকে দমাতে পেরেছি।

পারতে হবেই, তাই পেরেছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাবার মত লিখা... মন খারাপ হয়ে গেল

তিথীডোর এর ছবি

পূর্ণ সচলত্ব পেলে অসম্ভব প্রিয় কিছু পোস্টে পাঁচতারা দাগানোর শখ আছে.. এ লেখাটা সে তালিকার পয়লানম্বরে!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

মন্তব্য অনুসরণ করতে গিয়ে দেখি দেড় বছরেরও আগের এই লেখায় নতুন মন্তব্য পড়েছে। ৪৯ নাম্বার মন্তব্য করা অতিথি লেখক আর ৫০ নাম্বার মন্তব্য করা তিথীডোর, এই লেখাটাতে মন্তব্য করার জন্য আপনারা আর দিন খুঁজে পেলেন না! বছরের ঠিক ঐ দিনটাই বেছে নিলেন আঠারো বছর আগে যে দিনটাতে ...



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তিথীডোর এর ছবি

মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

একজন পাঠক এর ছবি

২০০৯ সালের ২৫শে নভেম্বর আমারও বাবা ইন্তেকাল করেন। ১ বছরের বেশি সময় পার হল, এখনও মাঝে মাঝে মনে হয় ঘটনাটা দুঃস্বপ্ন। সব মিথ্যা, বাবা পাশের ঘরেই আছেন।

অর্ফিয়াস এর ছবি

পাথরের চোখেও কখনো কখনো জল আসে, সত্যিকারের জল ...

পাঠক এর ছবি

আমার পিতা গত হয়েছেন সে অনেককাল। আর আমিও একজন প্রৌঢ় পিতা। তাই লেখাটি আমাকে দুভাবেই ভাবালো।

ধন্যবাদ, চরম উদাস। আপনার করা একটা মন্তব্য থেকেই লেখাটি আবিষ্কার করলাম।

আর ধন্যবাদ মর্মকেতো বটেই, তাঁ লেখার পিঠেইতো এসব মন্তব্য।

প্রৌঢ়ভাবনা

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

বিষাদ ছুঁয়ে গেল...!

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

অনুভূতিকে এভাবে ব্যক্ত করা যায় বা সম্ভব তা জানা ছিল না।

আমার বাবা বেঁচে আছেন
। ভার্সিটিতে উঠে অবাধ্য হয়ে গেছি, উনি অনেক কিছুই আমার পছন্দ করেন না। অথচ উনার সবকিছু আমি পছন্দ করি, শ্রেষ্ঠ মনে করি। এই অসমতারও হয়তো কোন মানে হয় না। মন খারাপ

বাবা আসলে এমনই। মন খারাপ

পূজনীয় একটা লেখা পড়তে পারলাম, এটা মুগ্ধকর।


_____________________
Give Her Freedom!

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

মনটা খারাপ হয়ে গেল।
পাঁচ তারা দাগালাম।

চন্দন এর ছবি

কিছু বলার নাই।
বাবাকে হারিয়েছি আমিও, অকালেই।
অনুভুতি টা এই এতোবছর পরেও একিরকম।

অতিথি লেখক এর ছবি

বাবা ভাল থেকো...............আমি চেষ্টা করেও তোমার বোঝাটাকে হালকা করতে পারছি না...........

জুঁই মনি দাশ

রিয়েল ডেমোন এর ছবি

খুব বাস্তব কথাগুলা হিমুদা।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

বাবা দিবস উপলক্ষ্যে কিছু না লিখে শুধু এই লেখাটা পড়লেও সোয়াব হয়।
হায়রে বাবা! ঠিক এই মুহুর্তে আমি বাবাকে হারাতে চাই না। অনেক অপরাধ জমে গেছে তার কাছে।
সেগুলার ক্ষমা চাওয়া হয় নাই। সেইগুলার জন্য পর্যাপ্ত সময় চাই, বাবা তুমি দীর্ঘায়ূ হও। বাইরে, না হলে অন্তরে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

তানিম এহসান এর ছবি

........................

সুবোধ অবোধ এর ছবি

খুব বেশি মন খারাপ হয়ে গেল!!!
মন খারাপ

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

মন খারাপ

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

কিছু লেখা মানুষের ভিতরের মানুষটিকে কাঁপিয়ে দেয়। এটি তেমন একটি লেখা।
কি বলব জানিনা, কিভাবে বলব তা ও জানিনা। মাঝে মাঝে মানুষ খুব অসহায় হয়ে পড়ে।
মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় নতুন করে শুরু করি।
জানি চাইলেই অনেক কিছু বদলানো যায় তবু এটাও জানি শেষ পর্যন্ত বদলানো হয়না। মন খারাপ
অসম্ভব মন ছুঁয়ে গেল লেখাটা।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।