একটি অমিমাংসিত রহস্যের গল্প

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: শনি, ২৫/০৭/২০০৯ - ৬:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই তো দু'দিন আগেই, বুধবার বিকালে, অফিস থেকে বাসায় ফিরে বিছানায় আধাশোয়া হয়ে খানিকটা আয়েশ করেই সচলায়তনের পাতায় চোখ রাখছিলাম। ব্যস্ততার কারণে গত এক মাসে প্রচুর পোস্ট পড়া হয়নি। তাই পুরনো পাতাগুলো নেড়েচেড়ে দেখছিলাম। এমন সময় মোবাইলটা বেজে উঠতেই, তাকিয়ে দেখি স্ক্রীনে পান্থ রহমানের নাম ভাসছে। আগের দিন সকালেই জরুরি একটা বিষয়ে কথা হয়েছিল তাঁর সাথে একবার। সে বিষয়েই কি না, জানার জন্য ফোন রিসিভ করতেই জানা গেল, অতিথি সচল শাহেনশাহ সিমন সে মুহুর্তে তাঁর সাথেই আছেন। মহাখালীতে। জানতে চাইলেন আমি তাঁদের ওখানে আসতে পারব নাকি। কিন্তু ততক্ষণে আলসেমি ভালমতো জাঁকিয়ে বসেছে। সেটা উপেক্ষা করার মতো শক্তি সঞ্চয় তো দূরে থাকুক, কল্পনা পর্যন্ত করতে পারলাম না। তাই জানালাম পরবর্তীতে কখনও মিরপুরের এদিকে বসা যাবে সবাই মিলে। আমাকে খানিকটা অবাক করে, সাথে সাথেই উনি জানালেন যে উনারা তাহলে মিরপুরেই আসছেন। এই বলে ফোন রেখে দিলেও,তখনও বুঝিনি এরচেয়েও কত বড় অবাক করা ব্যাপার অপেক্ষা করছে আমার জন্য!

স্বল্প সময়ের জন্য হলেও, বাংলাদেশ এখন আক্ষরিক অর্থেই 'নিশীথ সূর্যের দেশ' হয়ে গেছে। কারণ ডিএসটি-র বদৌলতে দেশে এখন আটটার দিকে সন্ধ্যা নামে। ঘড়ির কাঁটা এক ঘণ্টা এগিয়ে নেওয়ার ঠিক আগের দিন দেশ ছাড়ার কারণে এই অদ্ভুতুড়ে ব্যাপারটার সাথে মাসখানেক কোনো সম্পর্ক ছিল না আমার। ফিরে আসার পর এখনও পুরোপুরি ঠিক খাপ খাইয়ে নিতে পারিনি। তবে প্রথম দুই একদিন বেমানান লাগলেও, এখন আর তেমন কিছু মনে হয় না। যাই হোক, ঠিক সাড়ে আটটার দিকে আবার ফোন পেলাম। পান্থ রহমান এবং শাহেনশাহ সিমন। কথা বলে ঠিক করলাম, মিরপুর ১০ গোলচত্বরের কাছাকাছি ফাস্টফুডের দোকান 'কুইক বাইট'-এ বসব আমরা। তাঁরা তখন ঠিক কোথায় আছেন জানতে চাইলাম। শাহেনশাহ সিমনের জবাব শুনে তাজ্জব বনে গেলাম। আমার ধারণা ছিল শুধু তাঁরা দুজনই আসছেন। কিন্তু তাঁদের সাথে যে তৃতীয় আরেকজন আছেন, সেটা জানতামই না। এবং সেই তৃতীয় ব্যক্তি আর কেউ নন, আমাদের সবার প্রিয় বিখ্যাত সচল অমিত আহমেদ

ফোনটা রাখার পরেও ঝাড়া কয়েক মিনিট লাগল বিষয়টা হজম করতে। অমিত আহমেদ। আমার প্রিয় ব্লগারদের তালিকায় প্রথম দিকেই থাকবেন উনি। উনার লেখা, বিশেষ করে গল্পের মুগ্ধ পাঠক আমি। এমনকি ইদানিং তাঁর তোলা ছবিরও ভক্ত হয়ে গেছি ভীষণ। মাস দেড় দুই আগে থেকেই, ফেসবুকের কল্যানে, জানতাম যে উনি দেশে আসবেন। এমনকি আমি নিজে দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় সচলায়তনের মাধ্যমে জেনেছি উনি দেশে ফিরেছেন, বিভিন্ন আড্ডা মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন। দেখা হবে কি না নিশ্চিত ছিলাম না, তবে দেশে ফিরে যখন জানতে পেরেছি উনিও এখনও দেশেই আছেন, তখন থেকেই তাঁর সাথে দেখা করার জন্য মুখিয়ে ছিলাম।

নয়টার পরপরই বাসা থেকে বেরিয়ে পান্থ রহমানকে ফোন করে জানালাম যে আমার পৌঁছুতে আর কয়েক মিনিট লাগবে। উনি জানালেন তাঁরা তখন মিরপুর ১৩ তে আছেন, মিনিট দশ পনেরোর মধ্যেই 'কুইক বাইট'-এ চলে আসবেন এবং আমাকে সেখানে অপেক্ষা করতে বললেন। বাইরে অপেক্ষা করব নাকি ভেতরে, ভাবছিলাম। তবে গুমোট গরমের কারণে ভেতরে গিয়ে বসাই বুদ্ধিমানের কাজ মনে হলো। দোকানটা তৃতীয় তলায়। সিড়ি দিয়ে উঠতে, দ্বিতীয় তলায় 'এক্সট্যাসি'-র দোকান পড়ে এবং আগে সেখানে মডেল ইমি'র একটা বিশালাকারের ঝাকানাকা পোস্টার ছিল। এবার দেখি সেটা সরিয়ে ফেলেছে। মনটা হালকা খারাপই হলো। কেন না ইমিকে আবার আমার বড়োই ভাল লাগে।

অপেক্ষার মুহুর্তগুলো সবসময়ই দীর্ঘ হয়, এটা যে কেউ মাত্রই জানবেন। ভেতরে বসে বসে আমার কাছেও মনে হচ্ছিল ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটাও যেন ডিএসটি-র কবলে আক্রান্ত। তবে অপেক্ষার প্রহর একসময় শেষ হলো। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে হালকা এদিক-ওদিক একবার তাকিয়ে, তাঁরা তিনজন এগিয়ে আসলেন আমার টেবিলের দিকেই। প্রত্যেকের মুখেই আকর্ণবিস্তৃত হাসি। দেখে মনে হচ্ছিল যেন চন্দ্রাভিযান বিজয়ী তিন নভোচারী। শুধু হাতে একটা করে হেলমেটের অভাব। তবে শাহেনশাহ সিমনকে বহনকারী নভোযানটি মহাকর্ষের বাধা কীভাবে পার করলো কিংবা সেটার শেষ পরিণতি কী হলো, সে সম্পর্কে কেউ জানতে চাইবেন না প্লিজ। জবাব দিতে পারব না।

চাঁদবিজয়ী তিন নভোচারী

এইমাত্র যেন চাঁদ জয় করে এলেন তিনজন

অমিত আহমেদের লেখনীই শুধু আকর্ষণীয় নয়, তিনি দেখতেও ঠিক তেমনই। মুখে স্মিত হাসি, ভরাট গলায় চমৎকারভাবে গুছিয়ে কথা বলেন। কথা বলে মনেই হচ্ছিল না এই প্রথম তাঁর সাথে দেখা হলো। শুরুতেই জানতে পারলাম, আরেক সচল এনকিদুরও নাকি আসার কথা ছিল। কিন্তু বন্ধু গিলগামেশের সাথে ব্যস্ত থাকায় সে আসতে পারেনি। হঠাৎ করে শুনে 'গেলমান' বলে কারো কারো ভুল হলেও, এই গিলগামেশ কে, সে রহস্য শেষ পর্যন্ত আর উদঘাটিত হয় না। তার আগেই আলোচনার মোড় ঘুরে যায়। আর বিভিন্নরকম কথার সাথে সাথে সবার হাসির দমক বাড়তে থাকলে, আমাদের চিন্তা হতে থাকে শাহেনশাহ সিমনকে ধারণকারী চেয়ারটাকে নিয়ে। উৎকণ্ঠার সাথে আমরা বোঝার চেষ্টা করি ন্যাড়া আসলে ঠিক ক'বার বেলতলায় যায়

ঠিক করলাম খেতে খেতেই কথা বলব আমরা। অর্ডার দেয়ার জন্য আশেপাশে কোনো ওয়েটারকে না দেখে, কাউকে ডাকার এই দায়িত্বটা শাহেনশাহ সিমনকেই দেয়া হলো। কিন্তু কী অবাক ব্যাপার, তাঁর কণ্ঠ থেকে যেই না জলদগম্ভীর আওয়াজ বের হলো, বিস্ময়কর এক ঘটনা ঘটে গেল। ওয়েটার না আসলেও, সাথে সাথেই দোকানের ভেতর দুই বালিকা এসে হাজির! এ যেন ডেভিড কপারফিল্ডের জাদু! এবং শুধু তাই নয়, শাহেনশাহ সিমনের টানে তাঁর দিকেই এগিয়ে এসে জায়গা খুঁজে বসে পড়ল সেই দুই বালিকা। এরপরই অমিত ভাই আব্দার জুড়লেন আরেকবার হাঁক ছাড়ার জন্য। যদি আরো দুইজন এসে পড়ে, তাহলে একেবারে চার চার লেগে যাবে। তবে ডাক শুনে যদি পরেরবার দুই মুশকো জোয়ান এসে হাজির হয়, তাহলে যে দফা রফা হয়ে যাবে, সে সম্পর্কেও আমরা সচেতন ছিলাম।

আমাদের তিনজনকে স্তব্ধ করে দিয়ে দোকানের সমস্ত প্রান্তের নানানবয়সী যত বালিকা ছিল, সবাই দেখা গেল শাহেনশাহ সিমনের দিকে অর্থপূর্ণ দৃষ্টি মেলে তাকাচ্ছিল, কেউ বা হাসি ছুঁড়ে দিচ্ছিল তাঁর দিকে। কারো হাসিতে আহ্বান, কারোটাতে ইঙ্গিত, তো কারোটাতে প্রত্যাশা। আর এদিকে তো শাহেনশাহ সিমনের মাথা পারলে প্রায় ছাদে গিয়ে ঠেকে। তাঁকে এ অবস্থা থেকে বাঁচাতে (মতান্তরে উল্টোটা), ওয়েটার এসে পড়ল। মুহুর্তের মধ্যে খাদ্যরসিক শাহেনশাহ সিমনের চোখ থেকে তখন বালিকাদের হাসি-স্বপ্ন সব উধাও। সেখানে তখন শুধুই তন্দুরী চিকেন। তিনিই উপযাজক হয়ে, পান্থ রহমানকে বাসায় গিয়ে রান্নাঘরের আগুনের আঁচে যেন ত্বক নষ্ট না করতে হয়, সেজন্য ভাত ভাজা (ফ্রায়েড রাইস) অর্ডার করে দিলেন। অমিত আহমেদ নিলেন অনথন আর থাই স্যুপ, আর আমি শুধুই মিরিন্ডা।

সিমন ও তন্দুরী চিকেন

শাহেনশাহ সিমনের দুই চোখে তন্দুরী চিকেনের স্বপ্ন!

আড্ডার ফাঁকে খাওয়া-দাওয়া

খাবার এসে গেছে, আড্ডাও চলছে সমান তালে

চিন্তিত পান্থ
নাবালক পান্থ কী যেন চিন্তা করছেন

অমিত আহমেদের থাই স্যুপ
অমিত ভাইয়ের মনোযোগ তাঁর থাই স্যুপে

এরপর খেতে খেতে আবারও তুমুল আড্ডা শুরু হলো। খুব দ্রুত প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে লাফ দেয়া হলেও আলোচনার বিষয়বস্তুর অভাব হচ্ছিল না মোটেও। আমার চীন ভ্রমণ, ওই দিনের সূর্যগ্রহণ, অমিত আহমেদের প্রথম বই প্রকাশের পর অটোগ্রাফ দেয়া সম্পর্কিত নানান মজার ঘটনা, তাঁর তোলা সূর্যগ্রহণের ছবি ভারতীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হবার জন্য নির্বাচিত হওয়া, ফেসবুকে 'মাহবুব লীলেন ফ্যান ক্লাব' খোলার ব্যাপারে শাহেনশাহ সিমনের ব্যাপক আগ্রহ, রানা মেহেরের পরবর্তী লেখা আসার আগে আর কতগুলো পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ এসে যাবে, গত বইমেলায় প্রকাশিত বিভিন্ন সচলের বই, সেগুলোর প্রচ্ছদ, বই প্রকাশ সংক্রান্ত নানান অভিজ্ঞতা, ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে সবকিছু ছাপিয়ে যে বিষয়টাতে আমরা আটকে গেলাম, সেটা হলো সচলায়তনের মডারেশন এবং মডুরাম।

সিমনের মুখভর্তি খাবার
লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো, যেকোনো অ্যাংগেল থেকেই তোলা হোক না কেন, শাহেনশাহ সিমনের ছবির ফ্রেমে কোনো না কোনো বালিকা উপস্থিত থাকবেই!

সিমনের কৃতিত্ব

বেচারা হাড্ডি, 'পড়েছিস সিমনের পাতে, চিড়েচ্যাপ্টা তো তোকে হতেই হবে'!

মডারেশনের অপরিহার্যতা কিংবা এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের কারোরই কোনো দ্বিমত ছিল না, অথবা ছিল না বিন্দুমাত্র কোনো দ্বিধা। শুধু যে বিষয়টা আমাদের ভাবাচ্ছিল, তা হলো রংধনুর বিভিন্ন রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মডুরামরা আসলে কারা। আমাদের একেকজনকে তখন দেখে মনে হতে পারে যেন টেবিলের দুই প্রান্তে ফেলুদা, শার্লক হোমস, কিশোর পাশা আর গোয়েন্দা ঝাকানাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কোনো রহস্য সমাধানে বসেছে। এ প্রসঙ্গে অমিত আহমেদ টেনে আনলেন প্রকৃতিপ্রেমিককে। কিছুদিন আগে কানাডায় তাঁর বাসায় যে ছোটখাটো সচল সম্মেলন (তাঁদের ভাষায়, সচল সফর) বসেছিল, সেটা তো এখন সবারই জানা। সেসময় নাকি তাঁরও ভীষণ জানার আগ্রহ ছিল যে, সচলায়তনের এই মডুরা কারা? তিনি নাকি কিছুক্ষণ পরপর আনোয়ার সাদাত শিমুল অথবা অমিত আহমেদকে সচলায়তনের বিভিন্ন পোস্ট সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন, "আচ্ছা, এই বিষয়টা সম্পর্কে তোমাদের মতামত কী?" বলাই বাহুল্য, তাঁর সন্দেহের তালিকায় ওই দুই বেচারা ছিলেন। কিন্তু যেই না তাঁরা দু'জন প্রকৃতিপ্রেমিককে উল্টো সন্দেহ করে বসলেন, উনি তৎক্ষনাৎ ফাঁটা বেলুনের মতো চুপসে গেলেন। অমিত আহমেদের গল্প শুনে আমাদের চোখ উত্তেজনায় গোল হয়ে যায়। সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। তাই তো, তবে কি সত্যি সত্যিই উনি কোনো মডু?

শাহেনশাহ সিমনও কিন্তু সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ যান না। কে জানে, অতিথি সচলের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হয়ত তিনিই কোনো রঙীন মডু! কিন্তু অমিত আহমেদের চেহারায় চোখ পড়তেই অন্য চিন্তা খেলে গেল মাথায়। তাঁর রহস্যময় হাসি এবং চোখের দৃষ্টি দেখে সন্দেহ হলো, ইনিই আবার মডু নন তো? জিজ্ঞেস করতেই এক মুহুর্তের জন্য মুখের হাসি গায়েব। পরক্ষণেই সামলে নিলেন নিজেকে। হাতের গ্লাস ছুঁয়ে, মডু নন বলে নিজেকে দাবী করলেন উনি।

'আমি মডু নই'

পেপসির বিজ্ঞাপন নয়, আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা

তখন প্রকৃতিপ্রেমিকের বুদ্ধি প্রয়োগের চেষ্টা করলাম। সচলায়তনের ইদানিংকালের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মতামত জানার চেষ্টা করলাম, তিনিও ভীষণ বুদ্ধিমত্তা এবং সতর্কতার সাথে জবাব দিলেন বা এড়িয়ে গেলেন। এরপরই কায়দা বুঝে ভীষণ ভালমানুষের মতো চেহারা বানিয়ে মোক্ষম প্রশ্নটা করলাম, "ইয়ে অমিত ভাই, আপনার প্রিয় রঙটা যেন কী?" তিনি যেই না উত্তর দিতে যাবেন, সাথে সাথেই আমার উদ্দেশ্য ধরে ফেললেন। এবং সেই আনন্দে পরিতৃপ্তির একটা হাসি মুখে ঝুলিয়ে নিখুঁত দক্ষতায় প্রশ্নটা পাশ কাটিয়ে গেলেন। কিন্তু এত সহজে আমিই বা হার মানব কেন! আবারও আড্ডা, আড্ডা, আড্ডা। এর ফাঁকেই তুমুল আলোচনার মাঝে খুব নিরাসক্তভাবে, পাশেই কাঁচের উপর আঁকা রঙীন চিত্রকর্ম দেখিয়ে রঙের কাজ সম্পর্কে তাঁর মতামত জানতে চাইলাম। কিন্তু এবারও ধরে ফেললেন তিনি। আফসোস, শেষ পর্যন্ত রংধনুর কোনো রঙের নামই তাঁর মুখ থেকে বের করা গেল না।

অমিত ভাই, আপনার প্রিয় রঙ কী?

কোনোভাবেই প্রিয় রঙের নাম বের করা গেল না তাঁর মুখ দিয়ে

রহস্য উন্মোচিত হোক না হোক, ঘড়ির কাঁটা তো আর ওদিকে বসে নেই। তরতরিয়ে এগিয়ে চলে জানিয়ে দিলো রাত এগারোটা পার করেছে সে। বিল মিটিয়ে আমরা নিচে নেমে এলাম। চলে আসার সময় দোকানের ভেতর যেসব বালিকা শাহেনশাহ সিমনের টানে তখন অব্দি অপেক্ষা করছিল, তাদের জন্য মায়াই লাগল। বেচারীদের শুকনো মলিন মুখ আর ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া হৃদয় উপেক্ষা করে শাহেনশাহ সিমন গটগটিয়ে আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে বের হয়ে গেলেন দোকান থেকে। সে রাতে কতগুলো মসজিদ-মন্দির ভেঙেছিল, সেটা স্মরণ করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হোক চলুন।

নিচে নেমেও আড্ডা থেমে থাকল না। বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এবং হালাল খাবার খেয়ে এত কম সময়ের মধ্যে আনোয়ার সাদাত শিমুল কীভাবে এতো মোটা হলেন, তাঁর 'পাকমন পেয়ার'-এর মতো আরেকটি লেখা কবে আবার আসবে, 'ছাদের কার্নিশে কাক'-এর সমাপ্তিটা অন্যরকমও তো হতে পারত, তাঁর ক্ষুরধার স্মৃতিশক্তি, অমিত আহমেদের সাড়াজাগানো লেখা 'শিমুলের সাথে ব্যাংককে (রমরমা) পাঁচ ঘণ্টা' কিংবা এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ আনোয়ার সাদাত শিমুলের 'অমিত আহমেদের সাথে বিরিয়ানী সন্ধ্যা' এবং পরবর্তীতে এর পাঠক প্রতিক্রিয়া, সিরাতেলেখার বৈচিত্র্য, সব্যসাচী মূলত পাঠকের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা, মামুন হকের জোশিলা লেখা, আস্তমেয়ে-ছাগু-ত্রিভূজ, ইত্যাদি এবং আরো অ-নে-ক বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা চলল। আসলে কম সময়ের মধ্যে এত বেশি বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা বা কথাবার্তা হয়েছে যে, শুধু সব বিষয়ের নাম উল্লেখ করতে গেলেও আলাদা পোস্ট হয়ে যাবে একটা।

আড্ডা

রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আড্ডা চলছে

একান্ত আড্ডা
নাবালককে সাবালক বানানোর প্রক্রিয়া চলছে

প্রিয় ব্লগারদের উপভোগ্য সঙ্গ আর আড্ডা ছেড়ে বাসায় ফিরতে ইচ্ছে না করলেও উপায় ছিল না। ভীষণ উপভোগ করেছি আড্ডার প্রতিটা মুহুর্ত। খুব শিগগীরই আবার একদিন যে বসব আমরা, সে পরিকল্পনাও করে ফেলা হলো অল্প সময়েই। এরপর বিদায় নিয়ে যার যার মতো চলে এলাম আমরা। তবে যে রহস্য এখন পর্যন্ত উদঘাটিত হয়নি, সেটা আগামী আড্ডাতে অবশ্যই হয়ে যাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। চলুন সে পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করি এবং সে গল্প না হয় আরেকদিন শোনানো যাবে।


মন্তব্য

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

লেখায় জাঝা চলুক

এইবার আফসোস একটু কম লাগলো, কারণ আমরাও সচলাড্ডা করি আজকাল দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হ্যাঁ ভাই বুচ্চি তো, ইদানিং তোমরা সব বিদেশি সফরে যাও, বিদেশি বালিকাদের ফোটুক তোলো, আমরা তো দেশে খালি আড্ডাই পিটাই চোখ টিপি

থেংক্যু দেঁতো হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

শুনো অতন্দ্র প্রহরী, একটা কথা আজকে একদম পরিষ্কার করে জানায় দেই - আমি মানুষ ভালু না, ভালু হওয়ার কোন ইচ্ছাও নাই, কোন চেষ্টাও নাই, এমনকি কোন কারণে হয়ে গেলেও বুঝতে পারলেই ব্যাক করবো! আমার অন্য মানুষের আনন্দ, ফুর্তি, হা হা হি হি, খাওয়া দাওয়া এইসব দেখলে কেমন জানি গা চিড়বিড় করতে থাকে, ইচ্ছা করতে থাকে - - -

যাক গে যাক, সভ্য সমাজে থাকি - জেল জরিমানা এড়ানোর জন্য অনেক কিছুই বলতে পারি না মন খারাপ

মোট কথা, টেরটা পাবা দুইদিন পরেই, বস এমন ঝাড়ি দিবে যে কোনদিকে যে চারুকলা আর কোনদিকে যে কক্স'স বাজার - কিচ্ছুই আর হদিস করতে পারবা না দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনার নিকটা পাল্টানো দরকার। নতুন নিক হওয়া উচিত - 'পরশ্রীকাতর' দেঁতো হাসি

কই যে থাকেন আজকাল, খোঁজখবরও পাওয়া যায় না! দেশে আসেন, আপনাকে নিয়েও আড্ডা দেয়া হবে। বেশি কিছু না, মাত্র কয়েক বোয়ম চকলেট আনলেই আপনাকে আড্ডায় অংশ নিতে দেয়া হবে। হা হা হা।

বদ দোয়া দিলেন মনে হয়?! চোখ টিপি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমার আফসোস বাড়লো আরও। আমার তো শুধু দ্রোহী দাদার সাথে আলাপ হয়েছিলো। তিনিও অধমের যন্ত্রণায় কাতর হয়ে এক্কেবারে এই মহাদেশ থেকেই ভাগছেন। এলাম হযুস্তান, কিন্তু কাজের ঠ্যালায় আজকে জুম্মার সময় মিনিট পাঁচেকের জন্য মাত্র দেখা করতে পারলাম।

প্রহরীকে অনেক দিন পর লিখতে দেখে ভালো লাগলো। একেবারে সুবিনয়ীয় লিংকবহুল লেখা। দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- জাকাজার ইন্টেল জানাচ্ছে, বিবাহের তিনমাস আগ থেকে নাকি হযুদাদা চিল্লা পারফর্ম করছে? আর বিয়ার পরে পুরা পর্দানশীল হয়ে গেছে। এখন নাকি পরনারী তো দূরের কথা, পরপুরুষের দর্শন তো পাপ, শ্রবনও করেন না তিনি। হযরত মওলানা হযু ক্বেবলাপুরীরে বইলেন, ধুগো তাঁরে টিমটিমা হারিকেন দিয়া খুঁজতাছে। সচলে পাইলেই হইছে খালি! (আমার লগে হযুগিরি?)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পুরা ধুগোদা টাইপের মন্তব্য! হো হো হো
আগে তো এরকম গোলা নিয়মিত মারতেন, ইদানিং এত অনিয়মিত কেন? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আফসোসের কোনোই কারণ নাই, অভি। দেশে আসো, তোমার সাথেও আড্ডা হবে। ওই বিদেশে বসে কি আর দেশের আড্ডার আমেজ পাওয়া যায় বলো? আর কতদিন বাইরে বাইরে কাটাবা? এইবার দেশের ছেলে বাছাধন দেশে ফিরে আসো দেঁতো হাসি

আসলেই বহুতদিন পর লিখলাম। লেখার আগেও মনে হচ্ছিল যে বের হবে না কিছুই। শুরু করাটাই ছিল সমস্যা। কিন্তু শুরু করার পর দেখলাম, লেখা বাকিটা শেষ করতে খুব বেশি একটা সময় লাগল না খাইছে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাবছিলাম এই পোস্ট যদি না শেষ হয়...কিন্তু শেষ হয়ে গেল। বেশ মজা করেছ দেখছি। সচলায়তন আমাদের কিছু না হোক বহুদিনের চেনা মানুষের মতো একসাথে বসে আড্ডা মারার সুযোগ করে দিয়েছে।

রঙিন মডুদের নিয়ে চিন্তা সেই মিরপুর অব্দি গিয়েছে দেখছি। তবে চোখ কান খোলা রাখলেই ধরা যায় কে মডু আর কে মডু নয়। আমি কয়েকটাকে মনে হয় ধরতে পেরেছি, যদিও তারা ক্ষণে ক্ষণেই রং পাল্টাচ্ছে চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আসলেই প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই, অনেক মজা করলাম সেদিন রাতে। খুব ভাল্লাগল অমিত ভাইয়ের সাথে আড্ডা দিয়ে। আর পান্থ'দা, সিমন ভাই তো দেশি ভাই, এর আগেও আড্ডা দিয়েছি তাঁদের সাথে। আশা করি, আবারও খুব তাড়াতাড়ি একদিন বসব সবাই।

আমিও তো কয়েকটা মডুকে চিনি। কিন্তু তাঁরা এই রঙের আড়ালে গিয়েই সব ভজঘট পাকিয়ে গেছে। কে যে কোন মডু, বুঝতেই পারি না। খেয়াল করতে হবে। তবে একটা মডুর রঙের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি যে উনি হিমু ভাই না দেঁতো হাসি

আপনি রহস্যোদঘাটন করতে পারলে জানাবেন কিন্তু। এমনকি আপনি নিজে মডু হলে, সেটাও বলতে পারেন। আমি কাউকেই বলব না, কথা দিচ্ছি। হা হা।

আচ্ছা ভাইয়া, আপনার প্রিয় রং কী? হো হো হো

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমিও মনে হয় কিছু কিছু আন্দাজ করতে পেরেছি। দিনরাত এখানেই কাটে বলে কথা। নাম তো মোটামুটি আগেই জানতাম। এখন রঙ মেলাতেই কষ্ট। বহুত রকম ফ্যাক্টর হিসাব করতে হয়।

আমার কৌতূহল একটাই... গোলাপি মডুটা কে। দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

রং মেলাতে আসলেই কষ্ট। আমি আগে চেষ্টা করিনি, তবে এখন একটু ভালোমতো বোঝার চেষ্টা করবো কে কোন মডু। দেখা যাক... খাইছে

হা হা হা। গুলাবী সাহেব তো সচলে একজনই! তাহলে কি উনিই...? দেঁতো হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

হো হো হো

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হৈ মিয়া, আপনি লগান না কেন? এত্তো আলসেমি?!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দ্বিতীয় ছবিটাতে ফিরোজা জামাওয়ালী দেখতে বেশ!
(বিদ্রঃ আমি কেদারাভাঙাপাট্টির সভাপতি শাহেনশাহে সিমসিমরে বুঝাইতেছি না কইলাম)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কেদারাভাঙাপাট্টির সভাপতি শাহেনশাহে সিমসিম
চ্রম্মজা পাইলাম রে ভাই, চ্রম্মজা গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অনিকেত এর ছবি

প্রহরী, সুস্বাগতম!
চমৎকার লেখা, চমৎকার ছবি(বিশেষ ধন্যবাদ ইমির ছবি দেয়ার জন্যে চোখ টিপি )
তোমার চীন ভ্রমনের গল্প শুনব বলে বে-চীন (=বেচাইন) হয়ে আছি।

শুভেচ্ছা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থেংক্যু থেংক্যু হাসি

হে হে হে, আপনিও তো দেখি ইমি-ভক্ত দেঁতো হাসি
কতিপয় দুষ্টু লোক ইমিকে মাঝেমাঝে ইমু বলে হাসিতামাশা করে। বলেন তো দেখি এটা কি মানা যায়?

চীন ভ্রমণের গল্প লিখব হয়ত দেখি। দীর্ঘদিন বাদে একটা পোস্ট লিখলাম। আশা করি এরপর আবার নিদ্রায় যাওয়ার আগেই আরো কিছু পোস্ট লিখতে পারব হাসি

মামুন হক এর ছবি

চমৎকার লেখা প্রহরী। মন ভালো করে দেয়া কিসিমের। আমিও আসছি দেশে , দেখা যাক কত আড্ডা দিতে পার হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দেখিস, ভিসা নিয়ে যেন কোন সমস্যা না হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মানুষটা যখন 'মামুন হক', আশা করা যায়, বিন্দুমাত্র সমস্যাও হবে না। হলেও, উনি 'এক টুকরো কেক'-এর মতোই সেটার সমাধান করে ফেলবেন। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই হাসি

আরে, আমি তো আড্ডা দিতে পারি না! আমি হইলাম শ্রোতা শ্রেণীর মানুষ। আমার সাথে আড্ডা দেয়ার কথা ভুলেও ভাইবেন না। আমি বরং আপনার জন্য বাংলাদেশের সেরা আড্ডাবাজ জনাব নজরুল ইসলাম-এর সাথে আড্ডার ব্যবস্থা রাখব চোখ টিপি

আড্ডা দিতে চান ভালো কথা, কিন্তু আগে বলেন, কী কী আনবেন আমা(দে)র জন্য? দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

অনি ভাই, আপনি যে সচলে ফাঁকিবাজি কম করেন লিংক দেখে তা বুঝা গেল খাইছে
আর আপনি সিমন ভাইয়ের পাশে বালিকা দেখলেই খালি হিংসিত হন কেন চিন্তিত চারুকলা কি আজকাল পাত্তা দেয় না দেঁতো হাসি
এরপর কি আর কোন নির্ধারিত আড্ডা হওয়ার সম্ভাবনা আছে?


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি ফাঁকিবাজি করি, এই ভ্রান্ত ধারমা তোমার কীভাবে হইল বাছা? চিন্তিত

হিংসিত হবো না কেন? দোকানের সমস্ত বালিকা শাহেনশাহ ভাইয়ের দখলে ছিল, এমনকি শহরের বাকি বালিকাগুলোও যে বলতে গেলে তাঁরই দখলে, তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কচিকাঁচা তোমার দখলে, তাহলে আমি কোনদিকে যাই? অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকায়া যায়... মন খারাপ

হুমম, খুব তাড়াতাড়ি আশেপাশেই আরেকটা আড্ডা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আসতে চাও? তাহেলে খবর দিবনে।

আবির আনোয়ার [অতিথি] এর ছবি

এই ইমি আমাদের ইউনি তেই পরতো (http://www.ewubd.edu)। কিন্তু কেন জানি না তারে দেখলেই আমার মনে হইত যে সে বাসা থেইকা গোসল কইরা আসে নাই।
দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে তাই নাকি! কিন্তু ইমির নামে এইরকম কথা আপনি বলতে পারলেন! মন খারাপ

বস, ইমির কোনো ফোটু-টোটু নাই আপনার কাছে? থাকলে আমারে আলাদা কইরা একটু দিয়েন দেঁতো হাসি

সবজান্তা এর ছবি

মিরপুরের মতো রুরাল এরিয়ায় এতো বড় বড় দোকান আছে কস্কি মমিন!


অলমিতি বিস্তারেণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মিরপুর রুরাল ছিল সেই ১৯৯০ সালে। তখন মিরপুর থেকে মানুষ ঢাকায় যেতো। এখন মিরপুর বদলেছে। পয়সাওয়ালা মানুষ বেড়েছে, বেড়েছে খাবারের দোকানও।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনিও মিরপুরবাসী? হাসি

খাবারের দোকান বেড়েছে, ঠিক। তবে সাজসজ্জা ভালো বললে এই 'কুইক বাইট'ই আছে। এখানে খাবারের মান খুবই যে ভালো, তা না। তবে এমনিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আছে। ইনটেরিয়র মন্দ না। আর বেশ ক'মাস হলো জিনজিয়ান (সঠিক উচ্চারণ হওয়া উচিত শিনশিয়ান) চাইনিজ রেস্তোরাঁ মিরপুরে নিয়ে এসেছে। বেশ বড় আকারে। আগে ধানমণ্ডিতে ছিল।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমিও মিরপুরবাসী। এজন্যই একে গ্রাম বললেও আমার লাগে না তেমন একটা।

জিনজিয়ান ও শিনশিয়ানের তফাৎ ধরতে পারার জন্য প্রহরীকে জাঝা। আমার অ্যাডভাইজারের নামে X আছে তো, আমি জানি। খাইছে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে, মিরপুরবাসীর দল তো দেখি ভারী হচ্ছে। সাবাশ! দেঁতো হাসি

হা হা হা। আমার সেকশন চীফের নাম X দিয়ে শুরু। চাকরির একদম শুরুতে 'জ' উচ্চারণ করসিলাম, কিন্তু এরপর বুঝতে পারসি আসল ব্যাপারটা। কিন্তু আফসোস হলো, ঢাকা শহরে যতগুলা চাইনিজ রেস্তোরাঁ আছে, এদের কেউই এই ব্যাপারটা মনে হয় জানে না। এরা শুধু নামেই চাইনিজ! মন খারাপ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শুধু তুমি, ইশতি আর আমিই না, আরো অনেক (পুরনো অর্থে) বড় বড় সচল মিরপুর থেকে উঠে এসেছে চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গুগলের ভাষায় বলি - 'ভাগ্যবান অনুভব করছি' চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মিরপুর রুরাল এরিয়া! এইটা কী বললেন! অ্যাঁ

তবে আমাদের প্রিয় মিরপুরকে গ্রামের সাথে তুলনা করায় বরং খুশিই হইলাম। কারণ—সবাই জানে যে, শহরের চাইতে গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালো, দূষণ কম, খাবার অনেক টাটকা, মানুষের মনে শহুরেদের তুলনায় কুটিলতা কম, এবং সর্বোপরি, মেয়েরা এখানে নদীর মতো পবিত্র দেঁতো হাসি

অমিত আহমেদ এর ছবি

প্রহরি তো ছবি-টবি দিয়ে একদম প্রামান্যচিত্র বানিয়ে ফেললে হে হাসি
লেখায় দারুন আমোদ পেয়েছি। লিংক দেবার জন্য আরো ভাল্লাগসে। চলুক
"মডু কে?" এই নিয়ে আমাদের পারস্পরিক সন্দেহ মনে হয় কখনোই যাবে না। পুরানো নতুন এমন কি অতিথিদেরকেও আমাদের সন্দেহ। একদিন থেকে ভালোই হয়েছে; যে কোনো আড্ডায় খুব মজা হয় এই জিনিসটা নিয়ে দেঁতো হাসি


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এত কনফিউশন দেখে ভাবতেসি আমিই মডু টাইপ একটা গুজব গোপন চ্যানেলে ছড়ায় দিব কিনা দেঁতো হাসি
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অনিকেত এর ছবি

সংশয় স্পন্দিত বুকে মনে হয়--আমিই মডু---মু হা হা হা ---

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আগে বলেন আপনার প্রিয় রঙের নাম কী? দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@কিংকং

দিতে পারো। দেখি সেখান থেকে নতুন কোনো আইডিয়া পাওয়া যায় নাকি দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@অমিত ভাই

প্রামান্যচিত্র! হা হা হা। আড্ডা দিয়ে আমিও সেদিন অনেক আমোদ পাইসিলাম। আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি আরেকটা আড্ডা হয়ে যাবে হাসি

আর, আড্ডাতে এই মডু বিষয়ক ব্যাপারটা নিয়ে কিন্তু সত্যিই বেশ নির্দোষ মজা পাওয়া যায়। তবে আমার তো এখনো আপনার উপর থেকে সন্দেহ যায়নি চোখ টিপি হা হা হা। মজা করলাম।

মূলত পাঠক এর ছবি

খুব ফূর্তি চলছে দেখি! যান, আমরা শিগগির আড্ডার পরিকল্পনা করেছি, সাথে ভালোমন্দ খানাও থাকছে পরশ্রীকাতরতার সৌজন্যে। তখন পোস্ট দিয়ে সবাইকে হিংসেতে বেগুনি সবুজ করে দেবো'খন। তদ্দিন ফূর্তি করে নেন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মিস পরশ্রীকাতর তো ওদিকে ঠিকই আড্ডার পরিকল্পনা করে বেড়াচ্ছেন, আর আমাদের আড্ডাই যত তাঁর চোখে লাগে! মন খারাপ
যান যান, একটা আড্ডার পোস্ট দিবেন তো বদলে দশটা পাবেন! হু, বলে রাখলাম আগেই, তখন আবার বেগুনি-সবুজ হলে কিন্তু দোষাতে পারবেন না চোখ টিপি

আশা করি, আপনাদের আড্ডা সফল হোক। পোস্ট কিন্তু অবশ্যই দিবেন। অপেক্ষায় থাকলাম হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হা হা , তিনসিলেন্ট লেখা হইসে গুরু। জব্বর !!

লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো, যেকোনো অ্যাংগেল থেকেই তোলা হোক না কেন, শাহেনশাহ সিমনের ছবির ফ্রেমে কোনো না কোনো বালিকা উপস্থিত থাকবেই!

অমিত আহমেদের গল্প শুনে আমাদের চোখ উত্তেজনায় গোল হয়ে যায়। সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। তাই তো, তবে কি সত্যি সত্যিই উনি কোনো মডু?

শাহেনশাহ সিমনও কিন্তু সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ যান না। কে জানে, অতিথি সচলের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হয়ত তিনিই কোনো রঙীন মডু! কিন্তু অমিত আহমেদের চেহারায় চোখ পড়তেই অন্য চিন্তা খেলে গেল মাথায়। তাঁর রহস্যময় হাসি এবং চোখের দৃষ্টি দেখে সন্দেহ হলো, ইনিই আবার মডু নন তো?

বেশী জোস !! ---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থেংক্যু থেংক্যু থেংক্যু দেঁতো হাসি

আপনি তো আবার নিজেকে নাবালক মনে করেন। আমাদের আড্ডাতে আসেন না, আসতেও চান না মন খারাপ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আপনি তো আবার নিজেকে নাবালক মনে করেন।

আসলে নাবালিকাদের দেখভাল করতে হয় কী না !!!

আমাদের আড্ডাতে আসেন না, আসতেও চান না

ফুরাই মিসা কতা।একবার ফরীক্কাটা শেষ হোক- বুঝামু, কত আড্ডা আর কত কতা...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

একলা এতো প্রেশার নিও না। আমাদেরও তোমার কাজে সাহায্য করার সুযোগ দাও একটু চোখ টিপি

ঠিকাছে, পরীক্ষা শেষ হোক তোমার। আলুর গুদাম দেয়াও শেষ হোক। তারপর দেখা যাবে কেমন আড্ডাইতে পারো খাইছে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ওরে দুষ্টু, খাওয়া দাওয়ার ছবি ডেইখা ব্যাপক কষ্ট পাইলাম, মহা ফুর্তির সমারোহ হইসে দেখি, সাথে বালিকাদের সমাগম। আমিও স্নিগ্ধাপুর সাথে গলা মিলায় পরশ্রীকাতর হইলাম দেঁতো হাসি. যাক, ছবিগুলান ভালু হইসে। আর তুমার দোস্ত কইসে, তোমার কল্যানে দেশে নাকি নিডো দুধের ঘাটতি সৃষ্টি হইসে!!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। আপনারা যে দুইদিন পর পর ঘুরতে যান, মজা করেন, সেগুলা কিছুই না, না? দেঁতো হাসি

দোস্ত তো দেশের সব নিডো কিনে নিয়ে দেলোয়ারে ভাগসে, এইজন্য ঘাটতি তো হবেই! ওরে তাড়াতাড়ি সচলায়তনে নিয়ে আসেন। খাইছে

অনেক অনেক থ্যাংক্যু।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

প্রথম দুইটা ব্ল্যাক এন হোয়াইট ছবি অসাধারণ লাগলো।
হিংসা জাগানোর জন্য ইচ্ছে করে এইরকম জমজমাট আড্ডার বর্ণণা দেয়া ভালু না। মন খারাপ
আর অমিতের হাতে ওইটা কী???
সে না কয়েকদিন আগে ঢাকঢোল পিটাইয়া সিরকেট ছাইড়া দিলো। অ্যাঁ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ঢোল্লাফা দেঁতো হাসি

আপনার হিংসাও হয় নাকি? জানতাম না তো! আচ্ছা, এরপরের আড্ডার পোস্টটাতে চেষ্টা করা হবে যেন ছবির পরিমাণ আরো বেশি থাকে দেঁতো হাসি
চাইলে আপনিও চলে আসতে পারেন কিন্তু। সাথে বগুড়ার দই নিয়ে আসলে আমরা না করব না চোখ টিপি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রহরী আর কতদিন অন্যের গল্প চালাবে
তার নিজের গল্প কই?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নিজের গল্প লেখা যে অনেক কঠিন! তারপরেও লিখব বলে ঠিক করসি। আগে বড় হয়ে নেই। তারপর...

আপনার কবিতা কই ভাইজান?

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মানুষের কত্ত মজা... আমি পরের শ্রীতে কাতর না হয়ে নিজের পরীক্ষার দুঃখে কাতর হইলাম!

[অ.ট.: মেইল করেছিলাম একটা... :|]

--------------------------------
কাঠবেড়ালি! তুমি মর! তুমি কচু খাও!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এত পরীক্ষা দিয়ে আর পড়াশুনা করে কী হবে, বালিকা? শোনো নাই, "পড়াশুনা করে যে গাড়ির নিচে পড়ে সে"? দেঁতো হাসি

মেইল পাইয়াছি।

বালিকার নতুন পোস্ট কই?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই পোস্টে দিক্কার আর মাইনাস... রেগে টং

মিরপুরের প্রতি আমার জন্মগত অধিকার... মিরপুর আমার বাপ দাদার সম্পত্তি... আর আমারে রাইখা এমনকি না জানায়া এইসব? পান্থরে যদি মাইর না দিছি...

আর প্রহরী ব্যাটায় চীন্দেশে গিয়া তো কোনো জ্ঞানার্জনই করলো না। সে এখনো জানেই না পোস্টে কার ছবি দিতে হয়... এই কালা ধলা ব্যাটাগো ছবি দেইখা আমি কী করুম? সেই বালিকাদের ছবি কই?

আবারো মাইনাস
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আপনার ফোন চিৎকার কইরা ফাইট্টা গ্যালো, কিন্তুক আপ্নেরে পাইলাম না। আফছুস!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পরবর্তী আড্ডার আয়োজক তো আপনি। এইবার নজু ভাইরে কিন্তু অবশ্যই বলবেন। এইটাও ভাল করে বলে দিবেন যেন উনি নিজ হাতে কৈ মাছ রান্না করে নিয়ে আসেন দেঁতো হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আমি আবার প্ল্যান কইরা ইভেন্টা নামাইতে পারি না, আমার হইলো ধর তক্তা মার পেরেক। তয় একখান আইডিয়া আইছে মাথায়, আপ্নের লগে ফোনে ডিটেইল আলাপে সব বলবো। দ্রুতই আড্ডা হবে এনশাল্লাহ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি যে তক্তা-পেরেক মানুষ, তা আপনারে দেখলেই টের পাওয়া যায়। হা হা হা। কাল তাইলে কথা হবেনে ডিটেইল। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মিরপুরের পাশাপাশি তো মনে হইতেছে মাইনাসও আপনার সম্পত্তি দেঁতো হাসি
এত দেন, তাও আপনার মাইনাস আর ফুরায় না!

ফোটু পরে দেখামুনে। শর্ত একটাই, সিলেটের ফোটু দেখান আপনি। সেই যে চা খাইতে গেলেন, আর ফিরলেন না! ফাঁকিবাজের ফাঁকিবাজ! মন খারাপ

তানবীরা এর ছবি

পোষ্টে মাইনাস, গুরুতর মাইনাস , হ
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শুধু দাঁত দেখালেই হবে, জনাব? জনগণ তো আপনার বক্তব্য জানতে চায়। জানতে চায় সেই গোপন রহস্য। তিব্বতের গহীন জঙ্গলের কোন আশ্চর্য জরিবুটির গুণে আজ আপনি এতটা রমণীমোহন? কেন আপনার চারপাশে শুধু বালিকা আর বালিকা? দেঁতো হাসি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আসোলে আমার গ্যাটআপে সবাই আমারে আপ্নেগো দারোয়ান ভাবছেলো। আর জানেনই তো, অন্দরমহলে ঘোকার আগে দারোয়ানরে ম্যানেজ করন লাগে। আসোলে তেনারা আপনার আর অমিত ভাইয়ের লগেই খিল্লি খাইছিলো দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি কইলেই হইলো! আপনার ডাকে যে বালিকারা জোড়ায় জোড়ায় দোকানে আইসা ঢুকতেসিলো, সেইটা ভুইলা গেলেন? আর, সবাই তো খালি আপনার দিকেই তাকায়া ছিলো। হাসতেছিলো। দৃষ্টি বিনিময় করতেসিলো। এমনকি খালি জায়গা ফেলায়া রাইখা সব বালিকা আপনার আশেপাশেই বসতেসিলো চোখ টিপি

আর, আপনি এইটা কী বললেন?! আপনি পান্থ'দাকে এইরকম হালকাভাবে দেখতে পারলেন?? উনি কি খিল্লি খাওয়াইতে পারেন না?? দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি এরকম নজু(ভাই)মার্কা কথা শুরু করলেন কেনু? চিন্তিত
আপনারেও তো মাইনাসের খনি মনে হচ্ছে!

আঙুলের খবর ভালো তো? স্ক্র্যাচ কার্ড বেশি ঘইষেন না, অথবা বেশি টাকা গুইনেন না চোখ টিপি

বিপ্রতীপ এর ছবি

লেখা এবং ছবি দুইটাতেই উত্তম জাঝা!

নাবালককে সাবালক বানানোর প্রক্রিয়া চলছে

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংক্যু। দেঁতো হাসি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কেমন যেন সন্দেহ লাগছে। প্রহরীর কোনো ছবি নাই, আবার আমাকে নিয়েও কী কী আলাপ হইলো।
নাহ! আগামীতে স্পাই দিতে হবে।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

প্রহরী নিজের ফটু দিতে লাজ পায়, তাই ক্যামেরা নিজের কাছছাড়া করে না।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@ধুগো'দা

আরে, এইটা তো সামান্য একটা 'ক্যামেরা' চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@সিমন ভাই

আমি তো আর আপনার মতো ছেলেব্রিটি না... মন খারাপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@শিমুল ভাই

সন্দেহ! কেনু কেনু কেনু চিন্তিত
আমি তো ক্যামেরার পিছে ছিলাম। তাই ছবি তোলা হয়নি নিজের।

আগামীতে আমরাও সতর্ক থাকব, ধরেই নিবো যে স্পাই পাঠাইছেন দেঁতো হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নাহ্, প্রহরী দেখছি বেশ খেটেখুটে পোস্ট লিখছে। পরের আড্ডায় একটা মিরিন্ডা পাওনা রইল! চলুক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ঠিকাছে, একটা মিরিন্ডা... কিন্তু পরিমাণ (কত লিটার) আমি নির্ধারণ করব, ঠিকাছে? দেঁতো হাসি

নাজনীন খলিল এর ছবি

হিংসায় মরে যাচ্ছি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। নাজনীন আপু, বাসার ঠিকানা আর মেনুটা দেন, আমরা সদলবলে হাজির হয়ে যাব আপনার ওখানে, আড্ডা দিতে। দেঁতো হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

একটা গল্পিলা পোস্ট-এ বলে এত্তগুলা কমলা (অ্যাকটিভ লিংক) শব্দ থাকে! অ.প্র., আপ্নেপারেনোরেভাই!
একটা মাস্টারি ক'রে নিই শুরুতে (হে হে, চান্স পাইছি!)
উপযাজক না, এইটা উপযাচক। হাসি

যাক, তারপরে আসি আড্ডা আর আড্ডাপোস্ট নিয়ে।
ঈর্ষা তো আমার ললাটলিখন, সারাদিনই এখানে ওখানে ক'রেই যাচ্ছি, এটা আর না বলি! হাসি
প্রথম অবজেকশন-
এইখানে সাংহাইফের্তার একটাও ছবি নাই কেনু কেনু কেনু?!?!?!
আর কতোকাল অদৃশ্য থাইকাই বালিকাদের ধাড়কানাইবেন কন?!

[মেইলামেইলি শুরু হইছে দেখলাম। চোখ টিপি ]

আড্ডাইতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু ওইদিনও এনকিদু আর সিমনের ডাক পায়াও যাইতে পারি নাই শালার চাকরামির লেইগ্যা। মন খারাপ
যাউকগা, ছবিতে সবাইকেই অনেক ভালো লাগছে, সব ছবি তোলাও অনেক ভালো হয়েছে। আর, এই ছবিগুলা আর এই টুকরা বিষয়গুলা নিয়ে যেইভাবে আপ্নে লেখাটা গুছাইছেন সাজাইছেন, সেইটাতে এক্কেরে ছয়তারা আয়রনফ্যান মেইনস্যুইচ! দেঁতো হাসি

অনেক ভালো লাগলো।
আপনার চৈনিক-কাহিনী কবে পামু?! হ্যাঁ?

[আচ্ছা, @ অমিত, আমার সেকেন্ড ফিলিমে নায়কের রোল-টা করবেন না কি?!]
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চাইলে আপনিও পারবেন কমলা শব্দে পোস্ট ভরতে, এইটা এমন শক্ত কোনো কাজ না চোখ টিপি

চান্স পাওয়ার কিছু নাই, আমার সব পোস্টেই ভুল পাবেনই বেশ কিছু করে। এখন থেকে সব ধরায়া দিবেন কিন্তু হাসি
এই ভুলটাও আর ঠিক করলাম না পোস্টে। এতদিন পর সম্পাদনা করলে আবার প্রথম পাতায় চলে আসে কি না, কে জানে।

আপনারে এই অফিস আর কাজই শেষ করে ফেলবে মন খারাপ
বেশিরভাগ আড্ডাতেই আপনাকে পাওয়া যায় না। এত্তো ব্যস্ত থাকেন! চেষ্টা কইরেন পরেরটাতে থাকার।

বালিকারা ধাড়কায় আর কই! আর, আমারে দেখলে তো আশেপাশে একটা বালিকাও পাওয়া যাবে না (অন্ধ বালিকারা ছাড়া)! এই কারণেই তো আড়ালে থাকি মিয়া, বোঝেন না? আপনি তো দেখি উল্টা আমারে বিপদে ফেলানোর জন্য এইসব বুদ্ধি দিতেছেন। খুব খ্রাপ দেঁতো হাসি

হা হা হা। থ্যাংক্যু থ্যাংক্যু। প্রশংসার জন্য। আর সাইফুলাক্বর্খানীয় মন্তব্যের জন্য আরেকটা থ্যাংক্যু। ভালু থাইকেন। হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

না ভাই, আমার পোস্ট-কে আমি কখনও উইকিপিডিয়া বানাইতে চাই না! চোখ টিপি
চায়নারীদের গল্প শুনতে খুব মঞ্চায়! সাংহায়্ল্লাহ্!
আর, ওইসব আড়ালডালের ধুনফুন বাদ দেন মিয়া। খাড়ান আপ্নেরে ধরতেছি।
আর, হ্যাঁ, যেইভাবে সব জায়গায় সাইফুলাক্বর্খানীয় বলতেছেন আপ্নে, সাম্নে আপ্নের একটা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেছি। আমি এম্নেই কিছু মন্তব্য করবো সামনে 'যাচাই করা হয়নি' টাইপের কিছু বেনামে, দেখমু তো আপ্নে বুঝতে পারেন কি না ওইটা যে আমি! খাইছে
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। দেখি, কবে নাগাদ লেখা যায়...
আপনার 'ওয়ার্ডজোফ্রেনিক' রোগ আরো মারাত্মক আকার ধারণ করুক চোখ টিপি
আপনার সিরিজের অপেক্ষায় আছি কিন্তু।

আর, পরীক্ষা দেয়ার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত। আশা করি, অন্তত পাশ মার্ক তুলতে পারব দেঁতো হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি
অল দ্য বেস্ট!
আগে ওয়ার্ডজোফ্রেনিক-এর একটা ব্যবহারিক সিকুয়্যাল লেখমু চিন্তা করতেছি। দেঁতো হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অপেক্ষায় আছি, আইজুদ্দিন। দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্পটা ভালো লাগলো!! মন্তব্যগুলোও ভালো। বুঝতে পারছি সবার সম্পর্কটা অনেক জোরালো। আমি এখনও অতিথি। তবু সবার কাছেই সবিনয়ে জানতে চাইছি সাইফুল ভাই আপনি নিজে মডু না তো!! ধারণা সত্যি হলেতো আমি পাশ। আর অতিথি থাকবো না!!!

আশরাফুল আলম রাসেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

সচলায়তনের সবার সম্পর্ক আসলেই অনেক জোরালো এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। আপনাকেও সাদর আমন্ত্রণ এই সচল পরিবারে। নিয়মিত লিখুন, সবাইকে চিনুন-জানুন, দেখবেন কখন যে সবার বন্ধু হয়ে গেছেন, টেরও পাবেন না।

সাইফুল ভাই মডু নাকি, সেটা তো রহস্য উদঘাটন করলেই বেরিয়ে পড়বে। তবে নিয়মিত সময় দিন আমাদের, এমনিতেও আর অতিথি থাকবেন না তাহলে।

ভাল থাকুন। হাসি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

@ রাসেল,
তুমি নিজে একজন মডু হইয়াও স্পায়িং করনের লেইগ্যা অ্যাম্নে একটা নতুন অতিথি অ্যাকাউন্ট খুললা!
ছি রাসেল! চোখ টিপি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

কীর্তিনাশা এর ছবি

- ওরে এই পোস্টা মিস হয়ে গেছিলো !

- চ্রম আড্ডাবাজি করছেন দেখি। তা নিয়া লেখাও দিছেন ফাটাফাটি। ছবিগুলার ক্যারিশমাও কম না।

- নাহ্, এখন আর আপনারে ইর্ষা না করে উপায় নাই।

- যাক সে কথা, ইয়ে প্রহরী ভাই আপনার প্রিয় রঙটা যেন কী ?? হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ছোট্ট পরীটাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তাই এক আধটা পোস্ট তো মিস হতেই পারে হাসি

হুমম, আড্ডা চ্রম হইসে ওইদিন। কিন্তু আমারে ঈর্ষা! আপনার শরীর খারাপ না তো? দেঁতো হাসি

কমু না চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।