এই সিরিজে কোন সতর্কতা নেই। কারণ এইখানে কোন সংবেদনশীল বিষয় নেই। সেগুলো নাহয় অন্য পর্বের জন্যেই তোলা থাক।
তবে একটা বিষয় আজ আবার নতুন করে উপলব্ধি হলো কোন এক কার্য-কারণ সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে, যা আজই ফেসবুক স্ট্যাটাসে গেঁথে রেখেছি নব্য উৎবচন হিসেবে : ছাগল হওয়ার বিশাল সুবিধা হলো, ছাগলামি করতে আগে থেকে কোন প্রমাণপত্র পেশ করতে হয় না।
তবে এই সিরিজের সাথে ছাগলের কোন সম্পর্ক নেই !
সতর্কতা:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে !
...
সতর্কতা :
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…
বর্ষা নামলেই
অভব্যের মতো কাব্য করতে বসে যায়
ওরা-
কেন ! বৃষ্টি তো নিজেই কাব্য !
…
ঘড়িতে সাতটা বাজে। মানে সকাল সাতটা। রুহি জানে, এখনি কলিং-বেলটা বেজে ওঠবে। ছুটে গেলো জানলার পাশে। সারি সারি ফ্ল্যাট বাড়িগুলোর ফাঁক দিয়ে গলিটা খুব একটা দেখা যায় না। তবু যতটুকু চোখ যায় দেখছে সে। কিন্তু কই, দেখা যাচ্ছে না তো কাউকে। আর তর সইছে না তার। আসছে না কেন, কী হলো আজ ?
(১)
বাটনে চাপ দিতেই মোবাইলের ওপাশ থেকে নারী-কণ্ঠের রিনিঝিনি বেজে ওঠলো- দাদা কেমন আছেন ?
জী ভালো। আপনি কেমন আছেন ?
জী আমিও ভালো। তো দাদা, আপনাকে রিং করেছি একটা প্রয়োজনে !
বলেন ?
…
ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক হিসেবে আহসান মঞ্জিলের (Ahsan Manzil) নাম শোনেন নি এমন শিক্ষিত বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেষে দক্ষিণমুখী হয়ে দাঁড়ানো আগুনে লালরঙা এই অসাধারণ কারুকার্যময় অট্টালিকা কেবল অমূল্য স্থাপত্য হিসেবেই নয়, ঢাকা নগরের অতীত ইতিহাস ও তৎকালীন জীবনযাত্রায়ও রেখেছে ব্যাপক প্রভাব। উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত ঢাকায় তো বটেই, গোটা পূর্ববঙ্গেও প্রভাব বিস্তার করেছিলো আহসান মঞ্জিল। স্থানীয়ভাবে ঢাকাবাসীদের কাছে এর পরিচয় নবাববাড়ি নামে। অর্থাৎ এটা শুধু মঞ্জিল নয়, নবাব পরিবারের আভিজাত্য, বৈভব ও প্রভাবের প্রতীক এই অট্টালিকা। পাশাপাশি দুটো বিশাল দ্বিতল ভবনের পূর্ব পাশের ভবনে ছিলো নবাব পরিবারের বাস এবং পশ্চিম পাশেরটি ছিলো দরবার হল।
…
বাংলায় ঔপনিবেশিক আমলে নির্মিত ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান ও ভবনগুলোর মধ্যে ঢাকার ফরাশগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত লালকুঠি (Lalkuthi) হিসেবে পরিচিত নর্থব্রুক হল (Northbruck Hall) অন্যতম। ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় বা গভর্নর জেনারেল লর্ড নর্থব্রুক (১৮৭২-৭৬ খ্রিঃ) ১৮৭৪ সালে এক সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। নর্থব্রুকের এই ঢাকা সফরকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে ঢাকার প্রখ্যাত ধনী ব্যক্তি ও জমিদারগণ ‘টাউন হল’ ধাঁচের একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
অর্থহীন হলেও একটা সতর্কতা থাকলো না-হয়:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তায় যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
…
…
গুরুদুয়ারা (Gurdwara) হচ্ছে শিখ সম্প্রদায়ের প্রধান উপাসনালয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই গুরুদুয়ারায় প্রবেশ করে প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করতে পারে। গুরুদুয়ারায় প্রার্থনাস্থলকে বলা হয় ‘দরবার সাহেব’। এর চারদিক দিয়েই ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকে। ফলে অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপত্যের তুলনায় গুরুদুয়ারা উপাসনালয়ে প্রবেশদ্বারের সংখ্যা সাধারণত বেশি থাকে। প্রত্যেক গুরুদুয়ারায় হলুদ রঙের পতাকা টাঙানো থাকে। একে বলা হয় ‘নিশান সাহেব’। নিশানের দু’দিকে তলোয়ারের ছবি আঁকা থাকে, যা ‘খাণ্ডা’ নামে পরিচিত। এই নিশানকে শিখ-জীবনের জাগতিক ও আধ্যাত্মিক মিশ্রনের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।