রসে-বশে -০৩

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ১১/০৭/২০১০ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দোহাইঃ এটা কোন ধারাবাহিক লেখা নয়। একই ধরণের লেখার জন্য প্রতিবার নতুন নতুন নাম খোঁজার ঝামেলা এড়াতে শিরোনামের পরে ক্রমবাচক সংখ্যা বসানো হয়েছে। অনিয়মিত এই সিরিজের প্রত্যেকটি লেখা মাসুদ রানার মত স্বয়ংসম্পূর্ণ। পাঠকের পক্ষে আমার “নতজানু মনন, অপচিত মেরুদণ্ড” সিরিজের সাথে এই সিরিজের মিল পাওয়া আশ্চর্যের কিছু না।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর নির্বাচন হয়ে গেল। এই সংগঠন বা তার নির্বাচন নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা হবার কথা না। কারণ, এর সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু এবারের এফবিসিসিআই-এর নির্বাচন ব্যক্তি আমাকে যথেষ্ট ঝামেলার মধ্যে ফেলেছে। এফবিসিসিআই-এর ভোটারদের (যারা মূলতঃ ব্যবসায়ী নেতা) নামের তালিকা যখন প্রকাশিত হয় তখন একজন ভোটারের নামের সাথে ভুলবশতঃ বা অসাবধনতাবশতঃ তার মোবাইল নাম্বার হিসাবে আমার মোবাইল নাম্বার ছাপা হয়। প্রাথমিক সেই তালিকা প্রকাশিত হবার পর থেকে আমার মোবাইলে অভিনন্দন জানিয়ে, ভোট চেয়ে, দোয়া চেয়ে ক্রমাগত এসএমএস আর ফোন আসতে থাকে। ভোর ছয়টা থেকে মধ্যরাতের পর পর্যন্ত এই যন্ত্রণা চলতে থাকে প্রায় একমাস সময় ধরে। প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হবার পর যখন এই যন্ত্রণা শুরু হল তখন আমার এক ব্যবসায়ী বন্ধুর (যিনি এফবিসিসিআই-এর ভোটারও বটে) কাছে এর প্রতিকার চাইলাম। তিনি প্রতিকার করার আশ্বাস দিলেন। বললেন প্রাথমিক তালিকা সংশোধন করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হবে, সেখানে এই ভুল থাকবেনা।

যথাসময়ে প্রাথমিক তালিকা সংশোধিত হয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হল, কিন্তু আমার মোবাইল নাম্বারটি আবারও ঐ ভোটারের নামের সাথে ছাপা হল। আমি যেহেতু এফবিসিসিআই সংশ্লিষ্ট কেউ নই তাই সেখানে যোগাযোগ করে এর প্রতিকার করা আমার জন্য সহজ ছিলনা। তাছাড়া অতসময়ও আমার হাতে ছিলনা। যথারীতি ভোট আর দোয়া চেয়ে এসএমএস আর ফোনের প্রবাহ চলতে থাকে। এক একটা এসএমএস আর ফোনের ভাষা অসাধারণ। তবে দিনের মধ্যে পঞ্চাশবার অমন এন্টারটেইনমেন্ট সহ্য করার মত স্নায়ু আমার নেই। তবু কারো সাথেই আমি কোন খারাপ ব্যবহার করিনি। নির্দিষ্ট যেসব নাম্বার থেকে এসএমএসগুলো আসতো সেগুলোতে ফিরতি এসএমএস পাঠিয়ে আর মেসেজ না পাঠানোর অনুরোধ করেছিলাম কয়েকবার - কিন্তু কোন লাভ হয়নি। আমার কাছে কষ্ট লেগেছে এই ভেবে যে যার নামের সাথে আমার মোবাইল নাম্বার ছাপা হয়েছে তিনি একবারও আমাকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেননি। একজন সচেতন ব্যবসায়ী নেতার কাছ থেকে এই সৌজন্যতাটুকু আমার পাওনা ছিল।

আমার দুঃখের কথা বলার জন্য এই পোস্ট নয়। গোটা পোস্টের এই অংশতে যেটা আপনাদের জানাতে চাই সেটা হচ্ছে এফবিসিসিআই-এর নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন প্রার্থী আর জোটের দাওয়াত খাওয়ানোর মহোৎসবের কথা। একথা সবাই জানেন যে নির্বাচন উপলক্ষে দাওয়াত খাওয়ানো, উপঢৌকন দেয়া বাংলাদেশের নির্বাচনবিধিতে নিষিদ্ধ। নির্বাচনবিধিকে পাশ কাটানোর জন্য সরাসরি নির্বাচনের কথা না বলে হাবিজাবি নানা ব্যক্তিগত বা সামাজিক উপলক্ষ দেখিয়ে গত একমাসের বেশি সময় ধরে প্রার্থী আর জোটগুলো পাঁচতারা হোটেল আর নগরের বড় বড় মিলনায়তনগুলোতে বেশুমার খানা-পিনা, উপঢৌকনের আয়োজনে নেমেছিল। নির্বাচন শেষ হবার পর সেই প্রবাহটা এখনো হালকাভাবে বিদ্যমান আছে। এক একটা দাওয়াতের জন্য দশটা করে ফোন আর বিশটা করে এসএমএস পেয়েছি। আমি হিসাব করে কুল পাইনা হাজার দেড়েক ভোটার আর তাদের সাথে আরো শ’পাঁচেক অতিথিকে পাঁচতারা হোটেলে এক একটা দাওয়াত খাওয়াতে কত টাকা খরচ হয়েছিল। এক মাস ধরে এমন দাওয়াতের মেগাসিরিয়াল চালাতে মোট কত কোটি টাকা খরচ হয়েছে?

আচ্ছা, এফবিসিসিআই-এর পদতো মেম্বার-চেয়ারম্যান-এমপি হবার মত কোন ব্যাপারনা, যেখানে নির্বাচিত হলে বেতন মিলবে, সরকারী সুবিধা মিলবে বা অসৎ লোকদের ক্ষেত্রে চুরি করার জন্য গম-টিন-কম্বল মিলবে। তাহলে এই কোটি কোটি টাকা খরচ করে নির্বাচন করা কেন? যারা ব্যবসায়ী তারা আর কিছু বুঝুন বা না বুঝুন নিজের সলিড লাভটুকু ভালো বোঝেন। নয়তো তাদের পক্ষে ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব হতনা। তা ব্যবসা করে লাভ করা অন্যায় বা অন্যায্য কিছু নয়, বরং তা সমর্থণযোগ্য। কিন্তু বিনাবেতনের পদে নির্বাচিত হবার জন্য সচেতন ব্যবসায়ীরা যখন কোটি কোটি টাকা খরচ করেন তখন আমার পাপী মনে কু-ডাক গায়। এই টাকা নিশ্চয়ই কোন না কোন ভাবে লাভসহ আদায় করা হয়। কিন্তু কিভাবে তা ভেবে পাইনা। অবশ্য অতসব ভাবার দরকার কী। এই দেশে বেশিরভাগ নির্বাচনের চেহারাতো একই প্রকার। তাই এই নির্বাচনটা নিয়ে খামাখা না ভেবে আমরা আমাদের মত রসে-বশে থাকি। দিনশেষে আমজনতাকেইতো সব মূল্য পরিশোধ করতে হবে - এ যে নির্বন্ধ।

***************************************

কাঁঠালবাগান, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, নর্থ রোড, নর্থ সার্কুলার রোড, ভুতের গলি, গ্রীন কর্নার, গ্রীন রোডের পূর্ব পার্শ্ব মিলিয়ে যে এলাকাটা সেই এলাকার পূর্ব থেকে পশ্চিমে (সোনারগাঁ রোড থেকে গ্রীন রোড) যাবার প্রধান সড়ক হচ্ছে কাঁঠালবাগান বাজারের রাস্তাটা। প্রশস্ততা, মসৃনতা, সারল্য ইত্যাদি বিবেচনায় এই রাস্তাটাকে রাস্তার মর্যাদা দেয়া কঠিন। তবু এই এলাকা আর তার আশ-পাশের মানুষের জন্য এই রাস্তার গুরুত্ব অপরিসীম। পান্থপথে রিক্‌শা চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় এই রাস্তার গুরুত্ব আরো অনেক বেড়ে গেছে। নানা কাজে কাটাকুটি করার দরুন এই রাস্তাটা অনেকদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। বন্ধ মানে রিক্‌শা চলেনা, অন্য কোন গাড়িতো বহুদূরের কথা। ফলে সবাইকে এই এলাকার গলি-ঘুঁচি দিয়ে পথ চলতে হয়। সেই গলি-ঘুঁচিগুলোর অবস্থা কাঁঠালবাগান বাজারের রাস্তার চেয়েও খারাপ। গলিগুলো এত সরু যে দুটো রিক্‌শা পাশাপাশি চলতে পারেনা। গলির রাস্তাগুলোর ছাল-বাকল উঠে এমন হয়েছে যে রিক্‌শায় বসে বন্ধ বাটিতে জাম নিয়ে গেলে তা আপনা আপনি জাম-ভর্তা হয়ে যাবে। গলিগুলো এত আঁকা-বাঁকা যে সামনে থেকে কী আসছে তা বোঝার উপায় নেই।

কাঁঠালবাগানের গল্পের মত অমন গল্প মগবাজার-নয়াটোলার লোকজনও বলতে পারবেন। অমন বা তারচেয়ে বীভৎস গল্প ঢাকার অন্য আরো অনেক এলাকার মানুষ বলতে পারবেন। ভাঙা বা কাটা রাস্তার জন্য যখন ঘুরপথে ভুলভুলাইয়ার মত গলিগুলোতে ঢুকবেন তখন কয়েকটা ব্যাপার ভাবলেই আপনার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসবে। এই বাড়িগুলোর কোনটাতে কখনো আগুন ধরে গেলে নীমতলির চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ঘটে যাবে। আর মধ্যমাত্রার ভূমিকম্প হলেতো কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবেনা। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে তখন এর-তার ঘাড়ে দোষ চাপানো, ভবিষ্যতে আর এমন হবেনা এমন সব কথা শোনা যাবে। বাস্তবে কিছুতেই কিছু হবেনা, সবকিছুই আগের মত চলবে। লক্ষ করলে দেখবেন গাড়ি চলেনা এমনসব গলিগুলোতেও কম নামী, বেশি নামী, বদনামী নানা রিয়াল এস্টেট কোম্পানী উঁচু উঁচু ফ্ল্যাটবাড়ি তুলছে। লোকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে সেগুলো কিনছেও। রাজউক এই ভবনগুলোর অনুমতি দিচ্ছে কিনা সে প্রশ্ন অবান্তর। কারণ, খোদ রাজউক ভবনের পাঁচশ মিটারের মধ্যে অসংখ্য বহুতল ভবন আছে যেগুলোতে রাজউকের আইন মানা হয়নি। এক ভবনের দেয়ালে ড্রিল করলে ড্রিলবিটের মাথা আরেক ভবনের দেয়াল ফুঁড়ে বের হয়।

এসবে আমাদের কিছু যায় আসেনা। আমরা সব কিছুই মেনে নেই। তা সে আইন না মেনে বাড়ি তোলা হোক আর ছয়মাস ধরে রাস্তা কেটে রাখা হোক। নীমতলি ট্র্যাজেডির মত ঘটনা ঘটলে আমরা একটু চুক্‌ চুক্‌ করে দুঃখ প্রকাশ করবো কিন্তু নিজেরাই যে vulnerable অবস্থায় আছি সেকথা মনে আনবোনা। নগরপিতারা বা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যাদের দায়িত্ব আছে এসব দেখার তারাও আমাদের মত রসে-বশে থাকেন। তাই নতুন নতুন আর ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নিয়ে এই নগর বেড়ে চলে, তার অধিবাসী বেড়ে চলে।

***************************************

গিলব্রেথ দম্পতি আর তাঁদের এক ডজন সন্তান (আসলে এগারো জন) নিয়ে লেখা বই-মুভি “Cheaper by the Dozen” বা তাঁদের করা Time & Motion Study’র কথা আমরা জানি। বাস্তবে আমাদের প্রতিদিনের জীবনে মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রন করে সময় বাঁচানো ও দক্ষতা বাড়ানোর কতটা আমরা করি? একটা উদাহরণ দেয়া যাক। বাংলাদেশের যে কোন সাধারণ রেস্টুরেন্টে বসে আপনি খাবার অর্ডার দিয়ে ওয়েটারের মুভমেন্ট লক্ষ করুন। দেখবেন তার বেশিরভাগ মুভমেন্টেরই কোন আউটপুট নেই। একই ব্যাপার নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও দেখবেন, তবে একটু কম। অন্যের কথা বাদ দিন, নিজের কথা ভাবুন। আমরা নিজেরা ঘরে-বাইরে যত মুভমেন্ট করি তার শতকরা কতভাগের আউটপুট আছে? আমাদের উদ্যোগগুলোর কতগুলোই বা কোন পজেটিভ আউটপুট দেয়? ষোল কোটি মানুষের মুভমেন্টের এই অপচয়ের বার্ষিক মূল্য টাকায় নির্ধারণ করলে তা কত হাজার কোটি টাকা হবে?

যাকগে, এসব হাবিজাবি ভেবে কী লাভ? যেমন আছি বেশতো আছি, রসে-বশে আছি। দিনতো গেল সন্ধ্যে হল, হরি পার করো আমারে।


মন্তব্য

ভাঙ্গা পেন্সিল [অতিথি] এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

টাকাতো তারা চাইতেই পারেন। নির্বাচনে কত টাকা-পয়সা খরচ হয়ে গেলনা!

জনতা টাওয়ারের বদলে অভিসার সিনেমা হলের উলটা দিকে একটা জমি মনে হয় বরাদ্দ পেয়েছেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কিন্তু বিনাবেতনের পদে নির্বাচিত হবার জন্য সচেতন ব্যবসায়ীরা যখন কোটি কোটি টাকা খরচ করেন তখন আমার পাপী মনে কু-ডাক গায়। এই টাকা নিশ্চয়ই কোন না কোন ভাবে লাভসহ আদায় করা হয়। কিন্তু কিভাবে তা ভেবে পাইনা।
এর উত্তর জানার কৌতূহল আমারও। কেউ জানেন কি?

মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ববোধ, শৃঙ্খলাবোধ এত কম যে সত্যিই হতাশ লাগে। কোনদিন কি এই অবস্থার উন্নতি হবে!?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কারো প্রতি নূন্যতম অশ্রদ্ধা প্রকাশ না করে বলি, আমাদের দেশে বেশির ভাগ শিক্ষিত মানুষ এখনো ব্যবসা করাটাকে তাদের উপযুক্ত কাজ বলে মনে করেননা। আবার শিক্ষিত ব্যবসায়ীদের খুব কমজনই ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে আসতে চান। শিক্ষিত ব্যবসায়ী নেতাদের বেশিরভাগই আবার business politics কে national politics-এর সাথে এমনভাবে মিলিয়ে ফেলেন যে তাতে national politics-এর খারাপ উপাদানগুলো এখানেও চলে আসে।

অবস্থার উন্নতি অবশ্যই হবে, তবে তার জন্য আমাদেরকেই রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মুস্তাফিজ এর ছবি

আপনে মিয়া বোকা। গতবার আমার মোবাইল নাম্বার নিয়া এই রকম হইছিলো। যতগুলা মেসেজ এসেছিলো সবগুলার উত্তরে একটা মেসেজ পাঠাইতাম, আহ্‌ কী দারূন তার ভাষা!! আর ঐ সংক্রান্ত ফোন এলেই উত্তর দিতাম লাইনে থাকেন স্যারের পাতলা পায়খানা, হাগু করতে গেছে। হাসি

...........................
Every Picture Tells a Story

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি যে বোকা সেটা প্রমাণিত ব্যাপার। তবে ফিরতি মেসেজ দিয়ে নিজের পয়সা খরচ করা বুদ্ধিমানের কাজ না। এবার প্রার্থী-জোটেরা নির্দিষ্ট পাঁচ-ছয়টা মোবাইল নাম্বার থেকে মেসেজগুলো পাঠিয়েছেন, কারো ব্যক্তিগত নাম্বার থেকে না। তাই সাহিত্য মূল্যমানসম্পন্ন ফিরতি মেসেজ পাঠিয়ে লাভ হতনা।

ফোনে আপনার মত লাগসই উত্তর দেবার ক্ষমতা আমার নাই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

১.
এফবিসিসিআইয়ের সদস্য হওয়ার পথে অর্ধেক এগিয়ে গেছেন। বাকিটুকু একটা ধাক্কা দিলেই হয়ে যাবেন।

২.
ভূতাত্ত্বিকভাবে বেঙ্গল বেসিন যতটুকু অঞ্চল জুড়ে হয় তাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করে ভূমিকম্প হবার সম্ভাবিলিটি(!!!) নির্ণয় করেছিলাম ২০০৪/০৫ সালে। ঢাকা স্বভাবতই পড়েছিল মাঝের ভাগে।

আমাদের হিসাব অনুযায়ী রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প তৈরি হতে যে পরিমাণ শক্তি দরকার সেই পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছিল ভূ-অভ্যন্তরে। তবে আশার কথা হচ্ছে টুকটাক ভূমিকম্পে বেশ ভাল পরিমাণ শক্তি ব্যয় হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে বড় মাপের ভূমিকম্প হবার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।

বাংলাদেশের মাঝামাঝি অঞ্চলটিতে প্রতি ১০০-১২০ বছরে একটা বড় মাপের ভূমিকম্প হবার কথা। শেষবার হয়েছিল ১৮৯৭ সালে। ২০২০ সালের মধ্যেই আরেকটা হবার সম্ভাবনার কথা বলেন ভূবিজ্ঞানীরা। যদি সে ভূমিকম্প সত্যিই হয়ে থাকে তাহলে কী ঘটবে সেটা অনুমান করা দুঃসাধ্য।

৩.
সহজভাবে হিসাব করলে আমাদের মোট মুভমেন্টের অর্ধেক কাজ পজিটিভ, বাকিটুকু অপচয়। আমাদের দুটো হাতের একটা নিজের পশ্চাৎ ঢাকতে ব্যয় হয় আর বাকিটা অন্যের পশ্চাতে ঢোকাতে ব্যস্ত থাকে। হো হো হো

এখন কোনটা পজিটিভ মুভমেন্ট সেটা নির্ভর করছে কার হাত কোথায় ঢুকছে তার উপর। হো হো হো


কি মাঝি, ডরাইলা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পান্ডব্দা, মন্তব্য করার মতো কিছু পাই নাই... তাই দ্রোহী ভাইয়ের সাথে একমত পোষণ করে গ্লাম...

_________________________________________

সেরিওজা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার মত কিছু না-ই পেতে পার। তবে মেম্বর প্রতিভাবান মানুষ। তার মন্তব্যে যে উইট থাকে তাতে পাঠককে একমত হতেই হয়।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. আরেকটা ধাক্কা দিলে চেয়ার থেকে মেঝেতে পড়ে যাব।

২. ভূমিকম্পে ঢাকার যত না ক্ষতি হবে তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালাতে না পারার জন্য। একই ঘটনা ঘটবে আগুন লাগলে। ভূমিকম্পের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও নানা ভাবে আগুন লাগতে পারে। তখন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হবে। অবশ্য ভূমিকম্পে খোদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের কী হবে তাও আমাদের জানা নেই।

৩. আমাদের মুভমেন্টের পজিটিভ ব্যাপারটা হল যথেষ্ঠ বৈরীতা সত্ত্বেও এই মুভমেন্ট করে আমরা টিকে আছি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সিরাত এর ছবি

দারুণ লাগলো মন্তব্যটা! পছন্দ করার অপশন নাই তাই উত্তর দিলাম।

নাশতারান এর ছবি

পছন্দ করার অপশন নাই মানে?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নাশতারান এর ছবি

ঢাকার অলিগলিতে হাঁটতে গেলে বোঝা যায়। এমন কোনো গলি নেই যেখানে নির্মাণকাজ চলছে না। সবখানে ইট-সুরকি-বালু-সিমেন্টের জঙ্গল আর অবিরাম শব্দদূষণ। এক চিলতে জায়গাও এরা ফাঁকা থাকতে দেবে না।

[ধরণের > ধরনের, কোন > কোনো, থাকবেনা > থাকবে না, হল > হলো, উপলক্ষ > উপলক্ষ্য,
কুল > কূল, পদতো > পদ তো, ব্যাপারনা < ব্যাপার না, হতনা > হতো না,
সমর্থণযোগ্য > সমর্থনযোগ্য, কোন না কোন ভাবে > কোনো না কোনোভাবে, কিভাবে > কীভাবে,
পাইনা > পাই না, ভুতের > ভূতের, মসৃনতা > মসৃণতা, আশ-পাশের > আশপাশের, মত > মতো, নিয়ন্ত্রন > নিয়ন্ত্রণ]

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নির্মাণকাজ চলুক তাতে আপত্তি নেই। আপত্তি হচ্ছে গলির প্রশস্ততা, সারল্য আর মসৃণতা নিয়ে।

বানান ভুল ধরার জন্য ধন্যবাদ। এভাবেই ভুল ধরা উচিত। ভুলগুলোর মধ্যে কোনটা টাইপো, কোনটা অসাবধানতা আর কয়েকটা মানিনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

খেকশিয়াল এর ছবি

গলির রাস্তাগুলোর ছাল-বাকল উঠে এমন হয়েছে যে রিক্‌শায় বসে বন্ধ বাটিতে জাম নিয়ে গেলে তা আপনা আপনি জাম-ভর্তা হয়ে যাবে।

হো হো হো

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি

আমি কইতে গেছিলাম রিকশায় বন্ধ বাটিতে মুড়ি, চানাচুর আর তেলমসলা আলাদা আলাদা নিয়ে উঠলে ঝালমুড়ি হয়ে যাবে। আসলেই খুব খারাপ অবস্থা। মন খারাপ
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ঝালমুড়ি বানাতে খুব জোরে ঝাঁকুনি দেয়া লাগেনা, কিন্তু জাম ভর্তা বানাতে বেশ জোরে ঝাঁকুনি দিতে হয়। তাই রিক্‌শাতে জাম, সর্ষের তেল, বীট লবন, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ এইসব নিয়ে উঠুন। এইসব রিক্‌শা ভ্রমণে কিছুটা ব্যায়াম করাও কিন্তু হয়ে যাচ্ছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অন্যের পোস্ট পড়ে হাসলে তার কাফ্‌ফারাস্বরূপ নিজেকে একটা পোস্ট দিতে হয়। তা আপনি আপনার কাফ্‌ফারাটা কখন দেবেন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তাসনীম এর ছবি

ফাউ কিছু দাওয়াত খেয়ে আসতে পারতেন হাসি


কিন্তু বিনাবেতনের পদে নির্বাচিত হবার জন্য সচেতন ব্যবসায়ীরা যখন কোটি কোটি টাকা খরচ করেন তখন আমার পাপী মনে কু-ডাক গায়। এই টাকা নিশ্চয়ই কোন না কোন ভাবে লাভসহ আদায় করা হয়।

আসলেই হয়, মাসিক তিন হাজার টাকার ক্রীতদাস দিয়ে কাজ করালে প্রচুর লাভ হয় নিশ্চয়।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ফাউ দাওয়াত পাওয়া যায়, কিন্তু ফাউ খেতে গেলে ধরা পড়তে হত। ওখানে ঢোকার ক্ষেত্রে একটু কড়াকড়ি আছে। কেন সেটাতো বুঝতেই পারছেন।

কেউ ব্যবসায় লাভ করে টাকা উড়ালে অন্যের আপত্তি থাকার কথা না। তবে নির্বাচনে টাকা উড়ালে সন্দেহ হবেই। সেখানে তো ক্রীতদাসরা নেই, তাহলে লাভটা কীভাবে করা হয়?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হিমু এর ছবি

একটা হিসাব দিয়ে যাই, থাম রুলের মতো কাজ করবে। শ্রমিকের বেতন তিন হাজার হলে, মালিকের প্রতি কোটি টাকা দিয়ে ২৭৭ জন শ্রমিকের এক বছরের বেতন দেয়া যাবে।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দশ লাখ টাকার গাড়ি করেও ফ্যাক্টরিতে যাওয়া যায় আবার এক কোটি টাকার গাড়িতে করেও ফ্যাক্টরিতে যাওয়া যায়। গাড়ি কিনতে এক কোটির বদলে দশ লাখ খরচ করলে যে নব্বই লাখ টাকা বাঁচে তাতে ৬০০ শ্রমিককে এক বছর ধরে (৩০০ কর্মদিবস) দুপুরের খাবার খাওয়ানো যাবে। অথবা শ্রমিকদের জন্য একটা মেডিক্যাল সেন্টার চালানো যাবে। অথবা শ্রমিকদের ৭৫০টি সন্তানের এক বছরের পড়া-শোনার খরচ চালানো যাবে।

এমন হিসাব আরো দেয়া যাবে। তবে সেসব কারো কানে ঢুকবেনা। ঢাকার রাস্তায় বিএমডাব্লিউ, হ্যামার, লিঙ্কন, রোলস্‌-রয়েস চলতেই থাকবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

...ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের অভিভাবক সমিতির নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা আছে? থাকলে এফবিসিসিআইয়েরটা এতো সাংঘাতিক কিছু মনে হতো না...

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আচ্ছা, এই অভিভাবক সমিতির নির্বাচন নিয়া পরিচিত মহলে নানা কথা শুন্তেসি। গৌতমদা জানেন নাকি কিছু ?? রয়েসয়ে একটু বলে দেন না...

_________________________________________

সেরিওজা

গৌতম এর ছবি

হে হে হে... রয়েসয়ে আবার বলতে পারি না। সামনাসামনি দেখা হলে শুনে নিয়েন... হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

অভিভাবক সমিতি কী জিনিস এবং সেখানে নির্বাচন কেন প্রয়োজন তা-ই তো বুঝে উঠতে পারছি না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

পুলাপান! ট্যাকা-পইসা কামানের রাস্তাটাই এখনো চিনলোনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

তাইলে একটু 'গিয়ান' ফলাই।

এটাকে বলে স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি বা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি বা এসএমসি। আগে যেমন বিদ্যালয় পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকতে বিদ্যালয়প্রধানের ওপর, এখন সেটা এসএমসির ওপর। এসএমসির ১১ সদস্যের একটি কমিটি থাকে যেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়প্রধান সদস্য সচিব হন। এর বাইরে শিক্ষক প্রতিনিধি, বিদ্যানুরাগী, অভিভাবক প্রতিনিধি ইত্যাদি মানুষজন থাকেন কমিটিতে। শিক্ষক প্রতিনিধিতে কোনো ভোটাভুটি হয় না, শিক্ষকরাই তাদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। সমস্যা হয় অভিভাবক প্রতিনিধিতে। অভিভাবকদের সংখ্যা এতো বেশি যে তাদের মধ্য থেকে কাকে বেছে নেওয়া হবে সেটা খুবই সমস্যা হয়ে দাড়ায়। অনেক অভিভাবকই এর সদস্য হতে চান কারণ এই কমিটির সদস্য হওয়া তাদের কাছে একটা সম্মানের ব্যাপারও (!) বটে। এটা নিয়ে দেনদরবারও চলে নাকি! তাছাড়া কমিটিতে থাকলে অনেক মিটিং-সিটিং করা যায়, অনেকের সাথে যোগাযোগ হয়, বিদ্যালয় পরিচলানয় মাতব্বরি করা যায়- ইত্যাদি অনেক কারণ মিলিয়ে মানুষ এটাতে থাকতে আগ্রহী হয়। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। আর এক্ষেত্রে ভিকারুননিসা বা এরকম কোনো বিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়, তখন অভিভাবকদের আগ্রহ কী পরিমাণ হয় তা বলাই বাহুল্য।

অবশ্য নির্বাচনে না জিতলেও কমিটিতে থাকা যায়। বিদ্যানুরাগী বা বিদ্যোৎসাহী বলে একটা পদ আছে এই কমিটিতে। পছন্দ অনুযায়ী যে কাউকে বিদ্যানুরাগী বা বিদ্যোৎসাহী বানাতে তো সমস্যা নেই!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

গিয়ানের কথায় কমিটিতে থাকলে কেউ কেউ কারো কারো কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেন সেই কথাটা বললেন না! স্কুল উন্নয়নের নামে বাণিজ্যের কথাও বললেন না!!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

গৌতম এর ছবি

উহুঁ, আমি শুধু গিয়ানের কথাই বলতে চেয়েছি। দুর্নীতির কথা না। তবে যেটা বললেন, এটা শহরের গুটিকতক বিদ্যালয়ের চিত্র। গ্রামের স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য হয় না। স্কুল উন্নয়নের নামে টাকা বাণিজ্যের ঘটনাও খুব কম। সেখানে ভর্তির জন্য অনেক সময় শিক্ষার্থীই পাওয়া যায় না। আর বাণিজ্য? টাকাই নাই গ্রামের বিদ্যালয়ে, বাণিজ্য তো দূরের কথা!

.............
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার কন্যা নাই। তাই ঐ স্কুলের ব্যাপারে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নাই। তবে স্কুলটার ধারে-কাছে থাকি বলে অভিভাবক সমিতির নির্বাচনটা যে হেভিওয়েট হয় তা বুঝতে পারি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাংলাদেশে বস্ত্রশিল্পে যেসব বুর্জোয়া আছেন, তাঁরা বেশিরভাগ ঠিকঠাক মানুষ না। এদের কারবার নিয়ে ব্লগোমণ্ডলের আরো সক্রিয়তা প্রয়োজন।

কাঁঠালবাগান এলাকায় প্রায় আট বছর থেকেছি। আর কী বলব!

টাইম এন্ড মোশান স্টাডি-র কন্সেপ্ট খারাপ না। কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর নানা তরিকার এটিও একটি। এই যেমন, কফি খেতে ইচ্ছে করছে। ছোট চামচ দিয়ে কয়েক কিস্তিতে ঢেলে একটু বেশি সময় নিয়ে বানিয়ে বারান্দায় বসে এদিক ওদিক দেখতে দেখতে খাই। টাইম এণ্ড মোশান খাটিয়ে তিন মিনিটে এই কর্ম সারা যায়। আমি লাগাচ্ছি পনের মিনিট। দিনে দুই বার কফি। একদিনে সময় নষ্ট হচ্ছে চব্বিশ মিনিট। বছরে ৮৭৬০ মিনিট। আরো ত্রিশ বছর বাঁচতে পারলে নষ্ট হবে ২৬২৮০০ মিনিট ( মানে ১৮২.৫ দিন)।

তারপরেও মনে হয় মানুষ,যন্ত্র তো আর না। বাকী কথা মেম্বর বলে দিছেন।

-----------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাংলাদেশের বেশিরভাগ সেক্টরেই শ্রমিক-কর্মচারীদের সাথে যে ব্যবহারটা করা হয় তা মানবিক না। শুধু বস্ত্রখাতকে দোষ দেয়া যায়না। সরকার, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, সচেতন মানুষ সবারই এদিকে নজর দেয়া দরকার। তবে সেই চোখ আমাদের নেই। মেহনতী মানুষদের জন্য জান লড়িয়ে দেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর অফিসে যারা বেতনভূক কর্মচারী হিসাবে কাজ করেন তারা যে কী মানবেতর জীবন যাপন করেন তা ঐসব নেতা-কর্মীদের চোখেও পড়েনা।

সারা ঢাকা জুড়েই শত শত কাঁঠালবাগান ছড়িয়ে আছে। কোনটা রেখে কোনটার কথা বলব। আমি নিজে ১৯৯৮-২০০১ ঐ এলাকার সার্কুলার রোডের এমন এক গলিতে ছিলাম যেখানে ১০০ মিটারের মধ্যে ৩০টা ম্যানহোল ছিল (গুনে দেখেছিলাম)। যথারীতি ৩০টার মধ্যে ২০টার ঢাকনা নিয়মিতভাবে থাকতোনা।

আমাদের মুভমেন্টের ক্ষেত্রে ১০০% পারফেকশন কখনো আসবেনা, তার দরকারও নেই। তবে কর্মক্ষেত্রে এর যথাযথ ব্যবহার নিঃসন্দেহে উৎপাদনশীলতা বাড়াবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

শেষ পর্যন্ত কয়টা ফাও দাওয়াত খেলেন তা কিন্তু পরিষ্কা হলো না

০২

ভালো মানুষ তো গলি ঘুপচিতে অত ঘোরাঘুরি করে না
আপনার ধান্দাটা কী?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

০১
ফাউ দাওয়াত খেয়েছি একটা। সেটা কাল রাতে, ঠিক আপনার পাশে বসে। অস্বীকার করতে চান? পারবেন না। এই যে দেখেন প্রমাণ।

০২
কালকের দাওয়াত খেতে তো আবার সেই কাঁঠালবাগানের গলি দিয়েই যেতে হয়েছে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

এফবিসিসিআই, ঢাকা ক্লাব, বিজিয়েমিয়ে, গুলশানক্লাব আর জুনিয়ার চেম্বারের মধ্যের তফাতগুলিই তো এখনো বুঝলাম না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

তফাত বোঝার দরকার নেই। তফাত না বুঝেই তো দিন পার হল। শুধু জানি কিছু কিছু ব্যাপারে এরা সমমত, সমপথের।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

১. কয়েকটি মন্তব্যে মনে হচ্ছে নির্বাচনটি গার্মেন্ট মালিকদের। আসলে এটি দেশের সব ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন। ( অবশ্য গার্মেন্ট মালিকদের নির্বাচনে কম টাকা খরচ হয়, এমনটা বলছি না। )

২. এসব সংগঠনের নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচের কোনো কারন আপনি বুঝতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে আসলে আলাদা করে দেখার কিছু নেই। জাতীয় নির্বাচন থেকে ইউপি নির্বাচন পর্যন্ত সব জায়গাতেই একই অবস্থা। আমরা নির্বাচনপ্রেমী জাতি, এবং সে নির্বাচন টাকা দিয়ে জেতা যায়; এরকম পদ্ধতিতেই আমাদের বিশ্বাস বেশি।

৩. কাহিনী আসলে সংক্ষিপ্ত। স্বাধীনতার পর এদেশের বড় ব্যবসায়ী সবাই আসলে ফার্স্ট জেনারেশন বড়লোক। প্রায় সবাইই মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেনী থেকে এসেছেন। একটা সময় হাতে প্রচুর টাকা এসেছে, সে টাকায় বাড়ি গাড়ি সব হয়েছে। কিন্তু টাকা তো এখনও আসছে। নতুন বড়লোক জেনারেশন হিসেবে এদের ভোগের তৃষ্ণা প্রবল , জীবনের সব অতৃপ্তি তারা মেটাতে চান। এখন বাড়ি গাড়ি হয়ে গেল, বাকি থাকলো সম্মান। এফবিসিসিআই এর সদস্য হলে ঐ সম্মানটুকু পাওয়া যায়, সরকারী অনুষ্ঠানে দাওয়াত টাওয়াত মেলে, মন্ত্রীরা ডেকে কথা বলে, এয়ারপোর্টে বোধহয় কিছু সুযোগ সুবিধাও পাওয়া যায়। টাকা দিয়ে যেহেতু বাকি সবই কেনা হলো, তাহলে আর সম্মান কেনার চেষ্টাটাই বা বাকি থাকে কেন?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. ক্লারিফিকেশনটা পোস্টের প্রথম বাক্যেই ছিল তারপরও কেউ কেউ ভুল বুঝেছেন। গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের অবস্থা দেখি নন্দঘোষের পর্যায়ে চলে গেছে!

২. এক হিসেবে আপনার কথা ঠিক। তবে যারা টাকাটা খরচ করেন তারা কোন না কোন ভাবে আদায়-উশুলের কথাও ভাবেন।

৩. Self-actualization সংক্রান্ত আপনার ব্যাখ্যা কাহিনীর একটা অংশ। তবে কারো কারো কাছে এটাও এক রকমের ব্যবসা। আমরা যেখানে ছুটির দিনসহ বছরের সব দিনে দশ-বারো ঘন্টা কাজ করেও রুটি-রুজি যোগাড় করতে গলদঘর্ম হই, সেখানে কিছু মানুষ বছরের ৩৬৫ দিনে সারা দিনভর ফিতা কেটে আর বক্তৃতা দিয়ে কীভাবে ব্যবসাটা করে সেটা তলিয়ে দেখলেই তার সত্যতা মিলবে।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সেদিন একটা খবর দেখলাম কোথায় যেনো, মনে পড়ছে না একেবারেই।
খবরটা ছিলো কোনো এক চেম্বার অফ কমার্সের (চট্টগ্রাম কি!) বাৎসরিক হিসাব নিয়ে। তারা আপ্যায়ন খরচের যে ভাউচার জমা দিয়েছে তাতে এক প্লেট বিরানির দাম পড়েছে তিন হাজারের কিছু বেশি টাকা।

এটার সাথে কি এফবিসিসিআই এর নির্বাচনের কোনো যোগসাজশ আছে? চিন্তিত

আমার জাম ভর্তা খাইতে ইচ্ছা করতেছে। জাম পাই কই পাণ্ডব'দা! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বছর দুই আগে দণ্ডকারণ্যনিবাসী অশ্বিনীকুমার চতুর্থ পাণ্ডব "কালোজাম" খেতে চাইলেন। আমি ভাবলাম কালোজাম নামের মিষ্টিটা খেতে চাইছেন বুঝি। পরে বুঝলাম তিনি জামের কথা বুঝিয়েছেন। বলাই বাহুল্য তার কপালে "কালোজাম" জোটেনি। Rubus গণের কালো রঙের ফল যা জর্ম্মন দেশে পাওয়া যায় সেটা দিয়ে ভর্তা বানানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- চেরি পাকলে কালো হয় বটে দেখতে কিছুটা, অনেকটা আমাদের দেশের গোদা জামের মতো। কিন্তু এটা মুখে দিলেই বুঝা যায়, এটা চেরি, আমাদের জাম না!

তবে চেরি কি rubus গণের অন্তর্ভুক্ত! জানি না। আপনি বোধ'য় rubus laciniatus এর কথা বলছেন। এইটা কষ্টি কষ্টি লাগে মুখে দিলে। ভর্তা বানিয়ে অবশ্য খেয়ে দেখি নি। খেয়ে দেখা যেতে পারে অবশ্য। হাসি

চলেন পাণ্ডব'দা, আমাদের ঐতিহাসিক 'ট্যুর দো মদনগঞ্জ'এ একটু পরিবর্তন আনি। বন্দর গুদারা পাড় হয়ে ঠোঙা ভর্তি জামের ভর্তা নিয়ে আমরা রিক্সায় উঠবো। তারপর সেই ভর্তা খেয়ে, কালচে-নীল মুখ বানিয়ে তারপর মদনগঞ্জে ল্যান্ড করবো, কী বলেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাশতারান এর ছবি

লবণ-মরিচ দিয়ে স্ট্রবেরি ভর্তা করে দেখতে পারেন। খারাপ না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হে হে হে
স্ট্রবেরি'র দেশে থাকি, আর বাঙ্গু হয়ে এর ভর্তা না খেলে ক্যামনে? কিন্তু কালোজামের ভর্তা ইজ কালোজামের ভর্তা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চেরী Rubus-এর ভাই Prunus গণের অন্তর্ভূক্ত। এর কিছু কিছু প্রজাতির স্বাদ আমাদের জামের মত হবার কথা।

Rubus laciniatus মানে তো এভারগ্রীন ব্ল্যাকবেরী (চিরসবুজ কালোজাম!!! ক্যাম্নে কী??)। এটা মোটামুটি অখাদ্য। ভর্তা বানালে একটু ভালো লাগতে পারে।

'ট্যুর দো মদনগঞ্জ'-এ জাম ভর্তা খাবার ব্যাপারে কোন আপত্তি নাই। কিন্তু ভাইরে, জামতো থাকে বছরে মাত্র পনের দিন। ঐ সময়ের মধ্যে আপনি আসতে পারবেন তো?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

বৈজ্ঞানিক নাম জানিনা তবে এখানে খালের পাড়ে বাঁধের ধারে এমনিতেই প্রচুর ব্ল্যাকবেরি হয়। টকমিষ্টি, এবং বিটলবন মরিচ দিয়ে হালকা সেদ্ধ করলে অসাধারন ভর্তা হয়।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

- সেদিন একটা খবর দেখলাম কোথায় যেনো, মনে পড়ছে না একেবারেই।
খবরটা ছিলো কোনো এক চেম্বার অফ কমার্সের (চট্টগ্রাম কি!) বাৎসরিক হিসাব নিয়ে। তারা আপ্যায়ন খরচের যে ভাউচার জমা দিয়েছে তাতে এক প্লেট বিরানির দাম পড়েছে তিন হাজারের কিছু বেশি টাকা।

ঘটনা খুলনার।

সবকিছুই কি চট্টগ্রামের ওপর (পড়তে পারেন, পেছন) দিয়ে চালাতে হবে? এর তীব্র প্রতিবাদ জানালাম।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।