১.
সকালবেলা বলে রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলোতে পরোটা ভাজা হচ্ছে। খাবারের দোকানগুলোতে অন্য সব খাবার ভেতরের রান্নাঘরে রান্না করা হলেও কী কারনে যেন পরোটা আর সিঙ্গারা রাস্তার পাশে বা রাস্তার ওপরে ভাজা হয়। আমি বিভিন্ন দোকানের পরোটা ভাজার কায়দা আর পরোটার চেহারা দেখে তার গুণগত মান বোঝার চেষ্টা করি। চার দশকের বেশি সময় ধরে পরোটা খাবার অভিজ্ঞতা থেকে এখন চেহারা দেখে পরোটার মান বুঝতে পারি। এই মহানগরে কম করে হলেও হাজার পাঁচেক দোকানে প্রতিদিন প্রায় পঞ্চাশ-ষাট লাখ পরোটা ভাজা হয়। প্রতিদিন এই বিপুল পরিমাণ পরোটা ভাজা হলেও বেশিরভাগ জন পাচক আটা/ময়দা মাখানো, পরোটা বেলা, পরোটা ভাজার সঠিক কৌশল রপ্ত না করায় (অথবা রপ্ত করার ইচ্ছে না থাকায়) খুব কম দোকানেই ঠিক ঠিক মানের পরোটা ভাজা হয়। আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এর দামে। এখানে দুই টাকা থেকে শুরু করে শ’টাকা দামের পরোটা পাওয়া যায়। দামের এই বিরাট হেরফেরের কারণ আমার কাছে বোধগম্য নয়। যেমন এখানে একটা ডিম ভাজার দাম পনের টাকা থেকে বারোশ’ টাকা পর্যন্ত হয়।
আমাদের বাসায় বাসায় যে পরোটা ভাজা হয় তার আকৃতি সাধারণত চারকোনা আর সোনালী-বাদামী রঙের হয়। দোকানেরগুলো হয় গোল আর সাদা রঙের। এই পার্থক্যের কারণও আমার বোধগম্য নয়। বাসায় বানানো পরোটার মানের পরোটা দোকানগুলোতে কেন মেলে না সেটা বুঝতে পারি না। সচল মাহবুব লীলেন এই হেরফেরকে পরোটার গ্রান্ড ন্যারেটিভ আর অল্টারনেট ন্যারেটিভ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। অমন ব্যাখ্যা আমার মাথায় ঢোকে না। আমি কেবল পরোটার মানের ক্রমাবনতিতে মনোকষ্টে ভুগি।
আমরা যারা পরোটার ভোক্তা, তারা পরোটার আকার-অবয়ব, গুণ-মান, মূল্য ইত্যাদির হেরফের নির্দ্বিধায় মেনে নেই এবং এটাকেই স্বাভাবিক বলে মেনে নেই। আমাদের এই মেনে নেয়ার এই সহজাত আচরণ অসাধু বিক্রেতাদেরকে ভেজাল করতে, খাবারের মান ঠিক না রাখতে উৎসাহিত করে। তবে তারা উৎসাহিত হোক বা না হোক, খাদ্যে ভেজাল করার যে সর্বনাশা সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠেছে সেটা প্রমাণ করে মানুষ হিসেবে আমরা কতোটা নির্বোধ এবং নীচ।
২.
এই মহানগরের সবচে’ অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে পথচারীরা অন্যতম। এখানে চলাচলের জন্য কোথাও ফুটপাথ আছে, কোথাও নেই। ফুটপাথ কোথাও পাঁচফুট উঁচু, কোথাও পাঁচ মিলিমিটার। এখানে একটানা ফুটপাথ বলে কিছু নেই। কী নেই ফুটপাথের ওপর! দোকান, হকার, ভিখিরি, প্রমোদবালা, উদ্বাস্তু মানুষের সংসার, দামী দোকান কর্তৃক দখলকৃত অংশে টাইলসের বাঁধাই, ল্যাম্পপোস্ট, গাছ, খোলা ম্যানহোল, ডাস্টবিন, নির্মাণ সামগ্রী .........। পথচারীদের সুবিধার্থে বানানো ফুট ওভারব্রিজগুলো এমনভাবে বসানো হয় যে ওভারব্রিজের আড়াআড়ি অভিমুখে চলা পথচারীর জন্য ফুটপাথ বলে আর কিছু থাকে না। ফলে সেই বেচারাকে নেমে আসতে হয় পথে। ওভারব্রিজগুলো যারা ডিজাইন করেন এবং যারা স্থাপন করেন তাদের বিবেচনায় সম্ভবত এই ব্যাপারটাই নেই। একই কথা সত্য যারা ফুটপাথের ওপর ডাস্টবিন বসান তাদের ক্ষেত্রেও। নগর পরিকল্পনা, সড়ক পরিকল্পনা, ট্রাফিক কৌশল ইত্যাদি নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের মূল শিক্ষায় মানবিক বিষয়গুলোর উপযুক্ত মান ও পরিমাণে সম্ভবত ঘাটতি আছে, নয়তো মানুষের নগরের স্থাপনা নির্মাণে মানুষের কথা ভাবা হয় না কেন? আমরা খুব আশ্চর্য মানুষ! আমরা এগুলো প্রতিনিয়ত ভোগ করি, কিন্তু এগুলো নিয়ে ভাবি না, কথা বলি না, প্রতিকারের চেষ্টাও করি না।
রাস্তায় যদি খোঁড়াখুড়ি বা কোন নির্মাণ চলে অথবা রাস্তায় যদি জ্যাম থাকে তাহলে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিক্শা মায় সিএনজি পর্যন্ত ফুটপাথে উঠে আসে। আগে শুধু মোটরসাইকেল উঠতো, এখন তার দেখাদেখি সাইকেল আর রিক্শাও ওঠে। একে রামে রক্ষা নাই, হনুমান দোসর! ফুটপাথে চলা পথচারীকে তাই সামনে-পেছনে দুইদিক থেকেই আসা অসভ্য সাইকেলচালক আর মাস্তান মোটরসাইকেল চালকের ব্যাপারে সতর্ক হয়ে চলতে হয়। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এই দৌরাত্ম্য নির্বিকার চিত্তে মেনে নেন। হাইকোর্ট থেকে একবার এই ব্যাপারে একটা নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছিল। কিন্তু কে শোনে কার কথা! প্রতিনিয়ত ট্রাফিক আইনকে কাঁচকলা দেখানো সাইকেল আর মোটরসাইকেল চালকরা নির্বিকারভাবে ফুটপাথ দিয়ে চলে যায়।
৩.
এই মহানগরে অন্তত কয়েক লাখ লোক ফুটপাথে বাস করেন। প্রাকৃতিক কর্ম সারার জন্য তাদের জন্য কোন পাবলিক টয়লেট নেই। তাই ফুটপাথে চলতে গেলে সতর্ক থাকতে হয় মানববিষ্ঠার ব্যাপারে। কোন কোন জায়গায় বিসর্জিত মুত্রের ঝাঁজালো দুর্গন্ধে চোখ পর্যন্ত জ্বালা করে ওঠে। ফুটপাথবাসীদের দেখলে আমি ভাবি এরা দিনের বেলায় কর্মটি কোথায় সারেন? কী করেন উদরাময় বা আমাশয়ে আক্রান্ত হলে? ফুটপাথবাসী নারীদের কী উপায়?
এই ব্যাপারে আমাদের কারো কোন ভাবনা নেই। নগরে আমরা যারা গৃহবাসী তারা ফুটপাথবাসীদের প্রতি কী অবিবেচক, অমানবিক ও হৃদয়হীনের মতো আচরণ করি! এই বাক্যটা বোধকরি ঠিক বললাম না। কারণ, শৌচাগার নির্মাণ ও ব্যবহারের সংস্কৃতি আমাদের দেশে অধুনা। যুগের পর যুগ আমরা ‘মাঠকর্ম’ করেই জীবন চালিয়ে এসেছি। যারা ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত কালকূটের (সমরেশ বসু) ‘কোথায় পাবো তারে’ পড়েছেন তারা একটু মনে করলে দেখতে পাবেন সেই সময়কার গ্রামবাংলায় শৌচাগার জিনিসটিই নেই। বক্রেশ্বরের কাপালিকদের মতো দরিদ্রের গৃহে তো নেই-ই, মলুটি’র রাজাদের মতো ধনীর গৃহেও নেই। যে জিনিস আদতে নেই, সেটার অভাবও কেউ বোধ করে না। এজন্য আমাদের বোধের জগতে শৌচাগারের আবশ্যিকতা অনুপস্থিত। তাই বোধকরি ফুটপাথবাসী মানুষেরা প্রাকৃতিক কর্মটি কোথায় সারবেন সেটা নিয়ে নগরপিতাদের এখনো কোন ভাবনা নেই।
৪.
এই মহানগরের রাস্তায় বের হলে অবধারিতভাবে ধুলো গিলতে হবে আর আবর্জনার দুর্গন্ধ সহ্য করতে হবে। রাস্তা ঝাঁট দেবার জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আছেন। ধুলো কমাবার জন্য রাস্তায় জল ঢালার ব্যবস্থা আছে। ডাস্টবিন থেকে আবর্জনা নিয়ে যাবার গাড়ি ও কর্মী আছে, সেটার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও আছে। কিন্তু সেগুলো মোটামুটি কাজীর গরু আকারে আছে। তাই পথচারীদের প্রতিনিয়ত ধুলো আর দুর্গন্ধ হজম করতে হচ্ছে। এর ফলে প্রতি বছর চিকিৎসার্থে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে তার ঢেড় কম খরচে মহানগরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব। কিন্তু কে ভাববে সেসব কথা!
রাস্তার ধুলোর একটা অবধারিত উৎস হচ্ছে ভাঙা রাস্তা। মহানগরে রাস্তার মালিক স্থানীয় সরকার, তারা রাস্তা বানায়। আর বিদ্যুৎ, টেলিফোন, জল সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বিভাগসহ অন্যরা তাদের প্রয়োজনে রাস্তা কাটে। রাস্তা কাটার যে বিধান আছে সেখানে যে রাস্তা কাটবে সে কাজ শেষে রাস্তাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিয়ে যাবে অমনটা বলা আছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাই কাজ শেষ হবার পর অনেক সময়েই শুধু মাটি ফেলে বা ইট ফেলে দিয়েই তারা চলে যায়। এক্ষেত্রে দায়টা মূলত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের। কিছুটা দায় রাস্তা কাটলো যারা সেই বিভাগ আর স্থানীয় সরকারের তদারকী বিভাগের। একটু খোঁজ নিলে দেখা যাবে কাজের বিল যখন করা হয়েছে তখন রাস্তা মেরামতের বিলও করা হয়েছে, কিন্তু রাস্তা ঠিক করা হয়নি। বছরের পর বছর চলে আসা এই দুর্নীতি এখন সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।
৫.
ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার ক্ষেত্রে আমার কাছে বড় আকর্ষণ হচ্ছে পুরনো বইয়ের দোকান। এক কালে এই মহানগরে পুরনো বইয়ের অনেক দোকান থাকলেও বা অনেক জায়গাতে ফুটপাথে পুরনো বই নিয়ে বসার চল থাকলেও এখন অতোটা আর নেই। যা-ও একআধটু আছে সেখানেও শুধু পুরনো পাঠ্যবই, নোটবই আর বিভিন্ন রকমের গাইডবই মেলে। যারা নতুন বই বেচেন তাদের কালেকশনে থাকে ধর্মীয় পুস্তক আর যৌন বিষয়ক পুস্তক। এ এক আশ্চর্য কম্বিনেশন! ফুটপাথের পুরনো বইয়ের বাজারের এই অধঃপতন যে কেবল আমাদের মহানগরে হয়েছে এমনটা নয়। অত্যন্ত বেদনার সাথে লক্ষ করেছি কলকাতার ফুটপাথের বইয়ের দোকানগুলোর ক্ষেত্রেও প্রায় অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। আর কোন মহানগরের কথা জানি না, তাই বলতে পারলামনা অধঃপতনটা কি শুধু দুই বাংলায় নাকি পুরো দুনিয়াজুড়ে।
ফুটপাথে পুরনো বই থাকুক বা না থাকুক, এই মহানগরে মোট বইয়ের দোকানের সংখ্যা খুবই কম। এখানে বিশাল বিশাল সব শপিং মল আছে যেগুলোতে কোন বইয়ের দোকান নেই। এখানে অনেক লম্বা রাস্তা আছে যেটার কোথাও বইয়ের দোকান নেই। একবার অফিস থেকে ফেরার পথে আমার স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে দিশাকে নিয়ে আসার কথা ছিল। আমি যখন সার্ক ফোয়ারার কাছে বাস থেকে নামি তখন দেখি মুভি শেষ হতে অনেক সময় বাকি। কাঁধের ব্যাগে কোন বই না থাকায় ভাবলাম রাস্তা থেকে একটা বই কিনে সিনেপ্লেক্সের বাইরে বসে পড়ে সময় কাটাই। সেদিন আমি গোটা পান্থপথ এবং গ্রীনরোড় চষে ফেলেও একটা বইয়ের দোকান পাইনি। এমনকি ফুটপাথে অয়েলক্লথ বা চৌকি বিছিয়ে পত্রিকা আর বই বেচা কোন হকারেরও খোঁজ পাইনি। এমন রাস্তার উদাহরণ আরো ডজন ডজন দেয়া যাবে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির যেমন গৌরবের দীর্ঘ ইতিহাস আছে, তেমন আমাদের বই না পড়বার সংস্কৃতির লজ্জার দীর্ঘ ইতিহাস আছে।
৬.
আমার অনেক দিনের শখ আমি কাশেম বিন আবু বকর, নিশাত চৌধুরী আর জানে আলম মনিরের লেখা বই পড়বো। তাই ফুটপাথে যখন বই খুঁজি তখন এইসব বহুউপন্যাসপ্রসবী লেখকদের বই খুঁজি। কী করে যেন তাদের বই কখনো আমার চোখে পড়েনি। এই দফাও পল্টনের মোড়ের ফুটপাথে তাদের কারো বই খুঁজে পাই না। ষাট-সত্তরের দশকের পশ্চিমবঙ্গের নক্শাল আন্দোলনের ওপর প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি’র লেখা একটা উপন্যাস চোখে পড়ে। কিন্তু সেটা কিনতে মন সায় দেয় না। কারণ সবার বোধগম্য। ফলে, ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত, এম আহমেদ নামের একজনের অনুবাদ করা, থর্নটন ওয়াইল্ডারের ‘দ্য আইডিয়াজ অভ মার্চ’ কিনি। অনুবাদের বীভৎসতার জন্য আমি সাধারণত অনুবাদ বই এড়িয়ে চলি। এই ক্ষেত্রেও আমার আশঙ্কা বাস্তব হয়ে দেখা দিল। আমার পঞ্চাশটা টাকা জলে গেল।
৭.
থর্নটন ওয়াইল্ডারের বঙ্গানুবাদ বগলে করে আমি বুদ্ধদেব বসুর পুরানা পল্টনের বাড়ি খুঁজতে খুঁজতে এক সময় নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে চলে আসি। দেখি প্রায় হাজারখানেক মানুষ। না, এখানে কোন জনসভা হচ্ছে না। কোন কর্মসূচীও নেই। লোকজন ছোট ছোট জটলা পাকিয়ে গল্প করছে। কেউ কেউ বোধকরি নানা তদবিরের জন্য এসেছে। একদল মানুষকে দেখি একটা বারান্দায় সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। দেখলে মনে হয় এই বুঝি কোন জ্বালাময়ী ভাষণ শুরু হবে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও আমি কোন ভাষণ শুরু হতে দেখি না। একদল মানুষ কাঁধে কাঁধ ঠেকিয়ে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে – ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত লাগে। এমন দৃশ্য আমি বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনেও দেখেছি।
এই লোকদের কাজের সমালোচনা বোধকরি আমার সাজে না। আমি রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখা মানুষ, আর তারা দেশের বর্তমান-ভবিষ্যতের হর্তাকর্তা।
৮.
কার্তিকের রোদ কিছুটা নরম হবার কথা, কিন্তু বাস্তবে তার উল্টোটা দেখা যায়। দুই ঘন্টা ধরে রোদে হাঁটতে হাঁটতে আমি ঘেমে নেয়ে উঠি। কপালে হাত দিয়ে সেখানে বালির একটা পরতের অস্তিত্ব অনুভব করি। হঠাৎ আমার অভিমন্যুর কথা মনে হয়। অভিমন্যু অনেকগুলো বছর ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বিক্রয় বিভাগে কাজ করে আসছেন। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, রোদ-ঝড়-জল সহ্য করে তিনি ক্রেতাদের দ্বারে দ্বারে পণ্য নিয়ে যাচ্ছেন। তার পরিশ্রমের তুলনায় আমার এই দুই ঘন্টা সমুদ্রের তুলনায় শিশির মাত্র। তার প্রতি আমার দায়িত্বে অবহেলা আর আমার অযোগ্যতাজনিত অক্ষমতার কথা ভেবে ছোটখাট আকৃতির আমি কুঁকড়ে আরো ছোট হয়ে যাই। কার্তিকের রোদ মেঘের ছায়ায় ঢাকা পড়ে, কিন্তু তাতে আমার লজ্জা আর ঢাকা পড়ে না।
মন্তব্য
একটা লেখায় অনেক ভাবনা। ভালো লাগলো।
ছেলের কথা আরো লিখতে পারতেন।
আপনার দেয়া লিংক ধরে অভিমন্যুর পেইজে গেলাম। কোন লেখা নেই! না লিখেও একাউন্ট পাওয়া যায় এখন!!!
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছেলের কথা আগে বার দুই লিখেছি। সামনে হয়তো আরো লিখবো।
অভিমন্যু তো লিখেই অ্যাকাউন্ট লাভ করেছেন। তবে তার পেইজে কোন লেখা নেই কেন সেটা তিনি অথবা মডারেটরগণ বলতে পারবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সম্ভবতঃ অতিথি হিসেবে লেখা পোস্ট যোগ করেননি
এবং
হাচল হবার পর নতুন পোস্ট দেননি, এটি হতে পারে
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
দুইটাই সত্য হতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মহানগরবাসী আমাদের সবার কথা, আপনি গুছিয়ে সুন্দর করে বললেন। ধন্যবাদ, পাণ্ডবদা।
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
পোস্ট পড়া আর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি বেশ হাঁটি, কিন্তু আপনি এতো তাড়াতাড়ি হাঁটেন কিভাবে পাণ্ডবদা? এবার বইমেলায় আপনার সাথে হাঁটতে গিয়ে তো হুমড়ি খেয়ে পড়ছিলাম আরেকটু হলে!
আসেন একদিন হাঁটাহাঁটি করি।
বেশ লাগলো অনেকদিন পর আপনার লেখা।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
জীবনের একটা কালে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দৌড়াতে হয়েছে। অভ্যাসটা এখনো রয়ে গেছে।
আমার তো নিয়মিতই তোমাদের সাথে হাঁটতে, গল্প করতে ইচ্ছে করে। সময়-সুযোগ পেলে তোমাকে নিয়ে একদিন পুরনো ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে হাঁটার ইচ্ছে আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমারও তেমনই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
যে দেশটায় এসেছি, সেই দেশটার পথে পথে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার ধারের কফিশপ আর খোলা রেস্তরাঁগুলোতে উঠতি ও পরিণত বয়সের মানুষদের কেবল বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে আর কফি গিলতে গিলতে বড় দূর-দর্শনের পর্দায় ফুটবল খেলা উপভোগ করে অফুরন্ত অলস সময় কাটাতে দেখেছি। সে তুলনায় দেশ আমার ঢের ভালো, পাণ্ডব!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আমাদেরকে পেটের ভাত জোটানোর জন্য প্রতিদিন ছুটতে হয়। অফুরন্ত অলস সময় আমাদের কল্পনার বাইরের ব্যাপার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একটা স্ট্রীট ফটোগ্রাফির আমেজ পেলাম। খুব ভালো লিখেছেন।
চিত্রকল্পটা আরো খুঁটিয়ে দেবার ইচ্ছে ছিল। পাঠকের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটতে পারে আশঙ্কায় অনেক বর্ণনা বাদ দিয়েছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমি এই ঢাকা শহরে কয়েক যুগ ধরেই আছি। আপনার লেখার সব বিষয়গুলোই হয়তো দেখেছি, অনুভবও করেছি। কিন্তু আপনার মতো করে হয়তো ভাবিনি আর এভাবে গুছিয়ে লেখাতো হয়ইনি। নতুন কিছু ভাবনার খোরাক পেলাম।
ধন্যবাদ। লেখা চলুক।
সব সময় সব কিছু চোখে পড়েনা বস্! আর যখন চোখে পড়ে তখন হয়তো লেখার সুযোগ হয় না। আপনি বিষয়গুলো অনুভব যে করতে পারেন এটা বিরাট ব্যাপার। সবাই সব কিছু বুঝতে বা অনুভব করতে চায় না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব দা শুধু ঢাকা শহরে না সব শহরে প্রায় একি অবস্থা! অামার শহরে কি নেই, অসংখ্য ছোট বড় মার্কেট(৩০-৪০)টা হবে, হাসপাতাল আর ক্লিনিক হবে ৪০-৫০ টা! অথচ বইয়ের দোকান ৫-৭ টি হবে, সেইসব বইয়ের দোকানে আমি পাইনা শহিদুল জহির-মাহমুদুল হক-ইলিয়াছ কিংবা অভিজিৎ-বন্যা, চরম-তারেক অণু কাউকে কে খুঁজে পাই না, এমনকি এরা এদের নাম-ই জানে না! কিন্তু ভরে আছে খোয়াবনামা, স্বামী- স্ত্রীর কর্তব্য, বেহেস্থের চাবি, দোজখনামা, দজ্জাল সহ চেতনার সকল বই। আমাদের পরিবারগুলো বাচ্চাদের হাতে এখন বোধহয় বই তুলে দেওয়ার চেয়ে খেলনা, আইফোন, আর জামা কাপড় বেশি তুলে দেয়।বই পড়ার চর্চা বোধহয় দিন দিন কমে যাচ্ছে।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
অধঃপতনটা যে সব জায়গায়ই ঘটেছে সেটা বাইরে গেলেই অনুভব করি। বই পড়ার চর্চাটা আসলেই মোটামুটি নাই হয়ে যাচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দস্যু ঘচাং ফু
আপনার ভাবনার মাত্রাটাই একটু আলাদা । লেখাটা পড়তে পড়তে মনে হলো আপনার সাথে ঘুরে ঘুরে পরোটা ভাজা দেখছি কিংবা পুরোনো বইয়ের দোকানের সামনে দাড়িয়ে বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছি ।
এই ভাবনাগুলো ( পরোটার বিষয়টা পুরোপুরিই আপনার ইউনিক ভাবনা । আমি এখনো কেবল পরোটার ভোক্তা । গুনগত মান নিয়ে মাথা ঘামাই কম ) এলোমেলো ভাবে এলেও মাথায় এসেছে । তবে এমনভাবে অনুধাবন করতে পারিনি ।
তবে বই এর দোকানের ব্যপারটা নিয়ে আসলেই চিন্তিত । ঢাকায় এক সময় প্রতিটা এলাকায় কয়েকটা করে বই এর দোকান ছিল ।
- মানুষের পাশ করে চাকরীর তাড়া বেড়ে গেলো, আর বুকস্টলগুলো ধীরে ধীরে গাইড বই আর স্টেশনারীর দোকান হয়ে গেল ।
- টেলিফোন আসলো । মানুষের কথা বলা বেড়ে গেল, পড়া গেল কমে । দোকান গুলো ফোন ফ্যাক্স এর দোকান হয়ে গেল ।
- মোবাইল আসার পর সেগুলো এখন ফ্লেক্সিলোডের দোকান ।
হাতে গোনা কয়েকটা টিকে আছে মনে হয় । তবে খুব একটা চোখে পড়ে না ।
dosshughochangfoo@gmail.com
==============================
চৈনিক নই, আমি নিতান্তই ভেতো বাঙালী,
নাই কোন তলোয়ার, কি বোর্ড খানাই সম্বল খালি;
জামাত দেখিলে তেড়েফুড়ে তাহাতেই ঝড় তুলি ।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে কিছু পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। ছাপানো বইই পড়তে হবে এমন কোন কথা নেই। মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপেও বই পড়া যায়। তবে হতাশার ব্যাপার হচ্ছে এতো সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পড়ুয়া লোকের সংখ্যা বাড়ছে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
০) আমার রুটিন সবসময়েই একেবারে এলোমেলো। আমি এই হরতালের সুবাদে মোটামুটি এক সপ্তাহ ছুটি পেয়ে গেলাম (আমার কর্মস্থল হরতালের সময় বন্ধ থাকে)। এই কয়দিন উলটাপালটা বেটাইমে ঘুমানো হয়ে যাচ্ছে, ফলে বেশ সকাল সকাল ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন। আজকেও জাগাই ছিলাম, কল দিলেই পারতেন। তাছাড়া আপনার বাসায় একদিন হুট করে চলে যাব যাব করেও আলসেমি করে আর যাওয়া হচ্ছে না।
১) ছুটির দিনে বাসায় থাকলে আমি সাধারণত আশেপাশের কোন একটা হোটেল থেকে পরোটা কিনে আনি। সাপ্তাহিক কাজের দিনগুলোতে বাসায় বানানো নাস্তাই খাওয়া হয়। আগে যখন ক্লাস করতাম তখন আট্টার ক্লাস শেষ হবার পনের বিশ মিনিট আগে বের হয়ে যেতাম, আর পরের ক্লাসের পনের মিনিট পরে ঢুকতাম, একেবারে ক্লাস করা কমিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত এই ছিল আমাদের ব্যাকবেঞ্চারদের রুটিন। মাঝে সময়টাতে ক্যাফেতে পরোটা ভাজি আর ডাল আর চা। আসার সমইয় ক্লাস পালাতে অনিচ্ছুক আর ভয় পাওয়া লোকজনের জন্যে প্যাকেটে করে সিঙ্গারা আর সমুচা নিয়ে আসতাম। পরোটা ভাজি খাওয়ার সেইসব বন্ধুরা কেউই এখন আর দেশে নাই, অনেকে বন্ধু নাই। পরোটা ভাজি আর ডালও আর আগের মত লাগে না।
বাসার পরোটা সম্ভবত সব বাসাতেই একই রকম, অন্তত আমি যেটুকু দেখেছি। রুটি বানিয়ে চারকোনা ভাজ করা হয় তারপর বেলে পরোটা বানিয়ে তেলে ভাজা হয়। তেলে ভাজার কারনে বাদামী রঙ আসে। সেদিন আমি গোল পরোটা বানিয়ে কম তেলে ভাজার চেষ্টা করলাম ঠিক হোটেল স্টাইল হল না।
৬) 'হু' আর 'ই' আদ্যক্ষরসম্বলিত লেখকের বহু উপন্যাস প্রসবকারী লেখকের লেখা তো নিশ্চয়ই পড়েছেন
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমার ডিউটির যা রুটিন তাতে তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা হয়ে যেতে পারে। হয়তো আজ সন্ধ্যায়ই হতে পারে।
লেয়ার মুরগীর মতো ৩৬৫ দিনে ৩০০টা ডিমপাড়া অনেকের লেখাই পড়েছি। জীবনে যতটুকু পড়ার সুযোগ হয়েছে তার বেশির ভাগই অমন হাবিজাবি জিনিস।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কাশেম বিন আবু বকরের নাম আগে শুনেছি। উপন্যাস লেখক হিসেবে নিশাত চোধুরি আর জানে আলম মনিরের নাম এই প্রথম শুনলাম। খুঁজে পেলে পড়ে দেখব ভাবছি। আপনি হয়ত সিরিয়াসলিই লিখেছে কিন্তু আমি পরোটা বিষয়ক কথকথায় মজা পেয়েছি।
গোঁসাইবাবু
জানে আলম মনির এক বার এক বইমেলায় এক সাথে ৫৪টা উপন্যাস প্রকাশ করেছিলেন। আর নিশাত চৌধুরীর প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা মনেহয় হাজার খানেক। সংখ্যার দিক দিয়ে কাশেম বিন আবু বকরও কম যান না। এতোটা বয়স হয়ে গেলো অথচ এখনো তাদের কারো কোন বই পড়িনি! দেখি শীঘ্রই আফসোস্ কাটিয়ে উঠতে পারি কিনা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সেই উপন্যাসের পুরুত্ব কি আখের মতন? না গেন্ডারি?
আমি তো ইনাদের নাম না শোনার আফসোস করতেছি।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
উনাদের নাম শোনেন নাই কেন? নিশ্চয়ই আপনি সাহিত্য পাঠ করেন না। কাশেম বিন আবু বকরের উপন্যাসের কিয়দংশ কিয়দংশ করে নানা জায়গায় পড়েছি। সেসব পড়ে বুঝেছি এই অমূল্য রচনা যতো দেরিতে পড়বো, ততো মিস্।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গ্রন্থালোচনা পোস্টান
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
০
হুমম... সেই প্রাচীনকালে যখন পিচ্চিপাচ্চা পড়িয়ে দুটো ট্যাকাটুকার ঠ্যাকা বাবস্থা ছিল তখন মাঝেমধ্যে এই অবস্থায় পড়তাম। বিশেষতঃ রোজার সময় ইফতারের +/-১ ঘন্টা সময়। তখন হলে ফেরাও যায়না আবার ছাত্রের বাসায় যাওয়াও যায়না (গেলে আপ্যায়নের কমতি ছিল না যদিও)। ফলাফল হত ঐ দেড়-দুই ঘন্টা মতিঝিল-মালিবাগ-বাসাবোর রাস্তায় হাঁটতাম আর মানুষের (মূলত শ্রমজীবী) বিচিত্ররকমের সাধাসিধা ইফতারের আয়োজন দেখতাম। কখনও বা হাত খালি থাকলে দাওয়াত পেতাম। তাৎক্ষণিক সেই দাওয়াতের আন্তরিকতা ফিটফাট এসিরুমে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
১
হুমম... পরোটা নিয়ে এত ভেবে দেখিনি কখনও। তবে বাসার পরোটায় এত থাপড়া-থাপড়ি হতে দেখিনি। দোকানেরগুলোতে একাজ কেন করে? একি হেজেমনি না ন্যারেটিভ??
২
হলে থাকতে আমরা কয়েকজন এইরকম মোটরবাইকারদের উত্যক্ত করতে বড় পছন্দ করতাম। আরোপিত ন্যাচারাল জাস্টিসের প্রচেষ্টা। সঙ্গত কারণেই ক্যাম্পাসের আশেপাশেই কেবল এ কাজ করা হত। আচ্ছা, চোর-ছিনতাইকারি এদের প্রতি "পাবলিক" যতটা খেপা, এই বাইকারদের প্রতি ততটা না কেন? এই জিনিস খালি হাইকোর্ট দেখিয়ে বন্ধ করা কঠিন, সবাই যার যার হাইকোর্ট নিয়ে রেডি না থাকলে।
৩
ফিটফাট বাবু সেজে যারা বের হন তাদের অনেকেরই এই পরিস্থিতির সহায় নগরীর মসজিদগুলো। (বলতে দ্বিধা নেই আমি নিজেও এর প্রতি কৃতজ্ঞ)। যেহেতু এগুলোতে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়া ভিড় কমই থাকে এর শৌচাগারগুলো কি পরিকল্পিত ভাবে উন্মুক্ত (প্রয়োজনে রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ফি নিয়ে) রাখা যায় না? কারন তাহলে একাজের জন্য নতুন করে কোনও অবকাঠামো প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়েনা। এইটুকু জনকল্যাণে সম্পৃক্ত হলে আশা করি কারও ধর্মানুভূতি আহত হবে না। তবে স্থায়ীভাবে ফুটপাথের বাসিন্দাদের বোধহয় স্থায়ী পুনর্বাসন প্রয়োজন।
৪, ৬, ৭
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
৫
গ্রীনরোডে তো এককালে ছিল। বন্ধ হয়ে গেল নাকি? ফার্মগেটে আসলে পেতেন বোধহয়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
০. রাস্তার ইফতার নিয়ে লম্বা গল্প করা সম্ভব। আপনি শুরু করতে পারেন। আমি সেখানে না হয় দুই পয়সা যোগ করবো।
১. উপাদান আর রান্নার খামতি মনে হয় পিটাপিটি করে কমাতে চায়।
২. এটা বন্ধ হবে। আরেকটা নতুন ক্রেজ আসলেই এটা বন্ধ হবে।
৫. ফার্মগেট গেলে অবশ্যই পাওয়া যেতো। তবে অতোটা সময় আর ছিলো না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আহা, সেই ক্রেজ তাড়াতাড়ি আসুক
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন ক্রেজটা আরো ভয়ঙ্করও হতে পারে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
খাদ্যে ভেজাল করার যে সর্বনাশা সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠেছে সেটা প্রমাণ করে মানুষ হিসেবে আমরা কতোটা নির্বোধ এবং নীচ।
বই না পড়ার সংস্কৃতি আর বইয়ের দোকানের অভাব বিশেষ করে পুরনো বইয়ের খুব বেশি পীড়া দেয়, ফিনল্যান্ডে সপ্তাহে অন্তত ৫ বার যেতাম পুরনো বইয়ের দোকানে, সবসময় কিনতাম তা নয়, কিন্তু গেলেও আরাম লাগে।
লেখা ছুঁয়ে গেল। তেল ছাড়া পরাটার একটা ট্রেন্ড বেশ জনপ্রিয় মনে হচ্ছে, নাকি?
facebook
এক কালে ঢাকায় মিনি চাইনিজ নামে এক জিনিসের রমরমা ছিল। সেখানে অদ্ভুত রকমের সব খাবার পাওয়া যেতো। যেমন, চিকেন ভেজিটেবল। বাস্তবে ওটা ছিল চিকেন ভেজিটেবল উইদাউট চিকেন। আমাদের ক্যান্টিনে অমন বাটার টোস্ট উইদাউট বাটার পাওয়া যেতো। পোড়া আর পঁচা তেলের হাত থেকে সামান্য নিষ্কৃতির আশায় তেল ছাড়া পরোটা আবিষ্কৃত হয়েছে। আমি নিজেই এটা খাই।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নীলক্ষেতের ফুটপাথে অত্যন্ত গম্ভীর মুখের এক বুড়া লোক আমার সাইকেলের টায়ারে হাওয়া ভরে দিত। দুই টাকা। রিক্সাওলারা নিজেরাই পাম্প করত, তারা দিত এক টাকা। টায়ার পাংচার হলে বুড়াচাচা প্রথমে সেই টায়ার সামনের নালার নোংরা পানিতে ধুয়ে ভাল করে আঙুল দিয়ে ঘষে সাফ করত, তার উপর দেয়া হত গোলাপী রঙের চারকোনা ছোট একটা রাবারের প্যাচ। আঠা দিয়ে। তারপর সেই লোক মন দিয়ে ফুঁ দিয়ে বাতাস করত শুকানোর জন্য।
এরপর সেই বুড়ামিয়া নীলক্ষেত থেকে পলাশীর রাস্তায় মুভ করে, কেন কে জানে। উঠিয়ে দিয়েছিল মনে হয় পুলিশ। তারপর একদিন সে পলাশীর রাস্তা থেকেও উধাও হয়ে যায়। আমার মতই।
আরেক বুড়া টঙ্গীব্রিজ সংলগ্ন ফুটপাথে গেন্ডারি বিক্রি করত। পিস দুইটাকা, তিনটা পাঁচ টাকা। বাল্ক ডিস্কাউন্ট। আমি একটা গেন্ডারি কিনে খেতে খেতে হেঁটে ফিরতাম ঘরে বাজার নিয়ে।
..................................................................
#Banshibir.
গতকাল আমি আর দিশা আবিষ্কার করলাম আমাদের পাড়া থেকে বেশ কয়েকজন হকার নাই হয়ে গেছেন। তাদের প্রত্যেকে অসাধারণ এক একটা খাবার বানাতেন। একজন ঝাল ডিমপিঠা, একজন আলু-ডিম-কাবলী, একজন মুড়িভর্তা, একজন ছোট জিলিপি, একজন সত্যিকারের পেঁয়াজু আর একজন সত্যিকারের চটপটি বানাতেন।
গেন্ডারি আর আখ কিন্তু এক জিনিস নয়। রাস্তায় এই মওসুম থেকে শুরু করে হালকা সবুজ থেকে গাঢ় কালচে সবুজ আখ বিক্রি চলবে। এর গা শক্ত, গাঁট লম্বা, বাকল ধারালো, রস অসম্ভব মিষ্টি। হালকা হলুদ থেকে গাঢ় হলুদ রঙের গেন্ডারি আসবে আরো পরে। তার গা নরম, গাঁট খাটো, বাকল ধারালো নয়, রস একটু নোন্তা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আখ-গেন্ডারি ঘটিত গিয়াঞ্জাম জানতাম না। বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে আখই কিনতাম, হলদেটে নয় সবুজাভ হত রঙ। আমার ধারণা ছিল আখ পশ্চিম বাংলায় বলে আর গেন্ডারি মোগো দেশী নাম।
..................................................................
#Banshibir.
বাংলাদেশে আখ, আউক, আউখ, উক, কুশার, কুইশ্যা এমন বহু নামে ডাকে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইশ! এইরকম উদাস হেটে হেটে ঘুরতে পারতাম, এখানে সেখানে দাঁড়িয়ে কোন জটলায় একটু উঁকি দিয়ে দেখতাম 'কি হচ্ছে?'। ঢাকা কি মেয়েদের জন্য এভাবে ঘুরে বেড়াবার মত শহর হয়েছে এখনও?
কোন কোন মেয়ে হয়ত পারবে, লোকজন উলটাপালটা বললে দু'কথা শুনিয়ে দিয়েনিজের পথ করে নিতে পারবে, কিন্তু অন্তর্বর্তী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষ, যারা পাওরতপক্ষে মানুষের সাথে কথা পালটা কথা বাচিয়ে চলতে চায়, তাদের কি ইচ্ছা করে না?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
দিনের আলো যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ মেয়েরাও এভাবে হাঁটতে পারে। দিনের আলো ফুরিয়ে গেলেও মেয়েরা যে হাঁটছে না তা নয়। মানুষকে এখানে যে কঠিন জীবনযাপন করতে হয় তাতে নারীপুরুষ নির্বিশেষে, আলো থাকুক আর না-ই থাকুক হাঁটতে হচ্ছে। কটুক্তি করার মতো ইতরের অভাব কখনোই ছিলো না, ভবিষ্যতেও তার অভাব হবে না। তাই বলে ইতরের ভয়ে মেয়েরা কি গুটিয়ে যাবে? অবশ্যই না। আর সাবধানতার কথা ভাবলে সেটা নারীপুরুষ সবার জন্যই প্রযোজ্য।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইতরের ভয়ে গুটিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। ইতরগুলা মুডটাই নষ্ট করে দ্যায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সেটা সত্য। তবে একবার ইতরদের উপেক্ষা করে হাঁটা শুরু করতে পারলে হাঁটার নেশায় পড়ে যাওয়া যায়। তখন আর কেউ মুড খারাপ করতে পারে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কঠিন অবস্থা! এতক্ষণ অকারণে অপেক্ষা একটা যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার। তবে কারো সর্বনাশ কারো পৌষ মাস, এই যে কেমন চমৎকার একটা লেখা পেয়ে গেলাম
পরোটা বহু জায়গায় খেয়েছি। সবচেয়ে ভালো ছিলো লালবাগের মদিনা হোটেলের পরোটা। সবচেয়ে খারাপ লেগেছে চাঁনখাঁরপুলে সোহাগ হোটেলের উল্টোদিকে মিষ্টির দোকানের পরোটা। মিষ্টিগুলোও যাচ্ছেতাই। দুইটা মিষ্টি একটা পরোটা কোনমতে গিলতে পারলেও সারাদিনে আর কিছু মুখে রোচানো মুশকিল। আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে একমত। ঢাকা শহরে পরোটার গুণগতমান ক্রমশঃ হ্রাসমান। তবে স্বীকার করতেই হবে, দুর্নীতির মান বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়েছে। দুদক এখন আর কারো দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারছে না
আমি কাশেম বিন আবুবাকারের 'বোরখা পরা সেই মেয়েটি' পড়েছিলাম ইন্টারমিডিয়েটে থাকতে। ইরানীদের মত গায়ের রঙ এমন একটি মেয়ে বোরখা পরে গাড়িতে করে ঘুরে বেড়ায়। ভবঘুরে মোটামুটি দেখতে যুবকের প্রতি আকৃষ্ট হয় তার 'ইসলামী মূল্যবোধের' জন্য, যেই মূল্যবোধের সংজ্ঞা আবার বইয়ে অনুপস্থিত। প্রণয় পরিণয়ে গড়ায় কিনা মনে করতে পারছি না। তবে কিছু একটা ট্র্যাজেডি ছিলো এইটুকু মনে আছে। ফাটাফাটি বই, বিশেষ করে যারা স্বপ্ন দেখে উন্নত শিক্ষা না নিয়েই যাদুর ছোঁয়ায় জীবন বদলে দেবে সেইসব যুবকদের জন্য। পাঠাগার থেকে ধার নেয়া বই, মাসিক চাঁদা ছিলো চার টাকা। সেই মাসে কয়টা বই পড়েছিলাম আর এই বইয়ের পেছনে কয় পয়সা নষ্ট হলো, আজকে চাইলেও সেটা আর বের করা সম্ভব না। (জানে আলমের কীর্তিতে এতই তব্দা খেয়েছি যে আর বলার কিছু পেলাম না)।
দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে একটা পোস্ট দ্যান। দেখি আপনার 'অযোগ্যতা' খুঁজে পাই নাকি। একটা কিছু বললেই হলো?
দোকানের পরোটার মধ্যে সাবেক জলখাবার আর বিক্রমপুর সুইটস (বেগুনীরঙা লেখা)-এর পরোটা ভালো ছিল। আর খারাপ পরোটার ব্যাপারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করার মতো দোকানের অভাব নেই।
যাক, কাশেম স্যারের বই পড়া লোক পাওয়া গেলো। তোমার সাহিত্য পাঠের অভিজ্ঞতা ব্যাপক দেখা যাচ্ছে।
দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে বলতে গেলে তো মহাভারত হয়ে যাবে। আমি তো আর ব্যাসদেব নই, সামান্য পাণ্ডব মাত্র। তাই আমি কী করে ঐ মহাভারত লিখতে পারবো। আর লজ্জার ইতিহাস ঢাকাই থাকুক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একসময় হাঁটাহাঁটি কোন ভয়ের বিষয় ছিল না; এখন কেন যেন খুব বেশি অলস লাগে। তবে হাঁটতে হাঁটতে অনেক কিছু দেখেছি, শিখেছি, জেনেছি। কতকিছু, কত মানুষ, কত রং
প্রসঙ্গত মনে পড়ল, বাংলাদেশের সব জেলার পরাটা একরকম না, বিভিন্ন জেলায় আকার স্বাদের বদল হতে দেখেছি। আপনার বর্ণনা ভালো লাগলো, মন হল আপনার সাথেই হেঁটে আসা হল।
শুভেচ্ছা
হাঁটাহাঁটিতে কিছু ভয়ের ব্যাপার অবশ্য আছে। তবে একটু সতর্ক থাকলেই চলে। মানুষ দেখে যা বোঝা যায় শেখা যায় কোন বই পড়ে বা ক্লাস করে তা শেখা যায় না।
দিনাজপুরে দেখেছিলাম পরোটা চাইলে সাথে ডাল/ভাজি ফ্রি। সেখানকার পরোটাও ঢাকার মতো না। কিছু কিছু জেলার পরোটা প্রসংশার যোগ্য আর কোথাও কোথাও সেটা এমন যে না বলে দিলে বোঝা সম্ভব যে এটা পরোটা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কিছু বলার নাই!
এই মানবিক শিক্ষার ঘাটতিটাই আসলে বড় কথা। আর এইটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায় যখন কোনো অসুস্থ/অসমর্থ কাউকে নিয়ে আমাদের মতো মানুষকে ডাক্তার হসপিটাল অথবা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছোটাছুটি করতে হয়।
মানবিক বিষয়ের মধ্যে বৃদ্ধ, অসুস্থ, অসমর্থদের গুরুত্ব আগে আসার কথা, কিন্তু বাংলাদেশে নগর পরিকল্পনা, সড়ক পরিকল্পনায় কি কখনো এদের কথা ভাবা হয় বা অতীতে কখনো ভাবা হয়েছিল? আর যা্রা এসব নিয়ে কাজ করেন তাদের মূল শিক্ষায় কি আদৌ এই মানবিক বিষয়গুলো শিখানো হয়? রাস্তা-ঘাট, বাস-ট্রেন কোথাও হুইল চেয়ার এক্সেস নাই। তার চেয়েও বেশি কষ্টদায়ক মানুষের মানসিক দীনতা। চার বছর ধরে অসুস্থ শ্বাশুড়িকে নিয়ে দুনিয়ার নানা দেশে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে, তার মধ্যে ঢাকা এয়ারপোর্টেরগুলো জীবনে ভোলার মতো না। মাঝেমধ্যে মনে হয় অংক, বিজ্ঞান বাদ দিয়ে মানুষকে মানুষ হওয়ার শিক্ষাটাই দেয়া উচিৎ সার্বজনীন এবং বাধ্যতামূলকভাবে।
আমাদের কারিকুলাম যারা তৈরি করেন এই বিষয়ে তাদের ভাবনাতে সীমাবদ্ধতা আছে। একটা উদাহরণ দেই। আমরা যখন বুয়েটে পড়তাম (তখন বুয়েটের বয়স ইউনিভার্সিটি হিসেবে ত্রিশ বছর পার হয়ে গেছে) তখন গোটা ইএমই বিল্ডিং (চারটা ডিপার্টমেন্ট) এবং সিভিল বিল্ডিং (কমপক্ষে পাঁচটা ডিপার্টমেন্ট)-এ কোন লেডিস টয়লেট ছিলো না। ৭০ ফুট উঁচু ইএমই বিল্ডিং-এ কোন লিফট ছিলো না।
শিক্ষাব্যবস্থা ও পাঠ্যক্রমের এই দুরবস্থার জন্য আমরা ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-উকিল-আমলা হই, কিন্তু মানুষ হবার শিক্ষা পাই না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তেল ছাড়া পরোটা এককালে আমিও খাওয়া ধরেছিলাম, তেল ওয়ালা খেলেই অম্বল হত কিনা! ঢাকায় কোন কোন দোকানের পরোটা ঠান্ডা হয়ে গেলে পুরা রাবারের মতন হয়ে যায়, কোনমতেই গেলা সম্ভব না
দোহাতে শ্রীলঙ্কান এক দোকানে পরোটা খেয়েছি বার দুয়েক নাস্তায়, খুবই সুস্বাদু। তবে দেখতে অন্যরকম, দেখে মনে হয় গোল করে প্যাঁচ দিয়ে দিয়ে বানানো, খাওয়ার সময়ও ওভাবেই খুলে আসে। বলে বুঝাতে পারছিনা মনে হয়। দক্ষিণ ভারতীয় দোকানেও পরোটা খেয়েছি, মোটামুটি। পাঞ্জাবি দোকানে আলু, কপি, মেথি, পিঁয়াজের পুর দেওয়া বিভিন্ন রকম পরোটা পাওয়া যায়, খেতে ভাল।
কাশেম বিন আবু বকর, জানে আলমদের নাম শুনিনাই। বিরাট আপসুস!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
প্যাঁচ পরোটা এবং প্যাঁচ নান্ (আসলে তন্দুর রুটি) ঢাকাতেও পাওয়া যায় হে মহামতি! এই বস্তু আমি তামিলনাড়ুতেও খেয়েছি। সুতরাং শ্রীলঙ্কায় প্যাঁচ পরোটা প্রাপ্তির কারণ বোঝা গেলো। পাঞ্জাবীদের পরোটার ভ্যারাইটি আসলেই চমৎকার।
বাংলা সাহিত্য পড়বেন না আর আপসুস করবেন মহান সাহিত্যিকদের নাম জানেন না!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখটা গতরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পড়েছি। বেশ কিছু জিনিস নিয়ে মন্তব্য করব ভেবেছিলাম - সময়ের সংকটে সেটা পারছি না। কিন্তু খুব ভালো লেগেছে এটা জানানো উচিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
একটু একটু করে মন্তব্য করুন। আপনার ভাবনা একেবারেই যদি না জানান তাহলে পাঠকদের কি বঞ্চিত করা হয় না?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হাঁটাহাঁটির কী জীবন্ত বর্ণনা!
আমি অনেকবার এরকম অদ্ভুত সমস্যায় পড়েছি- বাসায় যাওয়াও সম্ভব না, অথচ গন্তব্যে পৌছে বসে আছি সময়ের অনেক আগে। আমি অবশ্য বই কেনার চেষ্টাও কোনোদিন করিনি (ব্যতিক্রম শাহবাগ/পরীবাগ- এখানে থাকলে আজিজে ঢুকে বই দেখতাম)। আমি শুধু হাঁটতাম, আর কোনো শপিং কমপ্লেক্সে ঢুকে যেতাম। ঢাকার সব বড় শপিং কমপ্লেক্সেই একটা সময় বড় ডিভিডির মার্কেট ছিলো, আমি সব দোকানে সিনেমার কালেকশন দেখে বেড়াতাম, পছন্দ হলে, কিংবা দেখার লিস্টে আছে এমন সিনেমা পেলে কিনে ফেলতাম। কখনো কখনো সিনেমার নাম বা কাভার পছন্দ হলে মোবাইলে লিখে রাখতাম, যাতে পরে বাসায় এসে ইন্টারনেট ঘেঁটে সিনেমাটা আসলে কেমন, সেটা জানতে পারি। মন্তব্যটা লিখতে যেয়ে আবিষ্কার করলাম, আমার ডিভিডির সংগ্রহশালার, প্রধান না হোক, অন্তত একটা সিগনিফিক্যান্ট অংশ এরকম ইতস্তত ভ্রমনের ফল।
ঢাকা ঘিঞ্জি, হাঁটার জায়গা নেই, ফুটপাথ নোংরা সবকিছুই মেনে নিয়েছিলাম, শুধু একটা জিনিস আজো মানতে পারি না- ছিনতাই। যেকোন সময় যেকোন রাস্তায় আমি ছিনতাইয়ের শিকার হতে পারি, এবং তার কোনো প্রতিকার নেই। পাশের দেশ ভারত, সেখানেও যে কয়টা রাজ্যে গিয়েছি, পশ্চিমবাংলা সমেত, কোথাও এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখিনি। ঢাকার এই পরিস্থিতি যেন ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ছুরি থেকে শুরু করে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি- এর কোনো শেষ নেই।
পরোটা নিয়ে আপনার অভিসন্দর্ভ ভালো লাগলো। বাসার পরোটা সুস্বাদু, এবং স্বাস্থ্যকর জানার পরও আমার কেন জানি (কিছু) হোটেলের পরোটার প্রতি দুর্দমনীয় আকর্ষণ ছিলো। যদি ভুলে না যেয়ে থাকি, আমার মহল্লার হোটেলে পরোটা ভাজতো ডালডা দিয়ে। সাদা এক খণ্ড ডালডা বড় তাওয়াতে দিয়ে দিতো- সেটা দৌড়াদৌড়ি করে গলে যেতো, আর ভাজা হতো পরোটা। শুধু পরোটার কথা জানি না, তবে পরোটা আর ভাজি'র কম্বিনেশন হিসাবে আমার অন্যতম প্রিয় ছিলো কলাবাগানের মরণচাদ মিষ্টান্নভাণ্ডার। এইচ এস সি'র সময় ভোর বেলাতে অংক পড়তে যেতাম লালমাটিয়াতে। ফেরার পথে আমি আর এক বন্ধু মিলে প্রায়ই মরণচাঁদে নাস্তা করতাম। আর একই রকম ভালো লাগতো টিকাটুলির দেশবন্ধু হোটেলের নাস্তা। দুটাই একসময় প্রচুর খেয়েছিলাম। আমার মনে হয় আপনি (হারানো দিনের) ঢাকার পথের খাওয়া দাওয়া নিয়ে একটা সিরিজ চালু করতে পারেন। অনেকেরই অনেক কিছু বলার থাকবে বলে মনে হয়!
কাশেম বিন আবুবকরের বই স্ক্যানড ভার্সন আছে। আমার সংগ্রহেই ছিলো। হার্ডড্রাইভে খুঁজে পেলে আপনাকে মেইল করে দিবো।
----
আপনার লেখালিখি জারি থাক। ঢাকা এবং তার নাগরিক জীবন বিষয়ক যেকোনো লেখা আমি আগ্রহ নিয়ে পড়ি- কাজেই আরো লেখার অনুরোধ থাকলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
১। ডিভিডি'র দোকানে আগে কয়েকবার ঢুকেছি। তবে বেশিরভাগ দোকানের বিক্রয়কর্মীদের আচরণ ভালো লাগেনি। ইদানিংকালে বাসায় টিভি আর ডিভিডি প্লেয়ার দুটোই অকেজো থাকায় মুভি দেখা হচ্ছে না। তাই মুভির দোকানেও যাওয়া হচ্ছে না।
২। হরেক রকম কায়দায় ছিনতাই, পকেটমার কী নেই এখানে! আমি নিজে তিন বার ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছি। পকেটমার হয়েছে একবার। সত্যি বলতে কি রাস্তায় হাঁটি ঠিকই, কিন্তু মনের এক কোনে ছিনতাই হবার ভয় সবসময়ই থাকে।
৩। আমি স্কুলে পড়ার মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেখেছি রান্নার তেল মানে সরষের তেল। আর পরোটা, হালুয়া, পোলাও, খিচুরী এসব রাঁধতে হয় ঘি দিয়ে। এর পরের সময়ে সরষের তেলের দাম বাড়লে ভেজিটেবল অয়েল বাড়িতে ঢুকলো। প্রথম প্রথম উপাদান নির্বিশেষে ওটাকে আমরা 'পাম অয়েল' বলতাম। সয়াবিন তেল বলা শুরু হয়েছে আরো পড়ে। এখন অবশ্য বাজারে পাম অয়েলকেই সয়াবিন তেল হিসেবে বেচা হয়। পাম অয়েলের সাথে সাথে বাড়িতে ঢুকলো বনস্পতি ঘি ওরফে ডালডা। ঢাকা ভেজিটেবল অয়েল মিল যতদিন সচলাবস্থায় বেঁচে ছিল ততদিন সেটার রেশন কার্ড আমাদের ছিল। ডিলারের দোকানে গিয়ে মাসিক বরাদ্দের এক গ্যালন ভেজিটেবল অয়েল (রান্নার জন্য) আর দুই কেজি বনস্পতি ঘি (পরোটা ভাজার জন্য) কিনতাম। হালুয়া, পোলাও, খিচুরী এসব তখনো ঘি দিয়ে রাঁধা হতো।
৪। মরণচাঁদ আর দেশবন্ধু নিয়ে এখন কিছু বললাম না, যথাসময়ে জানতে পারবে।
পুনশ্চঃ কাশেম স্যারের বই পাঠাও। আর 'ডেইলি মেইল' কি এখনো 'মান্থলি মেইল' বা 'কোয়ার্লিটারলি মেইল' ও হতে পারেনি? নাকি হ্যালির ধুমকেতুর সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ফুটপাথ মন্ত্রণালয় নামে নতুন একটা দপ্তর খুলে ফেলা দরকার বলে মনে হয়। বিদ্যমান সমস্যাগুলো অপসারণ করার জন্য যে পরিমান কর্মোদ্যোগের প্রয়োজন, তার ব্যপ্তি নিঃসন্দেহে এখনকার অনেক মন্ত্রণালয়ের চেয়েই বেশী। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধার মত বাস্তবায়নের অযোগ্য সেই বাধাটিও বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রয়োজনে ফুটপাথের অবৈধ দখলদার, তাদের পোষ্য, শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষক, সব মিলে যে বিপুল জনগোষ্ঠী, তাদের বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ এক কথায় অসম্ভব। কি ভাবে সমাধান হবে এ সমস্যার, সেটা জানার জন্য মৃত্যু পরবর্তী জীবনে বিশেষ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকার ইচ্ছা আছে।
এ সত্যি এক জটিল ধাঁধাঁ, প্রতিদিনই এই প্রশ্নটির উদয় হয় আমার মনে, সম্ভাব্য অনেক সমাধানের কথা ভাবি, কিন্তু কোনটিই ঠিক যুতসই বলে মনে হয় না।
কাছেই কাওরানবাজারে চলে যেতে পারতেন, "প্রথমা" বলে একটা প্রকাশনা সংস্থার আউটলেট আছে। সেখানে অনেক জ্ঞানী গুণী লেখকের বই পাওয়া যায়।
বোঝা গেল পাণ্ডবদার পড়ার রেঞ্জ নিয়ে আপনার সম্ভবত কোন আইডিয়াই নেই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিন্তু আপনি এটা আমাকে রসিকতা করে বললেন, নাকি সিরিয়াসলি, সেটা কিন্তু একেবারেই যদি গেল না যদি রসিকতা করে বলে থাকেন, তাহলে দুঃখের সাথে জানাচ্ছি রসটি আমি ঠিক ধরতে পারছি না। আর যদি সিরিয়াসলি বলে থাকেন, তাহলে তাতে কিছু রসিকতার উপাদান খুঁজে দেখতে পারি।
আব্দুল্লাহ্ ভাই, তিথী, প্লিজ এই প্রসঙ্গটা এখানেই শেষ হোক।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আসলে ফুটপাথ মন্ত্রণালয়ের দরকার পড়ে না যদি রাষ্ট্রের বাকি বিভাগগুলো নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতো আর আমরা আমাদের নাগরিক দায়িত্বগুলো ঠিকভাবে পালন করতাম।
'প্রথমা' আমি চিনি। সেখানকার জ্ঞানী গুণী লেখকদের সম্পর্কেও অল্পস্বল্প ধারণা আছে। তবে সবার সবকিছু ধারণ করার ক্ষমতা থাকে না তো, তাই আমি ঐ পথে যাবার কথা ভাবিনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুন লাগল আপনার ব্লগরব্লগর! (ও হ্যাঁ, এই 'ব্লগরব্লগর' শব্দটার মানে এখনও জানি না!)
১।
জাতীয় যাদুঘরের উত্তর দিকে রাস্তার উলটো পাশে পিজির দক্ষিণদিক সংলগ্ন যে মার্কেট আছে, তার নীচতলায় একটা দোকান ছিল যেখানে আপনার কথা মতই সোনালি-বাদামী রঙের অসম্ভব সুস্বাদু একরকম পেঁচকি দেয়া পরোটা বিক্রি হত। আর দুর্দান্ত ভুনা মাংস। দোকানটা সামনের দিকে মনে হয় আর দশটা কনফেকশনারি দোকানের মতই ছিল, ভিতরে ছোট্ট সিড়ি দিয়ে উঠে একটা কাঠের ফ্লোরের উপর চেয়ার-টেবিল পাতা আরেকটা ঘর - খাবার ঘর। ৮০-র দশকের শেষের দিকে এখানে এসে কত যে পরোটা-মাংস সাপটেছি!
একসময় ঢাকা শহরে একটা-দুইটা পরপর 'ইটালিয়ান' রেস্তোরাঁগুলিতে (অর্থাৎ রাস্তার ধারের সস্তা হোটেলগুলিতে) সিঙাড়ার একাধিক ভ্যারাইটি পাওয়া যেত। কলিজা সিঙাড়া থাকত। এখন থাকে না।
২।
ফুটপাথ। সংসদ এলাকার ফুটপাথগুলি এইদিক থেকে মনে হয় সবচেয়ে আরামদায়ক ও পথচারী-বান্ধব। বিশেষ করে ভিতরদিকের গুলি। প্রশস্ত আর চমৎকারভাবে স্লোপিং করা। হাটতে দারুন লাগে। প্রশস্ত না হোক, অন্য জায়াগার ফুটপাথগুলিতে এইরকম স্লোপিং থাকলে ভাল হত।
ফুট-ওভারব্রীজ। ডিজাইন! ওভারব্রিজের ল্যান্ডিং ফুটপাথের প্রায় পুরোটাই দখল করে নেয় বলে এর আড়াআড়ি অভিমুখে চলা পথচারীর জন্য ফুটপাথের আর কিছু অবশিষ্ট থাকে না প্রায়ই। অনেক সময় আবার ফুটপাথে রেলিং থাকে বলে রাস্তাতেও নামা যায় না। তখন ব্রীজের সিঁড়ির খাম্বার চিপাচুপা দিয়েই যেতে হয়। বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। আরো খারাপ অবস্থা হয় ফুটপাথে অনেক পথচারী থাকলে। ঐ চিপাচুপা দিয়ে সাধারণত একজনের বেশি যাওয়া যায় না। তখন দুইদিক দিয়েই লোকজন লাফিয়ে আগে ঢুকে যায় এবং ঠেলাধাক্কা লেগে যায় কে আগে যাবে বলে ও একজনকে পিছুতে হয়। আর ভদ্রমানুষের মত অন্যপাশের লোককে আগে যাওয়ার সুযোগ দিলে সারাদিন ঐখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কারন অন্যদের মধ্যে কখনই একই কার্টসি জাগ্রত হয় না।
আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও তাঁদের নির্বিকারচিত্ততা। গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের কাছে ফুট-ওভারব্রীজের দিকে এগুচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেট গাড়ির জানালা থেকে শরীরের অর্ধেক বের করে দিয়ে একটা ১৩-১৪ বছরের (?) বাচ্চা মেয়ে 'চাচা বাঁচাও! চাচা বাঁচাও!' বলে পাগলের মত দুনিয়া ফাটিয়ে চেঁচাচ্ছে। একদম হিন্দি সিনেমার মত। প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি যা চোখের সামনে দেখছি। পরে সবাই ধাওয়া দিলে গাড়িটা টান দিয়ে মানিক মিয়া এভিনিউর দিকে যেতে থাকে এবং সিগন্যালের কাছে এসে স্লো করতে বাধ্য হলে মেয়েটা লাফ দিয়ে পড়ে যায় রাস্তায়। গাড়িটা পালিয়ে যায়। সেক্সুয়াল মলেস্টেশনের ঘটনা। মেয়েটাকে রাস্তা থেকে তুলে আনা হয় ও পরে অনেক জটলা ও আলাপ-আলোচনার পর গুরুজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দুঃখজনক ব্যাপার হল ২৭ নম্বর ও মানিক মিয়ার মধ্যবর্তী এই অতিব্যস্ত এলাকায় নিশ্চয়ই অনেক আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন তখন, কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তাদের কারও টিকিটিও দেখা যায়নি। উদ্ধার চেষ্টাতেও না, উদ্ধার-পরবর্তী সহায়তাতেও না।
৩। কোথায় যেন পড়েছি, শৌচাগার নাকি ভারতবর্ষেই ছিল না। এটা নাকি তুর্কি/পারসিকদের হাত ধরে এসেছে। সত্যিমিথ্যা জানি না।
৫। উপরে যেমন একজন বলেছেন, আগে আসলেই প্রায় পাড়াতেই বইয়ের দোকান থাকত। আর একটু দূরে গেলে (আমার জন্য) ছিল হাক্কানী, স্ট্যান্ডার্ড, ম্যারিয়েটা, নিউ মার্কেটের জিনাত, নীলক্ষেত, ইত্যাদি। তাছাড়া বাংলা বাজার। হাক্কানী আর স্ট্যান্ডার্ডের বোধহয় অন্তত দু-তিনটি করে শাখা ছিল। স্টেডিয়াম, প্রেসক্লাব আর সম্ভবত শাহবাগেও। এগুলির শেলফের অন্ধকার চিপাচুপাগুলিও বোধহয় একসময় হাতের তালুর মত চেনা ছিল! মনে আছে, পার্সি লাবকের 'ক্রাফট অফ ফিকশন' বইটা জোগাড় করার জন্য মধ্য-আশিতে পুরো ঢাকা শহরই বোধহয় তোলপাড় করে ফেলেছিলাম।
৬। কাশেম বিন আবু বক্কর-টক্কর জানি না, কিন্তু রোমেনা আফাজ ইত্যাদি মনে পড়ছে। ক্লাস ফাইভ থেকে রহস্য-রোমাঞ্চ টাইপের বই পড়া শুরু - সেবার 'কুয়াশা' আর 'ভয়াল' সিরিজ দিয়ে। এরপর দস্যু বনহুর, দস্যু মোহন, দস্যু বাহ্রাম, দস্যু নাগিন, নাগিনী, দস্যু পাঞ্জা (যার ফ্যান্টোশীপ ছিল), দস্যু টেক্কা, এবং আরও কত দস্যুর কত দস্যুবৃত্তির কাহিনি পড়েছি মনে পড়ছে না। এদের কোন নায়ক মুখে কালো মুখোশ আর মাথায় পাগড়ি এঁটে, ঘোড়ার পিঠে সামনে-পিছে দস্তুরমত আইন-মোতাবেক বিয়ে করা দুই বউকে চড়িয়ে 'কান্দাই'-এর জঙ্গলে রাত-বিরেতে খট্খট্ করে ঘোড়া ছুটিয়ে দিতেন পুলিশের ধাওয়া খেতে খেতে। কিম্বা সদর দরজা দিয়ে বাড়িতে না ঢুকে 'পাইপ' বেয়ে বেডরুমে ঢুকতেন। আবার কেউ হয়তো স্ট্যাম্পের পয়সা জুটাতে পারতেন না বলে তীরের ডগায় করে চিঠি পাঠাতেন। সেটা আবার এসে বিধত ড্রয়িং বা বেডরুমের টেবিলে - খট্ করে। একসময় এরাও দারুন জনপ্রিয় ছিলেন। চার নাকি আট আনায় এই বইগুলি ভাড়াতেও পাওয়া যেত। উদ্ভূতুড়ে ভাষার এইসব হাস্যকর আজগুবি কাহিনি্র বইগুলি এখন আর দেখি না।
৭। বুদ্ধদেব বসুর সেগুন বাগিচার বাসাটা একসময় আমারও খুব ইচ্ছে ছিল খুঁজে বের করি। বিশেষ করে তার উপন্যাসগুলি পড়তে পড়তে, যার মধ্যে কোন-কোনটার পটভূমি যদ্দুর মনে পড়ে ঢাকা-ই ছিল। আচ্ছা একটা জিনিষ বলতে পারেন - বুদ্ধদেব বসু আর আবুল হাশিম (বদ উমরের বাবা) কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সময়ের ছাত্র ছিলেন এবং দুজনেই কি তৎকালীণ ঢাবি-কেন্দ্রিক 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট ছিলেন? একজন আরেকজনকে চিনতেন? এই কথাটা ভাবছি কারন দুইজনের পরিণতি কিন্তু দুইরকম হয়েছিল একই পরিবেশ থেকে এসেও - একজন দেশবরেণ্য কবি, আরেকজন দেশবরেণ্য মাওলানা।
****************************************
এটা মন্তব্য না হয়ে আরেকটা পোস্ট হলে মনে হয় একটা জমজমাট আলোচনা চলতে পারতো।
১। পিজি হাসপাতাল মার্কেটে আপনার বর্ণনার মতো দুটো রেস্টুরেন্ট ছিল। একটার নাম ছিল 'সিনোরিটা', পরে সেটার নাম হয় 'সিলভানা'। আরেকটার নাম 'মৌলি'। রেস্টুরেন্ট দুটো এখনো আছে তবে তার মান তলানীতেও নেই। আর বাজে ব্যাপার হচ্ছে দুটোই এখন যথেষ্ট নোংরা। আপনি যদি সিনোরিটা/সিলভানা'র আশির দশকের কাস্টমার হয়ে থাকেন তাহলে তার তখনকার মালিক যীশু ভাইকে (মুখে কাটা দাগ ছিল) মনে থাকার কথা।
সিনোরিটা, মৌলি, জিরাজ আর্ট গ্যালারী - নাহ্, মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
২। চমৎকার বর্ণনা! বিশেষত দ্বিতীয় অনুচ্ছেদটা। বোঝা যাচ্ছে আপনি ভুক্তভোগী। বিপদে পড়লে আইনশৃঙ্খলারক্ষাবাহিনী বা ট্রাফিক পুলিশের সাহায্যটা যে কে পায় সেটা গবেষণার বিষয়। আমি নিজে বেশ কয়েকবার তাদের দ্বারস্থ হয়েও কখনো কোন সহযোগিতা পাইনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
৩। আপনার দেয়া তথ্যটা আসলেই যাচাই করা দরকার। বিষয়টা আমারও অমন মনে হয়।
৫। হাক্কানী আর স্ট্যান্ডার্ড-এর ব্রাঞ্চ স্টেডিয়ামের দোতলা, নিউ মার্কেট আর কমলাপুর রেলস্টেশনে ছিল। প্রেসক্লাব আর শাহ্বাগে ছিল কিনা সেটা নিয়ে একটু খটকা লাগছে। নিউ মার্কেটের জিনাতের কালেকশন সবসময়ই ভালো ছিল, এবং ব্যবহার সবসময়ই খারাপ ছিল। আপনি যদি বাংলাবাজার পর্যন্ত গিয়ে থাকেন তাহলে '৭৪ ফরাশগঞ্জ'-এর কথাও মনে থাকার কথা।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
৭। বুদ্ধদেব বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, আবুল হাশিম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (বর্ধমান রাজ কলেজ)। বুদ্ধদেব বসু ১৯৩১ সালে ঢাকা ছেড়েছেন আর আবুল হাশিম ১৯৫০-এ ঢাকা এসেছেন। বুদ্ধদেব বসু'র বাসার ঠিকানা ৪৭ পুরানা পল্টন, সেগুনবাগিচা নয়। আবুল হাশিম যখন ঢাকায় আসেন তখন তিনি পুরোপুরি অন্ধ। তারও ১০ বছর পরে তিনি ইসলামী একাডেমি'র পরিচালক হন। দেশভাগের সাথে সাথে এই দেশের রাজনীতিতে আবুল হাশিমের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব ফুরিয়ে যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
৬। এই প্রথম সচলে কাউকে পেলাম যে 'ভয়াল' সিরিজ পড়েছে। চরিত্রগুলোর নাম কি আপনার মনে আছে? একজন ছিল যার বাম চোখ নষ্ট বলে চশমার বাম দিকে ভারী লেন্স ব্যবহার করতো যেটা কখনো টেলিস্কোপ আর কখনো মাইক্রোস্কোপের কাজ করতো!
রোমেনা আফাজ আর তাঁর 'দস্যু বনহুর' বেশ কয়েকটা কারণে উল্লেখযোগ্য। যেমন,
(ক) আজ থেকে ৫০ বছর আগে এই দেশে একজন নারী বেস্ট সেলার লেখিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
(খ) ঐ সময়ে ঢাকার বাইরে, বগুড়ার একজন লেখিকা সারা দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
(গ) যুক্তিবোধ ও কার্যকারণ সম্পর্ককে মোটামুটি নির্বাসনে পাঠিয়ে লেখা একটা সিরিজ এই দেশের মানুষ গোগ্রাসে গিলেছে।
(ঘ) নায়কের দুই বউ থাকাটাকে পাঠককুল স্বাভাবিক ও যৌক্তিক বলে মেনে নিয়েছিল।
(ঙ) সিরিজটা দীর্ঘদিন ধরে চলেছিল।
দস্যু সিরিজগুলোর মধ্যে সবচে' অপরিশীলিত ছিল 'দস্যু বাহ্রাম'। কালীপদ রায়ের লেখা 'দস্যু পাঞ্জা' ছিল সায়েন্স ফ্যান্টাসি। পাঞ্জার গার্লফ্রেন্ড তানিয়া আর তাদের ফ্যান্টোশিপের কথা মনে আছে। এই লেখকের আরেকটা সিরিজ ছিল 'বায়োনিক মেহেদী'। পাঞ্জার ফ্যান্টোশিপের মতো মেহেদীর ছিল এনএসএস (নিউক্লিয়ার স্পেস শিপ) আর সাবমেরিন সী এগ।
এইসব সিরিজগুলো মরার সাথে সাথে আট আনায় বই ভাড়া দেবার প্রতিষ্ঠানগুলোও নাই হয়ে গেছে। অবশ্য ঐসব প্রতিষ্ঠানের মূল ব্যবসা ছিল টিনএজারদের কাছে পর্ণগ্রাফি ভাড়া দেয়া। পর্ণগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় তাদের মূল ব্যবসা মার খেয়ে যায়।
এইসব ফ্যান্টাসি সিরিজগুলো তো বটেই এদের কারো সাথে তুলনীয় নয় এমন সিরিজ 'মাসুদ রানা'ও আজ মরতে বসেছে। এই পরিবর্তনটা অবশ্যম্ভাবী।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
>> ৫। প্রেসক্লাবের উল্টোদিকের মার্কেটে হাক্কানী ছিল স্পষ্ট মনে আছে। স্ট্যান্ডার্ড-এর কোন শাখা ওখানে ছিল কিনা নিশ্চিত মনে পড়ছে না। স্টেডিয়ামের দোতলায় অবশ্য দুটোই ছিল। সেইসাথে ম্যারিয়েটা। ম্যারিয়েটায় বয়স্ক যে ভদ্রলোক বসতেন, তার হাসিমুখ আজও মনে পড়ে। কেমন যেন লাগে, আজও আছেন কিনা জানি না। ওনার ছেলের (সম্ভবত) কথাও মনে পড়ছে।
জিনাতের খারাপ ব্যবহারের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। বিদেশী বইয়ের কালেকশন এক্সময় ওদেরই বোধহয় সবচেয়ে ভাল ছিল। কিন্তু সেইসাথে এবং সেজন্যেই হয়তো, প্রচণ্ড নাক-উঁচা ভাব দেখাত। বই দেখে বা দাম জিজ্ঞেস করে না কিনে চলে আসলে এমন একটা বিকট তাচ্ছিল্যপূর্ণ ভাব নিত যেন 'কোথাকার ফকিন্নি এসেছে, আবার বইয়ের দাম জিজ্ঞেস করার সাহস দেখায় !' খুব সম্ভবত মালিকপক্ষের (নিশ্চিত না) ফর্সা এক ভদ্রলোক বসতেন, তার মধ্যেই এই ভাব ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে ইন্টারে পড়ার সময় টলস্টয়ের ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম আর এদের কাছেই তার সেরা কালেকশন ছিল বলে, এখান থেকেই ওয়ার এণ্ড পীস আর এ্যানা কারেনিনার পেঙ্গুইন-প্রকাশিত ইংরেজি অনুবাদ কিনেছিলাম, কিনেছিলাম হেনরি ট্রয়াটকৃত টলস্টয়ের অসাধারণ একটা জীবনী - যেটা শুধু জিনাতেই ছিল। তবে নিউ মার্কেটে আরও ভাল এবং সুব্যবহারের দোকানও ছিল। ছিল সৈয়দ মুজতবা আলীর এক আত্নীয়ের বা তাঁদের পরিবারের একটা বইয়ের দোকানও।
>> ৭। তাহলে ঢাবিতে ২০-এর দশকে 'বুদ্ধির মুক্তি' আন্দোলনে কে জড়িত ছিলেন? পুর্ববঙ্গে আধুনিক কালে অন্তত এটাই মনে হয় প্রথম যুক্তিবাদী আন্দোলন বা ঐ জাতীয় কিছু একটা ছিল। নাকি আরেকজন আবুল হাশিম ছিলেন?
>> ৬। হা হা। আমার শুধু মনে আছে, 'ভয়াল'-এ 'লৌহমানব' ইমতিয়াজ নামের একটা চরিত্র ছিল। ইনিই ছিলেন ৪-৫ সদস্যের একটা নায়ক দলের টীম লিডার।
****************************************
আমার স্মৃতি থেকে প্রেসক্লাবের উলটো দিকের মার্কেটের (বিএমএ ভবন?) হাক্কানী আর স্টেডিয়ামের দোতলার ম্যরিয়েটা একেবারে মুছে গেছে। পিজি হাসপাতালের মার্কেটের ম্যারিয়েটার কথা অবশ্য এখনো মনে আছে। জিনাত বুক নিয়ে আমার কোন ভালো স্মৃতি নেই। যেমন নেই বর্তমানের আজিজ মার্কেটের তক্ষশীলা নিয়ে। তবে এখনকার নিউ মার্কেটের বুক ওয়েব চমৎকার। ওদের কালেকশন ভালো। কখনো কখনো সাথে যথেষ্ট টাকা না থাকলে ওখানে কিছু টাকা দাদন দিয়েও বই কেনা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরুই করেছে ১৯২১ সালে। একেবারে শুরুতেই সেখানে কারা বুদ্ধিমুক্তির আন্দোলন করেছেন সেটা জানি না। খোঁজ পেলে জানাবো। আপনিও একটু খুঁজে দেখুন।
'ভয়াল' সিরিজ আসলে কার লেখা আর অরিজিন্যাল সিরিজটা কার বলতে পারেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
উরে খাইছে!
..................................................................
#Banshibir.
আমার বাসায় এখনও দস্যু বনহুরের চারটা বই আছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
দুষ্টলোকেরা ইন্টারনেটে বনহুরের পিডিএফ কপি আপলোড করে দিয়েছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভালো লাগলো। যেন অনেকগুলো স্ন্যাপশট .. একের পর এক ..
"কার্তিকের রোদ কিছুটা নরম হবার কথা, কিন্তু বাস্তবে তার উল্টোটা দেখা যায়।" দারুন বলেছেন। এই নরোম রোদের আশায় দুপুরের গোসল শেষে প্রতিদিনই গায়ে রোদ মেখে হাটতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছেগুলো রোদ পায় না, অবহেলা পায়, আলস্য পায় ..
ভালো থাকা হোক।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আপনিও ভালো থাকুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পান্ডব'দা চলেন সামনের শুক্কুরবারে লক্ষ্মীবাজার/পাটুয়াটুলি এলাকায় একটা ব্রেকফাস্ট-ওয়াক দিই। আমি ওই এলাকাতেই থাকবো। আটটার মধ্যে ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশে দেখা করি, খেকুরে বের করার গুরুদায়িত্বটা নাহয় আমিই নিলাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
শুক্রবারের রুটিনটা এখনো জানি না। রুটিন ঠিক হলে তোমাদেরকে জানাবো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ঢাকার রাস্তায় একটা চমৎকার ঘোরাঘোরি হয়ে গেলো! কিশোর বয়সে বন্ধুরা মিলে ঢাকার রাস্তায় অনেক হাঁটাহাঁটি করেছি। তখন হাতে টাকা পয়সা ছিলো না, ফুটপাতে ঘুরতে ঘুরতে গল্প করতে কিযে ভালো লাগতো!
অন্য সাবধানতা বাদ দিলেও মেয়ে হিসেবে ফুটপাতে হাটতে বেশ খানিক্টা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। মনের জোরও অনেক লাগে। এখনকার কথা জানি নাঃ বছর ছয়েক আগেও পাড়ার মোড়ে ছেলেরা সামনে দিয়ে একটা মেয়ে গেলে তাকে পর্যাপ্ত টিজ করাটাকে নৈতিক দায়িত্ব মনে করে। ঢিল ছুঁড়ে, ভীড়ের মধ্যে একধাপ এগিয়ে গায়ে হাত দেয়। অল্প বয়সে এইসব ফেইস করে বাসায় আসলে মনে হতো আর যাবো না কোথাও। কিন্তু ভাগ্যিস মনের সেই কথা শুনি নাই। মানুষ জনের সেইসব কথা উপেক্ষা করেই ১৩-১৪ বছর বয়সে আমরা রাস্তার দোকানে বৃষ্টির মধ্যে চা খেয়েছি। ফুটপাতে বসে গল্প করেছি। বাপ মায়ের হাড় জ্বালায়ে, ভীড়ে অনাকাঙ্খিত হাত উপেক্ষা করে বইমেলা, নীলক্ষেত, স্টেডিয়াম মার্কেটে গেছি। অল্প বয়সে সব ভালো লাগে। তখন রাস্তায় হাটলে মনে হত আমার সামনে একটা জাদুর ঝাঁপি খুলে দিয়েছে কেউ। কত অদ্ভুত মানুষ, কত অদ্ভুত দোকানপাট। আপনার লেখায় পড়ে সেই ফ্যান্টাসি কিংডমের কথা মনে পরলো আবার। ধন্যবাদ!
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ভাগ্যিস আপনি ইতরগুলোকে উপেক্ষা করার সাহসটা দেখিয়েছিলেন তাই আপনার চোখের সামনে জাদুর জগতটা খুলে যেতে পেরেছিল। এমন সাহস সবাই দেখালে ইতররা কোনঠাসা হতে বাধ্য।
অত্যাচারী চিরকালই ভীরু
যতোই মোটা হোক না তার দেহ
সাহস বেজায় সরু
(মাণিক বন্দোপাধ্যায়)
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আচ্ছা, এবার ঢাকায় যেয়ে আমি অনেক কয়টা ট্রাফিক সিগন্যালে হকারদের হাতে ইংরেজী বই দেখলাম। যেমন স্টিভ জবসের জীবনী, ড্যান ব্রাউন বা হ্যারি পটার। দুই এক পিস গেম অব থ্রোনস এর ও দেখা পেয়েছি। এদের কি উঠায় দিয়েছে?
এরা সিজনাল। কখনো কখনো কোন একটা বই নিয়ে হইচই শুরু হলে এদের দেখা মেলে। যেমন, কয়েক সপ্তাহ আগে দেখলাম এরা আবদুল করিম খন্দকারের বই বিক্রি করছে। নগরের ধনীদের এলাকার সিগন্যালগুলোতে অবশ্য প্রায় সারা বছরই এদের দেখা মেলে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লগ অফ অবস্থায় আগেই পড়েছিলাম লেখাটি। এবার মন্তব্যগুলি পড়লাম। লেখার মতো মন্তব্যগুলোও দারুণ উপভোগ্য।
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সচলের মজাটা এখানে। লেখক, পাঠক উভয়পক্ষ মিলে এখানে একটা লেখাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখা, লেখার মন্তব্য প্রতিমন্তব্য সবকিছুই অসাধারন। ভালো লেগেছে দাদা। ধন্যবাদ
__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত
এখানেই তো ব্লগের মজা! ব্লগে পাঠকও লেখক হয়ে পোস্টে অংশ নেন, আলোচনা জমে ওঠে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্যাঁচ-পরোটা ভারতে পরিচিত ‘লাচ্ছা পরোটা’ নামে।উত্তর ভারতে পরোটা শব্দটি ‘পরানঠা’ উচ্চারিত হয়।
গত দশ বছরের প্রায় প্রতি বছরই ঢাকায় গেছি।যে কোনো শহরের পুরোন অংশ,বিশেষত চিপা গলি,বাজার,খাওয়ার দোকান এই সব দেখার আমার ভীষণ লোভ।ঢাকার ক্ষেত্রে ইলিয়াসের গল্প পড়ে সেটা আরো বেশি।নিজেই ম্যাপ দেখে রিক্সাওয়ালা মামাদের সাহায্যে কিছুটা পুরোন ঢাকা ঘুরেছি,তবে অনেকটাই দেখিনি।কেউ যদি দেখান,সেজন্য সচলায়তনেরও একবার শরণাপন্ন হয়েছিলাম।
ঢাকাস্থ বন্ধুরা প্রথম থেকেই সাবধান করেছেন ছিনতাইকারীদের সম্বন্ধে।ভাগ্য ভালো,একবারও সে অভিজ্ঞতা হয়নি।
বুড়া
আবার ঢাকা আসার আগে সম্ভব হলে আমাকে জানাবেন। আপনাকে নিয়ে হাঁটবো।
অটঃ আগে বলেছি কিনা মনে নেই। একটা বিষয়ে আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা আছে। এই ফাঁকে সেটা জানিয়ে গেলাম।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
০। আমার ছুটিরদিন বলে কিছুই নেই
ত্রিমাত্রিক কবিকে সকালে ঘুম থেকে জাগানো মহা হ্যাপার, ওর সাথে সকালে কোন পোগ্রাম থাকলে নিশ্চিত থাকতে পারেন তা দুপুর গড়াবে।
১। একটা জিনিষ খেয়াল করেছেন কীনা জানিনা, রাস্তার পাশের ছোট খাটো দোকানগুলোতে তৈরী পরোটার সাইজ প্রায় সবজায়গাতেই সমান হয়। একবার এ নিয়ে এক দোকান মালিককে জিজ্ঞেস করলে উনি জানান যে সাধারণত ওরা এককেজি ময়দায় ২৪টা পরোটা বানিয়ে থাকেন।
২। আমার ধারণা রাস্তার তুলনায় মানুষ আর গাড়ির সংখ্যা এত বেশী যে কোন নিয়মই শেষ পর্যন্ত বাস্তবতার খাতিরে আর নিয়ম থাকেনা।
৩। নগরপিতারদেরও রাস্তায় মূত্রত্যাগের নজির আছে, সুতরাং এর অভাব তারা বোধ করবেন না সেটা বলাই বাহুল্য।
৪। কথা সত্য।
৫। বই বিক্রিতে লাভ কম আর দোকান চালানোর খরচের তুলনায় বিক্রি হয়না বললেই চলে, এজন্যেই মনে হয় ঢাকা শহরের মার্কেটগুলাতে বইয়ের দোকান কম বা নাই।
...........................
Every Picture Tells a Story
সৌভাগ্যজনকভাবে বা দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওইদিন সকালে কিন্তু আমি জাগা ছিলাম মুস্তাফিজ ভাই। আর ঢাকায় পাহাড় পর্বত না থাকায় আমার রিস্ক কম। তবে সকালে দেখা না হলেও এক বিকেলে পাণ্ডবদার সাথে দেখা হয়ে গেল। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলাম, মামা পেয়াজু আর চা খাওয়ার পর আসার সময় বোনাস দুইটা বই পেয়ে গেলাম গিফট হিসেবে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
বিস্তারিত মন্তব্য করার জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ বস্!
০। ছুটির দিন আমারও নেই। এই যে হাঁটছি, সেটাও আসলে ডিউটির অংশ। এই পর্যন্ত থ্রি-ডি'র সাথে যতবার দেখা হয়েছে প্রতিবারই সন্ধ্যায়। আমি কোন রিস্ক নেইনি।
১। দুর্দান্ত অবজারভেশন! আপনার সাথে ফুড-ওয়াকটা দিতে পারলাম না, এই আফসোস্টা রয়ে গেছে।
২। ঠিক! রাস্তার সংখ্যা আসলেই কম। তারওপর রাস্তার জায়গা দখল করে রাখে থামিয়ে রাখা গাড়ি, হকার, ভিখিরি, নির্মাণ সামগ্রী, ভূমিদস্যু .....................
৩। হ্যাঁ, মনে আছে একবার 'মূত্রপাত থেকে সূত্রপাত, হিসু যখন ইস্যু'র ঘটনা ঘটেছিল।
৪। পুরোপুরি obsolete হয়ে গেছে এমন কিছু ছাড়া পৃথিবীতে এমন কোন ব্যবসা নেই যাতে লাভ নেই। বই বিক্রিতেও লাভ আছে। বাংলাদেশে বইয়ের ব্যবসা এখনো প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে আছে। এখানে এখনো কোন ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল গড়ে ওঠেনি। পেশাদারী মনোভাব গড়ে ওঠেনি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
০.
বুক ক্যাফে। এই জিনিসটার অভাব বোধ করি অনেক। অফিসের পর রোজ বাসায় না গিয়ে একটা ক্যাফেতে বসব। কফি খেতে খেতে বই পড়ব। দুয়েকজন সমমনা মানুষের দেখা পাবো। এমন একটা কিছু দরকার ঢাকায়। আর দরকার পরিচ্ছন্ন নিরাপদ পার্ক। হুদাই খোলা আকাশের নিচে শুয়েবসে থাকার জন্য, বই পড়ার জন্য, গান গাওয়া/শোনার জন্য। আমাদের নাগরিক জীবন আরো নিরানন্দ হচ্ছে দিনে দিনে।
২.
ফুটপাথে সাইকেল বা বাইক চালাই নাই এখনো। রাস্তায় নামলে অন্যান্য বাহনের চালকরা পারলে ঠেলে ফুটপাথে উঠিয়ে দেয়। আমি ফুটপাথে উঠব না শুনে হয়ত পাগল ঠাউরায় আমাকে।
৩.
আমার মতে আধুনিক পাবলিক শৌচাগার সভ্য সমাজের চিহ্ন। শুধু পথবাসীদের জন্য নয়, নারীদের জন্যও যে পাবলিক টয়লেট জরুরি এটা ভাবার সময় অনেক আগেই এসে গেছে।
৫.
ব্লগমহল ও বাছাইকৃত বন্ধুবান্ধবদের বাইরে আমার চেনাশোনা পরিমণ্ডলে বইপড়ুয়ার সংখ্যা শূন্যের কাছাকাছি। বই যে কারো আনন্দের উৎস হতে পারে এটা শুনে চোখ কপালে তোলেন অনেকেই। এমন বইবিমুখ মানুষ কি আগেও ছিলো, নাকি আমাদের সংস্কৃতি বইশূন্য হচ্ছে দিনে দিনে?
।।বানান।।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমার ধারণা, বুক ক্যাফে'র সংস্কৃতি ধারণ করার মানসিকতা আমাদের উদ্যোক্তাদের নেই। সুতরাং কেউ কখনো এমন কিছু বানালেও 'প্রতি আধ ঘন্টায় কমপক্ষে এক কাপ কফি বা এক প্লেট খাবার' অর্ডার না করলেও উঠে যেতে বলবে অথবা ঘাড়ের কাছে দাঁড়িয়ে থাকবে অথবা লাইট অন-অফ করবে।
আমরা যে এখনো নাগরিক সংস্কৃতি ধারণ করতে পারিনি তার বড় প্রমাণ হচ্ছে কোন নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও মেইন্টেইনড পার্ক নেই। এখানে পার্কে ঢুকলে ছিনতাইকারী বা প্রতারকের পাল্লায় পড়া মোটামুটি অবধারিত। পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে উলটো তারা বলবে, 'আপনি ভদ্রলোক হয়ে পার্কে কী করতে গিয়েছিলেন'?
শৌচাগার নিয়ে আমার ভাবনাগুলো উপরে বলেছি। আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে একটা শক্ত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার।
আগে বিনোদনের হাজারোটা উপায় ছিল না বলে কিছু নিরুপায় মানুষ বই পড়তো। এখন সে সমস্যা মোটামুটি মিটে যাওয়ায় লোকে আর বই পড়তে আগ্রহী না।
বানান সংশোধনের জন্য ধন্যবাদ। তোমার খুব কষ্ট না হলে সচলে এই প্রচেষ্টাটা চালু রাখতে পারো।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
চট্টগ্রামে বাতিঘর নামে চমৎকার একটা বিশাল বইয়ের দোকান হয়েছে, সেখানে লোকজন বসে বসে বই পড়ে, বই কিনে, আড্ডা দেয়।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
চট্টগ্রামের সবকিছু চমৎকার, স-ব!
বাংলাদেশের দুটো জায়গা স্পেসিফিক্যালি সবচাইতে মিস করি। নিজের বাড়িটা, আর বাতিঘর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যারা চট্টগ্রামে থাকেন তাদের হয়তো একটু একটু করে গা সওয়া হয়ে যাচ্ছে, তবে আমার মতো যারা মাঝে-মধ্যে চট্টগ্রাম যান তারা টের পান দেশের সবচে' সুন্দর মহানগরটি কীভাবে নানা প্রকার নাগরিক হ্যাজার্ডের নগর হয়ে যাচ্ছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কথা সত্য! তাও ঢাকার থেকে ভাল লাগে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
একেবারে ছবির মত লেখা - দারুণ!
ভাবনা, চিন্তা, পর্যবেক্ষণ আর সেইসূত্রে আসা মন্তব্যগুলো - সব মিলে খুব সম্পৃক্ত-বোধ করলাম।
বহুদিন হল এই নগরের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই
যে আমলে আমি আপনার বর্তমান নিবাসের এলাকায় ছিলাম তখন সেখানকার রাস্তায় হেঁটে হেঁটে এর গল্পগুলো দেখেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি । এখন ঐ এলাকা এতোটাই পাল্টে গেছে যে আমার কাছে অপরিচিত লাগে। একটা সুন্দর আবাসিক এলাকা অতি দ্রুত একটা ঘিঞ্জি বাণিজ্যিক এলাকাতে পরিণত হয়ে গেছে। এই পরিবর্তিত নগরীর গল্পটা ভিন্ন। একটু সময় করে কয়েক দিন হাঁটলে সেই গল্পটা আপনিও অনুভব করতে পারবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লেখাটা এতো ভালো!
রাস্তা-দোকানপাট-সাইনবোর্ড-মানুষ-হকার পর্যবেক্ষণ সবসময়ের প্রিয় কাজ! আগে এই নিয়ে বিশাল বিশাল স্ট্যাটাস দেবার তেল ছিলো ফেসবুকে, এখন সেই তেলের ফিগার জিরো হয়ে গেছে। তাও তোমার লেখাটা দেখে লিখতে ইচ্ছে হলো।
রাস্তার পাশের, পাড়ার মোড়ের বইয়ের দোকান, আজব খাবার, রাস্তা আটকে খেলাধূলার মজা এইসব হারাচ্ছে একটু একটু করে রোজ! অলসতা ছাড়িয়ে লিখতে পারলে একদিন নিজের মতামত নিয়ে কিছু একটা তৈরী করবো হয়তো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হে ফাঁকিবাজ, এইসব হাবিজাবি কথা বাদ দিয়ে লেখাটা নামিয়ে ফেলো। তথাকথিত রাইটার্স ব্লক কাটানোর জন্য প্রথমে ফেসবুকে ছোট ছোট স্ট্যাটাস আকারে লেখো। তারপর সেগুলোকে একসাথে সেলাই করে ব্লগ নামাও।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন