Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

অনুবাদ

বুলগেরিয়ার গল্প-০৩

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বুধ, ১৬/০২/২০১১ - ১:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১. কে? ইভান নাকি?


বুলগেরিয়ার গল্প-০২

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ১২/০২/২০১১ - ৪:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিঁড়ি

শয়তান জিজ্ঞেস করলো, “কে তুমি”?
সিঁড়ির গোড়ায় দাঁড়ানো লোকটা উত্তর দিলো, “আমি এক জনমদুঃখী, সব দীন-দরিদ্ররা আমার ভাই। কি ভয়ঙ্কর এই দুনিয়াটা, আর এর মানুষগুলো কত কষ্টেই না আছে”!


মামলার একজন সাক্ষী - ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১২/০২/২০১১ - ৫:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব এখানে পাওয়া যাবে।

"খুব কঠিন হয়ে গেল ব্যাপারটা।" রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে নিজেকেই বললেন মেহার্ন সাহেব। পুরো ঘটনার অবাস্তবতা তাঁকে ঘিরে ধরেছে। অবাস্তব চরিত্রের এক মহিলা, খুব ভয়ানক একটা চরিত্র তা বুঝতে উকিল সাহেবের আর বাকি নেই। রোমেইন ভোল কারো পিঠে ছোরা চালাতে দ্বিধা করবে না। এমন দিশেহারা অবস্থায় শেষ কবে পড়েছেন মনে করতে পারলেন না এই প্রথিতযশা আইনজীবী। বেচারা লিওনার্দো ভোলের জন্য কোনো শক্ত খুঁটি তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। যদি না সত্যি সে খুনটা ...


শিকড় (পর্ব ১)

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১১/০২/২০১১ - ২:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

roots

১৭৫০ খ্রীষ্টসালের বসন্তের শুরুর একটা দিন। গ্রামটা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার উপকূল থেকে আরও চার দিনের উজানে, নাম জাফুরে। এমন একটা দিনে মা বিন্তা কিন্তে আর বাবা ওমোরোর ঘর আলো করে একটা শিশু ভূমিষ্ঠ হলো। ঠিক মায়ের মতোই কুচকুচে কালো, বলিষ্ঠ তরুনী মা বিন্তার জরায়ু থেকে তারই রক্তে মাখা শিশুটা ঠিক যেনো এক ঝটকায় পিছলে বেরিয়ে আসলো। গলার রগ ছেঁড়া চিৎকারে কেঁদে উঠে সে দুনিয়াকে জানান দিলো ওর আগমনবার্তা। দুই ধাই, নিও বোতো বুড়ি আর বাচ্চার দাদি ইয়াইসা উৎসুক চোখে যেইনা দেখলো যে ওটা একটা ছেলেশিশু, আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে দুজনেই হেসে উঠলো। পূর্বপুরুষদের বিশ্বাস মতে সংসারের প্রথম শিশু ছেলে হলে সে শুধু তার মা-বাবার জন্যেই না, গোটা পরিবারের জন্যে আল্লাহর অসীম করুনা বয়ে আনে এবং এই শিশুর কারণে কিন্তের নাম আভিজাত্যের সারিতে স্থান পাবে।


মামলার একজন সাক্ষী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৫/০২/২০১১ - ১২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মেহার্ন সাহেব চশমা ঠিক করতে করতে তার স্বভাবসিদ্ধ শুকনো কাশিটি আরেকবার দিলেন। তারপর চোখ তুলে তাকালেন সামনে বসা লোকটির দিকে, একজন পরিকল্পিত খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি।

মেহার্ন সাহেব নিজে ছোটখাটো, পরিপাটি মানুষ, জামা কাপড়ে মার্জিত রুচির ছোঁয়া। ধুসর চোখজোড়াতে শ্যেনদৃষ্টি এই আইনজীবীর যশের সাথে পুরোপুরি মানানসই। মক্কেলদের সাথের উনি সবসময় শুকনো স্বরে কথা বলেন। অনেক চেষ্টা করে তিনি রপ্ত করেছেন মক্কেলের সঙ্গে একইসাথে সহানুভূতি এবং একটা দূরত্ব নিয়ে কথা বলার কৌশল। "আপনাকে আবারো মনে করিয়ে দিতে চাই যে আপনি একটা কঠিন অবস্থার মধ্যে আছেন এবং সবকিছু খোলামেলা ভাবে আলাপ করা ছাড়া এর থেকে বেরিয়ে আসার আর কোন পথ খোলা নেই।"

লিওনার্দো ভোল তার ফাঁকা দৃষ্টি দেওয়ালের থেকে সামনে বসা উকিলের দিকে ফেরালো। "বুঝতে পারছি", তার কণ্ঠে শুধুই হতাশা ঝরে পড়ে। "কিন্তু আমি কোনভাবেই মানতে পারছি না আমাকে এই খুনের আসামী করা হয়েছে। এতো নিষ্ঠুর, এতো কাপুরুষের মত একটা অপরাধের সাথে আমাকে জড়ানো হচ্ছে।"


বুলগেরিয়ার গল্প-০১

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ২৯/০১/২০১১ - ৫:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দরবেশের বীজ

সত্যি বলতে কি এই প্যাঁচটা লেগেছে আমার বয়স চৌদ্দ হতে না হতেই। তার আগেই বাবা মরেছিল ষাঁড়ের গুঁতায়, আর মা জ্বরে ভুগে। ফলে বুড়ো দাদা-দাদীর হাতেই বড় হয়েছি। দাদীর ডান হাতটা কীভাবে যেনো অকেজো হয়ে গিয়েছিল, তাতে ঘরের কোন কাজ ঠিকমতো করতে পারতেন না। সুতরাং দাদা ভাবলেন দাদীকে সাহায্য করার জন্য আমাকে বিয়ে দিয়ে ঘরে বউ আনা দরকার।


কবি'র অনুবাদে কবি’র রচনা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০১/২০১১ - ১২:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কহলিল জিব‌রান আরবী ও ইংরেজী ভাষার লেখক হলেও বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে একটি সুপরিচিত নাম। তাঁর রচনা, বিশেষ করে তাঁর কাব্যগ্রন্থ “The Prophet” বাংলা ভাষায় বহুজনে বহুবার অনুবাদ বা রূপান্তর করেছেন - কি বাংলাদেশে, কি ভারতে। জিব‌রানের পরিচয় তিনি কবি, গদ্যকার, চিত্রকর। তবে জিব‌রান মূলতঃ কবি; তাঁর গদ্যের ভাষা কাব্যিক, তাঁর চিত্রকর্মও কাব্যিক। তিনি রঁদ্যা’র মতো শিল্পীর কাছে শিল্পকর্মের তালিম নিলেও তাঁর শিল্পকর্ম তাঁর কবিতাকে ছাপিয়ে উঠতে পারেনি। বোদ্ধা দর্শকের চোখে তাঁর শিল্প কর্ম উইলিয়াম ব্লেইক দ্বারা বড্ড প্রভাবিত। কিন্তু তাঁর কবিতাও কি তাই?


অনুবাদ: লিওনার্ড ম্লোডিনো এবং স্টিফেন হকিঙের The Grand Design - ১

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০১/২০১১ - ৭:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মূল বই: The Grand Design (মহিমান্বিত নকশা)
মূল লেখক: লিওনার্ড ম্লোডিনো এবং স্টিফেন হকিং
=============================

প্রথম অধ্যায়: অস্তিত্বরহস্য (The Mystery of Being)

================================

আমাদের প্রত্যেকেই খুব অল্প সময়ের জন্য বেঁচে থাকি, এবং এই স্বল্প সময়ের মাঝে এই সমগ্র মহাবিশ্বের অল্প অংশই আমাদের পক্ষে দেখা বা অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়ে ওঠে। কিন্তু মানব প্রজাতি খুবই কৌতূহলী। আমরা বিস্মিত হই, আমরা উত্তর খুঁজি। এই কোমল-কঠোর পৃথিবীতে বেঁচে থেকে এবং উপরের সুবিশালতার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মানুষ বরাবরই নানা রকমের প্রশ্ন করে গেছে: আমরা যে পৃথিবীতে বেঁচে আছি সেটাকে কীভাবে বোঝা যাবে? এই মহাবিশ্বের মতিগতিই বা কেমন? বাস্তবতার প্রকৃতি কেমন? সবকিছু কোথায় থেকে এলো? মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে কি কোনো সৃষ্টিকর্তার প্রয়োজন ছিলো? আমরা সকলেই এইসব প্রশ্নাবলি নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করি না, তবে প্রায় প্রত্যেকই কখনো না কখনো এইসব নিয়ে মাথা ঘামাই।

গতানুগতিকভাবে এইসব প্রশ্ন দর্শনশাস্ত্রের পাঠ-এখতিয়ারে ছিলো, কিন্তু দর্শনশাস্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।


সহযাত্রী

সুহান রিজওয়ান এর ছবি
লিখেছেন সুহান রিজওয়ান (তারিখ: সোম, ২৪/০১/২০১১ - ১১:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গাড়িটা নতুন কিনেছিলাম। দারুণ জিনিস। বড়সড় একটা বিএমডব্লু, তেল ভরাও যায় সহজে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৯ মাইল যেতে পারে, ফ্যাকাশে নীল রঙ। ভেতরের বসবার গদিগুলো গাঢ় নীল চামড়ায় মোড়া। এক্কেবারে খাঁটি চামড়া। জানালা আর মাথার উপরের রোদছাউনী খোলে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত ব্যবস্থায়। রেডিওর সুইচ চাপলেই লম্বা এন্টেনা বেরিয়ে আসে- সুইচ চাপলেই আবার ভেতরে ঢুকে পড়ে। নীচু গতিতে চালালে গাড়ির শক্তিশালী ইঞ্জিনটা নানারকম শব্দ শোনায়, কিন্তু ঘণ্টায় ৬০ মাইল বেগে যখন চলে, ... হুঁ হঁ বাবা, একেবারে পঙ্খীরাজ !


ভুলের আপেক্ষিকত্ব (১/২)

জি.এম.তানিম এর ছবি
লিখেছেন জি.এম.তানিম (তারিখ: সোম, ২৪/০১/২০১১ - ৪:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify](মাসকতক আগে বন্ধু সচল স্পর্শের কাছ থেকে একটা লিঙ্ক পাই, আসিমভের একটা প্রবন্ধের। বিজ্ঞান ও তার ক্রমঃরূপান্তর নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ভুল ধারণা, তার জবাবে এই লেখা। লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছিলো, তাই মনে হয়েছে বাংলা ভাষায় লেখাটি শেয়ার করা গেলে অনেকের উপকার হতো। সহজ ভাষায় রচিত লেখাটির অনুবাদ করতে গিয়ে একটু কঠিন করে ফেলেছি হয়তো; তবে লেখাটি পড়ে কেউ যদি বিজ্ঞানের ব্যাপারে আগ্রহী অথবা বিজ্ঞানমনস্ক হওয়ার পথে একধাপও ফেলেন, সেটিই অনেক বড়ো পাওনা হবে। হাতি সাইজের প্রবন্ধটি দুই ভাগে ভাগ করে প্রথম ভাগটি পোস্ট দিলাম আজ। প্রথমদফা প্রুফ দেখে দেওয়ার জন্যে সুরঞ্জনা হক আর দ্বিতীয়দফা প্রুফ দেখায় বুনোহাঁসকে ধন্যবাদ।)