Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

কল্পবিজ্ঞান

আধুনিক ঠাকুরমার ঝুলি (গোলামকুমার- মধ্যপর্ব)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২১/০৭/২০১৩ - ৮:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
বিহবল ভাবটা তাড়াতাড়িই সামলে নেন গোলাম। আযমীর দিকে অলিভওয়েলের শিশিটা এগিয়ে দেন- “নে বাবা, দু’ফোঁটা খেয়ে নে চট করে। মাথাটা ঠান্ডা হবে। বেশি খাসনে যেন, এটুকুই দেয় জালিমগুলো।” হতাশ দৃষ্টিতে জনকের দিকে তাকায় গোলামকুমার। সেই দৃষ্টি দেখে নরম হন গোলাম, মিন মিন করে বলেন- “কি হয়েছে? চাঁদ ঊঠলে উঠবে, তাতে এত ভয়ের কি আছে? আশ শামসু ওয়াল কামারু বি হুসবান, ওয়ান নাজমু ওয়াশ শাজারু ইয়াস জুদান”। এইবার রাগে ফেটেই পড়ল গোলামকুমার- “আমাকে কি ভারতের শান্তিটিভির দর্শক পাইছেন? পান্তাভাতের মধ্যেও নায়কের মত একখান আয়াত আওড়াবেন আর গলে যাব? আপনার দৌড় কদ্দুর সে তো আমি ভালই জানি।” আবার মিন মিন করেন গোলাম- “আরে, কি হয়েছে ভেঙ্গে বল।” একটু ঠান্ডা হয় গোলাম কুমার, বলে- “কি ভাবেন নিজেকে? দাদাজানকে নাহয় সৌদী রাজ্যের রাজা নিজে উদ্ধার করে নিয়ে গেছিল, আপনাকে তো তাও করবে না।”


আধুনিক ঠাকুরমার ঝুলি (গোলামকুমার- আদিপর্ব)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৯/০৭/২০১৩ - ২:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
হাকিমের রায় শুনে গোলাম মনে মনে হাসলেন, আরে অসুর বলে কথা। এত তাড়াতাড়ি মরার জন্য জন্মেছি নাকি? কি প্রজারা, কি রাজার হাকিম চাইলেই হল? আরে বাবা আমার হল গিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যু। গুরুবাবা মউদুদি'র ও তাই ছিল। বাদশা আইউবের হাকিম তো তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েইছিল- কি লাভটা হল? মরল তো সেই সৌদি রাজ্যের শাহী হারেমের হুরদের কোলে। শরাবে অরুচি আর কাকে বলে! কে বলেছে- বেহেশত পরকালে?


ইনফার্নো

কৌস্তুভ এর ছবি
লিখেছেন কৌস্তুভ (তারিখ: শনি, ১৫/০৬/২০১৩ - ৮:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“মৌ, দেখো, গণ্ডোলা! আমরা গণ্ডোলায় চড়ব!”


কীভাবে একটি পঙ্খীরাজ ঘোড়া তৈরি করবেন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: বুধ, ২৪/০৪/২০১৩ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পঙ্খীরাজ ঘোড়া তৈরির চিন্তা আমার মাথায় তৈরি হয় সম্ভবত একটা রুপকথার গল্পের অনুপ্রেরণা থেকে। তবে এই জিনিসের সাধারণ যে রূপকথা আমরা জানি সেই গল্প থেকে নয়। রাজপুত্তুর পঙ্খীরাজে চড়ে গিয়ে রাক্ষস মেরে রাজকন্যাকে উদ্ধার করল সেই চিন্তা কারো কাছে শিশু বয়সেও বাস্তব (সম্ভাব্য) মনে হওয়ার কোনো কারণ নেই। যে গল্প পড়ে মনে মনে ভেবেছিলাম, ঘটনাটা সত্যি হলে মন্দ হতোনা, সেটা অন্য গল্প। কে লিখেছেন অথবা আদৌ সেটি কোনো প্রচলিত রুপকথা কিনা জানা নেই। কেবল মনে আছে গল্পটা।


আবু ইউসুফের তেত্রিশ বানর - পর্ব দুই

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: সোম, ০৮/০৪/২০১৩ - ৮:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তেত্রিশ বানর নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড হয়ে যাবার পর আবু ইউসুফ এদের বিদায় করার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেল। ব্যাটা বদমাশ আমাকে বলে,
- তোর গত জন্মদিনে তো আমি কিছু দেইনি। এই তেত্রিশ বানর আমি তোর জন্মদিনের উপহার দিলাম
আমি বললাম,
- শুধু গত না বিগত কোন জন্মদিনেই তুই আমাকে কিছু দেস নাই। আগত কোন জন্মদিনেও কিছু দেয়া লাগবে না। আমারে মাফ কর।


আবু ইউসুফের তেত্রিশ বানর - পর্ব এক

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৪/২০১৩ - ২:০০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


একজন মানুষের বাসায় যে তেত্রিশটা বানর থাকতে পারে সেটা নিজ চোখে না দেখলে আমি কখনো বিশ্বাস করতাম না। আবু ইউসুফ এর কাজ কর্ম সবসময়েই উল্টাপাল্টা। বিজ্ঞানী মানুষ অবশ্য একটু পাগলাটে না হলে মানায় না। এর আগে ইউসুফ যখন কোমল সাহিত্য মেশিন বানিয়েছিল, তখন ওটার ডেমো দেখানোর জন্য আমাকে ডেকেছিল। বলে, তুই তো ব্লগে নানা উল্টা পাল্টা কথা লিখিস, তোর কিছু লেখা দে, আমার মেশিনে ঢুকিয়ে দেখি কেমন কাজ করে। আমি ওকে ভালোবেসে মুড়ি খা বলে চলে এসেছিলাম। পরে ওর মেশিন এর দুর্গতির কাহিনী শুনে সমবেদনা জানাতে বাসায় গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। এক রুমের ভিতর নানা আকারের নানা জাতের তেত্রিশটা বানর পুরে রেখেছে। ঘটনা প্রথমে চেপে যাবার চেষ্টা করলেও পরে অনেক পীড়াপীড়ির পর ব্যাটা মুখ খুলল। কথা শুনে আক্কেল গুড়ুম। সে তার বানরের পালকে কবিতা লেখা শিখাতে চায়। বলে, বিজ্ঞানী সফদর আলী যদি গিনিপিগ ট্রেনিং দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করাতে পারে তবে আমি কেন বানর দিয়ে কবিতা লিখাতে পারব না? সফদর আলী যে একটা গল্পের চরিত্র এটা কিছুক্ষণ বোঝানোর চেষ্টা করে আমি হাল ছেড়ে দিলাম। এরপরে বানর দিয়ে কবিতা লেখানর কি দরকারটা কি সেটা বুঝার চেষ্টা করে নৌকাই ছেড়ে দিলাম।


তানভীর ভাই, রাজকন্যা আধনয়না এবং মহাপ্রলয়

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: রবি, ০৬/০১/২০১৩ - ৮:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

- তুমি কি মনে কর মায়ানরা বিজ্ঞানে উন্নত হলে পৃথিবী ধ্বংসের ঠিক ঠিক তারিখ বের করতে পারত?
- হ্যাঁ মনে করি। আমি মৃদু হাসলাম। বোঝাতে চাইলাম, ইয়ার্কি মারছি না।
- কীভাবে? সেই হিসেব করতে হলে বিজ্ঞানে কীরকম উন্নত হতে হবে? আমরা কী অতোটা উন্নত? তানভীর ভাই অনেকটা হুড়মুড় করে প্রশ্নগুলো করলেন।
- আমার মনে হয় আমরা অতোটা উন্নত। তবে এই ধারনাটা আমার নিজের। আপনি তো জানেনই আমি স্রেফ একজন ছাত্র।
- ছাত্র তো সবাই। তোমার হিসেবটা কীরকম বলো দেখি? পৃথিবী ধ্বংস হবে কীভাবে? উল্কা এসে পড়বে? নাকি যেরকম হওয়ার কথা, সূর্য ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তারপর? তানভীর ভাই আবার হুড়মুড় করে একগাদা প্রশ্ন করলেন।


ভবিষ্যতের পুরুষঃ মানবী সভ্যতা!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৩/০১/২০১৩ - ১২:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক।।

বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সূত্র থেকে জানা যায়, বহু বছর আগে পৃথিবীর মানব সভ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই পৃথিবীতে এক সময় মানুষ শিল্প ও বিজ্ঞান চর্চার মাধ্যমে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছিল। এর পর বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সেই সভ্যতা বিলুপ্ত হয়- প্রাচীন পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা (যাকে তারা ঈশ্বর-আল্লাহ-ভগবান-গড ইত্যাদি নামে ডাকতো) নিহত হন।

তার বহু বছর পর পরম করুণাময়ী সর্বশক্তিময়ী ঈশ্বরী ঠিক করেন আবার মানবী সভ্যতার জন্ম দেবেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি প্রথম নারী এডা-কে তৈরি করেন এবং তাকে স্বর্গে বড় করে তুলতে থাকেন। এডা বড় হওয়ার পর তার খুব একা একা লাগতে থাকায় এডার ডান পাঁজরের হাড় থেকে ঈশ্বরী তৈরি করেন নতুন পৃথিবীর প্রথম পুরুষ ইভোকে। নতুন পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে জানা যায়, ইভো ঈশ্বরীর বিরুদ্ধাচারণকারী "শয়তানী"র প্ররোচণায় এডাকে জ্ঞান বৃক্ষের ফল খেতে উৎসাহ দেন। এতে ঈশ্বরী তাদের শাস্তি দিতে পৃথিবীতে নিক্ষেপ করেন এবং তা থেকেই পৃথিবীতে নতুন মানবীসভ্যতা গড়ে ওঠে।


অতীতের সাথে পত্রালাপ (ছয়) – খৎনা

তীরন্দাজ এর ছবি
লিখেছেন তীরন্দাজ (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/১২/২০১২ - ৩:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় বন্ধু রতিকান্ত, খৎনার কাজটি কী করে হল, তার বিশদ বর্ণনা দিতে চাই না আর। এটুকুই বলতে পরি যে, আমার তেইশ বছর বয়েসে আমার জন্যে এর চাইতে অসম্মানজনক ঘটনা আজ অবধি ঘটেনি। এর মানসিক ও শারীরিক কষ্টের জের কাটাতে সপ্তাহ দুয়েক ঘরেই শুয়ে বসে কাটাতে হয়। দবির খুব দেখাশোনা করে আমার, গোলাপজান এসে রান্না করে দিয়ে যায়। এই বয়েসে খৎনার কথা শুনে মৌলবি সাহেব বেশ অবাক হয়েছিলেন। তবে দবির যে কারণ দর্শায়, সেটি শুনে আর ক