উত্তর আমেরিকার গ্রীষ্মে লঅঅম্বা বিকালের পর ঝপ করে মাঝরাত হয়ে যায়। হোটেল রুমে ফিরতে ফিরতে ঝিঁঝিঁ ডাকা রাত নেমে এলো। জানালার ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার দেখে মন কেউ নেই কিছু নেই লাগতে লাগতেই ঘুমের রাজ্যে ডুব দিলাম। পরের দিন সকালেও যথারীতি জানালায় উঁকি দিয়ে হরিণ খোঁজা; ওয়াশরুম এর ভেতর থেকে ওগো শুনছো বলে হাঁক দিয়ে দরজা খোলানো; কটকটে লাল লিপস্টিপ দিয়ে সকালের নাস্তা খেতে নামা; স্ক্রাম্বলড এগ, টোস্ট, জ্যাম জেলি, ফ্রুটস, জ্যুস,হোম ফ্রাই, আর মন মাতানো সুগন্ধের রোস্টেড কফি দিয়ে ঠেসে নাস্তা করে তোড়জোড় করে ল্যাগেজ নামানো শুরু করলাম। ঝকঝকে সকালের রোদে ফিরে যাওয়ার বিষন্নতা আর স্বস্তির চনমনে গন্ধ।
সামনে তো ৩রা নভেম্বর আসছে। ১৯৭৫ সালের এইদিনে আমাদের জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্যে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। আমাদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকীয়তে এ নিয়ে তারপরের কয়েকদিনে কী প্রতিক্রিয়া ছিল?
৪ থেকে ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত পত্রিকাগুলো দেখলে জানা যায় মাত্র একবার একটি পত্রিকায় সুশীল টাইপ একটি সম্পাদকীয় এসেছিল। ৭ই নভেম্বর থেকে যেহেতু আবার দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয় সেদিন বা এর পরে যদি না এসে সেটা না হয় মাফ করা যায়। কিন্তু তার আগে যে বড় বড় পত্রিকার সম্পাদকরা এটি নিয়ে টুঁ শব্দটিও করলেন না এটি তো দেশের সাংবাদিকতা চর্চার ইতিহাসে একটি বড় কলংক। আজকে যখন প্রথম আলোর মতিউর রহমান বা ডেইলী স্টারের মাহফুজ আনামের দ্বিচারিতা আমরা দেখি তখন কি খুব বেশি অবাক হওয়া উচিৎ? তারা যে উত্তরাধিকার বহন করছেন সেটি কী খুব গৌরবজনক?
নিচে নিউজক্লিপগুলোতে আমি সম্পাদকীয়গুলো দিলাম। যেসব পত্রিকার কথা বলা হচ্ছে তাদের সম্পাদকরা ছিলেন নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী (দৈনিক বাংলা), আনোয়ার হোসেন (ইত্তেফাক), ওবায়দুল হক (অবজারভার) ও এনায়েতউল্লাহ খান (বাংলাদেশ টাইমস)।
৪ঠা নভেম্বর, ১৯৭৫
এদিন কোন পত্রিকার সম্পাদকীয়তেই জেল হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু বলা হয় নি। সেদিন অবশ্য সংবাদ হিসেবেও এটি পত্রিকাগুলোতে আসেনি।
১৯৯১ সালের ২৭শে মে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মনিরুজ্জামান মিঞার আমন্ত্রণে ক্যাম্পাসে গিয়ে ধোলাই খেয়েছিল। ভাবলাম সেদিনের নিউজ ক্লিপগুলো দিয়ে রাখি।
দৈনিক বাংলা
ভূমিকাঃ
কখনও ভ্রমণ কাহিনী লিখিনি। আমার দৌড় দুই-একটা ফুচকা টাইপের গল্প লেখা পর্যন্ত। সচলে দেখি অনেকেই সুন্দর করে ভ্রমণ কাহিনী লেখেন। পড়ে বেশ আনন্দ পাই। সপ্তাহ খানেক আগে আমেরিকার পশ্চিম অংশের বিস্তীর্ণ এলাকার পাহাড়-পর্বত, এবং মরুভূমি দাবড়িয়ে এসে পেটের ভেতর ভ্রমণ কাহিনী লেখার তীব্র ইচ্ছা মোচড় দিয়ে উঠল। বাথরুম পর্ব শেষ করে দৌড়ে এসে টেবিলে আধুনিক কাগজ কলম মানে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। যেহেতু এ ব্যাপারে আমি একেবারেই নবীন তাই আশা করছি আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কেউ ক্ষমা অসুন্দর (!) দৃষ্টিতে দেখবেন না।
আরো ভাল রেজ্যুলশনে দেখতে হলে কি করতে হবে? রাইট ক্লিক করে ইমগুর লিংকে চলে যেতে হবে।
আগের পর্ব: স্টেট ব্যাঙ্ক অপারেশন
নোবেল শান্তি পুরস্কারঃ প্রেক্ষিত এবং বিতর্ক (পর্ব ১)
প্রথম পর্বে আমরা দেখেছি নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রেক্ষাপট, আলফ্রেড নোবেল প্রদত্ত শর্তাবলী, এবং এর ব্যাখ্যা। নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির গঠন, এবং এই পুরস্কারের রাজনীতিকিকরণ এবং বানিজ্যিকিকরণ নিয়ে Heffermehl-এর আলোচনার সারাংশ হবে এই পর্বের বিষয়বস্তু।
কাঁপছে জাতি, ভীষণ জ্বরে
গোলাম আজম মরার পরে
গুষ্টি বেঁধে নামাজ ঘরে
মাগছে পানাহ, খোদাতা’লায়
মুনশি যখন জুতো মারে
সুশীল চেপে ধরে তারে
ফেনিয়ে ওঠা কথার ভারে
মানবতার গল্প শোনায়
ইতিহাসকে হারিয়ে খোঁজা
অস্বীকার আজ বড়ই সোজা
রাজাকারের শবের বোঝা
বাংলা মায়ের দূষণ বাড়ায়
মুক্তিসেনা, কষ্ট বুকে
রক্তে ভেজা হতাশ চোখে
ব্যাঘ্র জাতির তামশা দেখে
তীব্র ঘৃণায়, তীব্র ঘৃণায়।
আরব সাগরের উষ্ণ নীল্ জলে ঝড় ঝঞ্ঝার দেখা মিলে না খুব সহজে । এই সাগরে প্রাণঘাতী বা আগ্রাসী সামুদ্রিক প্রাণীরও দেখা মিলে না তেমন (কোনো হাঙ্গর বা অক্টোপাসের আক্রমনের খবর আসেনি কোনদিন)।দুই-এ মিলে শান্ত, উষ্ণ এই সমুদ্রে তাই নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছিল নানা জাতের মাছ, কচ্ছপ, আর কোরাল। পশ্চিমে সোমালিয়া থেকে শুরু করে ইয়েমেন, ওমান, ইরান হয়ে ভারত পর্যন্ত এই বিশাল আরব সাগরীয় অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এসব প্রাণীর এক নিরা
১৯৭৫ স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে সামরিক জান্তা, জাতীয়তাবাদী শক্তি, আধা সেকুলার আওয়ামিলীগ, মিলিত জামাতি-জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং হালের সাচ্চা মুসলামানের দল আওয়ামিলীগ ইত্যাদি বিভিন্ন গোষ্ঠির হাতে হাত বদল হওয়া ইতিহাসের শিক্ষার উপর অনেক গুলো লেন্স পড়ে গেছে । গত চার দশকে এদের কেউ আরোপ করেছে ধর্মানুভুতির লেন্স, কেউবা আবার জাতীয় ঐক্যের লেন্স । এতো গুলো লেন্সের ভেতরে দিয়ে আসা গোলাম আজম পরিচয়টি ঝাপসা হতে হতে দেশের অনেকের কাছে এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে গোলাম আজম পরিচিত হয় জামাত-এ-ইসলামের নেতা গোলাম আজম হিসেবে । শুভ্র দাড়ি-গোঁফ আর অশতীপর বৃদ্ধ চেহারার আড়ালে ঢেকে যায় খুনী রাজাকার গোলাম আজম পরিচয়