Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

বুয়েটে পরীক্ষা পেছানো - সমস্যা ও সমাধান (?)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৫/২০১৪ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিস্ক্লেইমার ১: আমি একজন অ্যালাম্নাস। কিন্তু যে কথাগুলো বলবো, সেগুলো ছাত্র থেকে অ্যালাম্নাস হওয়ার পরে মাথায় গজায় নাই। এই কথাগুলো আগে থেকেই ছিলো। ছাত্র থেকে অবস্থায় পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে ছিলাম না, এখনো নাই। কাজেই, যাদের ছাত্র-অ্যালাম্নাই নিয়ে চুলকানি আছে, তারা পোস্ট নাও পড়তে পারেন।

ডিস্ক্লেইমার ২: উপরের ডিস্ক্লেইমার দেখে আবার ভেবে বসবেন না আমি টিচার ফাইটার জাতীয় কিছু ছিলাম। নিতান্তই সাধারণ এক ছাত্র আমি। একেবারেই সাদামাটা রেজাল্ট। আমাদের ব্যাচের মানুষজনের রেজাল্টের তুলনায় আমার রেজাল্ট বেশ খানিকটা নিচের দিকেই।

ডিস্ক্লেইমার ৩: অনেককেই ইদানিং বলতে শুনি/দেখি, আপনারা অনেক দিন আগে পাস করে গেছেন। আপনারা এখনকার অবস্থা বুঝবেন না। আপনাদের জন্য একটা গল্প। এক মেয়ে প্রেগন্যান্ট। খুব যন্ত্রণায় চিৎকার করছে! তার মা তার পাশে দাঁড়িয়ে সান্তনা দিচ্ছেন, "এই তো মা, আর কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে।" মেয়ের উত্তর, "তুমি বাচ্চা হওয়ার ব্যাথা কী বুঝবা?!" গল্প শেষ। এবার আপনি আসতে পারেন। স্লামালিকুম!

ডিস্ক্লেইমার ৪: যারা সব কিছুতেই মনে করেন সিস্টেমের দোষ, তাদের জন্য এই পোস্ট না। কারণ আমি কোন কিছুতেই সিস্টেমের দোষ দেয়ার পক্ষে না। সিস্টেম বলে কিছু নাই। আমরা নিজেরাই সিস্টেম। আপনার মানসিকতা যদি সিস্টেমের ঘাড়ে দোষ দেয়ার জন্য তিন পায়ে খাড়া থাকে, তাহলে আপনি নিচে অনেক কর্কশ কথা পড়বেন। কাজেই, নিজ দায়িত্বে, খুউব খিয়াল কইরা।

মূল কথা
বুয়েট থেকে পাস করেছি প্রায় বছর পাঁচেক হয়ে গেলো। আমাদের ব্যাচ মনে হয় খুব অল্প কিছু ব্যাচের মধ্যে অন্যতম, যারা তিনটি (বিএনপি-জামাত, তত্ত্বাবধায়ক, আওয়ামী লীগ) শাসনামলে বুয়েটে পড়েছে। সব ব্যাচের মতোই আমরাও বুয়েটে থাকতে একটি ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপ পেয়েছিলাম, ২০০৬ সালে। মূলত বিশ্বকাপের জন্যই পরীক্ষা পেছাতে পেছাতে শেষমেশ স্যারদের বাসায় ঢিল ছোঁড়া, সোহরাওয়ার্দী হলের তৎকালীন প্রোভস্টকে জিম্মি করার মতো ঘটনাও ঘটে, সাথে হলের ভেতর টিয়ার গ্যাস ছোঁড়া, হল ভ্যাকেন্ট তো আছেই। অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েট বন্ধ হয়ে যাবার পর বুয়েটের তৎকালীন সব ব্যাচের কিছু ছাত্র (আমিও তাদের মধ্যে একজন ছিলাম) মিলে সিদ্ধান্ত নেই, আমরা স্যারদের কাছে যাবো। তাঁদের সাথে খোলামেলা কথা বলে ছাত্র-শিক্ষক সবাই মিলে সিস্টেমের ভেতরের 'বাগ'গুলো সমাধা করার চেষ্টা করবো।


বাঙলা ভাষায় বিদেশী শব্দের অত্যাধিক (?) ব্যবহারের কারণ, আমার অনুমান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৬/০৫/২০১৪ - ১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাঙলা ভাষার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। হিন্দুয়ানী ভাষার অভিযোগ গেলেও, বর্তমানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এটি অত্যন্ত দুর্বল (!)। কারন এতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল বিষয় সাবলীলভাবে প্রকাশ করা যায় না। আর অতি নব্য প্রজন্মের কাছে তো বাঙলা অত্যন্ত 'খ্যাত'। (এই "ইয়ো ড্যুড, তুমি বাংলায় টক করো? ইয়াক!" প্রজন্মের অভিযোগের সমাধান কেউ দিতে পারবে বলে মনে হয় না)


হিন্দু পিডা!

মৃদুল আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: সোম, ০৫/০৫/২০১৪ - ৭:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কইলটা কী নরেন মোদি?
হের প্রতিবাদ আমরা যদি
না করি, তো করবে কিডা?

--সবাই মিলা হিন্দু পিডা!

সাঈদী মামা চান্দে গেছে,
শুইন্যা সবে হাইস্যা দিছে
...টাটকা ঘায়ে নুনের ছিডা!

--সবাই মিলা হিন্দু পিডা!

ইসলামি দেশ, এইখানে বাল
হিন্দু এত হুদাই কেন?
মাইর বুঝে না? রেপ বুঝে না?
হিন্দুগুলা ভুদাই কেন?
রাইত্তে পালা ইন্ডিয়াতে
বেইচ্যা তগো বসত ভিডা!

--সবাই মিলা হিন্দু পিডা!


ছবিব্লগঃ আমার উত্তর-বাংলা - ৪

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৪/০৫/২০১৪ - ৫:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জয়ন্তী। নামটা যেমন মিষ্টি দেখতেও। আমরা তো গেলাম শেষ চৈত্রের ঠাঠা রোদ্দুরে, শরতে, শীতে তার অন্য সাজ। আমার বাড়ী, মানে কোচবিহার থেকে মেরেকেটে পঞ্চাশ কিলোমিটার। অ্যাতো কাছে, অথচ দেখুন, আগে যাওয়া হয়নি। দেশ বিদেশ থেকে টো-টো কোম্পানীর লোকজন এসে বেড়িয়ে যায়, আমার যাওয়া হয়নি এদ্দিন। তবুও হল তো অবশেষে।


বাংলার তরু-লতা-গুল্ম-৩১ : কৃষ্ণচূড়া

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৪/০৫/২০১৪ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বৈশাখ মানেই সূর্যের বাহাদুরী। ধানকাটা সারা। খালি মাঠে খাঁ খাঁ রৌদ্রের দোর্দণ্ড প্রতাপ। কৃষকের ব্যস্ততা নাইকো আর। বাগানজুড়ে শুকনো পাতার আস্তর। তপ্ত মরুর নির্জনতা ভর করে মাঠজুড়ে। বাঁশঝাড়ের কঞ্চি-পাতার জটলা থেকে নেমে আসা শ্যামা পাখির সন্তর্পণ পদচারণা। প্রাণহীন দুপরে খসখসে মৃদু ভৌতিক আওয়াজ। নির্জনতার বুক চিরে হঠাৎ ছাতারে দলের তীক্ষ্ণ চিৎকার। শিমুল গাছের মগডালে বাজপাখির জাজ্বল্যমান শ্যেন দৃষ্টি। হঠাৎ রকেটের গতি ভর করে তার ডানায়। ছাতারে দলের পাখায় পিস্টনের উল্লাস। ভীত প্রস্থান। জেট বিমানের মত ডাইভ দেয় বাজপাখি, ছোঁ মারে। বাজের নখরে আটকে থাকা ইঁদুর পুর্ণ আত্মসমর্পণে পৃথিবীকে বিদায় জানায় বৈশাখী হাওয়ায় ভেসে। সেকি জানে এই মৃত্যুই তাঁকে আকাশজয়ী করেছে। করেছে অনন্য। দোপেয়ের লাঠির আঘাতে, গর্তে ধুঁকে ধুঁকে, ড্রেনে পচে কিংবা শ্বাপদের নখরে ছিন্নভিন্ন হওয়ার চেয়ে আকাশজয়ী হয়ে মরা কি শ্রেয় নয়? বাজপাখি উড়ে যায় গ্রীষ্মের লেলিহান শিখার দিকে। বৈশাখের টকটকে বহ্নিশিখা যেন দাউ দাউ করে জ্বলছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে। বাজপাখি সেই আগুনে আত্মাহুতি দেয়; মরণের জন্য নয়, রাজসিক ভোজন পর্বটা মহিমান্বিত করতে।


অদ্বিতীয় সত্যজিৎ

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ০২/০৫/২০১৪ - ২:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গণতন্ত্রের সমাপ্তি কোথায়?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি
লিখেছেন ইশতিয়াক রউফ (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৫/২০১৪ - ১১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

বাংলাদেশে গণতন্ত্র এক কালে ছিলো হ্যালির ধূমকেতুর মতো। বহু বছর পর একবার দেখা যেতো। সামরিক জান্তা যেমন খুশি তেমন ভাবে একে গড়তেন, ভাঙতেন, কোলে রেখে খেলতেন। গত দুই দশকে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গণতন্ত্র এখন ধূমকেতু থেকে লোকাল বাস হয়েছে। বিপুল আওয়াজে চলে, বিবিধ জটে আটকা থাকে, এবং কিছুদূর পরপর বিরতি নেয়।


পঞ্চম-গুলজার যুগলবন্দী ১

মনি শামিম এর ছবি
লিখেছেন মনি শামিম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০১/০৫/২০১৪ - ১:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মিরপুর স্টেডিয়ামের সাতকাহন; Disabled Access Ticket

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: বুধ, ৩০/০৪/২০১৪ - ৬:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত একটা বছর বিশ্বকাপ উন্মাদনায় ছিলো পুরো দেশ। চারিদিকে আলোকসজ্জা। হৈ হৈ রব। রাস্তায় রাস্তায় যেখানে সেখানে শুটিং। নাচের তালে তালে গান...
ক্রিকেট ক্রেজি নেশনস, হাউ এক্সাইটিং, স্টেডিয়াম ওয়েটিং, টেনশান টেনশান
ঢিং ঢিটাং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং ঢিং...
চার ছক্কা হই হই বল গড়াইয়া গেল কই


আকাশঢাকা পাথুরে পর্বতগণ: বৃষ্টির দিন, সূর্যের দিন

রিক্তা এর ছবি
লিখেছেন রিক্তা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ৩০/০৪/২০১৪ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাত গভীর হতে হতে পর্বতেরা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। শুধু মাঝে মাঝে ট্রেন যাওয়ার ঝিকঝিক শব্দ। শেষ রাতে ঘন্টা দুয়েক মটকা মেরে পরে থাকার পরেও ঘুম আর আসলোই না! তাই ভোর পাঁচটার সময় থেকে আজকের ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করলাম। হোটেলের ওয়াশরুমে মিনিস্য মিনি কিছু সাবান তেল শ্যাম্পুর বোতল রাখা। অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ তাতে। কাঁচা হলুদের সাথে লেবুর রস মিশালে যেমন হয় তেমন। গায়ে লেখা ভারবেনা। ফিরে এসে ভারবেনা গন্ধী প্রসাধণী অনেক খুঁজেও পাই নাই। সব কিছু আবার ব্যাগে ঢুকিয়ে ক্যারিওন ল্যাগেজ নিয়ে গেলাম কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট করতে। গিয়ে দেখি বাঙ্গালী একা না, সবাই মাগনা পেলে আলকাতরা খায়।