এ ধরণের চিন্তা আমার মাথায় প্রথম আসে ভারতীয় রাজনৈতিক জয়প্রকাশ নারায়ণের একটি বক্তৃতা থেকে। এটি তিনি গুগোলে দিয়েছিলেন। এই যে বক্তৃতাটি।
(গল্পে বর্ণিত প্রতিটি ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোন ঘটনা বা ব্যক্তির সাথে তার মিল অনিচ্ছাকৃত ও কাকতালীয় মাত্র।)
[আমি দেশপ্রেমিক নই, দেশ নিয়ে আশা-ভরসা কিছুই নেই, হতাশাবাদী মানুষ, এই লেখা আশাবাদী মানুষরা না পড়লেই ভাল। ব্লগ লেখার কোন ইচ্ছা ছিল না তারপরেও অযথা মনে হল কিছু কথা বলা থাক]
১.
রিমন ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইল ফোনে সময় টা দেখে নিলো। ৭ টা ১৫ বাজে, আরো মিনিট পনেরো গড়িয়ে নেয়া যাবে। এই সুযোগে সে ফোন থেকেই ফেসবুকে ঢুকল। হোম পেজে এক গাদা নতুন পোষ্ট। সবগুলোর মূল বক্তব্য একই, সরকার কেন কোটি কোটি টাকা সরাসরি গরীব মানুষেকে না খাইয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত ফালতু কাজে ব্যয় করতে হবে? প্রায় প্রতিটি পোষ্টের সাথেই গরীব মানুষের কষ্ট করে জীবন যাপনের ছবি। রিমন ফেসবুক থেকে বেড়িয়ে এল। চোখ কচলে বাথরুমের দিকে গেল ফ্রেশ হবার জন্য।
খেলোয়াড়দের জন্যঃ
১। সরকারি চাকুরীজীবিদের মতো দলের প্রত্যেক সদস্যের স্থান স্থায়ী করতে হবে। কোন অবস্থায় দল থেকে বাদ দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে পেনশানের ব্যবস্থাও করতে হবে।
২। সবসময় দেশের বাইরে খেলতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় দেশে খেলা হতে পারবে না।
নিয়তির উপর আগ্রাসন চালালাম। খোদাতালা মাওলা কপালে যা রেখেছে রাখুক। আমার পেটে খিদে, পকেটে পয়সা নেই, উপোস থাকাই নিয়তি। দুম করে পড়ে গেলাম ফুটপাতে।
আপডেট: এই মাত্র ইস্টিশন ব্লগের এই লেখাটি পড়ে মনে হল আসলেই রাহী আর উল্লাসের বাবা-মা'র পরিচয় আর ঠিকানা প্রকাশ পেলে ওদের পরিবারের বাকি সদস্যদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। ধর্মীয় অনুভূতি বলে কথা! তাই আমি সবগুলো ছবি থেকে বাবা-মা'র নাম আর ঠিকানা মুছে দিচ্ছি।
“ সামনে আর পাকা রাস্তা নেই। এখান থেকে পায়ে হেটে যেতে হবে। ” মেজর ফয়সল কবির বলল।
গাড়ি থেকে বের হলাম আমি। তার আগে অস্ত্রভর্তি ব্যাগটা পরীক্ষা করে নিলাম।
“ মেজর সুরঞ্জন। ” ফয়সলের কণ্ঠ শুনে তাকালাম ওর দিকে। একটা সিগারেট অফার করছে ও। “ এখনই টেনে নাও। রাতে আর ধরাতে পারবে না। বানশিগুলো দেখে ফেলবে। ”
পিছন থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল মেজর ইশতিয়াক,“কোন বানশি আসলে জাস্ট উড়াইয়া দিব। আমাকে চিনে না।”