Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সববয়সী

বন্ধু তোমার পথের সাথীরে চিনে নিও

সুজন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুজন চৌধুরী (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ১:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় সটান দাঁড়িয়ে, দুই হাত শরীরের দুই পাশে উল্লম্ব ভাবে ঝুলিয়ে, পতাকার দিকে মুখ করে গাইতে হয়। জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় দাঁত খিঁচিয়ে হাসতে হয় না, হাত পা নাড়তে হয় না, ক্যামেরা দেখলে ছ্যাবলার মতো লাফাতে হয় না।

এ শুধু আইনের শিক্ষা নয়, এ শিক্ষা স্কুলেও দেওয়া হয়। কাণ্ডজ্ঞানের কথা বাদই দিলাম।


হৃদয়নদীর তীরে

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ৬:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ভুলে যা" "ভুলে যা" "ভুলে যা" বললেই কি কিছু ভোলা যায়? কোন্‌ বহুদূরের পাহাড়ের চূড়ার উৎস থেকে উৎপন্ন হয়ে, কত মাঠবন পার হয়ে, কোন্‌ সুখ-উঠানের পাশ দিয়ে কলকলিয়ে, কোন্‌ দুখ-পাথরের গায়ে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে বয়ে যেতে থাকা ছলাৎছল নদীকে কি উৎসে ফিরে যা বললেই সে ফিরতে পারে?


মধ্যবিত্ত প্রথম পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ২:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.


কাঁচপোকা

তাহসিন রেজা এর ছবি
লিখেছেন তাহসিন রেজা [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৯/০৩/২০১৪ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কি এক সময় ছিল!
কেমন যেন উদ্ভ্রান্ত, পাগল করা সময়।

সেই সময় খালি মনে হত কেউ আমাকে পাত্তা দেয় না। কেউ আমার কথা শোনে না। রাস্তায় বের হলে মনে হত আমার দিকেই যেন সবাই বিদ্রূপ সহকারে তাকিয়ে আছে।
একলা দুপুরে গলার কাছে কান্না এসে আটকে থাকত গুটলি পাকিয়ে। কি যেন করতে ইচ্ছে হত! কোথায় যেন ছুটে যেতে ইচ্ছে হত। চিৎকার করে সব্বাইকে বলতে ইচ্ছে হত “আমি কিন্তু ভালো নেই, আমি পালিয়ে যাব কিন্তু!”


মুক্তির সাম্পান

আনু-আল হক এর ছবি
লিখেছেন আনু-আল হক [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৩/২০১৪ - ৮:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাখির গানের কোনো, জানামতে, স্বরলিপি নাই
তবু কোনোদিন সেইসব গান বেসুরো লাগেনি
সুরেই লেগেছে কিনা ভ্রুক্ষেপ করেনি কোনো পাখি
শুনেছে কেবল আহা বলেছে যা আকুল হৃদয়
দোয়েল পাখির শিসে থামে নাই কোকিলের কুহু
বকের সাধনা তবু ভাঙে নাই শালিখের সুরে

ফুলেরা মানেনি রীতি “কী উপায়ে ফুল হ’তে হয়”
কারো কোনো কথা মেনে হয় নাই পদ্ম সুনীল
ঘাসফুল মানে নাই বীজগণিতের কোনো ধারা
সংকোচে ফুলেদের ভালোবাসা বকেয়া থাকেনি


একাত্তরের গল্প শুনি

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৩/২০১৪ - ৫:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মার্চ মাস এলেই টিভিতে মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ পরিবারের স্বজনদেরকে ডেকে ডেকে ১৯৭১ এর স্মৃতি বলতে বলা হয়। ঘুরে ফিরে কিছু মানুষের কাহিনীই আমরা বারে বারে শুনি। কিন্তু শুধু তারাই কেন শোনাবেন? একাত্তরে এদেশে মারা গেছে ৩০ লক্ষ মানুষ, আমাদের তো ৩০ লক্ষ গল্প থাকার কথা। অন্তত ৩০ লক্ষ সাহসিকতার গল্প। সে সময় বাঙালি ছিলো সাড়ে সাত কোটি, তত কোটি গল্প কি আমরা শুনেছি?


পতাকা ও জামার গল্প

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/০৩/২০১৪ - ১২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
সন্ধ্যের দিকে প্রচণ্ড ক্লান্তি অনুভব করেন কামরুল হাসান। সকালে থেকে চলছে এই কবিতা পাঠের আসর। ফয়েজ আহমেদ তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসেন। বুঝতে পারেন পটুয়া মহা ক্লান্ত। একটি কাজেই পটুয়ার কখনো ক্লান্তি আসে না, আঁকা আঁকি। আশেপাশে যা কাগজ পাচ্ছেন পটুয়া সকাল থেকে সেখানে নানা আঁকিবুঁকি করে যাচ্ছেন। এখন কবি রবীন্দ্র গোপের ডায়েরীতে চলছে পটুয়ার আঁকা আঁকি। কিছুক্ষণ আঁকিবুঁকি করে হঠাৎ মনে হল পটুয়া কিছু একটাতে মন বসিয়েছেন। পটুয়ার মাঝে কেমন যেন একটা ঘোর লাগা ভাব। সারাদিন ধরে এত কবিতা শুনলেন কিন্তু এখন আর মনে করতে পারছেন না কি কবিতা শুনলেন। মাথার মধ্যে শুধু মোহাম্মদ রফিকের চারটি লাইন ঘুরপাক খাচ্ছে -
সব শালাকবি হবে, পিপীলিকা গোঁ ধরেছে উড়বেই, বন থেকে দাঁতাল শুওর, রাজ আসনে বসবেই।


নিষিদ্ধ করাতকল

উজানগাঁ এর ছবি
লিখেছেন উজানগাঁ (তারিখ: বুধ, ২৬/০৩/২০১৪ - ১:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে ভালো লাগে না কিছুই, মাঝে মাঝে পালাতে ইচ্ছে করে। চেনা হাতঘড়ি, রোদচশমা কিংবা প্রিয় মানুষটিকেও অসহ্য মনে হয়। যেনো অন্যকোথাও যাবার কথা ছিল—

মৃত্যুমুখ অবধি ছড়ানো এ গাথা— এক অসম্ভব সেতু ছড়ানো চারপাশে। মেঘের মধ্যে উড়ছে আমাদের ঘরবাড়ি যাবতীয় ভালো লাগা। দ্যাখো, দু’হাতে চোখ ঢেকেও আমি তাকে থামাতে পারছি না! শিথিল স্বপ্নের মতো ঘুমন্ত আগুন থেকে বেরিয়ে সে বসে আছে নিষিদ্ধ করাতকলের পাশে।


দেশপ্রেম

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: সোম, ২৪/০৩/২০১৪ - ৫:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুমায়ুন আজাদের দেশপ্রেম কবিতা টি এই কয়েক দিন মাথার ভিতর ঘুরছে। কতটা বিরক্তি আর হতাশা নিয়ে হুমায়ুন আজাদ এই কবিতাটি লিখেছেন এখন তা বুঝতে পারি। আসলে নিজেই এখন সেই চরম বিরক্তি, হতাশা আর ঘৃনা নিয়ে দিন কাটাচ্ছি।

আপনার কথা আজ খুব মনে পড়ে, ডক্টর জনসন।
না, আপনি অমর যে-অভিধানের জন্যে, তার জন্যে নয়, যদিও আপনি
তার জন্যে অবশ্যই স্মরণীয়। আমি অত্যন্ত দুঃখিত তার জন্যে


অনেক উঁচুতে

তাহসিন রেজা এর ছবি
লিখেছেন তাহসিন রেজা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৪/০৩/২০১৪ - ১:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
ঝোড়ো বাতাস হচ্ছে সেই সকাল থেকে। দেখে মনে হচ্ছে সবকিছু উড়িয়ে নেবে বলে পণ করেছে দক্ষিণের এই নাছোড়বান্দা বাতাস।
ডাকপিয়ন কোনমতে আমাদের বাড়ির দরজায় এসে দাঁড়ালেন। তাঁর হাতে থাকা কাগজপত্র গুলো উড়ে যেতে চাইছে বাতাসের দমকে।
আমার মা কোনক্রমে দরজা খুলে বাইরে এসে দাঁড়ালেন।

“আপনার একটা চিঠি আছে” ডাকপিয়ন হেসে বললেন।