[justify]প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্র মাস ছিল কিনা আজ আর মনে নেই—কিন্তু সেই দ্বি চক্রের সাথে আমার চার চক্ষুর মিলন ঠিকই হয়েছিল কোন এক গোধূলি লগনে। ফলাফল দুম করে প্রেমে পড়েছিলাম তার সুদর্শন দুই চাকার। আসলে বলছিলাম সাইকেলের কথা...
তখন আমি মাত্র ফাইভে পড়ি। সারাক্ষণ পাড়ার মাঠে দাপিয়ে বেড়াই, এমন সময় একদিন পাড়াত এক বন্ধু নীল রঙের ছোট এক সাইকেল নিয়ে হাজির হল মাঠে। ছোট্ট সেই সাইকেলের মালিকের কি গর্বিত চলাফেরা, আলতো করে হাতে হ্যান্ডেল ধরে রেখে সারা মাঠ ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেখে ঈর্ষায় আমিও বেগুনি হয়ে গেলাম।
কিছুদিন আগে এক অগ্রজ জানালেন বাগান করার জন্য বেশ বড়সড় একটা জায়গা তিনি পেয়েছেন। সেখানে সব ধরনের দেশী গাছ লাগানোতে তাঁর আগ্রহ। সাথে তিনি এটাও চান যেন তাঁর বাগানে সারা বছরই কোন না কোন ফুল ফুটে থাকে। আমাকে অনুরোধ করলেন গাছের এমন একটা তালিকা তৈরি করে দিতে যাতে তাঁর ইচ্ছে পূরণ হয়। আমি সানন্দে তাঁকে তালিকাটা তৈরি করে দিলাম।
শেষ নির্বাচনের রিপোর্ট এখনও ওয়েবসাইটে আসেনি। কাজেই ২০০৮ সাল পর্যন্ত তথ্য নিয়েই এই লেখা। আমি হিসেব করে দেখলাম স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমরা কমপক্ষে বাইশটি বামপন্থী দল পেয়েছি। তাদের বেশির ভাগের মধ্যে একটি মিল আছে। সেটি হল প্রতি নির্বাচনেই তাদের ভোট মোট দেয়া ভোটের যে শতাংশ হয় সেটি সাধারণত: একটি ভগ্নাংশ। খুব কমই দেখা যায় এটি এক শতাংশের বেশি। দেশ তো স্বাধীন হয়েছে কয়েক দশক হয়ে গেল। দলগুলোও তো কম প
সুপারম্যান আমার প্রিয় সুপারহিরো। কিছু হবার সুযোগ থাকলে সুপারম্যানই হতাম। নো ডাউট।
আজ একটা এনিমেশন মুভি দেখছিলাম, সুপারম্যান ভার্সাস দ্য এলিট। দেখতে দেখতে মাঝপথে গিয়ে এক জায়গায় আটকালাম। সুপারম্যান এবং এলিটদের লিডার ম্যানচেষ্টার এর মাঝে তর্ক চলছে। ম্যানচেস্টার আইন নিজের হাতে তুলে নেবার পক্ষে, কারন হিসেবে তার বক্তব্য, সুপারম্যান অনেক বেশি রেসট্রিক্ট মানুষ, সে আইনও মেনে চলার চেষ্টা করে লাইন বাই লাইন। আর তাই বিভিন্ন সময়ে সে অসহায়। চোখের সামনে অনেক কিছু হতে দেখেও তাকে চুপ করে থাকতে হয়।
আবার বিভিণ্ন সময়ে সুপারম্যান সাংঘাতিক সব সুপারভিলেনকে থামিয়েছে, তারাও রেগুলার বেসিসে জেলখানা থেকে পালিয়ে ঝামেলা করেই যাচ্ছে। সবার প্রশ্ন, কেন তুমি তাদের মেরে ফেলছ না? সুপারম্যান বলছে, আমি আইন হাতে তুলে নেব না। আই ওন্ট বি দ্য জাজ।
সবাই আবার প্রশ্ন তুলছে, ওরা তো বার কার পালাচ্ছে, মানুষ মারছে শয়ে শয়ে... কি করবে তুমি এই বিষয়ে? কেন তাদের পারমানেন্ট ভাবে চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে না?
‘সোয়ান’ নদীর পার। মাত্র সন্ধ্যা হব হব ভাব। আকাশে সন্ধ্যা-রঙ্গের খেলা চলছে। সেই খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ‘সোয়ান’ নদীর স্বচ্ছ জলের টেলিভিশনে। এরমধ্যে আমি আর আদুভাই দুই প্যাকেট চিপস্ কিনে নিয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য জাঁকিয়ে বসেছি। ভয়াবহ গরম পড়েছে। আশে পাশে অনেকগুলো বিদেশি পরিবার বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে নদীর পারে পিক্নিক্ করতে এসেছে। বাচ্চা-কাচ্চার হইচই আর আমাদের আড্ডা চলছে।
রাঙামাটি ভ্রমণের এই সময়টাতে অজানা অনেক কিছু দেখবার যেমন আনন্দ ছিল তেমনি ছিল কোন এক বিকেলের কিছু সময়ের দুঃখ মাখা স্মৃতি। সুখের মুহূর্ত মানুষ ভুলে যাই কিন্ত দুঃখবহ স্মৃতি কেবলই তাড়া করে ফেরে। সেবারের এই স্মৃতি কটু যাত্রায় আমার সাথে ছিল আমার সাড়ে তিন বছরের ছেলে, স্ত্রী আর দু একজন নিকটজন। আমাদের গন্তব্য শুভলং ঝর্ণার সাথে কিছুক্ষণ দেখা করা তারপর তার বুক চিরে বের হওয়া পানি গায়ে ছিটিয়ে ফিরে আসা।
১। আমার সঙ্গে যদিও বহুকাল অনীশের দেখা নেই, তবু বসে বসে খাতায় লেখালিখি মকশো করে যাই। অনীশ শুনেছি বেড়াতে গিয়েছেন পাহাড়ে। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিন ভাগ্নেভাগ্নী গ্যাঞ্জামা, নিশঙ্কা আর ঝঞ্ঝাকে। যাবার আগে আমায় কিছু ডেডলাইন দিয়ে গিয়েছেন , যাতে এসেই পাকড়াও করতে পারেন। অনীশ হলেন পাক্ষিক সাহিত্যপত্রিকা "আনন্দঝর্ণা"র সম্পাদক।
১.
-"এই যে শুনছেন? "