অনেক আগে আইনস্টাইনের ধাঁধাঁ (Einstein’s Puzzle) নামে একটা পোস্ট হয়েছিল সচলায়তনে১। ঠিক ভাবে ধরলে এই ধরণের ধাঁধাঁ সমাধান করা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু ঠিক ভাবে গুছিয়ে সমস্যাটাকে ছাই দিয়ে ধরাটাই আসল সমস্যা; -- এই বিষয়টাতে মগজ ধোলাই করার দারুন একটা টাইম পাসিং গেম Einstein Puzzle। আমার কম্পিউটারে নতুন অপার
ঈদের ছুটির কারণে ঢাকা শহর এখন অনেকটাই ফাঁকা। হঠাৎ ই এ ঢাকাকে যেন ঠিক চেনা যাচ্ছেনা। রাস্তায় যানজট নেই। যাত্রীর হুড়োহুড়ি নেই। দু-একটা টাউন সার্ভিস যাওবা চলছে, যাত্রীর চাপ নেই। এ ঢাকা যেন যৌবনের উন্মত্ততা হারিয়ে প্রৌঢ়াবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে। যৌবনের উন্মাদনা হারিয়ে যেন অনেকটাই ধীরস্থির, শান্ত, স্নিগ্ধ। এটা ঈদের আগের দিন বিকেলের চিত্র।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
মণ্ডলীপ্রথা
১। প্রায়ান্ধকার ঘরে চুপ করে বসে আছি সেই দুপুরের পর থেকে। একদম চুপ। দূরের টেবিলের উপরে হালকা ডোমপরানো লাল আলোটা জ্বলছে, থ্রী-ডি মুভি ক্যামেরা যুক্ত আলট্রা-মাইক্রোস্কোপ সিস্টেমও সেই একইরকম সেট করা আছে। মাইক্রোস্কোপ-স্টেজের উপরে সেই স্লাইড, তাতেই সেই ভয়ানক স্যাম্পেল। সবচেয়ে আধুনিক অ্যানালাইজার যুক্ত আছে সিস্টেমে, স্ক্রীণে ত্রিমাত্রিক প্রোজেকশন করে করে সংখ্যাতালিকা দিয়ে দিয়ে নির্ভুলভাবে দেখিয়ে দিয়ে
১.
আমাদের দেশে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে বর্তমানে যে গ্রেডিং সিস্টেম চালু আছে তাতে একজন ছাত্রের ফোর্থ সাবজেক্টে/ ঐচ্ছিক বিষয়ে (অ্যাডিশনাল সাবজেক্ট) প্রাপ্ত গ্রেড পয়েণ্ট থেকে ২ বিয়োগ করে যা থাকে সেই পয়েণ্টটা বাকি বিষয়গুলোতে প্রাপ্ত মোট গ্রেড পয়েণ্ট গুলোর সাথে যোগ করা হয়। তারপর গড় করে, দেয়া হয় গ্রেড পয়েণ্ট এভারেজ বা জিপিএ। উদাহরণ দিয়ে বলি, তাহলে জিনিসটা বুঝতে সহজ হবে।
(১)
-"হ্যালো হলধরবাবু, আমি সমীর বলছি, মিত্র আন্ড সন্স মিউজিক গ্যালারি থেকে। আপনার জন্য একটা দারুন জিনিস জোগাড় করেছি"
-"হ্যাঁ হ্যাঁ ক্লাসিকালের লং প্লেয়িং, খোদ ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ সাহেবের গাওয়া।"
-আরে না না, খাঁ সাহেবের গাওয়া হলেই কি জনপ্রিয় হতে হবে? আপনাকে তো আগেও খাঁ সাহেবের গাওয়া কয়েকটা লং প্লেয়িং দিয়েছি, কলকাতায় কজন সে সব রাগ শুনেছে হাতে গুনে বলতে পারবেন।"
অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের অডিও জগতের জনপ্রিয় কিছু ব্যান্ড অ্যালবাম নিয়ে পোষ্ট দেব ভাবছিলাম। ভাবনা আর কাজে পরিণত করে ফেলার মধ্যে ফারাক অনেক। প্রায়ই আমার ভাবনাগুলো ভাবনাতেই স্বীমাবদ্ধ থেকে যায়। এই ভাবনাটাও তেমন-ই। তবে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত মিউজিক অ্যালবামগুলো এবং এর বাজার কাটতি দেখে একসময়ের একনিষ্ঠ শ্রোতা-ভক্ত হিসেবে বুকে হাহাকারের মাতম জেগে উঠলো কেন যেন!
হে বঙ্গ! ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন/তা সবে (অবোধ আমি!) অবহেলা করি/পরধন-লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ/পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি …
ধুম করে বিয়ে করে ফেললাম আমরা - একদম ধুম করে! পরিবারের গুরুজনেরা বেঁকে বসার সুযোগ পেলেননা তেমন একটা ! বাবা-মা রাজি হতেই বিয়ের কাজ সারা ! 'না'- বলবার সুযোগ কোথায় ! তারপর দুজনই বাইরে চলে আসি- অজানা একটা নতুন জীবনে - উচ্চ শিক্ষার তীব্র ইচ্ছা আর নতুন একটা অজানা শহরের ডাক | ফুল-অন এডভেনচার যেন একটা ! সেই থেকে লণ্ডনে বসবাস শুরু - অর্ধ যুগ পার করছি এবছর !
১.
আমার অন্য সব গল্পের মত এটাও একটা বানোয়াট গল্প। বানোয়াট গল্প লিখতে বসার কিছু ঝামেলা আছে।কাহিনী কিছুদূর এগোনোর পরই দেখা যায়, আর আগামাথার ঠিকুজি রাখা যাচ্ছে না।বৈরাম খাঁ হয়ে যাচ্ছে হরতন বিবি, দস্যু বীরাপ্পণের গপ্প গিয়ে ঠেকছে রাজা হরিশ্চন্দ্রের শবযাত্রায়।
যেমন আজকের গল্পটা সম্পূর্ণ অবান্তরভাবে শুরু হবে নিখিল হাজরাকে নিয়ে। নিখিল হাজরা যদি বাস্তবের কোন চরিত্র হতো, তাহলে এতদিনে তার আমার মতই গলায় টাই ঝুলিয়ে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির চাকরি করার কথা, বিবাহবার্ষিকীর দিন বউ নিয়ে পুরান ঢাকায় ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে বেড়াবার কথা। ছেলেবেলায় আমাদের অবশ্য দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, নিখিল বড় হয়ে রবীন্দ্রনাথ হবে। রবীন্দ্রনাথের মত কবিতা লিখতো ও। বিশেষ করে ক্লাস সিক্সে ইদ্রিস স্যারের পেটের অসুখের কাহিনী নিয়ে তার লিখা কবিতাটাতো ছিল রীতিমত অসাধারণ।