গোধূলির বর্ণিল আলোর উৎসব শেষে সন্ধ্যা হবে হবে প্রায়। আমি আর নানাজান পেনশনের টাকা তুলে বাড়ি ফিরছি। রাস্তায় নানাজানের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিয়ে নানাজানকে রিক্সায় বসিয়ে রেখে কিনতে গিয়েছি এল.আর.বি-ফিলিংসের 'ক্যাপস্যুল ৫০০ মিলিগ্রাম'। আমার কেনা অডিও ক্যাসেটের অনেকগুলোই নানাজানের মমতাময় স্মৃতিতে আবৃত।
একটাই কথা আছে বাংলাতে
মুখ আর বুক বলে একসাথে
সে হোলো ...
মিউনিখ গিয়ে আমার প্রধান আগ্রহ ছিল ডাখাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পটা দেখা। জানি আমার বন্ধুরা বরাবরের মত নাক কুঁচকে বলবে বর নিয়ে বেড়াতে বের হয়ে কোথায় রোমান্টিক সব যায়গায় ঘুরবে তা না, শেষ পর্যন্ত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প?
চাচ্চু ওর নাম নয়। কিন্তু আমরা সবাই ওকে চাচ্চু নামেই ডাকি। কারণ সালাম সালাম হাজার সালাম গানের প্রখ্যাত গীতিকার ফজল-এ-খোদার পুত্র সে। ওর বাবা আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় ভাই।ভাইয়ের পুত্র হিশেবে ও আমাদের ভাতিজা।আর ভাতিজা আমাদের চাচ্চু ডাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক।কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, গায়ে গতরে উচ্চতায় ভাতিজা আমাদের সমান সমান আকার ধারণ করলেও ওর আচরণ বাবুসোনা টাইপের। বয়স বাড়ছে কিন্তু ভাতিজা আমাদের বড় হচ্
[justify]পৃথিবী কোনদিকে যাচ্ছে, তা নিয়ে ভাবি। ওই যে আনিসুল হকের বেকারত্বের দিনগুলিতে প্রেম-এ পড়েছিলাম সেই এক ঘনঘোর সময়ের কথা যখন মানুষ হয়তো বুন্দিয়া কিনবে সংখ্যা হিসেবে, যেমন ২০টা বুন্দিয়া বা ৫০টা, আজ আমরা যে মুঠো করে নিই তখন হবে তা কল্পনা মাত্র। জর্জ অরওয়েলের ১৯৮৪ তেও পড়েছিলাম এক অদ্ভুত অন্ধকার সময়ের কথা, যেখান থেকে তাকিয়ে দেখলে এখনকার পৃথিবীর মানুষকে ভাগ্যবান দেখায়। মুহম্মদ জাফর ইকবাল
আমার ফেইসবুক নিউজফিডে মাঝে মধ্যে Wasfia Nazreen এর বিভিন্ন পোস্ট আসে। উনি এবং নিশাত মজুমদার প্রথম দুই বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী নারী। মোটামুটি একই সময়ে তারা এভারেস্টে ওঠেন। বাংলাদেশী মেয়ে এভারেস্টের চূড়ায় উঠবে আমরা বেঁচে থাকতে, কেন জানি এটা কোনদিন ভাবিনি। একবার ৫-৭ দিনের জন্য ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম কেওকারাডং এবং তাজিনডং এর দিকে। ভীষণ কষ্ট হয়েছিল। বলা যায়, সেটা ছিল আমার জীবনের একমাত্র রিস্কি এ
মফস্বলের এক কলেজে শিক্ষকতা করতেন আমার বাবা। টাকা বাঁচাতে শহর ছেড়ে জীর্ণ কলেজ কোয়ার্টারে উঠে এলাম আমরা। টিলার ধারের এক গর্তমতো জায়গায় টিনের দোচালা ঘর। মাটির দেয়াল, ওপরে চুনের প্রলেপ দেয়া। মেঝে পাকা করিয়ে নিয়েছিলেন বাবা আর অন্য দু'জন অধ্যাপক মিলে। লাগোয়া তিনটি বাসায় তিনটি পরিবার। ও বাসার যুগলের একান্ত-গোপনীয় প্রেমালাম, জগতের কুৎসিতোতম চাপা-স্বরের ঝগড়া কিংবা অস্ফুটে বলা 'ধুর্', এ বাসার
বাংলার আদি ঐতিহ্য ও সভ্যতার পন্ড্রুবর্ধন বা বরেন্দ্রভূমি এই রাজশাহী। যুগ যুগ ধরে বিশাল পদ্মার তীর ধরে পৃথিবীর কত প্রান্ত থেকে কত মানুষ এসে বসতি গড়েছে এখানে, রেখেছে স্ব স্ব ঐতিহ্যের ছাপ। রাজশাহির আনাচে কানাচে নানা উপজাতির বাস, তাদের ভিন্ন জীবন প্রণালী আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা প্রাচীন নিদর্শন তারই সাক্ষ্য বহন করে।
প্রফেসরের কাছ থেকে ব্রাজিলের সম্মেলনে যোগদানের খবরটা যেদিন পাকাপাকিভাবে পেলাম সেদিন খুব খুশি হয়েছিলাম। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন, তাই সাথে একটু উত্তেজনাও কাজ করছিল। কাগজপত্র হাতে পেয়ে দেখি সম্মেলন তিনদিনের, প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। “জীবনের জন্য সম্মেলন, সম্মেলনের জন্য জীবন নয়” বলে মাঝখানে কফি ব্রেক আর লাঞ্চ ব্রেক আছে। হোটেল আর সম্মেলনের বাইরে দুনিয়া দেখা বলতে তৃতীয় দি