মানুষ পাহাড়ের ওপরে এতদূর এসে ক্লান্ত হয়ে যায়। তখন দেখে একটা স্ফটিকের দোকানে চা বিক্রি হচ্ছে- চায়ে নাকি এরা আবার পুদিনা পাতাও মেশায়। চা খেতে দোকানে ঢুকে দেখে কী যে সুন্দর সুন্দর স্ফটিকের বাসন কোসনে করে এরা চা দিয়ে যায়!
একবার বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন তো, ফুসফুস ফুলে উঠবে টানটান করে, তারপর ছেড়ে দিন ধীরে ধীরে, মাত্র ৫ সেকেন্ডের ব্যাপার। কী শান্তি না? প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে এত অসংখ্যবার আমরা কাজটা করি যে আলাদা করে খেয়ালই হয় না। খেয়াল করার দরকারই বা কী!
১.
ট্রেনটা বেশ কাছে এসে পড়েছে।
রেলগেটের ঠিক পাশের একটা দোকান থেকে সবসময় সিগারেট কেনেন মনিরুল হোসেন। তার বাসা রেললাইনের অপর পাশে, রাস্তার উল্টো দিকে। অফিস থেকে ফেরার পথে সিগারেট কিনতে থেমেছিলেন। একবার ভাবলেন, পার হয়ে যাবেন। কিন্তু সেদিনের ঘটনাটা তার আবার মনে পড়ে গেল।
আলেকজান্দ্রার সেই ধুমপান ঘরে সেদিন আমরা তিনজন ছাড়া আর কেউ ছিল না। আমি, আমার এক ঘনিষ্ট বন্ধু এবং আমাদের বিপরীত পাশে চুপচাপ বসে থাকা এক ভদ্রলোক। লাজুক চেহারার ভদ্রলোকের মধ্যে আভিজাত্য এবং বিচক্ষণতা দুইয়ের উপস্হিতি স্পষ্ট। পরে জেনেছি তিনি কোন এক পত্রিকার সম্পাদক।
বন্ধুর সাথে আলাপ করছিলাম অভ্যেস বিষয়ে। ভালো অভ্যেস এবং মন্দ অভ্যেস।
বন্ধু বলছিল, "এক নাগাড়ে কয়েক মাস সৎ জীবন যাপনের অভ্যেস করে ফেললে শয়তানের পক্ষেও সাধু হয়ে যাওয়া সম্ভব। সবকিছুই হলো অভ্যেসের ব্যাপার"।
"আমি খুব ভালো করে জানি এটা। গভীর সংকটে পতিত হয়েও 'সবকিছু ঠিক আছে' বলে বিছানায় ডুব দিয়ে কিছুক্ষণ ঝিম মেরে পড়ে থাকলে মনে হবে দুনিয়ার কোথাও কোন সমস্যা নাই। তুমি যদি অভ্যেসটা ঠিকমত রপ্ত করতে পারো, তাহলে সেটা চালু রাখার জন্য কিরা-কসম কাটার দরকার নেই। তুমি সাধারণ পানি খেয়েও সরবতের স্বাদ পেতে পারো যদি সেরকম অভ্যেস তোমার থাকে। সবকিছুই করা সম্ভব, কথা হচ্ছে তুমি তাতে লেগে থাকতে পারছো কিনা"। গলা খাকরে বন্ধুকে নিরংকুশ সমর্থন করার জন্য যোগ করলাম আমি।
আমি উঠে প্রবল অবিশ্বাসে আমাদের চুল, বালিশ, পোশাক শুঁকে শুঁকে দেখি
একান্ত নীরবতায় আমার বিস্ময়, বিহ্বলতা কাটিয়ে
ঘ্রাণটা কিসের, তাই ভাবি!
জানালার গাছ, পাতার গন্ধ, ফুলের গন্ধ নয়
কী নাম দেব সেই ঘ্রাণ, কী হতে পারে বন
ঘুমের ভেতর এ কোন ঘ্রাণের স্বপ্ন আরণ্যক?
উর্বর মাটি? মাটিরই মতো- কিন্তু মাটিও না,
গাছের কটিতে ঘর বাঁধা কোনো পাখির কচি পালক?
নিষ্প্রাণ কোনো শরীর?
ওয়ার্ড ফাইলে কীভাবে বাংলা ইবুক ফরম্যাট করি সেটা নিয়ে একটা টিউটোরিয়াল ভিডিও বানাবো অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম, সময় করে উঠতে পারছিলাম না।
অবশেষে সেটা করা হলো। ইউটিউবে তুলে দিয়েছি টিউটোরিয়ালটি। আশা করি ইবুক প্রকাশে আগ্রহী লেখক ও প্রকাশকদের এটা কাজে আসবে।
“অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া কিছু খাবেন না।“ এই কথা আগে শুধু বাসের ভেতরে লেখা থাকতো। আজকাল পার্কে বা খোলা রাস্তায়ও এই রকম সতর্ক বাণী লেখা প্ল্যাকার্ড চোখে পরে। বোঝা যায়, আমাদের দেশে ‘অপরিচিত’ ব্যক্তির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। ফেইসবুকের ভরপুর ‘সামাজিক’ যুগেও কিভাবে এত এত মানুষ অপরিচিত থাকে সেটা একটা বিস্ময়!
এই সিরিজের শুরু করেছিলাম একধরনের কোষের গল্প দিয়ে। হেলা কোষ, যার মালিক মারা গিয়েছেন বহুদিন আগে। কিন্তু প্রজন্মান্তরে গবেষণাগার থেকে গবেষণাগারে এই কোষ বেঁচে আছে এবং এটা পৃথিবীর গবেষণাগারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত স্তন্যপায়ী কোষ।