বছর কয়েক আগে উকুলুলেট গিয়েছিলাম। সেখানকার আফ্রদিতি পয়েন্টের লাইট হাউস ঘিরে ভয়াবহ কিছু গল্প শোনা ছিল। প্রশান্ত মহাসাগরের অশান্ত এই এলাকা থেকে ফেরার জন্য পিছু ঘুরতেই সঙ্গীর 'তিমি তিমি' চিৎকারে পেছন ফিয়ে শুধু লেজটাই দেখতে পেয়েছিলাম। ছবি আর তোলা হয়নি। স্মৃতি থেকে তাই তিমির লেজের ছবিই কম্পিউটারে এঁকে ফেললাম।
প্রথম সপ্তাহ: তিমি
পরের সপ্তাহের বিষয় আমি ঠিক করে দিচ্ছি। বিষয় বা থিম: বাউল/বাউলিয়ানা
অভীক একটা দুরন্ত সাত বছরের বাচ্চা। পাজল মিলায়, ফুটবল খেলে, অঙ্ক করে। মাঝেমাঝে ছবি আঁকে। আঁকটোবর উপলক্ষে অভীকের আঁকিঝুঁকি থেকে একটা পোস্ট।
বিষয়: একতারার ফু
- এইবার এর বিষয় বাউল।
- হোয়াট?
গুগল করে বাউল দেখলাম।
- এক স্ট্রিংএর এইটা কি?
- একতারা।
- এটা কি গিটার? তাহলে কর্ড কিভাবে হয়? নাকি বাঁশির মতো?
হারমোনিয়াম কিছুকিছু বাজাতে জানলেও কর্ড/নোট এ আমি কঅক্ষর গোমাংস। তাই কথা ঘুরাতে বললাম:
- তুমি বাউল একটা পারবে?
- একতারা পারবো। বাউল হার্ড।
- বাউলের বদলে কি আঁকতে পারো?
- ফু ফ্রম কোডস্পার্ক!
তাই ফু (Foo) কে কমলা রং করে একতারা হাতে ছবি। সে এখনো ভালো বাংলা পড়তে, লিখতে বা অনেক ক্ষেত্রে বলতে পারেনা। একতারা লেখাটা তাই দেখে দেখে লেখা।
আঁকটোবর কী কেন কীভাবে, তা নিয়ে গত বছর কিছুমিছু লিখেছিলাম। আঁকতেও শুরু করেছিলাম।
কিন্তু প্রতিদিন একটা করে ছবি আঁকা বেএএএএশ কষ্টকর কাজ। দু'চার দিন পরই খ্যামা দিতে ইচ্ছা করে। এ বছর তাই আয়োজনটা দৈনিক থেকে সাপ্তাহিকে নিয়ে যেতে হচ্ছে। মোটের ওপর করণীয় খুবই সহজ। একটা বিষয় বেছে কেউ একজন আঁকতে শুরু করবেন। হপ্তা পাল্টালে বিষয়নির্বাচকও পাল্টে যাবে, অন্য কেউ বাছবেন আর বাকিরা আঁকবেন। সে আঁকা হতে পারে কাগজে, বনাতে, দেয়ালে, চামড়ায়, বৈদ্যুতিন দাগপাটে...। হতে পারে কালি, কয়লা, জলরং, তেলরং, মোমরং, খড়ি, পোড়ামাটি, উদ্ভিজ্জ রং, বৈদ্যুতিন দাগুনি দিয়ে। আঁকুন একটা বা অনেকগুলো ছবি।
আঁকা শেষ হলে পোস্ট করে দিন সচলে, আঁকটোবর শিরোনামে।
প্রথম হপ্তার বিষয় বাছার সুযোগটা আমিই নিচ্ছি: তিমি।
৩.
সূর্য উঠতে উঠতে সান্টিয়াগোর ঘুমও ভেঙ্গে গেল। যেখানে আগের রাতে চোখের সামনে তারার মত বিন্দু বিন্দু আলো দেখেছিল ও, এখন সেখানে শুধু সারি সারি খেজুর গাছ, যতদূর চোখ যায়।
“বাব্বাহ, আমরা শেষ পর্যন্ত আসতে পারলাম তাহলে!” বলল ইংরেজ, সেও উঠে পড়েছে।
রাত্তিরে ইদানীং তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি
নিমীলিত লেপ্টপ, বিস্ফারিত চক্ষু ও বিনিদ্র কান লয়ে
ঘন্টা দেড়দুই গুনি মশারির ছিদ্র আর শুনি বিবি ঘুমঘোরে কাকে যেন বকে।
মশা নয়, নয় কুন ফেসবুক-বান্ধবীর পালোয়ান খসমের ভয়
রক্তে খেলা করে আরও গুরুতর বিপন্ন বিস্ময়
ভয় করি রাত্রের রাজা ছিলিমোল্লা বাজাজকে।
[justify]
লেখার শিরোনাম দেখে আমি আপনার সম্ভাব্য দুটো প্রতিক্রিয়া কল্পনা করতে পারছি। একটাতে আপনি ভাবছেন যে এটা কোন ট্রেন এক্সিডেন্ট ফ্যাক্সিডেন্ট নিয়ে লেখা, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আপনি বুঝে গেছেন যে এটা ৪৭ এর দেশভাগ কিংবা সেটার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখা। খুশবন্ত সিং এর 'ট্রেন টু পাকিস্তান ' যদি আপনার পড়া থাকে, আপনি সম্ভবত দ্বিতীয় দলে পড়েছেন। বইটি যদি না পড়ে থাকেন এবং পড়ার ইচ্ছে পোষন করেন, তাহলে একটা স্পয়লার এলার্ট দিয়ে রাখলাম, কারন বইয়ের শেষ পৃষ্ঠার চমকটা কিন্তু আমি এখানে ফাঁস করে দেব! অবশ্য বইটা এত দারুণ যে সেটার পরেও এই বই পড়ে আপনি মুগ্ধ হবেন, শতকরা নব্বই ভাগ গ্যারান্টি।