১.
জারিয়া ঝাঞ্জাইল নামে বাংলাদেশে কোন স্টেশন আছে জানা ছিল না মারুফের। প্ল্যাটফর্মে নামার পর স্টেশনের অদ্ভুত নামটা দেখলো সে। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ময়মনসিংহের ট্রেনে ওঠার সময় তাকে বলে দেয়া হয়েছিল ময়মনসিংহও তার জন্য নিরাপদ নয়। সে যেন ময়মনসিংহ নেমে শহরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা না করে জারিয়াগামী কোন একটা লোকাল ট্রেনে উঠে পড়ে। জারিয়া থেকে সড়কপথে দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে নদী পার হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করতে হবে। এই ছিল শওকতের বাতলে দেয়া পলায়নপথ। মারুফ জীবনে কোনদিন উত্তরবঙ্গে আসেনি। বাংলাদেশে তার গতিবিধি সীমাবদ্ধ ছিল ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত।
অর্ণবের প্রস্তাবানুযায়ী এবারের বিষয় জানালার বাইরে।
আঁকিবুঁকি তেমন পারিনা। তবে ক্লাস করার সময় পেছনের বেঞ্চে বসে খাতা ভর্তি করে ডুডল আঁকতাম। কয়েকবার ধরা পড়ে শিক্ষকদের কাছে ডলাও খেয়েছি। আঁকটোবর এর প্রথম দুটি বিষয় মিস করে গেছি। তাই অফিসের গাড়িতে মহাখালীর মরণ জ্যামে বসে বসে একটু পুরনো অভ্যাস ঝালিয়ে নিলাম। আমার একটা বিড়াল ছিল, মিনি। রিকশার নীচে পড়ে মরেছিল। একটা কুকুর পুষেছিলাম স্কুলে থাকতে। কোথায় যেন চলে গিয়েছিল, খুঁজে পাইনি। ভার্সিটিতে পড়ার সময় ল্যাব থ
আঁকটোবর, ২০২২-এর তৃতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকতে, যেটাকে আমি পুষতে অথবা বন্ধু বানাতে চাই। আপাতত মান বাঁচাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আরেকটা ছবি পরে যোগ করার ইচ্ছা আছে।
হিমু দায়িত্ব দিলেন পরের, অর্থাৎ তৃতীয় সপ্তাহের বিষয় আমাকেই ঠিক করতে। দিলাম। এবারের বিষয় হলো এমন একটা জীব যাকে পুষতে অথবা যার সাথে বন্ধুত্ব করতে চান। আমি আমার প্রিয় এমন প্রাণীটা আঁকলাম। একে পুষতে চাওয়া বললে অপরাধ হবে, আমাদের ভাইব্রাদার, বন্ধুত্ব করা চলে। আমি একটা ওরাংওটানের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই।
আঁকাবুকি তে বিশেষ সুবিধার না মোটেই। স্কুল কলেজের বায়োলজি প্রাকটিক্যাল বহু সাধ্য়সাধনা করে আঁকানো শেষে দেখতাম কোথাও না কোথাও প্রপোরশন এ গ্যাঞ্জাম হয়ে গেছে। বোরিং মিটিং এ বসে বসে আঁকাআঁকি শেষে দেখি সে পুরানো স্বভাব পুরোপুরি আয়ত্তে আছে।
আঁকটোবর দ্বিতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো জায়গার ছবি আঁকতে, যেখানে আঁকিয়ে নিজে গিয়েছেন। এ প্রস্তাব মেনে নিচের ছবিখান আঁকলাম।
আমি গরুর ছবি আঁকলে সেটার আশেপাশে 'গরু' লিখে দিতে হয়। কাজেই এই ছবির ওপরেও জানিয়ে যাই, এটা এক তেজোসৃপের ভাস্কর্যের ছবি। ভাস্কর্যের বয়স চারশ বছরের বেশি, পাঁচশর কম। শহরটার নাম, প্রস্তাবে যেমন বলা, একটা ধাঁধা।
পৃথিবীর এমন কোন স্থান যেখানে আমি গিয়েছি, হয়ত আপনিও!