[center]ভালোবাসি এই দুরন্ত দুপুর গনগনে রোদে
ছোঁয়াছোঁয়ি করা পাশাপাশি বসে
একসাথে বাড়ি ফেরা,
আবোলতাবোল বকে যেতে যেতে
হাতপাগুলো এলোমেলো ছুড়ে
এদিক সেদিক অযথাই চেয়ে
একটুখানি ছুঁয়ে দিতে ভীষণ লাগে।
ভরদুপুরে ক্লাসের শেষে
তোমার জন্য অপেক্ষাতে
বসে থাকা ও লাগে ভালো,
বিকেল শেষে তুমি এলে
টিএসসি কিংবা পুরান ঢাকায়
চটপটির ওই সেই দোকানে
খেতে খেতে ঝালের চোটে
চোখের কোণে পানি আসা ও ভীষণ লাগে।
ঢিসক্লেইমার: এই লেখাটা আমার উর্বর মস্তিষ্কের সাময়িক উত্তেজনা এবং কিছু দীর্ঘমেয়াদী উত্তেজনা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে নামানো হয়েছে। কাজেই ইহার কোন তথ্যসূত্র চাইলে নিজ দায়িত্বে খুঁজিয়া লইতে হইবেক -- আমার মনে হয়, এর সূত্রগুচ্ছগুলোর কিছু অংশ আমার তথাকথিত উর্বর মস্তিষ্কে জটা পাকাইয়া রহিয়াছে।
---
যদি বলা হয় কী কাজ কর? তাহলে আমার মেয়ে হয়তো বলবে "কুকুল দেখি' -- আসলেই সে ইউটিউবে চালিয়ে রাখা কুকুরের ঘেউ ঘেউ দেখছে। কিন্তু আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমার প্রতিষ্ঠান আর পদবী বলবো হয়তো। অর্থাৎ কাজ বলতে আমি চাকুরী বাকুরীকেই বুঝিয়ে থাকি -- এই কাজের বিনিময়ে আমি বেতন পাই। এই লেখার পয়েন্ট অব ভিউ হল, যেই কাজ কোন না কোন ভাবে সমাজে অবদান রাখে। ... ... নাহ্ ঠিক মনমত হল না ... ... আরেকবার একটু গুছিয়ে শুরু করার চেষ্টা করি:
আমরা এখন শঠতায় মাখা কিছু স্বপ্নকে করি বেচাকেনা
আমরা এখন ছুটছি বেতাল ছেনালি নেশায় হয়ে উন্মনা
আমরা এখন কাজের গুহায় মাথা গুঁজে রোজ প্রতিপলে মরি
আমরা এখন এঁদো কাদাজলে বৃথা খুঁজে ফিরি গাঢ় বিভাবরী
ও ব্যাটা বদ্ধ-পাগল, মাথায় ঢুকে আছে কোন নীল আত্মার পোকা
ও ব্যাটা শুদ্ধ-ছাগল, খাতায় টুকে রাখে কোন বিফলতা ভরা ব্যথা
আমরা এখন ছলাবান্ধব কিছু অভীপ্সা মনে পুষে রাখি
[justify]
কবরস্থান ,কাফনের কাপড় , কবর শব্দ গুলো আসলে কেমন ? অনেক ছোট বেলায় নানা-নানীর কবর দেখেছি , একটু বড় হয়ে দাদা-দাদী , আরেকটু বড় হয়ে মামা র কবর দেখেছি ।
হুজুরদের গল্প ৩
হুজুরদের গল্প ৪
তাবলীগ পর্ব
[justify]
শিরোনাম:: 'অপঘাত'
মনন:: রেলে যত অপমৃত্যু।
লিখিত:: ৩১ অক্টোবর, ২০০৯।
জড় দেহ প্রাণহীন তবু বাহুভাজে
চোখে পড়ে বলিষ্ঠ পেশীময় রৌদ্রদগ্ধ ধ্রুবত্বকে
আধো কালোরং ঘর্মাক্ত পশমও
ঢেকে আছে লোহার পাথরে- ব্যথা কি সে পেল?
কত ঊর্ণনাভে মায়াবী আঁচলে মায়াবিনী মা
কোমল পনিরের মত গড়েছিল নরম শরীর,
একবারও কি স্মৃতির ট্রেনে সেই অমৃতস্বর ভেসে আসে নি!
এই পাগুলা ভাল করে বাঁধ, হা করে দেখস কি?এত চিলাচ্ছে কেন? মুন্সি তুই মুখটাও শক্ত করে চেপে রাখ।
পানি খেতে চাচ্ছে মনে হয়, একটু পানি এনে দেই?
তোর কাছে পানি খেতে চেয়েছে?
কিছুটা লজ্জিত হয়ে মুন্সি মনে মনে বিড়বিড় করে...মুখতো চেপে ধরে রেখেছি, পানি খাইতে চাইবে কি ভাবে??
কয়বার পানি খাওয়াবি শুনি? আর পানি লাগবে না, দেখত কুদ্দুসের চাকুতে ধার দেওয়া শেষ হয়েছে কি না।
চেষ্টা করেও অনেকদিন কিছু লিখতে পারিনি আর আজ অনেকটা না চাইতেই পারলাম। কবিতা লেখা আমার কর্ম কিনা সে ব্যাপারে আমি বরাবরই সন্দিহান, তবু সুযোগমতো পেলে দুয়েকটা লিখতে ছাড়িনি। এটাও তেমনই একটা কবিতা, যেটা আদৌ কবিতা কিনা তাও আমি জানি না!
মাথায় কোনভাবেই ঢুকত না, ফেইলরস কিভাবে পিলারস হয়?
তাও অনেক কষ্টে ঢুকালাম, স্কুলের দৌড় প্রতিযোগীতায় যখন শেষের দিকে প্রথম হলাম,
স্যার বলেছিলেন, ফেইলরস আর দা পিলারস অফ সাকসেস। মনে সান্ত্বনা একটাই, খালি হাতে তো আর বাড়ী ফিরি নাই, পিলারটাতো পেয়েছি। সেই আমার শুরু।