Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

যুবা (১৮ বছর বা তদুর্দ্ধ)

পারুলবালার সন্তান

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৪/২০১১ - ৬:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পারুলবালা আমার কাছে সন্তান চায়নি। আমিই তাকে একটি শিশুর লোভ দেখিয়ে লোভী করে তুলেছিলাম।

প্রথম সন্ধ্যাটির কথা মনে আছে স্পষ্ট। খালের দুই পাশে খাড়া পারে সটান ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে প্রকাণ্ড সব ঋজু নাম না জানা বৃক্ষ, তাদের পাতার আড়ালে লুকানোর নিরর্থক চেষ্টা করছিলো আমার পিছু নেয়া চেরা চাঁদ, তাই আমার ছোট্টো ডিঙিযাত্রার পুরোটাই ছিলো গাছের পাতার বীভৎস সব ছায়ায় রঞ্জিত। সরু খালে নিরুদ্বিগ্ন কুমীরের মতো লগির ঠেলায় ভেসে চলছিলো আমার ডিঙি, যতক্ষণ পর্যন্ত পারুলবালার ঘর বরাবর খালের পাশে একটা হিজল গাছের গোড়ায় লাল কাগজে মোড়ানো হারিকেনটা এসে না দাঁড়ালো। পারুলবালা রেখে গিয়েছিলো সেই লণ্ঠন, হয়তো সূর্য ডোবার পরপরই।


মৃত্যুমুখ থেকে ফেরার বর্ষপূর্তী

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৪/২০১১ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]দিনটা ছিলো ২৬ এপ্রিল, গতবছর, ২০১০ সাল। বরাবরের মতোই একটা দিন। ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশন ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) এর একজন কর্মকর্তা বন্ধু জানালো যে বিকেলে ওরা কয়েকজন একটা সেটেলমেন্ট পরিদর্শনে যাবে। জায়গাটার নাম বুলো তাওয়াক্কাল। বুলো মানে ক্যাম্প বা গ্রাম, দুটোই হয়। ৮০০’র মতো পরিবার এখানে বসবাস করে। সোমালিয়ার সেমি অটোনোমাস স্টেট পুন্টল্যাণ্ডের প্রায় সব সংস্থাই এখানে কাজ করে। তারমধ্যে আমাদে


মার্কিন মুল্লুকে-৪: সম্পর্ক

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৪/২০১১ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]


ফরাসি বিস্ময়

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৪/২০১১ - ১১:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সুনীল গাঙ্গুলির কল্যাণে ফ্রান্স আমাদের কাছে ছবির দেশ। কবিতার দেশ। সেইদেশে সঙ্গমবান্ধব লোকজন বাস করে, তারা পান করে সুস্বাদু ওয়াইন, লেখে কবিতা, আঁকে ছবি। যা কিছু ভালো, তার সঙ্গে ... । ফ্রান্সের আছে আইফেল টাওয়ার, আছে র-কে হ্র বলা লোকজনে গিজগিজ প্যারিস, লুভ জাদুঘর, সেখানে মোনালিসা। সভ্যতা ভব্যতায় ফ্রান্স আমাদের চেয়ে অনেক ওপরে। সেই ফরাসিদের বিস্মিত করে দিতে পেরেছি আমরা। এ আমাদের কপালে আরেকটি রাজতিলক। খামারের ইংরেজিতে যদিও বিস্মিত করে দেয়া কথাটার একটা দুষ্টু অর্থ আছে, তবে অত কাবিলি আমরা এখনও হতে পারিনি।

ফরাসী রাষ্ট্রপতির বিশেষ দূত মাহতাঁ ইর্শ আমাদের কায়কারবার দেখে গোটা ফরাসি জাতির হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে গেছেন। আলেকজান্ডারের পর আর কেউ এইভাবে বিস্মিত হতে পারেনি। ইর্শের সেলুকাস নেই বলে তিনি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই যা বলার বলে গেছেন [১]।


হাঁটিতেছি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৫/০৪/২০১১ - ৫:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দ্বিতীয় পর্ব

অন্যান্য আরো অনেকেরই মতো জীবনানন্দকে ঠিকমত বুঝে উঠবার আগেই ‘বনলতা সেন’-এর সাথে আমার পরিচয়। সেই পরিচয়ে তারুণ্যের মুগ্ধতাই ছিল বেশী। সে বয়সের মুগ্ধতার একটা আলাদা চরিত্র আছে। সেই চরিত্রগুণে সহজেই ‘বনলতা সেন’ ‘জীবনানন্দ’কে ছাপিয়ে যান। আমার প্রথম সেই পাঠ ছিল নিতান্তই অর্বাচীন পাঠকের পাঠ। তাই কবিতাটির প্রথম চরণেই খটকা লেগেছিল। ‘হাঁটিতেছি’, একি বিশ্রী গুরুচণ্ডালী। পাড়াগাঁর কবি, হয়তো


ডিয়ার স্যার

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: সোম, ২৫/০৪/২০১১ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডিয়ার স্যার,

আমাদের মহান হেড স্যারের লেখা একটা কবিতা আমরা মাঝে মাঝে আওড়াই - চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির - বুদ্ধির ঊনতাহেতু আমরা সেইটা পুরাপুরি বুঝতে পারি না। সেইখানে তিনি আরো লিখেছিলেন - যেথা গৃহের প্রাচীর/ আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী/ বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি। ইংরেজিতে Where the world has not been broken up/ into fragments by narrow domestic walls। আমরা ছোট চিন্তার লোকেরা, খালি প্রাচীর তুলতে চাই। আপনারা বড় বড় মানুষ। প্রাচীর-টাচির তেমন একটা মানেন না। তাই আমাদের অল্পবিদ্যার জাতীয়তাবাদী দেয়ালগুলা আপনাদের মনে করুণার উদ্রেক করে।


আরগস

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: শনি, ২৩/০৪/২০১১ - ১১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]ও অফিসে রওনা হলে আমি নিজের মতো একা হয়ে পড়ি। চুলায় পানি ফোটাতে দেই। ডাইনিং টেবিলে পড়ে থাকা এঁটো থালা আর অর্ধেক চা-সহ চায়ের কাপ সিঙ্কে রেখে পানি ছাড়ি। চায়ের বাকিটা আস্তে আস্তে রঙ পালটে পানির রঙ নিতে থাকে। পানি ফুটে গেলে কাপে ঢেলে চায়ের একটা ব্যাগ ছাড়ি। পানি তার বর্ণ বদলায়। দেয়ালে একটা টিকটিকি টিক-টিক আওয়াজ করে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় আমাদের ছবির পেছনে অদৃশ্য হয়।


এতদিন কোথায় ছিলেন?

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২২/০৪/২০১১ - ৬:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্ব

আমার বয়স হয়েছে। একটা বয়স ছিলো, সেই বয়সটার চরিত্রই হয়তো বন্য ষাঁড়ের মতো। ক্ষেপে ফুঁসে উঠার গুণে অমিত তেজোদৃপ্ত। সে বয়স আমারও ছিল, এখন নেই। রক্তে তেজ নেই, গতিতে জড়তা থিতু হবার অপেক্ষায়। এখন অসঙ্গতি দেখলে প্রতিবাদী হই না, ব্যথা পাই। যা কিছু অশোভন মনে হয় নিজের কাছে, তা আর আমাকে ক্ষুব্ধ করে না, আহত কিম্বা বেদনার্ত করে।


বিয়েটি বিয়োগান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৪/২০১১ - ৭:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রদীপ যেমন নিভার আগে একবার দপ্ করে জ্বলে ওঠে, তেমনি কাসেম সাহেব বছর খানেক আগে সাতাত্তুর বছর বয়সে জ্বলে উঠেছিলেন একবার। ‘নিরবকুঞ্জ’ নামের ছায়া সুনিবিড় বাড়ীটিতে তিনি তাঁর পুরাতন স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন, তবে আলাদা খাটে। আর ছেলে-মেয়েরা নিজেদের ‘নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি’ নিয়ে স্ব-স্ব ফ্ল্যাটে ব্যস্ত। সকলেই আর্থিক ভাবে বেশ স্বচ্ছল। বাবা-মা’র সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে কেউ সামান্যতম কার্পণ্য করে না, শুধুমাত্র সঙ্গ