শৈশব থেকে আমার বন্ধুর সংখ্যা বিপুল। আমার বন্ধুর তালিকায় ভাল, খারাপ, সুন্দর, অসুন্দর, চৌকষ, বোকা- সবই আছে। আমাদের আড্ডাগুলো তাই সহজেই একটা বৈশ্বিক চেহারা পেয়ে যেত।সেই আড্ডায় একবার তর্ক লেগে গেল- বিষয় হচ্ছে চিরকালীন- মেয়েদের নিয়ে। বিপরীতমুখি অবস্থানে দুই বন্ধু, এদের একজন অতিবদ এবং অন্য জন্য আদর্শ ছেলে। তর্কের একপর্যায়ে বদের হাড্ডি বলে উঠল...
“আমি জীবনে যতগুলা প্রেম করসি … তুই শালা লাইফে অতগুলো কলাও খাস নাই...তুই আমার চেয়ে বেশি জানোস?”
ভাল বন্ধুটি এহেন আক্রমণে রীতিমত মুষড়ে পড়ে। আমরা তাকে সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করি...
“তুই এগুলার ভিতরে যাইসনা...বরং তুই কলা খাওয়া বাড়ায়ে দে...”
কালের পরিক্রমাতে সেই দুই বন্ধুই বিবাহিত এবং জীবনে সুখি। বাংলাদেশে আমরা চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলেও প্রায় সবারই বিয়ের অধিকার নিশ্চিত করে ফেলেছি। সম্পর্কে পটু অথবা অপটু- সবার জন্য একটা পাত্র বা পাত্রী নিশ্চিত আছে...আপনি নিজে জোগাড় করতে না পারুন, আপনার বাবা-মা, ভাই-ভাবি, পাড়াতো খালা, ঘটক পাখি ভাই- প্রত্যেকেই জান দিয়ে যাচ্ছে আপনার বিয়ে করার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আমরা যদি এইভাবে অন্য অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে চাইতাম, তাহলে হয়তো অনেকদূর চলে যেত দেশ।
মার্কিন দেশে ছেলে বা মেয়ে লায়েক হলে তার জন্য পাত্রী বা পাত্র খোঁজার নিয়ম নেই। নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে বন্ধু বা বান্ধবী। কেউ কেউ দারুণ চৌকষ, ষাট মাইল স্পিডে গাড়ি চালাতে চালাতে তারা খুঁজে পায় ভালবাসা। আর কেউ কেউ একটু কাঁচা আর মুখচোরা- এরা সুখের লাগি প্রেম চাইলেও প্রেম মিলে না। আজকের গল্প এই দুই প্রজাতিকে নিয়েই।
আমার সহকর্মী বন্ধু মাইকেল সম্বন্ধে কথিত আছে যে সে সর্বশেষ বান্ধবী পেয়েছিল ক্লিনটন সাহবের শাসনামলে। এরপরে বুশ সাহেব ক্ষমতায় এসেছেন, দাপটে যুদ্ধ করেছেন, নিজের দেশসহ অনেক দেশের লালবাতি জ্বালিয়েছেন, কত লোকের সানডে-মানডে ক্লোজ করে দিয়েছেন, ইউফ্রেটিস আর টাইগ্রিস দিয়ে কত জল বয়ে গিয়েছে, তবুও মাইকেলের ভাগ্য বান্ধবী জুটেনি। বুশের আমলের শেষভাগে এসে সে উঠে পড়ে লাগল- এবার সে মনের মানুষ জোটাবেই। মাইকেল আর আমি একই রুমে বসতাম সেই সময়ে। মাইকেল অফিসে আসত দেরি করে, হাতের কাছে যে পোশাকটা থাকত সেটাই থাকত তার পরনে। চিরুনীর সাথে চুলের সম্পর্কে সে বিশ্বাসী ছিল না। উচ্চতা অনুযায়ী যা ওজন হওয়া উচিত মাইকেলের ওজন তার চেয়ে অন্তত ১০০ পাউন্ড বেশি। দুপুরে ভয়াবহ পরিমাণ আহার শেষে মাঝেসাঝে তার চাপা নসিকা গর্জনের আওয়াজও শুনেছে কেউ কেউ।
আমাদের কাছেই ছিল আরেক সুদর্শন সহকর্মী কাইল। কাজে কর্মে যেমন করিৎকর্মা সে, ঠিক তেমনিই রমণীমোহন। সকালের বান্ধবী বিকেলে বদলে যায় তার, প্রতি সপ্তাহেই ডেটিং থাকে তার। পৃথিবীর সব দেশের মেয়েদের জানার প্রবল আগ্রহ- যেকোন মেয়ের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েই সে রাখে। সচলে এদের “লুল” বলা হয়, কিন্তু আমরা তো জানি সে সচলায়তন ঈর্ষাপরায়ণ মানুষদের জায়গা। কাইল ও মাইকেল- দুইজন বিপরীতমুখি মানুষ যদিও প্রায় পাশাপাশি বসেই কাজ করে তারা সারাদিন।
মাইকেলের বান্ধবী জোটানোর প্রায় সকল প্রয়াসই ব্যর্থ হয়ে যায়। কাছের একটা ক্লাব- যেখানে সাফল্যের সম্ভবনা প্রায় শতভাগ- সেখানেও বিফল হলো সে। বন্ধু-বান্ধব অনেকেই তাদের চেনাজানা মেয়েদের সাথে মাইকেলের পরিচয় করিয়ে দিল, কিন্তু সেখানেও সৌভাগ্য ডানা মেলল না। ওর ব্যক্তিগত সমস্যা যখন আমাদের জাতীয় সমস্যায় রূপ নিল, তখন একজন পরামর্শ দিল যে ম্যাচমেইকার ওয়েবসাইটগুলোর সাহায্য নিতে। ভালবাসার সাথে প্রযুক্তি মেলাতে প্রথমে একটু আপত্তিই ছিল মাইকেলের। কিন্তু আজকাল নাকি তুখোড় সব সফটওয়ার তৈরি হয়েছে- ওরা মানুষের মেধা ও মননের সাথে মিল খুঁজে সঙ্গী বের করে আনে দুনিয়ার যেকোনো প্রান্ত থেকে।
ওদিকে কাইল নিত্যনতুন বান্ধবী জুটিয়ে চলছে। তবে ওর সমস্যাটা একটু অন্যরকম। ওর বর্তমান বান্ধবী সুন্দরী, স্মার্ট কিন্তু একটু “হাইপার”- সব বিষয়েই নাটকীয়তা পছন্দ তার। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত রাত তিনটার সময়ে ফোন করে তাকে ভালবাসা জানাচ্ছে। মেয়েটা রাতের শিফটে কাজ করে, তাই ওর জন্য সেটা ঝামেলার কিছু নয়। কিন্তু কাইলের জন্য সেটা একদম সুখকর নয়- ঘুম ঘুম গলায় পালটা ভালবাসার কথা আবার মেয়েটা পছন্দ নয়। কোন কোন দিন সাতসকালে প্রেমিকার পাঠানো ফুল নিতে চোখ কচলাতে কচলাতে দরজা খুলতে হয় কাইলের। রাতে ঘুম কম হওয়ার কারণে অফিসে তার মন-মেজাজ বেশ খারাপই থাকে। সম্পূর্ণ উলটো কারণে মাইকেলও বেশ বিষণ্ণ।
দেখা গেল প্রযুক্তি বদলে দিল মাইকেলের ভবিষ্যত। যেটা বহু বছরেও মানুষ সমাধা করতে পারেনি, ম্যাচমেকার সফটওয়ার সেটা করে ফেলল অতি অল্প সময়েই। মাইকেলের জোড়া খুঁজে পাওয়া গেল ক্যানাডার টরেন্টো শহরে। আমাদের শহর থেকে সেটা প্রায় দুই হাজার মাইল দূরে, কিন্তু এই যুগে সেটা কিছু নয়। আর তাছাড়া দূরত্বকে অতিক্রম করা জীবনের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আলসেমি ঝেড়ে উঠে পড়ে লাগলো মাইক। ওর ফোনে ক্যানাডায় কম খরচে কথা বলার কলিং প্ল্যান যুক্ত হলো। আমরাও ক্যানাডার আবহাওয়া, রাজনীতি, হাল-চাল ইত্যাদি জানতে থাকি। মেয়েটা আর্টিস্ট, সেই সুবাদে শিল্প জ্ঞানও আমাদের বাড়তে থাকে।
'টরেন্টো শহরে মানুষজন অনেক পড়ুয়া, ওখানে বই-পত্র আর পত্রিকা কি পরিমাণ বিক্রি হয় সেটা টেক্সাসে বসে কল্পনাও করা যাবে না' । আমরা প্রায়ই অনেক নতুন তথ্য পাই। ক্রমেই বুঝতে পারি ক্যানাডার মানুষদের তুলনায় আমরা রীতিমত জানোয়ারের স্তরেই পড়ি। টরেন্টোর মেট্রো সিস্টেমের ট্রেনগুলো একটু লেইটে চললেও সেই খবর আমাদের আর অজানা থাকে না।
প্রেম একটু জমে ওঠার পরে সেপ্টেম্বর মাসের এক সুন্দর সকালে মাইকেল টরেন্টোতে গেল তার বান্ধবীর সাথে দেখা করতে। মাইকেল একটু হিসাবি মানুষ, প্রেমজনিত খরচগুলো সে আবার স্প্রেডশিটে তুলে রাখে। শিকাগো এয়ারপোর্টে প্লেন পাল্টানোর আগে দুপুরের খাবারের খরচটাও গুগল ডকুমেন্টের কল্যাণে নিমিষেই এয়ারপোর্ট থেকেই চালান হয়ে যায় তথ্যভাণ্ডারে।
মাইকেলের পৌষমাস চললেও কাইল বেশ বিপদে আছে। অতিনাটকীয়তা অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে সে এক শুভদিনে তার বান্ধবীকে তালাক দিতে চেষ্টা করে। এই কাজে মার্কিনিদের অত্যন্ত জনপ্রিয় অজুহাত হোল- এই বিচ্ছেদটা তোমার জন্য নয়, আমার ভুলের কারণেই হচ্ছে, আই এম নট দ্য রাইট ওয়ান ফর ইয়ু। এই নিয়ে জনপ্রিয় কমেডিয়ান সাইনফিল্ডের একটা ক্লিপ জুড়ে দিলাম। যদিও কাইল এতে পারঙ্গম তবুও এবারের কাজটা অত্যন্ত জটিল আকার ধারণ করে। মেয়েটা প্রথমে হাউ-মাউ করে কান্না জুড়ে দেয়, কিন্তু লুলধর্মে কান্নার কোনো দাম নেই। এরপর মেয়েটা এই অপমানের শোধ তোলার জন্য দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করে। এরপর থেকেই কাইল দিন রাত মেয়েটার রাগ ও ঘৃণামিশ্রিত ফোন, ফ্যাক্স, ই-মেইল, টেক্সট ইত্যাদি পেতে থাকে অবিরত। ক্রমাগত বাজতে থাকা কাইলের অফিসের ফোনটা সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে খুলে ফেলা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কাইলকে বাসা থেকে গা-ঢাকাও দিতে হয় কয়েকদিনের জন্য। সব ধর্মের মানুষই ত্যাগ স্বীকার করে নিজ বিশ্বাস অটুট রেখেছে, লুল ধর্মই বা বাদ যাবে কেন?
ক্যানাডা থেকে বেশ হাসিমুখেই ফিরে আসে মাইকেল। সফর বেশ ফলপ্রসূ হয়েছে। মাইকেল নানান পরিকল্পনা করতে থাকে। আমাদের অফিসে বাসায় বসে কাজ করার অনুমতি আছে। সেই অনুমতি বলে মাইকেল টরেন্টোতে বসে অফিসের কাজ করতে চায়। মানুষের বাসা যে অফিসের পাশেই হবে সেটা নিশ্চয় কোথাও বলা নেই? অফিসে জানিয়ে দেয় সে টরেন্টো শহরে থাকবে আর সেখান থেকেই কাজ করবে অফিসের। আমি একটু মিনমিন করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে দিনকাল ভাল নয়, অফিসের ম্যানেজমেন্ট ব্যাপারটা ভালভাবে নাও নিতে পারে। কিন্তু সংকল্পে অটুট মাইকেল। প্রেম এমনই এক ইয়ে ব্যাপার।
ঘটনাগুলো এরপর অতি দ্রুতই ঘটতে থাকে। মাইকেল বিয়ের জন্য তোড়জোর শুরু করতেই মাইকেলের মা-বাবা বাধ সেধে বসলেন তার ছেলের পছন্দে। কারণটা হচ্ছে মেয়েটা কৃষ্ণাঙ্গ। এই প্রথমবারের মত আমি মার্কিন দেশে চৌধুরি সাহেবের দেখা পেলাম। মাইকেল পুরো বিমর্ষ হয়ে পড়ল পরিবারের বাধায়। ঘটনার এই পর্যায়ে অফিস থেকে মাইকেলকে চাকুরিচ্যুত (লে-অফ) করা হোল। সম্পর্কের টানাপোড়েন তার কর্মজীবনেও আঘাত হানে। মাইকেলের দুঃস্বপ্নের শেষ তখনও হয়নি। চাকরি হারানোর মাসখানেক পরে তার ক্যানাডা প্রবাসী বান্ধবী ই-মেইল করে তার সাথে সম্পর্কের ইতি টানে। ইমেইলের বক্তব্যেও ইনিয়ে-বিনিয়ে সেই একই অজুহাত- ইট'স নট ইয়ু- ইট'স মি। মাইকেল এইবার প্রচন্ড ক্ষেপে যায়- ফোনে তার প্রাক্তন বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে তাকে চিঠি লিখে জানায় সে তার ক্ষোভের কথা। চিঠির সাথে বান্ধবীর পেছনে যা ব্যয় হয়েছে সেটার একটা কপি জুড়ে দেওয়া হয়। গুগল ডকুমেন্ট সব সময় কাজের জিনিস।
গল্পটা বেশ দুঃখের হতে পারতো। কিন্তু সেটা হয় নি। মাস দুয়েক পর মাইকেল বিষণ্ণতা ঝেড়ে ফেলে তার জীবন নতুন করে শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নেয়। সেই লিস্টের এক নম্বরে ছিল ওজন কমিয়ে ফেলা। এক বছর ব্যাপি চেষ্টার পর মাইকেল ১০০ পাউন্ড ঝেড়ে ফেলে। সেই সঙ্গে তার আর যা যা দোষণীয় ব্যাপার ছিল সব কিছুর আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলে সে। প্রথম আলো না পড়েও সে নিজেকে একদম বদলে ফেলে।
বেশ কয়েকমাসের ব্যবধানে মাইকেলকে দেখে আমি পুরো হতবাক হয়ে যাই। কিলবিলে পেশিওয়ালা আত্মবিশ্বাসী এক সুদর্শন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। মাথার চুল পরিপাটি, জামাকাপড় ফিটফাট! পকেট থেকে তার বিজনেস কার্ডটা বের করে দেখালো আমাকে। মাইকেল আর এই জীবনে ইঞ্জিনিয়ারিং করবে না বলে ঠিক করছে। বিভিন্ন কোর্স করে সে এখন পারসোনাল ট্রেইনার ও লাইফ কোচ। ব্যবসাপাতি নাকি মন্দ যাচ্ছে না। আমাদের দোয়াতে নাকি সোনালী চুলের বান্ধবীও আছে এখন একজন। ওর নিজের জীবনের ঘটনাই ওর সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন...বেয়াদপের কাছে আদব শিখতে হয় সেটা আপনারা জানেন নিশ্চয়। মাইকেলের ব্যবসার খাতায় আমিও নাম লিখিয়েছি। আর হ্যাঁ- গুগল ডকুমেন্ট এখনো আছে- তবে সেটা ক্লায়েন্টেদের ওজনের হিসেব রাখার জন্য।
ওদিকে কাইলের ব্যাপারটাও একটু বলতে হয়। সম্পর্ক এখন তার কাছে কিছুটা মূল্যবান হয়েছে ভেবেছিলাম। ব্যাপারটা তাই কিন্তু ও বিষয়টা ব্যাখ্যা করল একটা আধা-অশ্লীল জোকের মাধ্যমে। জোকটা আমি জানতাম কিন্তু এর মর্মার্থ বুঝতে পারলাম কাইলের কথায়।
কোনো এক শহরের চিড়িয়াখানাতে বেড়াতে গিয়ে এক ভদ্রলোক বানরের খাঁচাতে কলা ছুড়ে মারেন। বানর সেই কলা মুখে পুরে দেওয়ার আগে পশ্চাৎদেশে ঢুকিয়ে নিল একবার। এই দেখে অপমানিত ভদ্রলোক মহা ক্ষেপে চিড়িয়াখানার বড়কর্তাকে অভিযোগ জানাতে ছুটে যান। বড়কর্তা কাঁচুমাচু হয়ে জানালেন যে বানরকে আগে কেউ বিশাল একটা ফল দিয়েছিল। সরল বানর অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করে সেই ফল গিলে মহাসমস্যায় পড়ে। সেটা আর কিছুতেই বের হচ্ছিল না। এরপর থেকে বানর বুদ্ধিমান হয়েছে, খাওয়ার আগে প্রথমেই মেপে নেয় যে এটাকে বের করা যাবে কিনা...
সম্পর্ক নিয়ে কাইলের সতর্কতাটা এই বানরটার মতই। সম্পর্ক শুরুর আগেই সে মেপে দেখে সেটা থেকে বের হতে কষ্ট কতটুকু! সম্পর্ক ভাঙার কষ্ট আমরা সবাই তো জানি, শুরুতেই সাবধান হওয়াই শ্রেয়। লিভিং টু গেদারসহ পাশ্চত্যের আর যেসব লোভনীয় ব্যাপার আছে, তার পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই আছে বেশ ব্যবহারিক দিক, সম্পর্কটা আদতে টিকবে কিনা- কম খরচে সেটার একটা নেট প্র্যাকটিস করে নেওয়া। সম্পর্কের উলটো দিকেই কিন্তু আছে বিচ্ছেদ, তাই বাঁচতে হলে জানতে হবে।
বলেছিলাম না সম্পর্ক বেশ গোলমেলে একটা ব্যাপার?
মন্তব্য
"খাওয়ার আগে প্রথমেই মেপে নেয় যে এটাকে বের করা যাবে কিনা..."
মাপামাপি করতে গেলে আর এই জীবনে পেরেম হপে না, এই আমারেই দেখেন। পেরেম এর জন্য মাপামাপি না কইরা, হুট কইরাই যা করার করতে হবে, এরপরে বাইর হইতেও পারে, নাও হইতে পারে। বাইর হইলে আপনি ফিলোসফার হইবেন, আর আটকায়া গেলে তো গেলই।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
প্রেম মানে না বাধা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঝরঝরে তকতকে লেখা। ভালু হইছে ভাই।
ধন্যবাদ মানিক চন্দ্র দাস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
টরেন্টোর মেট্রো দেখার সৌভাগ্য হয়েছে কিছুদিন আগে। জার্মান সিস্টেমে অভ্যস্ত চোখে আমার মত হলো ১. ওদের আসলে কোন টাইমটেবিল নেই। উত্তর দক্ষিনে দুইটা রুট। স্টপেজে গিয়ে অপেক্ষা করতে হবে কখন কোনটা আসে সেটার জন্য। ২. মেট্রোতে চড়ে তারাই যাদের গাড়ি নাই।
মার্কিন দেশে সাউথইস্টে তো জানি চৌধুরি সাহেবে ভর্তি। অনেক বাঙ্গালি ঐটা জানে না কারণ চৌধুরি সাহেবেরা অন্য রঙের মানুষের সাথে মিলমিশ করেন না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
টেক্সাসের মানুষের কাছে টরেন্টোর পাব্লিক ট্র্যান্সপোর্ট বিস্ময়কর এক ব্যাপার। টেক্সাসের বড় শহরে এগুলো আছে সামান্য পরিমাণে। জার্মানদেশে শুনেছি ছোটখাটো শহরেও পাব্লিক ট্র্যান্সপোর্ট থাকে।
দক্ষিণাঞ্চলে আছি প্রায় ১৩ বছর। চৌধুরীদের ইংরেজিতে রেডনেক বলে। বড় শহরে এর প্রকোপ কম, নতুন জেনারেশনেও কমে আসছে এগুলো।
তবে শুধু দক্ষিণে নয়, পুরো মার্কিন দেশেই মিক্সড কাপল উল্লেখযোগ্য নয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
- ঘাটাঘাটি করে দেখলাম আমেরিকাতে সাড়ে ছয় শতাংশ বিয়ে এই ধরণের। অতি সামান্য।
- জার্মানিতে আইলসা ভাবিরা জার্মানিতে পা দেবার আগ পর্যন্ত লোকজন গাড়ি কেনে না। হাটতে না চাওয়া বৌদের ঠেলায় একসময় গাড়ি কিনতে হয়। এখানে গলিতে গলিতে বাস যায়। বড় রাস্তায় ট্রাম, মেট্রো ইত্যাদি আছে।
- লালঘেড়োদের সংখ্যা কমতেছে এইটা আমিও ভাবতাম। টিপার্টির মিছিল মিটিং দেখে একটু সন্দিহান এখন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- হুম, আমেরিকাতে ইন্টার রেসিয়াল ম্যারেজ অতি নগন্য। রাস্তাঘাটে গেলেও এধরণের জোড়া দেখা যায় না। উত্তর-দক্ষিণ সর্বত্রই এক অবস্থা।
- দেখা যাচ্ছে বউ থাকলেই খরচ বাড়ে। আমেরিকা বেশির ভাগ শহরেই পাব্লিক ট্র্যান্সপোর্ট দিয়ে চলাফেরা প্রায় অসম্ভব, সার্ভিস থাকলেও অপ্রতুল। শহরগুলো তৈরি করা হয়েছে গাড়ি চালানোর জন্য।
- নাহ, লালঘাড় কমছে আস্তে আস্তে, অন্তত বড় শহরগুলোতে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সমস্যা ঐটাই। খালি দুই কোস্টে বড় শহরগুলায় কমতেসে, মাঝখানের বিশাল জায়গা জুড়ে গাওগেরাম এখনও লালঘেড়োতে ভর্তি। রিপাবলিকানরা এইগুলাতেই ভোট পায়, টিপার্টিও এইসব জায়গা থেকেই উঠতেসে।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
বুচ্ছি, ধুগো'দা আর হিমুভায়ের কেন গাড়ি নাই
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত— হিমু ভাইকে গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে শোনা গেছে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপ্নে অন্তত একটা সাইকেল কিনেন
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ঘ্যাচাংভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পড়ে মজা পেলাম। পাশ্চাত্য দেশে লিভিং টুগেদারসহ বিভিন্ন ব্যবহারিক দিক থাকা সত্ত্বেও ওদের ডিভোর্সের অনুপাত বেশি। তাহলে এই নেট প্র্যাক্টিসের সুফল কোথায় পাওয়া গেলো?
তাহলে বুঝুন নেট প্র্যাক্টিস না থাকলে কি অবস্থা হতো?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমার মনে হয় ওদের দেশে ফ্লেক্সিবিলিটি আছে বলে ডিভোর্সের পরিমাণটা বেশি। আমাদের দেশে ডিভোর্স হইলে ছেলেটার তেমন কিছু হয়না, মেয়েটা মোটামুটি মার্কড হয়ে যায় আশেপাশের লোকজনের মাঝে। চোরাচাউনি, পিঠের পিছে কথা এইগুলা নিয়ে থাকতে হয়, আরও অনেকরকম সামাজিক বাধা আছেই। আম্রিকায় এগুলা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। আবার উলটা দিক দিয়ে চিন্তা করলে, এইখানে কোনরকম ঝামেলা নাই বলে কেউ ল্যাঠা চুকায়ে ফেলতে দেরি করে না। একটা মেয়ে এখানে একা খেয়েপরে থাকতে পারে, চাকরিবাকরি করে সাক্সেসফুল লাইফ কাটাইতে পারে। তারে এইটা নিয়ে কেউ চোখ টাটাবে না, কেউ অন্যের কান ভারি করবে না।
উল্টা দিক দিয়ে চিন্তা করলে, আম্রিকা ডিভোর্স বেশি হওয়ার কারণও মোটামুটি একই। এইখানে কোন ঝামেলা বাধলে কম্প্রোমাইজ করার অভ্যাস কম, ঝামেলা না মিটলে ঝামেলা সরায়েই ফেলে। আমরা যেকারণে একটা কম্পিউটার কিনে সেটা মেরামত করে, আপগ্রেড করে বছরের পর বছর চালাই, ওদের সেই কারণটা নাই বলে, কম্পিউটার একবার হ্যাং মারা শুরু করলেই সেটা ফেলে দিয়ে নতুন কম্পিউটার কিনে ফেলে - ব্যাপারটা অনেকটা এরকম মনে হইসে।
নেট প্র্যাক্টিসের সুফলটা একদম বানরের গল্পটার মতই। তুলনাটা খুবই ফিটিং।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
টিএ আওয়ারের উদ্ভট সব প্রশ্নের মধ্যে পড়ে মেজাজ খারাপ করে কম্পুর সামনে বসে আপনার লেখাটা পাইলাম। মেজাজ ভাল হয়ে গেল। থেঙ্কু!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এই কারণেই আমি প্রায়ই সচল ভ্রমণ করি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি আমাকে বিস্ময়কর নির্মল আনন্দ দিয়েই যাচ্ছেন!!!
আনন্দ দিতে পেরে আমিও আনন্দিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জটিলান্তিস।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদিন্তিস জাহিদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্ধর্ষ!
ধন্যবাদ হিমু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার লেখা আর দুর্দান্ত জোক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ রাতঃস্মরণীয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জটিলস্য
ধন্যবাদ অমিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা অতিশয় দারুণ হয়েছে, খুব ভাল লাগল!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অন্যরকম একটা আমেজ থাকে আপনার লেখায়। ভালো লাগে খুব।
অফটপিক: শিশুপালন থেকে শেখা "পিট্টা লাল করে দিব" বিষয়ক যুক্তি আম্মুর উপর প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছি লাভ হয় নাই, উলটা আরো ডিজরেস্পেক্টফুল ব্যবহারের শিকার হয়েছি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম।
শিশু বড় হয়ে গেলে এই নিয়ম আর কাজে লাগে না
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ লেখা তাসনীম ভাই।
love the life you live. live the life you love.
ধন্যবাদ তারাপ কোয়াস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
(গুড়)
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মজা পাইছি,ভাই।
চমৎকার লাগছে। প্রেমিক-প্রেমিকাদের দল বেঁধে পড়া উচিত।
অলস সময়
ধন্যবাদ পলাশ। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সুস্বাগতম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত !
পড়াচোর
ধন্যবাদ পড়াচোর।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ব্যাপক মজা পেলাম!
ধন্যবাদ যুধিষ্ঠির।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইবারের পর্বটা বেশ হৃষ্টপুষ্ট। হৃষ্ট হয়ে পাঁচতারা দিয়ে গেলাম।
আমার তো ধারণা ছিল স্লিম ফিগারের কদর বেশি
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কৌতুকটা দুর্দান্ত!!! আমি আগেও শুনেছিলাম। তবে একটু অন্যভাবে। বানরনা, শিম্পাঞ্জী ছিলো ওটা, আর ফলের জায়গায় প্লাসটিকের বল দেয়া হয়েছিলো, বেচারা ফল ভেবে ভুল করে গিলে ফেলেছিলো
কাহিনীতেই বোঝা যাচ্ছে কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ!!!
গুরু, মার্কিন মুল্লুকের মাইকেল আর কাইল এর সম্পর্ক তো জানলাম। এইবার তাসনীম এর গল্প জানতে চাই
-অতীত
ধন্যবাদ অতীত। আমার গল্প দুঃখজনক হবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সম্পর্ক অতীব গোলমেলে একটা ব্যাপার! তাই বোঝার চেষ্টা করা ছেড়ে দিয়েছি..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কিন্তু বাঁচতে হলে জানতে হবে যে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার গদ্য পড়ার মজাটা হচ্ছে এই যে, আপনার শব্দ চয়ন, উপস্থাপনা আর রূপকের ব্যবহার পাঠককে বুঝতেই দেয় না যে একটা বড় লেখা পড়া হয়ে গেলো। আমরা জানি আপনি ব্যস্ত মানুষ, তবু সময় করে অন্তত প্রতি সপ্তাহে লিখুন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
সহমত।
ধন্যবাদ ষষ্ঠপাণ্ডব।
আমি যদিও অত ব্যস্ত মানুষ নই, তারপরও প্রতি সপ্তাহে লেখা দেওয়া বেশ কঠিন। তবে আপাতত মাসে দুটো লেখা দিচ্ছি কিন্তু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখার মধ্য়ে How I Met Your Mother সিরিজের ছায়া দেখলাম কাইল সাহেবকে তো পুরা Barney Stinson এর বাস্তব রুপ মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ পৃথিবী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পেএএএএএম, কখনো মদুর কখনো সে বেদনাবিদুররররর
হুম, পেম খুবই ইয়ে জিনিস। ধন্যবাদ মাহবুব রানা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
চমৎকার একটা লেখা। খুব ভালো লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আসমা খান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পুরাই গিয়ানজাম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হুম তাই...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পিথিবিতে পেম বলে কিচু নেই...
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে না না, পেম আছে ঠিকই...কিন্তু প্রেমের ফাইন প্রিন্টটাও পড়তে হয়...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখার চিপাচুপায় যে পরিমাণ রস থাকে, সেটা বড়ই স্বাদু।
ধন্যবাদ আরিফ জেবতিক ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা হা হা হা!
কখনও মধুর... কখনও সে বেদনাবিধুর...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
সব মিলিয়ে বেশ ইয়ে একটা জিনিস
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিয়াপক!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ। অনেক দিন পরে সচলে তোমার দেখা পেলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লগাইতে বাধ্য হইলাম! সেইরকম হইছে
---------------------
আমার ফ্লিকার
ধন্যবাদ উদ্ভ্রান্ত পথিক
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বিন্যাসে, বর্ণনায়, রসে, শিক্ষণে সবদিক থেকেই চমৎকার, অতি চমৎকার!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, আপনার মন্তব্যের জুড়ি নাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সুন্দর লেখা,মনটা ভালো হয়ে গেল।
ধন্যবাদ জাহার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখায় ভেতরে একটা মজাদার রস আছে। টিভি সিরিজগুলোর মতন শব্দ শুনে (পড়ুন, কাতুকুতু নিয়ে) হাসতে হয় না; এম্নেতেই মজা লাগে...
লেখাটা অচাম হয়েছে। আপনাকে
ধন্যবাদ সুহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ফাঁচ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মাইকেল, কাইল আর বান্দর থেকে আমরা কি শিক্ষা পাইলাম? সম্পর্ক একটি আপেক্ষিক ব্যাপার। বাঁচতে হলে জানতে হবে। ঢুকার আগে বের হওয়া শিখতে হবে।
তবে.....বাঁদরের কলায় এখনো গড়াগড়ি খাচ্ছি। দুর্দান্ত!!!.......
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ। বাঁচতে হলে জানতে হবে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
৫ +
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়লাম। ভালো লাগলো। একটু টেনশনও হলো...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভয় নেই...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা পড়ার পর যে ছোট্ট হাসি মুখে লেগে থাকে
সেটাই আপনার লেখা পড়ার আনন্দ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
শুনে আমিও বড় আনন্দ পেলাম
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এই পর্বের হিউমার অনেক পরিশীলিত এবং পরিপক্ক হয়েছে, (মানে অন্যগুলোও হয়, এটা একটু বেশি হয়েছে )।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বয়েস বাড়ার সাথে সাথে পরিপক্কতা আসছে মনে হয়
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লাইফ কোচের ব্যপারটা আসলে কি? বুয়েটের এক আপুও কিছুদিন আগে মাইক্রোসফটের ব্যবসা ছেড়ে লাইফ কোচিং দেওয়া শুরু করেছেন কিন্তু ব্যপারটা আমার পরিষ্কার না। যাই হোক মাইকেলের লাইফ কোচিং এর সাথে আমার একখান মিল পেলাম। কিছুদিন আগে জনা কতক বন্ধু বান্ধব নিয়ে আমিও একটা গুগুল ডক খুলেছি। তাতে আমরা প্রতি সপ্তাহের ওজন মেপে রাখি। এই জন্য আরো লাইফ কোচ সম্পর্কে জানতে চাই, না জেনে নিজেই আবার লাইফ কোচ হয়ে গেলাম না তো?
সাফির ভবিষ্যত উজ্জ্বল। অন্ততঃ ব্যবসায়িক ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমারে নুবেল দেওয়া হউক
লাইফ কোচিংকে সামাজিক ব্যবসা হিসাবে নিতে হবে আগে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লাইফ কোচিং একটা ব্যাপক ব্যাপার...জীবনের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছেতে সাহায্য করেন উনারা।
সিয়াটলের সেই আপুর ওয়েবপেজে উঁকি দিতে পারেন। উনি আমাদের সহপাঠি বন্ধু, চাইলে ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা করে দেব
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তুমি করে বলেন, আমি ছুডু মানুষ।
ঠিকাছে
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব ফাঁকি দিলে তাইনা? ২য় লাইনে এসে ভাবলাম তোমার নিজের সম্পর্কের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখবে। এই সব চোইল'ত না। তোমার কথা কও!
--------------------------------------------------------------------------------
লুল ধর্মের নীতি পড়েও মজা পেলাম। লেখাটাও। আমি এক লুলের পাল্লায় পড়েছিলাম। মাথা নষ্ট হয়ে গেছিলো।
রিলেশনশিপ নিয়ে আমার অনেকগুলি মজার মজার আবিষ্কার আছে। নিজের আর কাছের মানুষের ব্যাক্তিগত জীবন থেকেই! সব গল্প এক করে যেদিন মাথা থেকে নামাতে পারবো, সেদিন ইনশাল্লাহ লিখে ফেল্বো। পোস্টও করে দিতে পারি। তবে 'নাম'-গুলি অবশ্যই গোপন রাখতে হবে। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ আর ঢাকা এমন একটা শহর, সবাই কেমন করে যেন সবাইকে চিনে ফেলে! হাহাহা!
=)) দারুণ লাগলো
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
লুলধর্মাবলম্বি হইতে মঞ্চায়।
নতুন মন্তব্য করুন