হাটবাজার

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বুধ, ২৪/১০/২০১২ - ৮:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

।।১।।

সকাল বেলাটা দিনের সবচেয়ে মনোরম সময়। এটা বুঝতে অনেকটা সময় লেগেছে। এতোটা সময় লাগার কারণ হচ্ছে আমি আগে কখনো সকালে উঠতাম না। সকালের আলোতে একধরনের মায়া থাকে। চারিদিক যেন ভিজে থাকে তরল এক প্রসন্নতায়। তাতে মনকে ভেজানো যায়, ভুলে থাকা যায় যে এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও যুদ্ধ, ক্ষুধা, মৃত্যু, দুঃখ, শোক ডানা মেলে আছে। সকাল বেলার রোদ্দুরে এই পৃথিবীকে প্রতিদিন একবার করে ক্ষমা করে দেই আমি।

তবে বিকেলে আমি অন্য মানুষ। গাড়ির হর্ন বাজিয়ে ধমক দেই তেমন কারণ ছাড়াই, বিনা যুদ্ধে সূচাগ্র মেদেনী ছেড়ে দিতেও আমি রাজি না। কিন্তু অন্ধকার শেষ হলে আলোর আবেগে জেগে ওঠা সেই স্তর যেন জন্মান্তরের বেদনা ভুলিয়ে দিয়ে যায়, নতুন শপথের মতো প্রতিটা দিন যেন এই পৃথিবীকে ভালোবাসতে শিখিয়ে দেয় রোজ সকালে।

ভোরে আমরা যখন স্কুল অথবা অফিসে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠি তখন ধারে কাছেই বসে থাকে কিছু বিড়ালছানা। মাঝেমাঝে মিঁউ মিঁউ ডাক দিয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালায় তারা।

“আব্বু লুক অ্যাট দ্যাট ক্যাট…দে আর সো কিউউউউট…”

কথাটা নিঃসন্দেহে সত্য।

“আব্বু শুধু হিউম্যান বিংদের অফিস আর স্কুলে যেতে হয় কেন?”

এই প্রশ্নটা আমাকেও খুব পীড়িত করে। মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণীকে সকালে অফিসে বা স্কুলে যেতে হয় না। অফিসের ব্যাপারটা প্রকৃতির গ্র্যান্ড ডিজাইনে নেই। সঙ্গত কারণেই নেই। এগুলো বোরিং জিনিস। এই মহাবিশ্বের ডিজাইনাররা আমার অফিসের মোটা মোটা ইঞ্জিনিয়ারদের মতো বোরিং নয়।

ওদের ডিজাইনে তিমি মাছের লম্ফ-ঝম্ফ আছে, দিনভর সৃষ্টি ছাড়া বৃষ্টি আছে, স্মৃতি উসকে দেওয়া একদম হাতের কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘমালা আছে, সিংহের রাজকীয় দৌড় আছে – কিন্তু ল্যাপটপের পর্দার সামনে বসে সারাদিন গুঁতোগুঁতির ব্যাপারটা ওনারা একদম সঙ্গত কারণেই রাখেন নি। সিভিলাইজেশন পুরো ব্যাপারটাই প্রকৃতি বিরুদ্ধ।

মানুষের এই সীমাহীন উন্নতির পেছনে বাজার ব্যবস্থার একটা নিশ্চিত ভূমিকা আছে। এই হাটবাজারে কেনা-বেচা করেই তো মানুষ এতো উন্নতি করে ফেলেছে। আমরা এই কারনেই গরু-গাধা-বাঘ সবাইকে পিছে ফেলে চূড়োতে উঠে গেছি। সেই চূড়োতে আমাদের সম্প্রদায় বিশাল একাকীত্ব নিয়ে বাঁচে। এই মার্কেটপ্লেসে মানুষ বড় একা।

রজার ওয়ার্টস বলেছেন –

It’s a Miracle
Another Miracle
By the grace of God Almighty
And the pressures of the marketplace
The human race has civilized itself
It's a miracle (Roger Waters/Amused Till Death)

আমি প্রতি সকালে মিরাকল দর্শনের পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থার চাপটাও অনুভব করি।

।।২।।

ঘর থেকে বেরুলেই হিউলার্ড-প্যাকার্ডের অফিস। সংক্ষেপে এইচপি। ওই অফিসের ভেতরের রাস্তাটা আমার জন্য শর্টকার্ট। সকালবেলা ওই রাস্তাতে ঢুকলে মনে হয় পথ ভুলে ভারতবর্ষে চলে এসেছি। মার্কিন হাইটেকে প্রচুর ভারতীয় কর্মী কাজ করেন। বাজার ব্যবস্থার সাথে ওনারা খুব ভালো খাপ খাওয়াতে পারেন। মার্কিন দেশে আসলে মার্কিনিদের মতো হাব-ভাব করেন। এনএফএলের (NFL) খবর রাখেন। কলেজ ফুটবল দেখেন। আরব দেশে গেলে ওনারা আরবি আচরণ করেন কিনা কে জানে। খাপ খাওয়াতে পারা এই বাজারে খুব প্রয়োজনীয় একটি গুন। আমরা বাংলাদেশিরা খুব বেশি ভালো পারি না এটা। কোথায় কোন খাবারের মধ্যে শূকরের মাংস লুকিয়ে আছে কিনা এই গবেষণাতে দিনের অনেকটা সময় পার করে দেই।

ভারতীয়দের হাইটেক কর্মীদের মধ্যে প্রায় দক্ষিণ ভারতীয়দের আধিক্য লক্ষ্যনীয়। ওনারা “এইচ”-কে বলেন “হেইচ”। এইচপি হয়ে যায় হেইচপি। যেই ভিসা নিয়ে ওনারা এই দেশে কাজ করতে আসেন – সেই ভিসাটা হচ্ছে হেইচ ওয়ান বি ভিসা। ওদের প্রায় সবার ডাক্তার হচ্ছেন ডক্টর হেইচ মাথুর। জিজ্ঞেস করলে হয়ত জানা যাবে ওদের প্রিয় লেখক হেইচ জি ওয়েলস।

ওনাদের জীবন হেইচময়।

চলতি পথে আমি বাজার নিয়ে ভাবি। বাজার ব্যবস্থার ভালো দিকগুলো দেখি। রবীন্দ্রনাথও এই মার্কেটপ্লেসে ছিলেন। টাকে চুল গজানোর তেলের বিজ্ঞাপনের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। চিঠি-পত্র যা লিখতেন সবগুলোই পরে প্রকাশিত হতো। সব লেখার কপি রাখতেন। এই যুগ হলে ওনার বেশ কয়েকটা বড় সড় এক্সটারন্যাল হার্ড ড্রাইভ থাকতো, বাথরুমে বসে বসে ভাবা কবিতা আইফোনে রেকর্ড করে রাখতেন।

ওনার জীবনটা বাজারে উন্মুক্ত ছিল দেখে মানুষটাকে মহামানবের আড়ালেই থাকতে হয়েছে। রাহুর প্রেমের মতো কবিতা লিখে বন্ধুকে লিখতে পারেন নি – দোস্ত পুরা মায়েরে বাপ একটা কবিতা নামাইছি।

তবে এই যুগে হলে অবশ্য রবীন্দ্রনাথ মিলিয়ন ডলার মার্কেটিং এর পণ্য হতেন। বাংলালিঙ্কের বিজ্ঞাপনের সুন্দরী মডেলদের সাথে ওনাকে ফোন হাতে দেখা যেত সেই সাথে সপ্তাহে গোটা দুয়েক টক-শো’তে। বিজ্ঞান থেকে শুরু করে খেলাধূলা অথবা ধর্ম থেকে শুরু করে রাজনীতি সকল বিষয়ে ওনাকে কিছু কিছু না কিছু বলতে হতো। চ্যাটরুমে ওনার আলাপ – “ভানুসিংহ ঠাকুরের অপ্রকাশিত চ্যাট” নামে প্রকাশিত হতো…এই ভেবে মাঝে মাঝে আমি শিউরে উঠি।

ভাগ্য ভালো উনি এই সময়ে জন্ম নেন নি। সেই সময়ে মানুষের মার্কেটিং স্কিল এই পর্যায়ের ছিল না। এই আলোকিত মুক্তবাজারে ওনাকে কতবার যে কতভাবে বেচা হতো তার কোন ইয়াত্তা নেই।

।।৩।।

মার্কিন দেশ এখন নির্বাচনমুখী।

২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ওবামার ক্যাম্পেইনে সামান্য কিছু চাঁদা দিয়েছিলাম। বদলে দিতেও পয়সা লাগে যে। উনি এর পর আমাকে ভুলেননি। আমাকে নিয়মিত টেক্সট মেসেজ পাঠান এখনো। প্রথমে সেই টেক্সট দেখে মেয়েরা উত্তেজিত ও গর্বিত হয়েছিল। দেখা গেল উনি এখনো আমার কাছে রেগুলার ভিত্তিতে টাকা-পয়সা চান।

ওবামার এহেন আচরন দেখে ওবামার ব্যাপক সমর্থক দুই মেয়ে একটু দমে গেছে। ওরা এখনো রূপকথাতে বাস করে – আধুনিক বাজারময় জগতের থেকে অনেক দূরে সেটা। ওবামা সেই রূপকথার দেশের দরদী রাজা। তিনি দেশের মানুষের সব দুঃখ-দুর্দশা দূর করে দেবেন সেই আশা তারা রাখে। সেই কাজ করতে গেলেও যে রমনি সাহেবকে হারিয়ে আবারও নির্বাচিত হতে হবে। কর্পোরেশন থেকে শুরু করে ধর্মান্ধ সবাইকে তুষ্ট করতে হবে। সেই প্রচারণা চালাতে অর্থের প্রয়োজন আছে - এই সব জাগতিক তথ্য তাদের বিচলিত করে।

অথচ আমার মেয়েদের ধারণা ছিল উনি টাকা ঝুলি নিয়ে বসে আছেন দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সাহায্য করার জন্য। প্রেসিডেন্ট কেন মানুষকে টাকা দেওয়ার বদলে টাকা চাইছেন সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই। চাহিদার প্রতিটা জিনিস কেন পাওয়া যায় না সেটাও ওদের বোঝানো মুশকিল। আর অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলে যে ব্যাংকও টাকা দেয় না – এটা রীতিমতো “নট ফেয়ার” একটা ব্যাপার মনে হয় ওদের কাছে।

মানুষও প্রকৃতির সন্তান – বাকিদের মতো এরাও জন্মগতভাবে বাজার বিমুখী। আমরাই ঠেলেঠুলে এদের বাজারে পাঠাই। আমিও জীবনে প্রথম বাজারে ঢুকেছি চব্বিশ বছর বয়েসে। তাও নিজে থেকে নয়, আম্মার চাপে পড়ে আব্বার সাথে কাওরান বাজারে যেতে হয়েছিল। মেয়েদেরকে এই মার্কেটপ্লেস, নির্বাচনের নিয়মকানুন আর বাস্তবতা বুঝাতে গেলে আমার নিজেরই মাঝে মাঝে মনে হয় ব্যাপারগুলো ঠিক “ফেয়ার” নয়।

।।৪।।

এই দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষ খুব বেশি ভাবে বলে মনে হয় না। মার্কিনিরা চায় তাদের প্রেসিডেন্ট ধর্ম-কর্ম করবে, মিথ্যা বলবে না, চরিত্রবান ফ্যামিলি ম্যান হবে। বিয়ের সময় এইসব গুণাগুণ খোঁজা যেতে পারে কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন এইগুলো?

রক্ষণশীল শব্দটার সাথে আমার মার্কিন দেশে এসে নতুন পরিচয় হয়েছে। মার্কিন দেশে আসার কিছু পরে “কনসার্ভেটিভ” পরিচয়দানকারী এক ভদ্রলোক আমাকে তাঁর বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ওনার বউয়ের বোরখা পরে অন্দর মহলে থাকা উচিত অথচ দেখলাম রীতিমত খাটো শর্টস পরা এক মহিলা।

ধীরে ধীরে রক্ষণশীল মানে বুঝলাম। এর অর্থ হচ্ছে যে ব্যক্তি গর্ভপাত করলে খুব রাগ করেন, ভেতরে ভেতরে অন্য দেশের লোক এবং সমকামীদের অপছন্দ করেন, বাসায় নানান পদের বন্দুক রাখেন, চার্চের কথাকে বেদবাক্য মনে করেন, অন্য দেশকে বোমা মেরে তামা তামা করে দিয়ে আনন্দ পান। নিজের দেশ বাঁচলো কি মরল সেই নিয়ে আর কোন ভাবনা নেই। এই সব করে তারা ঈশ্বরের নৈকট্য কামনা করেন। প্রত্যেকের ঈশ্বরই মনে হয় তার নিজের মত হয়। দালাই লামার ঈশ্বর শাক দিয়ে ভাত খেয়ে সুখে থাকতে উপদেশ দেয় আর জর্জ বুশের ঈশ্বর এফ-১৬ নিয়ে ধেয়ে আসে।

এই মতের লোকজনে মার্কিন দেশ ভর্তি এবং নির্বাচনের বাজারে এদের সমর্থন মূল্যবান। দেশ ভর্তি রক্ষণশীল মানুষ নিয়েও আমেরিকা কিভাবে বিশ্বে এক নম্বর স্থানটা ধরে রেখেছে? পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাজারটা এইখানেই যে…বাজারের শক্তি আমাকে বিস্মিত করে প্রতিদিন।

।।৫।।

এক সময়ে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে চাইতাম। এখন ওইসব ঝামেলা আর ভালো লাগে না। আমার বয়েসী অনেকের সাথে আলাপ করে দেখেছি সবারই আমার মতোই দশা। সব্বাই এখন কাজ করেন বিল দেওয়ার জন্য। আমিও সেই লক্ষ্যে কাজে লেগে থাকি প্রতিদিন। ছোটবেলাতে লেখা “এইম ইন লাইফ” রচনা নিদারূন মিথ্যে হয়ে গেছে। আমাদের লেখা উচিত ছিল জীবনের লক্ষ্য নানান বিল শোধ করা।

মানুষকে ক্রমে ক্রমে টাকা বানানোর মেশিনে পরিণত করাটাই হচ্ছে এই বাজারের লক্ষ্য। টাকা বানানোর মেশিনের সংখ্যা যতবেশি হবে বাজারটা ততই বড় হবে। বাজারের আকারটা যত বড় হবে আমরা হয়ত ততই সভ্য হয়ে উঠব। দেশের প্রতিটা মানুষ যেদিন এই যন্ত্রে পরিণত হবে, সেই দিন দেশ থেকে দুঃখ-দুর্দশা সব অদৃশ্য হয়ে যাবে।

কাজেই বাজার থেকে বেরুবার আর উপায় নেই। যদিও মার্কিনদেশের বাজার এখন নিম্নগামী। এই কারণেই হয়ত শহরে এখন ভিক্ষুকের আধিক্য অনেক বেশি। কথ্যভাষায় এদের বলে বাম (bum)। বিভিন্ন দুঃখের কথা বলে এরা মানুষের কাছ থেকে পয়সা নিয়ে মদ্যপান করে। আমার চেনা একজন বাম আছে। সে অবশ্য ভণিতা করে না - বিয়ার খাওয়ার জন্যই পয়সা চায়। আমিও সততায় মুগ্ধ হয়ে টাকা দেই। ভাবছি ঝামেলা কমিয়ে একবারে বিয়ার কিনে ওকে ভিক্ষে দেব।

বাজারে প্রবেশ না করতে চাইলে নিশ্চিতভাবেই ওদের পাশে দাঁড়িয়ে গিয়ে মিথ্যা কথা বলতে হবে। আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে প্রতি সকালবেলা আমার কাজে যাওয়ার প্রেরণা কি? – আমি অবশ্যই ব্রেকার লেইন আর মোপ্যাকের সংযোগস্থলে দাঁড়ানো ভিক্ষুকদের কথা বলব।

মানুষের পক্ষে প্রকৃতির সন্তান হওয়াটা অত সহজ নয়, বিড়ালদের পক্ষে অনেক অনেক সহজ সেটা। গুহা থেকে বের হয়ে ইন্টারনেট আবিষ্কার করাটা আমাদের বিরাট ভুল হয়েছে। আমরা এখন আরো বড় গুহাতে বাস করি, তাও আবার পকেটের পয়সা খরচ করে। প্রকৃতির ধারে-কাছে নেই আমরা - সুতরাং মানুষ হলে কিছু কাজ কর্ম করতে হবে ভায়া – নইলে…

বাজারের জয় হোক…

।।৬।।

“আব্বু হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট টু বি ইন ইউর নেক্সট লাইফ?”

আমি হঠাৎই ধড়ে প্রাণ পাই। পরজন্মে আমিও বিশ্বাস করি। ওটাই তো টানেলের শেষে টিমিটিম করে জ্বলতে থাকা ৪০ ওয়াটের বাতি।

পরজন্মে আমি এই বাজার থেকে বহুদূরে থাকবো। আমরা পরজন্ম নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা শুরু করি।

ঠিক হলো যে আমি আর ছোট মেয়ে ছোট বিড়াল হয়ে জন্ম নিব। আমাদের রঙ হবে সাদা-কালো। আমার বড় মেয়ে হবে ধবল রাজহাঁস।

তবে পরজন্ম বলে কিছু থাকলে ঝুঁকিও আছে। বলা যায় না – হয়ত পাকিস্তানে জন্ম নেব। পেট সমান দাড়ি নিয়ে আর আকাশ সমান মূর্খতা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় বিপ্লব করব।

এই জন্মের পাকিস্তানি ছাপ মুছতে পেরেছি, আগামী জন্মে যদি না পারি?

তাই এই বাজারময় জীবনটাকে আঁকড়ে ধরি প্রাণপণ। যা পেয়েছি, যা দেখেছি তার তুলনা নাই।

তবে বাজারের হাত থেকে বাঁচার জন্য কিছু কিছু বোকা লোক বেশ ভালো উপায় বের করেছে। তারা কবিতা নামক একটা দুর্বোধ্য জিনিস আবিষ্কার করেছে। এই জিনিস ঠিকমতো না বোঝা গেলেও রাতে খাওয়ার পরে দুই ডোজ পেটে গেলে বিষণ্ণতা প্রতিরোধ করতে সেটা বেশ কিছুটা সাহায্য করে। অতিসেবনে কোষ্ঠবদ্ধতা ছাড়া আর কোন সাইড এফেক্ট আমার চোখে পড়েনি।

তাই প্রায় সব লেখার শেষেই আমি একটি করে কবিতার অংশ দেই। এইবার একটু ব্যতিক্রম করলাম। পুরো একটি কবিতাই তুলে দিলাম। জাদুকরের সমান ক্ষমতাধর এই মানুষটা আমার কৈশোরে রাজত্ব করতেন। সম্প্রতি তিনি এই রাজ্যের পাট চুকিয়ে চলে গেছেন দূরদেশে। আলস্যের কারণে তাঁর লেখা আর পড়তে পারি না কিন্তু তাঁর কবিতাগুলো আমাকে মাঝে মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে যায় এক ধূ ধূ খোলা মাঠে। সেই মাঠের উপরের আকাশজুড়ে তুমুল কালো মেঘ। এই হাটবাজারে বাস করেও আমি সেই মেঘ দেখতে পারি। আশংকার মাঝেই তাই আশা জেগে থাকে।

আশা আর আশংকা নিয়ে বেঁচে থাকুন এই বাজারে।

উত্তরাধিকার
_________ সুনীল গঙ্গোপাধ্যয়

নবীন কিশোর, তোমায় দিলাম ভূবনডাঙার মেঘলা আকাশ
তোমাকে দিলাম বোতামবিহীন ছেঁড়া শার্ট আর
ফুসফুস-ভরা হাসি
দুপুর রৌদ্রে পায়ে পায়ে ঘোরা, রাত্রির মাঠে চিৎ হ’য়ে শুয়ে থাকা
এসব এখন তোমারই, তোমার হাত ভ’রে নাও আমার অবেলা
আমার দুঃখবিহীন দুঃখ ক্রোধ শিহরণ
নবীন কিশোর, তোমাকে দিলাম আমার যা-কিছু ছুল আভরণ
জ্বলন্ত বুকে কফির চুমুক, সিগারেট চুরি, জানালার পাশে
বালিকার প্রতি বারবার ভুল
পরুষ বাক্য, কবিতার কাছে হাঁটু মুড়ে বসা, ছুরির ঝলক
অভিমানে মানুষ কিংবা মানুষের মত আর যা-কিছুর
বুক চিরে দেখা
আত্মহনন, শহরের পিঠ তোলপাড় করা অহংকারের দ্রুত পদপাত
একখানা নদী, দু’তিনটে দেশ, কয়েকটি নারী —
এ-সবই আমার পুরোনো পোষাক, বড় প্রিয় ছিল, এখন শরীরে
আঁট হয়ে বসে, মানায় না আর
তোমাকে দিলাম, নবীন কিশোর, ইচ্ছে হয় তো অঙ্গে জড়াও
অথবা ঘৃণায় দূরে ফেলে দাও, যা খুশি তোমার
তোমাকে আমার তোমার বয়সী সব কিছু দিতে বড় সাধ হয়।

##########


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মনখারাপ করা লেখা। আপনি স্যাডিস্ট হয়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

আরে না না, আশংকার সাথে আশার কথাও বলেছি তো।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বপ্নহারা এর ছবি

স্যাডিস্ট? চোখ টিপি ড্রাইছি! : খাইছে

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভালো লাগলো।
আমি এক বাঙালি ভদ্রলোককে চিনি, যিনি বিলেতে পড়ালেখা করেছেন - হেইচ আর -এ।

তাসনীম এর ছবি

হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

মানুষ ছাড়া আর কোন প্রাণীকে সকালে অফিসে বা স্কুলে যেতে হয় না। অফিসের ব্যাপারটা প্রকৃতির গ্র্যান্ড ডিজাইনে নেই। সঙ্গত কারণেই নেই। এগুলো বোরিং জিনিস। এই মহাবিশ্বের ডিজাইনাররা আমার অফিসের মোটা মোটা ইঞ্জিনিয়ারদের মতো বোরিং নয়।

অফিস আসলেই বোরিং!

তাসনীম এর ছবি

হুম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সত্যপীর এর ছবি

আপনার আর চরম উদাসের লেখার শেষ প্যারাগ্রাফ পড়তে ইদানিং ভয় লাগে, শুধুই বিষাদের সুর। ভাবতেসি আপনাদের পরের লেখাগুলো থেকে এন্ডিং বাদ দিয়ে পড়ব চিন্তিত

..................................................................
#Banshibir.

তাসনীম এর ছবি

চরম উদাস পর্যন্ত বিষাদগ্রস্ত, দুনিয়ার অবস্থাটা কি করলাম আমরা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

অ্যাঁ , আমি বিষাদগ্রস্ত !!! কক্ষনো না। পাবলিকে আড়ালে আবডালে বলাবলি করতে পারে আমার লেখায় ভর নাই, তাই লেখায় ভর আনার জন্য একটু ভাব ধরি মাঝে মধ্যে । নাইলে তো লেখা হালকা হতে হতে আকাশে উড়ে যাবে গা খাইছে

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

লেখা -গুড়- হয়েছে

---------------------
আমার ফ্লিকার

তাসনীম এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ধনে পাতার সাইজ ছোট করে হয়েছে মনে হয়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

চরম উদাস এর ছবি

পড়ুম না এখন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নীড়পাতায় আপনি, হিমু, ষষ্ঠপাণ্ডব , মুখফোড় আর সুহান এর পোস্ট দেখে মনডা বড় ভালো হয়ে আছে। আপাতত ভালো মন উদাস করতে চাইনা চিন্তিত

তাসনীম এর ছবি

হাসি মোস্ট ওয়েলকাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দ্যা রিডার এর ছবি

বেশ লিখেছেন হাসি

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

এক বন্ধুর কাছে একটা গল্প শুনেছিলাম। বন্ধুটি আফ্রিকায় যাচ্ছে, বিমানে সহযাত্রী এক বাঙালি ভদ্রলোক। নাম জিজ্ঞেস করাতে তিনি বললেন, তার নাম ওশেন। আমার বন্ধু চমৎকৃত! এ তো দেখি আধুনিক বাবা মায়ের ছেলে। সেই কোন আমলে পয়দা হওয়া ছেলের নাম মহাসাগরের নামে রেখে দিয়েছেন? কিন্তু একটু খটকা লাগায় সে জিজ্ঞেস করল, ভাই আপনার নামটা স্পেল করেন কিভাবে? ভদ্রলোক বলছিলেন, "হেইচ ও .................."

আপনার মন মনে হয় বেশি খারাপ। শেয়ার করলে নাকি দুঃখ কমে, আপনার কি সেটা হয়েছে?

তাসনীম এর ছবি

হাসি

মন খারাপ নয়। মাঝে মাঝে অসহ্য লাগলে লিখতে আরাম পাই।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শমশের এর ছবি

অসাধারণ তাসনীম ভাই। গুরু গুরু
আজ সচলায়তনের ঈদ উৎসব চলছে। একসাথে অনেকগুলো চমৎকার লেখা পাওয়া গেল।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ শমসের।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কালো কাক  এর ছবি

ঠিক তাই ! পত্রিকার (অতীত) ঈদ বিশেষ সংখ্যার মত একগাদা ভালো লেখা একসাথে !

এহসান নাজিম এর ছবি

দারুন বন্ধু ... দারুন বন্ধু ..তোর মত যদি লিখতে পারতাম!

তাসনীম এর ছবি

মন্তব্যে প্রিয় বন্ধুকে পেয়ে দারুণ ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে অভ্র শিখে ফেলেছিস। তাহলে লিখতে বাধা কোথায়?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

গৃহবাসী বাঊল এর ছবি

হেইচ ই ভি ভি হোয়াই হইছে হাততালি
বস, যদি কিছু মনে না করেন, ছোট্ট একটা টাইপো;
২ এর প্রথম বাক্য

ঘর থেকে বেরুলেই বেরুলেই

দু দূ বার করে বের হয়ে গেছেন।

আশা করি কিছু মনে করেন নাই। করলে মাফ করে দিয়েন।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি এখন আর ওই জিনিস বের হয়ে নেই হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ফারাসাত মাহমুদ এর ছবি

যদি কিছু মনে না করেন আরেকটা টাইপো আমি উল্লেখ করি -

"It's a Miracal" - এখানে মনে হয় Miracle হবে।

আর আপনার লেখার ব্যাপারে নতুন করে কিছুই বলার নেই। যে কয়েকজন মানুষের লেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করা হয় আপনি তাদের মধ্যে অন্যতম। আপনার এবং আপনার পুরো পরিবারের ভালো হোক। শুভাশীষ জানবেন। হাসি

তাসনীম এর ছবি

বানান ঠিক করলাম। অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পেট সমান দাড়ি আর আকাশ সমান মূর্খতা -- এটা পড়ে আর হাসি চেপে রাখতে পারলাম না। এত বাস্তব!

লেখা চমৎকার লেগেছে। আসলেই আমরা একটা বড় গুহায় ঢুকে পড়েছি। হয়তো এর পর আরো বড় কোন গুহায় ঢুকে যাবো।

স্যাম এর ছবি

চলুক

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অনেক আস্তে ধীরে পড়লাম। এক অনুচ্ছেদ পড়ি, এরপর গিয়ে ফেসবুক নাইলে আইএমডিবি গুঁতাই। তাও এক সময় শেষ হয়ে গেলো।

তাসনীম এর ছবি

সব কিছুই শেষ হয়ে যায়। ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

নিজেকে সরলভাবে বোঝ

"জ্ঞানকে নির্বাসনে পাঠাও, বুদ্ধিকে করো বিতাড়ন,
মানুষ তবেই হবে শতগুণে লাভবান।
নিজের সহজ অনুভূতিকে করো বিকশিত,
তোমার নিজের যা প্রকৃতি তাকেই আঁকড়ে থাকো।
স্বার্থপরতা সংযত করো,
ইচ্ছার লাগাম টেনে ধরো।"

সমাজের নিয়মকানুন ও সভ্যতার উন্নয়নের চাপে পড়ে যা কিছু সৎ ও শুভ তা বিলীন হয়ে যায়।
কৃত্রিম বন্ধন হতে মুক্তিকামী মানুষ প্রকৃতির সহজ পথ খুঁজবে।
জ্ঞানীর পথ জীবের অন্তরের পথ।

'লাও-ৎসু

লেখা উমদা হয়েছে।

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্বপ্নহারা এর ছবি

গুরু!! কেমন বিষাদে ভরায়ে দিলেন!! মন খারাপ

আপ্নে দিন দিন ফিলোসোফার হয়ে যাচ্ছেন!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

তাসনীম এর ছবি

ছোটবেলায় আমার নানা আমাকে ফিলোসফার বলতেন - বহুদিন পরে কেউ মনে করায়ে দিল হাসি লেখাটা অবশ্য বিষাদ তৈরির উদ্দেশ্যে লেখা নয়।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মণিকা রশিদ এর ছবি

মানুষের পক্ষে প্রকৃতির সন্তান হওয়াটা অত সহজ নয়, বিড়ালদের পক্ষে অনেক অনেক সহজ সেটা। গুহা থেকে বের হয়ে ইন্টারনেট আবিষ্কার করাটা আমাদের বিরাট ভুল হয়েছে। আমরা এখন আরো বড় গুহাতে বাস করি, তাও আবার পকেটের পয়সা খরচ করে। প্রকৃতির ধারে-কাছে নেই আমরা - সুতরাং মানুষ হলে কিছু কাজ কর্ম করতে হবে ভায়া – নইলে…

লেখাটা বিষন্ন করে দিল!

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

তাসনীম এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বিষণ্ণ করার ইচ্ছে ছিল না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কড়িকাঠুরে এর ছবি

দারুণ... হাসি

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনাকে না মন খারাপ করতে নিষেধ করলাম, তাসনীম ভাই। এরপর কথা না শুনলে ল্যাং মেরে ফেলে দিব খাইছে

তাসনীম এর ছবি

পরের বার হালকা কিছু দেব এই প্রতিজ্ঞা করছি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

জোরে মাইরেন। খাইছে

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাফিনাজ আরজু  এর ছবি

কিছু কিছু লেখা মনের গভীরে কোথায় জানি একটা ঢিল ছুঁড়ে দেয়। কিসের একটা তরঙ্গ ঘুরতে থাকে মন জুড়ে, আপনার লেখাটা পড়ে বিষাদের সেই তরঙ্গটা অনুভব করলাম ভিতরে।।
এমনিতে মন খারাপ ছিল, দেখা যাক- বিষে বিষক্ষয় হয় কিনা এবার!

আপনার সব লেখায় যে বড্ডও ভালো লাগে, নাইবা জানালাম।
ভালো থাকবেন নিরন্তর!

তাসনীম এর ছবি

আপনিও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কৌস্তুভ এর ছবি

লোকজন আপনাকে এত বকা দিচ্ছে কেন? আমার তো দিব্যি ভাল্লাগলো, মন কিচ্ছু বিবাগী হয়নি... দেঁতো হাসি

তাসনীম এর ছবি

যাক বাবা কাউকে পাওয়া গেল। আসলেই বিষণ্ণ করা উদ্দেশ্য ছিলনা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাবেকা  এর ছবি

চলুক

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পুতুল এর ছবি

এসব কানার হাট বাজার গো দাদা, কানার হাট বাজান।
এই হাট বাজারে বেঁচা-কেনা করে কাঁদবে নিদান কালে।
কিন্তু সমস্যা হল ব্যাপারটা কাউকে বোঝাতে পারি না।
কিণ্ডার গার্টেন থেকে মেয়েকে নিয়ে বউয়ের ফরমাস মতো বাজার করতে যাই। মেয়ের পেটে ক্ষিধা। রুটি নিয়ে খাওয়া শুরু করে দাম দেয়ার আগেই। বুড়ি দৌরে ক্যাশিয়ারের কাছে নালিশ করতে যায়। পয়সা না দিয়ে বাচ্চা রুটি খাচ্ছে! ক্যাশিয়ারনী হেঁসে বলে; দেখুন কত পাজী খদ্দের! রুটি থেয়ে মজা লাগলে তবে কিনবে!

সে দিন আর নেই। এখন কিনে খেয়ে মজা না লাগলে; কী কারণে মজা লাগলনা, তা বলতে হবে। অবশ্য রুটিতে কোন গ্যারান্টি নেই। সবাই বেস্ট কোয়ালিটি বিক্রি করে। মেয়েকে হাট বাজার খেলা শেখাতে হবে।

মায়াময় সকাল আর পাইনে কত্তা। মেয়ে বায়না ধরে বাপের কাঁধে উঠে কিণ্ডার গার্টেনে যাবে। তেলের যা দাম তাতে ব্যাপারটা মন্দ না। কিন্তু সকালে উঠে এক কাপ কফি খাওয়ার মওকা পেলে সকাল দেখে দিনটাকে ক্ষমা করতে পারতাম। তারও উপায় নেই।

বিলের পুরণ করা চেক ব্যাংকের বিল বাক্সে জমা দিতে গিয়ে দৌড়ে উপ্রে গাড়ি রেখেছি পঙ্গুদের পার্কিং লনে। তিরিশ সেকেণ্ডের ব্যাপার। আজকে আবার নতুন বিল পেয়েছি ৬০ উইরো জরিমানা, কারণ পঙ্গুদের পার্কিং লনে পার্ক করেছি। কাজে না গেলে বিল কী করে দেব। বিল দেয়ার জন্যই কাজে যাই। কাজে যাওয়ার জন্য বিল দেই।

নতুন সরকার কত কথা দিয়েছে। কত কাজ করেছে! আঁচলকে ১০০ উইরো দিয়েছে। অবশ্য আমি নতুন গাড়ি কিনতে পারলে দিতো ২৫০০ ইউরো। সবই কেনার হাট বাজার।

কত্তার (যার কবিতা আপনার লেখার শেষে) অনেক লেখা খুব পড়ে মনে হয়েছে; কী জন্য বইটা লিখলেন! একদম কোন মানে নেই!

কিছু লেখা মনে হয় আমার জন্য বা সব মানুষের জন্য লিখেছেন। তিনিও তো হাত হদাই করেই গেছেন। একটা ব্যাপার কিন্তু ঠিক; কেউ কথা রাখেনি।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তাসনীম এর ছবি

এক বাজারির দুঃখ অন্য বাজারিই বোঝে।

মায়াময় সকাল আর পাইনে কত্তা। মেয়ে বায়না ধরে বাপের কাঁধে উঠে কিণ্ডার গার্টেনে যাবে। তেলের যা দাম তাতে ব্যাপারটা মন্দ না। কিন্তু সকালে উঠে এক কাপ কফি খাওয়ার মওকা পেলে সকাল দেখে দিনটাকে ক্ষমা করতে পারতাম। তারও উপায় নেই।

উপায় হচ্ছে আরও একটু সকালে ওঠা। এক কাপ কফি খেতে খেতে সূর্যোদয় দেখে সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেখুন, ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

বিলের পুরণ করা চেক ব্যাংকের বিল বাক্সে জমা দিতে গিয়ে দৌড়ে উপ্রে গাড়ি রেখেছি পঙ্গুদের পার্কিং লনে। তিরিশ সেকেণ্ডের ব্যাপার। আজকে আবার নতুন বিল পেয়েছি ৬০ উইরো জরিমানা, কারণ পঙ্গুদের পার্কিং লনে পার্ক করেছি। কাজে না গেলে বিল কী করে দেব। বিল দেয়ার জন্যই কাজে যাই। কাজে যাওয়ার জন্য বিল দেই।

এটা করলে অবশ্য জরিমানার সম্ভবনা প্রায় ষোল আনা। অনলাইন বিল পে'র বন্দোবস্ত নেই?

কত্তার (যার কবিতা আপনার লেখার শেষে) অনেক লেখা খুব পড়ে মনে হয়েছে; কী জন্য বইটা লিখলেন! একদম কোন মানে নেই!

কিছু লেখা মনে হয় আমার জন্য বা সব মানুষের জন্য লিখেছেন। তিনিও তো হাত হদাই করেই গেছেন। একটা ব্যাপার কিন্তু ঠিক; কেউ কথা রাখেনি।

পুরোপুরি একমত। কত্তা অনেক বালছাল লিখেছেন, সন্দেহ নেই। মার্কেটপ্লেসের ব্যাপারটা জানতেন উনি। তাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মতো দুটো বই না লিখে হাত খুলে লিখেছেন - ওইটা ওনার পেশাও ছিল বটে। প্রচুর রদ্দিমাল দিয়েছেন আবার প্রচুর উৎকৃষ্ট লেখাও দিয়েছেন। ব্যাপারটা চাকরির মতো সিরিয়াসলি নিয়েছেন দেখেই সেটা সম্ভব হয়েছে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মন মাঝি এর ছবি

চলুক

****************************************

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

তাসনিম ভাই, আপনি একটা বস। গুরু গুরু । দুপুরেই পড়েছি, মন্তব্য করতে দেরী হল।

অনেক ভালো লাগলো পড়ে। আপনার লেখা পড়তে আসলে মজা লাগে, মজা পাই। ভালো থাকবেন।

অমি_বন্যা

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ অমি_বন্যা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সিদ্ধার্থ মহারাজের গুহাবাসের পেছনের বাজার নিয়ে কিছু বললেন না! মন খারাপ

তাসনীম এর ছবি

বাজারের ভয়ে উনি গৃহত্যাগ করেছিলেন নাকি? তাহলে এটাও তো বাজারের ভালো দিক।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

কনফুসিয়াস এর ছবি

অজি-রাও কিন্তু এইচকে হেইচ বলে। এবং এতদিন বাদে আমারও অভ্যাস হয়ে গেছে তাই। এটা কি তবে বৃটিশ একসেন্ট?
সচলেই একবার ব্লগ লিখতে গিয়ে কেন জানি হেইচ লেখার দরকার পড়লো, প্রথমে হেইচ লিখে পরে আবার এইচ করে দিলাম। আবার মনে হলো, কী দরকার, যা বলি তা-ই তো লেখা উচিৎ, পরে আবার হেইচ-এ ফেরত গেলাম। হাসি

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

অজি-রাও কিন্তু এইচকে হেইচ বলে

ঠিকতো! মনেই ছিলোনা অজিদের থেকে শুনে শুনে আমিও এখন 'হেইচ কনভার্টেড'

তাসনিম ভাই, এইচ / হেইচ অংশটা পড়ার পরে দৌড়ে আয়নাতে নিজের খোমা দেখে চেক হলাম যে আমাকে আবার রজনীকান্তের মতন লাগে কিনা দেঁতো হাসি

সাবেকা  এর ছবি

ব্রিটিশ ইংলিশেও 'হেইচ' বলে কিন্তু হাসি

তাসনীম এর ছবি

হাসি দক্ষিণের মতো অতো জোরালো বলতে পারে না। আমার এক বৃটিশ সহকর্মী ছিল চেক করে দেখেছিলাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তাসনীম এর ছবি

তাই নাকি! আমার নিজে ভাইও অজিতে হিজরত করেছে। চেক করে দেখতে হবে হাসি

তবে দক্ষিণ ভারতীয়দের হেইচ বড় জোরালো - অত জোর বৃটিশ আর অজিদের নেই।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বৃটিশরা সাইফুর'সে আংরেজী কোর্স করা, সেইজন্য জোর কম। কিন্তু অজিদের আংরেজী ভুলেও শুনতে যাইয়েন না তাসনীম ভাই। মাথা চক্কর খেয়ে পড়ে যাবেন। এগোরে সাইফুর'স বিশেষ অফার আর স্পেশাল কেয়ার দিয়েও লাইনে আনতে পারবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

ডিগ্রী অর্জন বা কেরিয়ারে উপরে উঠার সিঁড়ি সব ছাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের ফাঁদ, বিল পেমেন্ট সব মিলিয়ে বাজারের একটা উপাদান হয়ে বেঁচে থাকা। কখনো সের দরে গুঁড় কিনে সুখ পাওয়া, কখনোবা গন্ডা দরে পেঁপে--মেপে মেপে পথ চলতে চলতে জীবন একসময় থেমে যায়, কেউ কথা রাখেনা, এমনকি ছোটবেলায় স্কুলের খাতায় লেখা জীবনের লক্ষ্য শত প্রচেষ্টার পর বাজারে ভিড়ে হারিয়ে যায়।

ভাল লাগলো তাসনীম ভাই লেখা -গুড়- হয়েছে

দিবাকর

তাসনীম এর ছবি

হুম জগৎজোড়া মুক্তবাজারের ফাঁদ।

ধন্যবাদ দিবাকর।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মারভিন এর ছবি

অনেক বছর কামলা দেয়ার জন্য উঠে কাজে যেতে হয়েছে আর দেখা হয়েছে অনেক রকম অনেক রঙের সূর্যোদয়, তাই আপনার সাথে একেবারেই একমত।
গত গ্রীষ্মে স্কুল থেকে হাসপাতালে ট্রেনিং নিতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছিলো। প্রথমে বাড়ির কাছে দিলেও শেষ মূহুর্তে তা বাতিল করে দিলো ৫০ মাইল দূরের আরেকটায়। ৭টায় হাজিরা দিতে হবে বলে ৫টায় কপালকে গালি দিতে দিতে বিছানা ছেড়ে ৬টায় রওনা হয়েছিলাম, কিন্তু যেতে যেতে মেঘের ফাঁক গলে উঠতে থাকা সূর্যটা দেখে দুঃখটা পুরোটাই গায়েব হয়ে গিয়েছিল। প্রফেসরকে বলেছিলাম, যে খালি এই একটা কারণেই আগামী ৩ সপ্তাহ মন্দ লাগবেনা।

তাসনীম এর ছবি

সূর্যোদয় বিনা পয়সা দেখা সেরা জিনিসগুলোর একটা।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

রাহুর প্রেমের মত কবিতা লিখে বন্ধু কে লিখতে পারেন নি দোস্ত পুরা একটা মায়রে বাপ কবিতা নামাইছি।

হেহেহে

রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।

তাসনীম এর ছবি

হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তিথীডোর এর ছবি

আমার বিবাগী ধাঁচের লেখাই ভাল্লাগে। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

তাসনীম এর ছবি

হাসি লেখাটাতো মজা মিশিয়েই লিখতে চেষ্টা করেছি, এখানে বিষণ্ণতা কিভাবে এতো আসলো?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

এখনো বালক  এর ছবি

ভাগ্যমান আপনি, দু দুটো মেয়ে ঘরে, পালছেন। তারপরও বিষন্ন কেন?

তাসনীম এর ছবি

বিষণ্ণ নই, আপনারাই চেপে ধরে বিষণ্ণ করে দিচ্ছেন দেখি হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মুস্তাফিজ এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে।
আপনার মেয়েরা ভাগ্যবান।

...........................
Every Picture Tells a Story

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

স্যাম এর ছবি

চমৎকার!!!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আপনার লেখাগুলো আমি মুগ্ধ বিস্ময়ে পড়ে যাই। শুধু পড়ে যাই। ছোট বেলায় পড়া প্রেজেন্ট পারফেক্ট টেনস এর সংজ্ঞা আপনার লেখার সাথে ঠিকঠাক মিলে যায়। "ইতোপূর্বে পঠিত হয়েছে কিন্তু তাহার প্রভাব এখনও বিদ্যমান"
আমার মনেহয়, সবসময়ই বিদ্যমান। ( ইদানিং যেটা হয়, কোন আগ্রহউদ্দীপক কিছু দেখলে আপনার কথা মনে হয় যে আপনি এই ঘটনাটি দেখলে কেমন করে বর্ণনা দিতেন।)

আমি এখনো আগের সিদ্ধান্তেই আছি; পলাশ গাছ হয়ে জন্মাতে চাই, তবে গতকাল সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের এক হাসিতে মুখর অশোক গাছকে দেখে মনটা অশোকের দিকে কিঞ্চিত ঝুঁকে পড়েছে। হাসি

তাসনীম এর ছবি

গাছও মন্দ না। ঝামেলা কম। বন জঙ্গলে জন্মালে মানুষের হাতে কাটা পড়তে হবে না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তাপস শর্মা এর ছবি

কাল রাতে গিলে এখন আবার... কত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো আবারও

একটু বিষণ্ণ। তবে আমার বিষণ্ণ লাগে নাই। কেননা বাজার ধরতে পারিনি এখনো দেঁতো হাসি তো এইবার মার্কিন মুল্লুক চাই। দিতি হপে পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ তাপস। কবে দিতে পারবো জানি না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

ক্লোন৯৯ এর ছবি

সব্বাই এখন কাজ করেন বিল দেবার জন্য

চলুক

যান্ত্রিকতার শেষ সীমায় মনে হয় আমরা। কবে যে আবার বিকাল হবে সবাই মাঠে হৈ হৈ করতে করতে ফুটবাল বা ক্রিকেট খেলবো। রাস্তার ফুটপাতে বা পাড়ার টঙ্গ দোকানে পা দুলাতে দুলাতে চা-সিঙ্গারা খাব।

তাসনীম এর ছবি

সেই দিন মনে হয় আর আসবে না মন খারাপ

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নিবিড় এর ছবি
তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারানা_শব্দ এর ছবি

সুন্দর হাসি

শ্রদ্ধা

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ। কিন্তু মোম কেন?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আমাদের লেখা উচিত ছিল জীবনের লক্ষ্য নানান বিল শোধ করা। চলুক

মুগ্ধ হয়ে পড়লাম বিষণ্ণ হৃদয়ে তবু............... মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পথিক পরাণ এর ছবি

জীবনের লক্ষ্য নানান বিল শোধ করা।

অসাধারণ তাসনীম ভাই।

আপনার বাম বন্ধুটারে বিয়ার কিনে না দিয়ে বরং এক ক্যান বিয়ার নিয়ে সোজা উনার টয়লেটের কমোডে ঢেলে দিলে উপকারটা আরও বেশি হবে মনে হয়। আলটিমেটলি ওটাতো কমোডেই যাবে! চোখ টিপি

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শাব্দিক এর ছবি

সিভিলাইজেশন পুরো ব্যাপারটাই প্রকৃতি বিরুদ্ধ।

চলুক
১০০% সহমত।

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।