১৯৭২ সালের পত্রিকায় দুটি লেখার খোঁজ পেলাম। প্রথমটি ২রা জানুয়ারী প্রকাশিত তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মেজর জিয়ার স্ত্রী, পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের একসময়ের প্রধানমন্ত্রী ও এই মুহুর্তে সন্ত্রাসী পদ্ধতিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আগ্রহী রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়ার পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া নিয়ে।
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। এই গ্রেফতারের ঘটনাগুলো নিয়মিত পত্রিকায় আসত। আমি ঠিক করেছি এগুলো যতটুকু পারি একত্র করব। দেখা যাক কতদূর যায়। একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে যতজনের খবর আসবে দালালের সংখ্যা তত নাও হতে পারে। কারণ অনেকের খবরই ইংরেজী ও বাংলা দুই ভাষার পত্রিকাতেই আসতে পারে।
১. বি. আর. মজুমদার - জানুয়ারী ১, ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
এই লেখাটি মূলত: আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু দলিলের স্ক্রিনশটের ডকুমেন্টেশন। স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এই লেখাগুলো পড়তে হবে।
ছোটোবেলা থেকে শুনে বড় হয়েছি, যে দেশে গুণীর কদর নেই সেই দেশে নাকি গুণী জন্মায় না। কথাটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয়, কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষজনের কার্যকলাপে বিশ্বাসটুকু ধরে রাখা দুষ্কর। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে ৩০ লক্ষ প্রাণ বিসর্জনে আমাদের যত না ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে হয়তো বেশি ক্ষতি হয়েছে ১৯৭১-এর ১৪ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবসে। নয়তো শিক্ষিত, সুশীল, বুদ্ধিজীবি, ইত্যাদি নামধারী কিছু ফাঁকিবাজ ও মেরুদণ্ডহীন মানুষের দৌরাত্ম্য থেকে বেঁচে যেতাম আমরা। এই বিরক্তি এবং বিবমীষার প্রেক্ষাপট হলো বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের সমর্থনে প্রায় ৫০ জন বুদ্ধিজীবির যৌথ বিবৃতি।
১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের প্রথম বিজয় দিবসে পত্রিকায় যেসব বিজ্ঞাপন এসেছিল সেগুলোতে এক নজর চোখ বুলালেই সেই সময় দেশের মানুষের আবেগ, আশা, স্বপ্নের ব্যাপারটি কিছুটা অনুভব করা যায়। আমি এরকম একশোর একটু বেশি বিজ্ঞাপন একত্র করেছি। তার মধ্যে যে আঠারোটি সবচেয়ে ভাল লেগেছি সেগুলো এখানে দিলাম। আপনার যদি অন্যগুলো আরো ভাল লাগে আপনিও আমার সংগ্রহ থেকে সেগুল
[justify]
সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯। পুরোনো ঢাকার বনেদী আবাসিক এলাকা ওয়ারীর ৩ নং নবাব স্ট্রিটের 'দি অগ্রনী প্রিন্টার্স' নামের একটি মুদ্রন প্রতিষ্ঠান থেকে মুদ্রিত হল একটি সাহিত্য সংকলন।
ইতিহাসবিমুখ জাতি হিসেবে কোথায়ও আমাদের পরিচয় আছে কিনা জানিনা, তবে আমাদের ইতিহাসবিমুখ বললে কিছুটাও ভুল হবে না বলেই আমার মনে হয়। আমাদের ইতিহাসের দৌড় মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠ্য বইগুলোতে; এর বাইরে আমরা যে ইতিহাস জানি বা শুনি, সেগুলো রাজনীতিবিদদের মুখ থেকে অনেক সময়ই যা মিথ্যা, আংশিক সত্য বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যেমন উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, বিএনপি’র কোন নেতা বললেন ‘জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন এবং তিনি ১৯
১
এক বেরাদরে কাটে মুণ্ডু
পায় যদি সাহা-দাস-কুণ্ডু
আর বেরাদরে মোছে রক্ত
জোটে যদি মডারেট-তখত
মডারেট কাজ করে মলমের
খুনের পরের কাজ কলমের
আইসিস মুণ্ডুটা কাটবে
মডারেট তার হয়ে খাটবে
লাশ শুধু শুধু লাশ পড়ছে
মডারেট তার হয়ে লড়ছে
বলে ধর্মের এই শ্যাষ না
এইটাতো প্রকৃত [ড্যাশ] না
২
হত্যাকারীর নয় নিহতের
দায় বুঝি গুণে রাখা সে-ক্ষতের
হত্যার পরে হেসে বলে খান,
“দেখাও তো সেই পরিসংখ্যান”
আমাদের দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদদের একজন থন্দকার মোশতাক আহমদ বেশ কয়েকবার পদত্যাগ করেছিলেন। জন্মযুদ্ধ '৭১ এ একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী না হতে পেরে তিনি পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু আর জাতীয় চার নেতার লাশের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে তিনি একবার অল্প সময়ের জন্য প্রেস