দু'হাত বাড়াই, মুখ রাখি নদীমুখে-
ঝলকে ঝলকে রাঙা হয়ে যায় তীর,
দগ্ধ আঁচলে পুড়ে যাওয়া কাশফুল
নিঘুম পাথরে রক্তগোলাপ নীড়।
হারানো সবুজ আনবে কি রাতপাখি?
কোমল ডানায় শান্তিপারের নীর?
গভীর আঁধারে জ্বলে থাকে তারাশিখা
ঝরঝর গানে ভরবে কি মরুতীর?
পুড়ে যাওয়া ঘাসে পড়ে থাকা ছেঁড়া তারে
রাখবে কি হাত করুণ সেই ফকীর?
ছিন্ন সেতারে আবার পরিয়ে তার
ফিরিয়ে দেবে কি যাদুজ্যোত্স্নার মীড়?
বেলা বয়ে গেলো কো...
কখন যে মৃত্যু হল??
কামরাঙার মাংস কাঁপছিল মৃত্যুর পরও, হলুদ আলো। জম্বুরার গন্ধ। হাওয়ায় শুকোতে দেওয়া অপরিহার্য বক্ষবন্ধনীর মত শুটকী,ঢাল তরোয়াল সারি সারি।
হিমালয় ভাগ হয়ে গেল রসুন ছন্দে। যে সব শিশুরা ছবি আঁকছিল, সবুজ লাউএর মত তারা রইল আধ ফোঁটা সকালে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে কফি, মুলো হালি হালি, সাদা চাদরের মত নদীর পরিক্রমা।
তখনও মৃত্যু হয়নি।
মাছের রাজ্যে দাবার বোর্ডের মত ছোটাছুটি ...
সারারাত বাজীপটকার শব্দ, জানালার বাইরে আলোর আলোড়ন। পর্দার ওপার থেকে আলো চলকে পড়ে ঘরের ঘুমের অন্ধকারে। আধোস্বপ্নে মনে পড়ে বহু আগের সেইসব আলোমুখরিত উত্সবরাত্রিদের। সেই ছাদের উপরে মোমবাতির সারি, পাঁচিলে টুনি আলোর মালা। সেইসব আতশবাজী পটকা, তুবড়ী, ফুলঝুরি, চকোলেট বোম, চর্কিবাজী,দোদমা। আকাশে ভেসে যাওয়া মস্ত বড় আলোর হাতি আর আগুনপাখা হাঁসের দল। তখন সেসব হতো দীপাবলি রাতে।
এখানে এম...
সচলেরা ছড়িয়ে আছেন সারা পৃথিবী জুড়ে। সচলেরা নতুন বছরের প্রথমদিনের সূর্যোদয়ের ছবি যদি এখানে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেন তাহলে দারুন একটি ব্যাপার হবে। আমরা সারা পৃথিবীর নতুন সূর্য দেখতে পাবো।
২০০৮ এর শেষ দিনের সূর্যাস্তের ছবিও আসতে পারে।
কিংবা নতুন বছরের আনন্দ উৎসবের ছবি। রাতের কাউন্ট ডাউন, নাইটক্লাব, আতশবাজি, আলোকশয্যা, দাওয়াত, খাদ্য-খানা-পানীয়।
© অমিত আহমেদ
ঢাকা শহরে দালান গুলোর ছাদে আজকাল অনেক আজব আজব জিনিস থাকে । প্রায় সবকটিই কোন না কোন ভাবে আমার কৌতূহল জাগিয়ে তোলে ।
পাঠক এখনি আমাকে পাশের বাড়ির ছাদে বায়ুসেবনরতা উদ্ভিন্ন যৌবনা মেয়েদের প্রতি আগ্রহী বলে মনে করলে ভুল করবেন । আমি ছাদে উঠি ভর দুপুরে । সে সময় বায়ুসেবনের উদ্দেশ্যে আমার জানামতে উদ্ভিন্ন যৌবনা কেউ ছাদে আসেন না । দুই একজন উত্তীর্ণ যৌবনা গৃহ...
বলেন তো দেখি নয়া বছরে আপনি কী শপথ নিচ্ছেন? ভাবগম্ভির জটিল কিছু নয়, নিতান্তই নিজের ব্যক্তিগত শপথ/শপথগুলির কথা জানান।
সবাইকে নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা। আপনার এই বছরটি গত বছরগুলোর চেয়ে অনেক, আরো অনেক ভালো কাটুক।
© অমিত আহমেদ
শিরোনাম: "New Year's Resolution" এর সরাসরি বাংলা কর্লাম আর্কি।
ব্যবহৃত ছবি: থার্টি ফার্স্ট নাইট ২০০৩। ঠিক রাত বারোটায় তোলা। ছবিতে টরন্টো সিটি...
সর্বমোট ভোটারের ৩০ শতাংশ ছিলো এবার প্রথমবার ভোটার। যাদের কাছে আওয়ামীলীগ না বরং সময়ের দাবী হয়ে উঠেছিলো আমাদের সর্বোচ্চ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী আর তাদেরকে আশ্রয় করে ক্ষমতালোভী গোষ্ঠীকে ঠেকানো। যদি তাদের সামনে আওয়ামীলীগ ছাড়া ভালো ও যোগ্য কোনো অপশন থাকতো তাহলে তারা তাদের সেই ভোট কোনোমতেই আওয়ামীলীগের পক্ষে যেতো না। কারণ কেবল বিএনপি না সময়-সুযোগে এই আওয়ামীলীগও যুদ্ধা...
অকিঞ্চিতকর মানুষ, এইসব যায়গায় পোস্টাইতেও ভয় লাগে... একেকজনের লেখা পড়ি আর মুগ্ধ হই... কিছু লেখা অবশ্য মাথার উপরে দিয়া যায়... ধইরা নেই বুদ্ধি কম তাই বুঝি নাই... গুছিয়ে লিখতে পারিনা তাই দয়া করে নিজ গুণে ক্ষমা করে দিয়েন।
নির্বাচন ফলাফলে আমিও বেশ খুশি... মানে যতটুক খুশি থাকা যায় আরকি। কিন্তু তারই মধ্যে দেখি কিছু ঘটনা, দেখে যেন মনে হয় ঘটেছিল আগেও - তাইলে আর বদলাইলো কি?
খবরের কাগজে দেখি "পুরা...
১. যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, অবশ্যই।
তাছাড়া আর কী?
আসুন, একটি তালিকা তৈরি করি সবাই মিলে।
অংশগ্রহণের জন্যে ধন্যবাদ।
আওয়ামী লীগ কত আসন পেল তা যতোটা না বিবেচ্য বিষয়, তারচে বড় কথা জনগণ যুদ্ধাপরাধীদের কতোটা প্রত্যাখান করলো- কতোটা ঘৃণা করে গণরায় দিয়ে এটিই প্রমাণ হয়েছে।
এ রায়কে আমি দিন বদলের পক্ষে গণরায় বলবো না। দেশ বাঁচাও-মানুষ বাঁচাও তার বিপক্ষে এই রায় তাও বলতে নারাজ।
আপনারাই বলুন- কি বলা যায়?