মনে করুন আপনি একজন চিত্রশিল্পী। যেমন তেমন শিল্পী না, চিত্রাঙ্কনের জটিল সব প্রক্রিয়া আপনার নখদর্পনে। যেকোন লোকের চেহারা বা যেকোন জিনিস হুবহু এঁকে ফেলা আপনার কাছে কোন ব্যাপারই না। রং, আলো-ছায়ার ব্যবহার, দর্শানুপাত, গঠনপ্রকৃতি, মাধ্যম এসব আপনি গুলে খেয়েছেন। যে যেটাই আপনার কাছে এঁকে দেবার আবদার করুক না কেন, আপনি এঁকে ফেলতে পারেন। এখন ভাবুন আপনি এমন একটা ছবি আকতে চান যাতে কোন "কিছু"-র উপস্থিতি থাকবে না। ধরা যাক, আপনার উদ্দেশ্য দর্শকের কাছে আপনি আপনার গতিপ্রকৃতি, আপনার চলাফেরা, স্থানপরিবর্তনের যে গতিধারা তা তুলে ধরতে চান। কিন্তু কোন ধরনের গতিশীল কিছু বা স্থানান্তর বিষয়ক কোন ঘটনা চিত্রায়িত না করেই আপনি তা করতে চান। কোন কিছু থাকা মানেই কিন্তু সেটা আপনার উদ্দেশ্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়ে হবে। কারণ তাতে কোন ঘটনা বা বস্তুর সাপেক্ষে সেই গতিধারার বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। যেটাকে আপনি উপস্থাপনের মূল বিষয় করতে যাচ্ছেন তা হয়ে যাচ্ছে আরেক বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। আপনি শুধুমাত্র সেই গতিপ্রকৃতিকেই চিত্রবন্দি করতে চান। কিভাবে করবেন?
ছবিঃ লুসিফার । সময়কালঃ ১৯৪৭।
বড় প্রতিষ্ঠান আর ছোট প্রতিষ্ঠান - কোনটাতে কাজ করার সুবিধা আর অসুবিধা কি? বর্তমানে এক চাকুরীতে অনেকদিন বসে থাকলে অগ্রগতির সুযোগ কম। কিন্তু পরবর্তী চাকরীতে যাবার আগে ছোট প্রতিষ্ঠানে যাবেন নাকি বড় প্রতিষ্ঠানে?
আজকে ৫ ফেব্রুয়ারি।
ছয় বছর আগে আজকের বিকেলে আমরা কয়েকজন হাটতে হাটতে শাহবাগের মোড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কোন মানুষের ডাকে না। কোন সাময়িক হুজুগের ঝোঁকে পড়ে না। নিজেদের রক্তের ডাক, সেই অমোঘ ডাক উপেক্ষা করা যায় না।
লরেন্সের মেইলটা পেয়ে লজ্জায় আমার কান কাটা গেল। নিজে ভালমত যাচাই করে লিংকটা পাঠানো উচিত ছিল। সে আমার কাছে জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ সুবিধা কেমন? সে ছোটখাট একটা চামড়াজাত পন্যের কারখানা করতে আগ্রহী। এখানে বিদেশী বিনিয়োগের নিয়মকানুনগুলো তাকে দেয়া যায় কিনা। একসময় এই কাজগুলো আমি করেছি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য। মাঝে বেশ কবছর বিরতির পর আবারো শুরু করতে যাচ্ছি। এর মাঝে কী কী পরিবর্তন ঘটেছে তা জানি না। তবে শুনেছি দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে, বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার খুব চমৎকার তথ্যসুবিধা রেখেছে ওয়েবসাইটগুলোতে। বিনিয়োগ বোর্ডকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন নামকরণ করেছে BANGLADESH INVESTMENT DEVELOPMENT AUTHORITY (BIDA) এবং তাদের খুব তথ্যবহুল ওয়েবসাইট আছে, যেখানে ঢুকলে যে কোন বিনিয়োগকারী তার প্রয়োজনের সব তথ্য এক ঝলকে পেয়ে যাবে। আমি খুশীমনে ওয়েবসাইটের লিংকটা পাঠিয়ে দিলাম। কয়েকদিন পর লরেন্স দীর্ঘ একটা মেইল পাঠালো। সেখান থেকে কিছু অংশ কোট করলাম-
১.
ভবিষ্যত দেখার ইতিহাস
.................................
‘‘মানুষ সবসময় যা বলছে, তা নিজেরাই সব বলছে- তা কিন্তু নয়।
সময় তার কথাগুলো অনেক সময় আমাদেরকে দিয়ে বলিয়ে নেয়।
আমাদের অজান্তেই। “
ইতিহাসবীদ সালাহউদ্দীন আহমেদ বলে হাসলেন। কথা শেষ।
উঠে দাঁড়ালাম। তখনও জানা নেই, এই শেষ দেখা। আর দেখা হবে না।
তিনি বিদায় দিতে দরজা পর্যন্ত আসলেন।
প্রিয় সচল, অতিথি লেখক, ও পাঠকবৃন্দ,
৬ দিনের ভারত ভ্রমণ শেষে ২৫ ডিসেম্বর অপরাহ্নে বাংলাদেশে পা দিয়েই চা-বিক্রেতার মাধ্যমে নির্বাচনী হালচালের প্রথম যে তথ্য কানে এলো তা হলো, নির্বাচনের আগের ৩ দিন সারাদেশে গণপরিবহণ চলাচল বন্ধ থাকবে এ নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। ঢাকায় এসেও অটো-চালকের কাছে এই কথাই শুনলাম কিছুটা দ্বিধান্বিত কণ্ঠে। যুক্তি, অভিজ্ঞতা, বিশ^াস সবগুলোতেই খটকা লেগে গেল, এমনটি তো কখনও দেখিনি এবং তা অবিশ^াস্যও বটে। প্রাথমিক প্রতিবাদ জানিয়ে
লেখক -
চিঙ্গিস আইতমাতভ
বরং বলি, চিঙ্গিস টোরেকুলোভিচ আইতমাতভ, টোরেকুলপুত্র চিঙ্গিস আইতমাতভ।
স্তালিন জমানায় দেশের শত্রুদের নিশ্চিহ্নকরণ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রীয় খুনীবাহিনী এন কে ভি ডি-র হাতে নিহত সোভিয়েত কর্মী টোরেকুল আইতমাতভের ছেলে চিঙ্গিস আইতমাতভ - যিনি বাবাকে কখনো ভোলেননি।
‘যন্ত্র-বিশারদ’ আইতমাত কিম্বিলদিয়েভ এর ছেলে সমাজতন্ত্রী টোরেকুল -এর ছেলে যাঁর পাহাড় ও স্তেপ-এর আখ্যান নামে গল্প-ত্রয় পেয়েছিল লেনিন পুরস্কার- সেই চিঙ্গিস আইতমাতভ।
যারা শিক্ষক হয়েছেন তাদের একাংশ পুলিশ বা আমলা হতে চেয়েছিলেন, এমনকি অনেকে এখনও তা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ।শিক্ষক হওয়ার পরও যাদের মাথা থেকে ক্ষমতাচর্চার আশা বা সেই মানসিকতার মোক্ষ ঘটেনি তারা শিক্ষকতা পেশাকে নানাভাবে জোতদার-জমিদারির স্তরে নামিয়ে এনেছেন ।মনের গোপন গহীনে মাতুব্বরি বা মোড়লপনার সাধ তারা পুষে রাখেন যত্নে ।সুযোগ পেলেই সেই সাধ দাঁত-নখ বের করে সামনের নিরীহ প্রাণীকে আক্রমণ করে বসে ।আবশ্যকভাব