প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
সকাল থেকে শুরু। এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এলার্মটা বন্ধ করে আবার একটু এপাশ-ওপাশ, শরীর-মন আরেকটু ঘুমাতে চায়। হঠাৎ মাথায় বিদ্যুতের ছোবল... কতক্ষণ গেল? বেশি ঘুমিয়ে ফেলিনি তো? শরীর-মন দুটোকেই অনেক কষ্টে বাগ মানিয়ে-তোয়াজ করে-ঝাড়ি দিয়ে বিছানা ছাড়তে হয়। হাতে মোবাইলটা নিয়ে বাথরুমে কাজ সারতে সারতে আবার মোবাইলের কোণার দিকে চোখ, ওরে বাবা- এতক্ষণ গেল কখন!
…
[ স্বীকারোক্তি : পাঠক বন্ধুদের অবগতির জন্য প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে, এটাকে বিজ্ঞাপনী-পোস্ট ভাবার কারণ নেই। কেননা, প্রদত্ত প্রচ্ছদের ছবিটা সংশ্লিষ্ট গ্রন্থের পরিচয়কারী বিজ্ঞাপনী-সুলভ মনে হলেও বস্তুত এটি এখনো অপ্রকাশিত মৌলিক পোস্ট, যা চার্বাক-দর্শন ও বর্তমান গ্রন্থের আলোকে প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় উপস্থাপন করা হয়েছে। তারপরও জানি না সচলায়তনের নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে কিনা ! সেরকম হলে মডু ভায়েরা অবশ্যই প্রথম পাতা থেকে পোস্টটি নির্দ্বিধায় সরিয়ে দিতে পারেন। সবাইকে স্বাগতম ! ]
একটা পর্যায় থেকে, মানব সভ্যতার ইতিহাস আসলে ধর্মেরই ইতিহাস। সম্ভবত কথাটা বলেছিলেন দার্শনিক ম্যাক্স মুলার, যিনি প্রাচীন ভারতীয় দর্শন তথা বৈদিক সাহিত্য বা সংস্কৃতিরও একজন অনুসন্ধিৎসু বিদ্বান হিসেবে খ্যাতিমান। তবে যে-ই বলে থাকুন না কেন, সভ্যতার এক দুর্দান্ত বিন্দুতে দাঁড়িয়েও উক্তিটির রেশ এখনো যেভাবে আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের রন্ধ্রে রন্ধ্রে খুব দৃশ্যমানভাবেই বহমান, তাতে করে এর সত্যতা একবিন্দ্ওু হ্রাস পায় নি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা অনেক বেশিই প্রকট থেকে প্রকটতরই হচ্ছে বলে মনে হয়।
আমার গল্প চার, বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ি। মোটামুটি স্বাধীনতার স্বাদ নিয়ে বেড়ে উঠছি, এটাই মনে হতো তখন। সারাদিন খেলাধূলো, নতুন নতুন বন্ধু... জীবন অনেক পূর্ণ ছিল।
লম্বা শীতনিদ্রার পর স্কুল শুরু হলো ঢিমাতালে। উত্তরাঞ্চলের জানুয়ারির শীত মানে সত্যিকারের হাড় ফুটো করা ঠাণ্ডা। ক্লাশে ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি কম, যদিও স্কুল চলে নিয়মমাফিক। নাহরিনের বাসা থেকে স্কুল ঘন্টাখানেক হাঁটা পথ। মিনিট দশেক পেরুলে অবশ্য বড় মসজিদ মোড়ে রিক্সা, অটোরিক্সা মেলে সহজেই। নাহরিন হেঁটে যেতেই পছন্দ করে। হাঁটা তার দীর্ঘদিনের অভ্যেস, প্রয়োজনও।
পার্থিব/অপার্থিব
ফ্রান্সের শার্লি এঁবদো পত্রিকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড নিয়ে ফেইসবুকে আর বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে । এই ঘটনার বদৌলতে আরো একবার টের পেলাম আমাদের দেশে কি পরিমাণ মৌলবাদী গোঁড়া চিন্তাভাবনার প্রসার বাড়ছে । সরাসরি এই খুনকে সমর্থন করা ভয়ংকর চিন্তাভাবনার লোকজনের সংখ্যা দেখে দেখে আঁতকে উঠেছি । কিন্তু এরা ছাড়াও ফেইসবুকে আরেক শ্রেনী আছে, যাদের বক্তব্য আমার মনে হয়েছে আরও বেশী ভয়ংকর !
সবার পছন্দের মানুষ আমাদের এই “জগলুল ভাই” - জগলুল আহমেদ চৌধুরী
জগলুল আহমেদ চৌধুরী মারা গেলেন। একটি বাস তাঁকে মেরে ফেলে রেখে চলে গেল। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রায় সবার পছন্দের মানুষ আমাদের এই “জগলুল ভাই।”
কয়েকদিন আগে আমার আলমা ম্যাটার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে শহরের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রলীগ সদস্য মারা গেছে। এখন যেহেতু সবার হাতে হাতে ক্যামেরা ওয়ালা মোবাইল ফোন আছে কিভাবে কিভাবে যেন ক্যাম্পাসের কিছু মানুষ ওই সময়কার কিছু ছবি তুলে ফেলেছে এবং কয়েক দিন পরে [url=https://www.facebook.com/groups/sustian/permalink/1018076638217801/]আমাদের বিশ্