ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে সে, তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!
হত্যার প্রতিশোধের মতই মৃতের জন্য শোক প্রকাশ করাটাও আদিবাসীরা খুব জরুরি বলে মনে করে। অসুস্থ হবার সময় থেকে শুরু করে মৃত্যুর পর তার জন্য যথেষ্ট শোক প্রকাশ করা না হলে মৃতের আত্মা ভাবে তার আত্মীয় স্বজন তাকে যথেষ্ট ভালোবাসতোনা সুতরাং ক্ষুব্ধ আত্মা তখন তার জীবিত আত্মীয়-স্বজনদের জীবনে নানান ধরণের দুর্বিপাকের সৃষ্টি করে। অসুখ বিসুখে শিশুরা মারা যায়, পর্যাপ্ত শিকার মেলেনা, মাছধরায় ভাগ্য মন্দ যায়। সুতরাং কার
শুধু স্বপ্নই নয় আদিবাসীরা বিশ্বাস করে মানুষের দেহের অতিরিক্ত আত্মা বলে যে আরেকটা পদার্থ আছে তার প্রমাণ মাটিতে পড়া মানুষের ছায়া আর জলে প্রতিবিম্বিত হওয়া তার প্রতিফলন। এখন এই ছায়াশরীর হলেও আদিবাসীদের বিশ্বাস মৃতের আত্মাও ক্ষুধা-তৃষ্ণা থেকে একেবারে মুক্ত নয়। অস্ট্রেলিয়ার দিয়েরি ট্রাইবের মানুষেরা মৃতের কবরের ওপরে খাবার রেখে আসে। মৃতব্যক্তি ক্ষুধার্ত হলে যেন খাবারটা কাছেই পায় সে কারণেই এই ব্যবস্থা। শুধ
যে বাড়িতে মানুষ মারা যায় সে বাড়িকে সেই মৃত্যুরদিন বা ঠিক তার পরের দিন পর্যন্ত আমাদের এলাকায় মরার বাড়ি বলে । অন্য অঞ্চলেও সম্ভবত তাই বলে, অথবা অন্য কোন শব্দবন্ধে এই ভাবটাই হয়তো প্রকাশ করা হয়। বলার কথাটা হলো এই মরার বাড়ির অভিধাটা থাকা পর্যন্ত সে বাড়িতে রান্না নিষেধ। প্রথাটা এখনও অনেক জায়গাতেই পালিত হয়। আমার আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে এই প্রথাটা বরাবরই পালিত হতে দেখেছি। আমার বাবা মারা গেলে আমাদের বাড়িতে দ
[justify]তো কোন এক শুক্কুরবারে ঘরে বসে কাশতে কাশতে আমি ভাবছিলাম যে আমার কপালটা এতো ফুটা কেন?
আফ্রিকার জুলুদের দেবতা উনকুলুনকুলু গিরগিটিকে ডেকে বললেন, গিরগিটি তুমি মানুষের কাছে গিয়ে তাদের বলো তারা মরবেনা, তারা চিরকাল বেঁচে থাকবে কিন্তু মৃত্যু হবেনা তাদের। কিন্তু অলস গিরগিটি চললো ঢিমে তালে পা ফেলে, তার উপর পথের মধ্যেই উবুকুয়েবেজানি গাছের পাকা বেগুনি রঙের ফল দেখে তাই খেতে শুরু করলো পেট ভরে। শুধু তাই নয় গাছের মগডালে চড়ে বসে নরম রোদে শরীর মেলে দিয়ে পড়লো ঘুমিয়ে। এদিকে দেবতা উনকুলুনকুলু ব্যাপারট
পুর্বকথাঃ
পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে আবারও মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে রাখাল রাহার এক উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান অনেক বিস্ময় ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি একবার সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রশ্নফাঁসবিরোধী বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতে চাননি, আবার পরে তা অস্বীকার করে বিবেকের দায় মিটিয়েছেন। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম প্রশ্নফাঁসের দায় আবারও শিক্ষকদের কাঁধে চাপান
ব্যাঙ্গালোরের রাস্তাঘাট খুব বেশী আলাদা না। অনেক পরিচিত দৃশ্যই চোখে ধরা পড়ে যাওয়া আসার পথে। দোকানপাট, মানুষজন, শহুরে জীবনযাত্রা কীংবা কিছু পরিচিত গাছ। মিলে যায় অনেককিছুই, শুধু একটা জিনিসই বেশ বড় পার্থক্য হয়ে ফুটে ওঠে, শত শত কিশোরী থেকে মধ্যবয়স্কা নারী স্কুটি বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরময়। খুব ভালো লাগে দৃশ্যগুলো, ছোট্ট বাচ্চাটাকে স্কুটির সামনে বা পিছনে বসিয়ে কোনও মা হয়ত এসেছে শপিং এ, ফেরার সময় বাচ্