পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস নিয়ে আবারও মাঠ গরম হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে রাখাল রাহার এক উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান অনেক বিস্ময় ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তিনি একবার সরকারের পক্ষ নিয়ে প্রশ্নফাঁসবিরোধী বিবৃতিতে স্বাক্ষর দিতে চাননি, আবার পরে তা অস্বীকার করে বিবেকের দায় মিটিয়েছেন। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করলাম প্রশ্নফাঁসের দায় আবারও শিক্ষকদের কাঁধে চাপান
ব্যাঙ্গালোরের রাস্তাঘাট খুব বেশী আলাদা না। অনেক পরিচিত দৃশ্যই চোখে ধরা পড়ে যাওয়া আসার পথে। দোকানপাট, মানুষজন, শহুরে জীবনযাত্রা কীংবা কিছু পরিচিত গাছ। মিলে যায় অনেককিছুই, শুধু একটা জিনিসই বেশ বড় পার্থক্য হয়ে ফুটে ওঠে, শত শত কিশোরী থেকে মধ্যবয়স্কা নারী স্কুটি বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরময়। খুব ভালো লাগে দৃশ্যগুলো, ছোট্ট বাচ্চাটাকে স্কুটির সামনে বা পিছনে বসিয়ে কোনও মা হয়ত এসেছে শপিং এ, ফেরার সময় বাচ্
মানুষের বয়েস বাড়ার সাথে সাথে অনেক কিছু পাল্টে যায়---দেখার চোখ, শোনার কান, বোঝার মন। ছোটবেলায় দেখা, শোনা, জানা বোঝা অনেক জিনিস বড় বেলায় আর কাজ করে না। অনেকের কাছে এই পরিবর্তনটা হয়ত আনন্দজনক---আমার কাছে একেবারেই নয়। আমি এক অনিচ্ছুক কিশোর যাকে টেনে হিঁচড়ে বড় করে দেওয়া হয়েছে। আমার শরীর, আমার মস্তিষ্ক সেই টানা-হেঁচড়ায় পরাভুত হয়ে এখন বুড়ো হতে চলল---কিন্তু মনের গহীন প্রকোষ্ঠে এখনো এক চৌদ্দ বছরের কিশোর মা
প্রশ্নটিও সহজ, আর উত্তরও তো জানা........তবু আবার একটু চোখ বুলাই।
যদি বলি আপনার সহস্র নাম্বার পূর্বপুরুষটি সত্তর হাজার বছর আগে আফ্রিকার কোন জঙ্গলাকীর্ণ পর্বতের ঢালুতে বসে একটা আধপাকা কলা ভক্ষণ শেষে কলা ছিলকার উপর হাতের আঙুলগুলো রেখে অবাক হয়ে দেখছে –আরে এই ছিলকায়ও দেখি আমার হাতের আঙুলের সমান টুকরা! হাউ ফানি! অংক আবিষ্কারের এই ভুজুংভাজুং কেচ্ছা কি বিশ্বাস করবেন? না করলেও সমস্যা নাই। কিন্তু কল্পনাটি অসম্ভব কিছু না। প্রাগৈতিহাসিক কালের কোন আদম হয়তো ওই ভাবেই প্রথম গুনতে শিখেছিল যার অসংখ্য বিবর্তনের ফসল হিসেবে ৭০ হাজার বছর পরে আপনি কম্পিউটারে খুটখাট করার দুর্লভ সুযোগ সুলভে ভোগ করছেন।
ইদানীং ঘুম ভাঙলে অয়ন খুব আগ্রহ নিয়ে ঘরের সিলিং আর পর্দার ফাঁক গলে আলো আসা খোলা বারান্দার দিকে লোভাতুর হয়ে তাকিয়ে থাকে। খুব আপন মনে হয় সিলিংটাকে। যে ভীষণ যন্ত্রণা আর অস্থিরতায় তখন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে অয়ন তাতে মনে হয় ঐ সিলিঙের বন্ধনে ঝুলে পড়ে আয়েশে দুলতে থাকলে একটু শান্তি মিলবে। কিংবা উঁচু বারান্দা থেকে নীচে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় যে ক্ষণিকের মুক্তি মিলবে চিরমুক্তির আগে সেটাই বা কম কী!
আমরা যে নারীপুরুষ সম অধিকারের কথা বলি, সাম্যাবস্থার কথা বলি নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই যা অপরিহার্য, সেই সকলের জন্য সমান পৃথিবী তৈরির কথা বলার সময় আমরা সকলের মধ্যে মায়েদেরকে গোনায় ধরি না। বংশবিস্তারের জন্য নারীর জরায়ু ছাড়া আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা যতদিন পর্যন্ত না আবিষ্কার হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত মাতৃত্ব নারীর জীবনের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকবে। তাই নারীমুক্তির কথা মুখে বলে মাতৃত্বকে আলাদা পাল্লায় মাপলে
২০০৫ সালের এপ্রিলে চীনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও বাংলাদেশ সফর করেছিলেন, বিএনপি তখন ক্ষমতায়। চুক্তি হয়েছিল ৫টি, সমঝোতা স্মারক ২টি, বাকিগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে। ফলাও করে ওই সফরের সার্থকতার কথা প্রচার হলেও শেষপর্যন্ত ফলাফল আশাব্যঞ্জক ছিল না । ২০০২, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের তরফ থেকেও সফর হয়েছিল। প্রতিব
আমাদের সভ্যতার প্রাচীন মিথ গুলোতেও মাতৃগর্ভে প্রত্যাবর্তনের আকুলতা নানান ব্যঞ্জনায় রঞ্জিত হয়ে আছে। এই ব্যঞ্জনাই পরবর্তীতে আমাদের বিচিত্র আধ্যাত্মিক জ্ঞানের নানান ভাষ্যে অনুরনন তুলে এসেছে যুগের পর যুগ। আনুমানিক ২০০০০০-৭৫০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের প্রাগৈতিহাসিক নিয়াণ্ডারথাল মানুষদের ক্ষেত্রেও দেখছি তারা যখন কোন মৃতদেহ কবরস্থ করতো তখন কবরে সেই দেহ শুইয়ে দিত হাঁটু ভাঁজ করে প্রায় বুকে ঠেকিয়ে অবিকল ভ্রূনের
অনগ্রসর আদিম ধরনের সমাজের সংস্কৃতিতে আধ্যাত্মিকতার ধারক, বাহক, অভিভাবক থাকতো শামানরা। এদের কখনও ওঝা, মেডিসিন ম্যান বা শামান বলে অভিহিত করা হয়। কেননা এইসব সমাজে বিশ্বাস করা হয় এদের অলৌকিক যাদু শক্তি রয়েছে এবং এই শক্তি দিয়েই এরা যেমন মানুষের রোগ-বালাই দূর করতে পারে তেমনি গুন-যাদু বা বাণ ছুড়ে যে কারো অনিষ্ট এমনকি মৃত্যুও ঘটানোর ক্ষমতা রাখে। এদের ঠিক পুরোহিত গোত্রে ফেলা যাবেনা, এদের সাথে বরং অনেকটা সা
[ জঙ্গীবাদের মতো এত অচেনা এবং ভয়াবহ সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। একের পর জঙ্গী আক্রমণের পর সেই উপলব্ধি থেকেই এই সিরিজের অবতারণা। নিজের মতামত দিয়েই শুরু হোক, পাঠক মন্তব্যে আলোচনা চালানো যাবে। ]