Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ব্লগরব্লগর

রুদ্ধশ্বাস কয়েক ঘন্টা- একজন মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা

অরফিয়াস এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস (তারিখ: রবি, ১৩/০৫/২০১২ - ৪:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকে গ্র্যাজুয়েশন এর শেষ পরীক্ষা ছিলো। স্বাভাবিক ভাবেই আজকের দিনটা অন্যরকম। আমার নরক থেকে মুক্তি পাওয়ার আনন্দবার্তা। বিকেলে একটা পার্টিতে যাওয়া হলো, রাতে ফিরলাম হোস্টেলে প্রায় ১২টা বাজে তখন। সবকিছু ঠিক ছিলো, রাত ১টার দিকে জল ভরতে এক তলায় গিয়েছি, হঠাৎ দেখি দৌড়ে আসছে এক ব্যাচমেট। কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই বললো, একজন জুনিয়র আত্মহত্যা করার জন্য ছাদে দাড়িয়ে আছে। শোনার সাথে সাথে আমার প্রথম বছরের প্রথম দি


স্বপ্ন যাবে বাড়ি...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১১/০৫/২০১২ - ৩:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যখনি আমার মন খুব খারাপ থাকে, তখনি মনে মনে কল্পনা করি ট্রেন এ উঠছি, বাড়ি যাবো...বাড়ি যাওয়ার সময় আমি কখনোই ট্রেনে ঘুমাই না...কিছু অপেক্ষার প্রহর প্রচন্ড আনন্দ দেয়, এটা তেমনি...

ট্রেনে উঠেই জানালাটা খুলে দিয়ে বাইরে তাকাই...


গল্প আর ছবিঃ মধ্যবয়স

তাসনীম এর ছবি
লিখেছেন তাসনীম (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১২ - ১০:১৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]
বার্ধক্যের সাথে নিজের বয়সের যোগসূত্র আছে কোথাও। সেদিন এক আড্ডায় বলে বসলাম...আরে ঝন্টু ভাই, উনিতো ইয়াং লোক আমাদের কয়েক বছরের সিনিয়ার, বয়স মাত্র ৪৬। সোভিয়েত রাশিয়ার পলিটব্যুরোর তরুণ নেতাদের বয়সই হতো ষাট। সাতচল্লিশ বেশ তরুণই বলা চলে। বন্ধুরাও সবাই একমত হলো তাতে। আমাদের বয়স যতই বাড়ছে, তারুণ্যের সিলিং ততই বেড়ে যাচ্ছে। চল্লিশ পার হওয়ার পরে মনে হয় ষাট পর্যন্ত মানুষ ছোকরা থেকে যায়। আর ত্রিশ বছর বেচে থাকলে হয়ত আশিকেও যুবক যুবক লাগবে। মনে মনে কেউ নিজেকে বুড়ো ভাবে না বোধহয়।


মধুমাসে নানা বাড়ী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১২ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন চৈত্র মাসেই স্কুল হয়ে যেত মর্নিংস্কুল। সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দুপুরে দাপিয়ে সাতারের যো ছিলো না, গরমে পানি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে। তবুও স্কুল যতদিন চলতো, রুটিন থাকতো, হারিকেনের আলোয় গোল হয়ে বসে হোম ওয়ার্ক করতে হোত। তারপর গরমের ছুটির দিন স্কুলে হোত উৎসবের মত, সব্বাই বাসা থেকে ক্লাস টিচারের জন্য আনতো উপহার। সেবার শেফালি দুই রঙের জামরুল দিয়ে চমৎকার এক মালা গেঁথে নিয়ে এলো, সেটা


গণ্ডির বাইরে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১২ - ৭:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify][justify][left][center][justify]আজকাল মেয়েটি একদম চুপচাপ থাকে। অফিস থেকে বাসায় ফেরার পর টুকটাক কিছু কথাবার্তা বলার পরেই হটাত করেই চুপ হয়ে যায়। কেমন যেন একটা অদ্ভুত নিরব অন্ধকার এসে গ্রাস করে নেয় তাকে। ছেলেটি বুঝতে পারে তার মনের মধ্যে একটা ঝড় উঠবে যে কোন মুহূর্তে। কিছুক্ষন চেষ্টা করে একটু ভাল রাখার, কিন্তু যখন দেখে মেয়েটি তাকে বুঝতে দিতে চায় না, তখন আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে নেয়, সময় দেয় ম


বসন্ত, ২০১২

সজল এর ছবি
লিখেছেন সজল (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুকে পাথর বেঁধে ছাব্বিশটা বসন্ত পার করেছি, কখনো কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু এবারের বসন্ত ছিলো অন্যরকম। বলছি তারই গল্প।


মাঝে মাঝে মনে হয়...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বুধ, ০৯/০৫/২০১২ - ১২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে যাই।

মাঝে মাঝে ছোট্টবেলার সেই দুপুরের কথা মনে পড়ে। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে বলে স্কুল যেতে হয়নি। জানালা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। মেঘলা দুপুর। পথে লোক নেই। মাঝখানে একটু করে বৃষ্টি থেমেছে। আর আমার কেবলই মনে হচ্ছে দই ওয়ালা গল্পের বই থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু দইওয়ালা আজও আসেনি...


দ্বিবর্ণ জাতক ২

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ৬:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দ্বিবর্ণ জাতক ১

সাগোতো রাজদানের ডায়েরিটা আমার হাতে আসে ২০০৪ সালে, চাচা মারা যাওয়ার পর। ডায়েরিটা এমনিতেই কৌতূহলোদ্দীপক, আমার আকর্ষণ আরও বেড়ে যায় চাচার রেখে যাওয়া নোটটা পড়ে।


জাগো হে নবীন, ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্যে চাই সমাজ প্রতিবন্ধকতাহীন

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ৩:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বছর ঘুরে আবারো আসছে বি-স্ক্যানের জন্মলগ্নের সেই দিনটি। ১৭ই জুলাই। সকলের ভালোবাসা-অনুপ্রেরণায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে বি-স্ক্যান এগিয়ে চলেছে তৃতীয় বর্ষপূর্তীর দিকে। প্রতিবারের মতোন এবারও বি-স্ক্যান এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে সর্বত্র সচেতনতার বীজ বপন করতে চায়। এবার ঠিক হয়েছে প্রতিবন্ধী তথা ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্যে পারিবারিক এবং সামাজিক সকল প্রতিবন্ধকতা দূরীকরনে নতুন প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা সৃষ্ট


আমার সেই ঘরটি

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ১:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ঘরটিকে আমি স্বার্থপরের মতো ভালোবাসতাম।

আমাদের ছোট্ট বাড়িটায় আরো চারটা কামরা ছিল। তবু আমার ঘরটিকেই আমি বিশেষভাবে ভালোবাসতাম। পূর্ব দক্ষিণ ঘরটা ছিল সর্বকাজের। সেখানে বসা, খাওয়া, বই-পত্রিকা পড়া, আড্ডা দেয়া, টিভি দেখা, হেন কাজ নেই হতো না। এই ঘরটির দুটো জানালা, একটা দক্ষিণে আরেকটা পূর্বদিকে। এই ঘরকে আমরা ডাকতাম 'ড্রইংরুম' বলে। আসবাবের মধ্যে ছিল একসেট কাঠের, আরেক সেট বেতের সোফা, অন্যপাশে বুকশেল্ফ, শোকেস, টিভি ইত্যাদি। এই দুয়ের মাঝে ছজন বসার মতো একটা ডাইনিং টেবিল ছিল যেটায় খাওয়া পড়া লেখা সবই চলতো। দক্ষিণের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে দুটো পেয়ারা গাছ, একটা আমগাছ দেখা যেত। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কামিনী আর শিউলীর ঝোপটাও আংশিক দেখা যেত। আর দরোজায় দাঁড়ালে দেখা যেতো থোকা থোকা রসালো কামরাঙ্গা হাত বাড়ানোর জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।