মাঠে মাঠে ঘোরা আমার ছেলেবেলার অভ্যাস। আমাদের একটা বাগান ছিল। একপাশে বাঁশবন আরেক পাশে দেশি আমের সারি। ঠিক দুপুরের বাগানে বসে আপন মনে খেলতে ভালবাসি। ঠিক খেলা নয়, ছেলেমানুষী। বুনো লতা পাতার গায়ে হাত বোলানো, কোন গাছে কটা ফল ধরেছে তা গুণে দেখা, শুভ্রপালক শাহ বুলবুল পাখির পেছনে বাগানময় ঘোরা--ছেলে মানুষী ছাড়া কী! নিরিবিলি খেলতে ভালবাসতাম, তেমনি ভয়ও পেতাম খুব। বেঁশেভূতের ভয়। মধ্যদুপুরেই তাদের যত বাহাদুরি।
পেশাগত কারনে গত সপ্তাহে ময়মনসিংহে যাই। সেখানে এক পূর্ব পরিচিত এক অডিও ব্যবসায়ীর সাথে দেখা হলো। দেখি তাঁর দুই যুগেরও অধিক পুরাতন অডিও ক্যাসেট--সিডির দোকান ফ্যানের দোকানে পরিণত হয়েছে। বললাম, “ভাই একি অবস্থা”!
[justify]
আগের পর্বে আমরা লিন্ডসে সাহেবের গল্প শুনেছিলাম। এবারো লিন্ডসে সাহেব থাকবেন কিছুটা তবে শুরু হবে তারো আগে থেকে। এই অঞ্চলে সিমেন্টের অপর নাম বিলাতি মাটি। বিলাতি মাটি উৎপাদন শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চুনাপাথর ছিলো গৃহ নির্মানের অত্যাবশ্যকীয় উপকরন এবং বৃটিশপূর্ব যুগে সমগ্র পূর্বভারতে এই অত্যাবশ্যকীয় উপকরনটি সরবরাহ হতো সিলেট থেকে- আরো সুনির্দিষ্টভাবে ছাতক থেকে। জৈন্তিয়ারাজ্য সীমানাবর্তী হলেও ছাতক সিলেটের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। বর্তমান ছাতক উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে সেসময়ের ছাতক।
১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দের ২৭ সেপ্টেম্বর নবাব মীর কাশেম ও ইস্ট ইন্ডীয়া কোম্পানীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির একটা শর্ত ছিলো –
'কোম্পানীর গোমস্তাগনকে তিনবৎসরের জন্য সিলেটে প্রস্তুত চুণের অর্ধেক অংশ সরকার অথবা দেশীয় লোকদের নিকট হইতে এলাকার বাজার দর হিসাবে ক্রয় করতে হবে। জিলার প্রজা সাধারনকে কোন নির্যাতন করা যাবেনা’
।
রায়হান খুব মনোযোগ দিয়ে ফেসবুকে তার বন্ধু মাসুদের স্ট্যাটাস আর কমেন্টগুলো পড়ছিল। রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদলেছে মাসুদ, সেটা নিয়ে তুমুল পঁচানি চলছে মাসুদের ফেসবুক ওয়ালে। পাশের ঘর থেকে মা আর কাজের বুয়ার আলাপ কানে আসছে; বুয়ার জামাই নাকি রিক্সা চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে গতকাল সন্ধ্যায়।
।। ১।। মা'র জন্মদিনে তাকে নিয়ে জিয়া উদ্যান ঘুরতে গিয়েছিলাম পড়ন্ত দুপুরে, দেখলাম, ১২-১৩ বছরের কতক নগ্ন, অর্ধনগ্ন কিশোর দুপুরের গরমের মাঝে জিয়া উদ্যানের পানিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে, আমাকে ঈর্ষান্বিত এবং বাকরুদ্ধ করে দিয়ে তাদের কয়জন জিয়া উদ্যানের প্রায় আড়াইতলা উঁচু ব্রিজটার ঠিক উপর থেকে ডাইভ দিয়ে পানিতে পড়তে লাগল!
আজ থেকে ২৯৯ দিন আগে আমি কি করছিলাম, মনে নেই। ৩৬৪ দিন আগের কথা মনে আছে। দুপুরে ঝুম বৃষ্টি, আশপাশ নীরবতর। বের হলাম কোন কারন ছাড়াই। এর পরে আমার আর বৃষ্টিতে ভেজা হয়নি। কবে হবে, তাও জানি না।
কেস স্টাডি ১
মজার ঘটনাটা পেয়েছি আকবর আলি খানের পরার্থপরতার অর্থনীতি বইয়ে ।
পাকিস্তান আমলে সামরিক সরকার সবকিছুর সমাধান করতে চাইত এক নিমিষে। আজকে আইন হবে, কাল থেকে সব লোক ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, এই রকম ছিল তাদের চিন্তাভাবনা।
দেশে শিক্ষিত মানুষের বাম্পার ফলন হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী জিপিএ ৫ ইত্যাদি পেয়ে জাতির মুখ উজ্জ্বল করছে। আমাদের কালের মতো একটা ফার্স্ট ডিভিশন আর দুইখান লেটারের সন্তুষ্টি এখন আর নাই। সেই আমলের স্ট্যাণ্ড, স্টার, লেটার সবকিছুর মর্যাদা এখন ঢাকা পড়েছে জিপিএ গোল্ডেন জিপিএ-র নকশী কাঁথায়। সেই জাতির একজন হিসেবে আমার বুক তিনহাত ফুলে যাবার কথা। কিন্তু আমার নেহাত আধমূর্খ মেধার স্কেলে এই উন্নতির বহরটা ঠিক হি
১৯৭১-র ডিসেম্বরে আল–বদর হেডকোয়ার্টারে পাওয়া গিয়েছিল এক বস্তা চোখ।
অমানুষিক, জান্তব, নির্মম, নৃশংস এই তথ্য আমায় তাড়া করে আজীবন। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও আল-বদরদের নির্যাতনের যতটুকু প্রমাণ আমরা পেয়েছি তাতে বোঝা যায় এই চোখগুলো তুলে নেওয়া হয়েছিল জ্যান্ত মানুষের মুখমণ্ডল থেকেই।
কী দেখেছিল সেই চোখেরা শেষ মুহূর্তে?
পৃথিবীতে প্রেমিক পুরুষ তিন প্রকার। ভাই টাইপ, জামাই টাইপ আর পাই টাইপ। প্রথমটার সাথে মেয়েরা কিছুদিন আহ্লাদ করেটরে এক সময় চোখ কপালে তুলে বলে, ও আল্লাহ আমি আপনাকে বড় ভাইয়ের মতো মনে করি। দ্বিতীয়টার সাথে মেয়েরা বেশী কথাবার্তা বলে না। এরা ঠিক অত কথা বার্তা বলার মতো জিনিসও না। নিতান্ত নাড়ুগোপাল টাইপের ভদ্র ছেলে, আদর্শ স্বামী ম্যাটেরিয়াল। তাই ভাই টাইপকে দাগা দিয়ে মেয়েরা বেশী ঝামেলা না করে জামাই টাইপকে সরাস