'স্লেভ' শব্দটা উচ্চারণের সাথে সাথেই কেন জানিনা অ্যালেক্স হ্যালির রুটসের 'কুন্তাকিন্তে' কথা মনে পড়ে যায়! যে মানুষটা মালিকপক্ষ আর কর্মক্লান্তির নির্মম পেষণেও নিজের শেকড় বিস্মৃত হন না কখনো। 'আই অ্যাম স্লেভে'র মালিয়া যেন কিন্তাকুন্তের পদচিহ্ন ধরে হেঁটে আসা একজন। যে দিনশেষে রোজ নিজেকেই শোনাতো সে কে! কোথায় প্রোথিত রয়েছে তার শেকড়। তার সে শেকড়ের টানে ফিরে যাবার একাগ্রতায় আশকারা পায়না আর্তনাদের হাহাকার; বরং ঢের বেশি একরোখা ইচ্ছে নিয়ে যুযতে থাকে বিরুদ্ধ পরিস্হিতি। সহানুভূতিশীল অনেক মন মালিয়ার সে যাত্রায় জুড়ে গিয়ে তাকে নিজস্ব ঠিকানায় পৌঁছে দেবার জন্য আর্দ্র হয়েছে হয়ত। তাকে বিজয়ী দেখবার জন্য প্রার্থনাও করেছে কায়মনোবাক্যে কেউ কেউ।
গরু আর কুকুরের উদাহরণ দেয়া হয় বারবার। গাঁয়ের গোরস্থানে কুকুর আর গরুদের অস্থির আচরণই মানুযকে ভয় পাইয়ে দেয়, ভুল বিশ্বাসের ভিত্তি মজবুদ করে। শুধু শোনা কথা নয়, কিছু ব্যাপার নিজেও দেখেছি। ছোটকালে মাঝে মাঝে গরু চরতাম আমি। কুকুর নিয়ে শিয়ালের পেছনে ধাওয়া করার অভিজ্ঞতাও আমার কম নয়। এই দুই প্রাণীকে দেখেছি, গোরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কেমন যেন অস্থির হয়ে যায়। ছোটাছুটি করে। দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যেতে চায় গরু। ফোঁস ফোঁস করে গর্জায় কখনও কখনও। শুধু তা-ই নয়, দেখা যায় একটা গোরস্থানে শত শত কবর থাকে কিন্তু তার ভেতরে নির্দিষ্ট একটা কবরের দিকে তেড়ে যায়। শিং দিয়ে গুঁতিয়ে কবরের মাটি আলগা করে ফেলে প্রবল আক্রোশে। যদি কবর রেলিং দিয়ে ঘেরা থাকে, তবে প্রবল বিক্রমে সেই বেড়া ছিন্ন ভিন্ন করতে পিছ পা হয় না নীরিহ গরু। লোকে তখন ভাবে, কবরের ভেতরে যে মানুষটি শুয়ে আছেন, তিনি বড্ড পাপি ছিলেন, ভয়াবহ আজাব হচ্ছে তাঁর।
০১
ফেসবুক ছেড়ে দিলাম।
হেনরিয়েটা অসাধারণ কিছু করে বসে অমর হননি। ওনার কেবল একটা রোগ হয়েছিল। ক্যান্সার। জরায়ু মুখে। জরায়ুর মুখকে যদি একটা দেয়াল ঘড়ির সঙ্গে তুলনা করা যায় তাহলে হেনরিয়েটার প্রাথমিক টিউমারটি ছিল চারের কাঁটার কাছাকাছি।
[justify]
তার আগে থ্যাকারে সাহেবের গল্প শুরু করা যাক।
১৭৬৫ সালে বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে আসার সাথে সাথেই সিলেট চলে আসে ইংরেজদের অধিকারে। ঢাকার কাউন্সিলর প্রথম দিকে সিলেট শাসনের দায়িত্বে থাকলে ও দূরত্বের কারনে পরবর্তীতে আলাদা প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ১৭৭১ সালে মিঃ সামনার প্রথম কোম্পানী প্রতিনিধি হিসেবে আসেন। সামনার ছিলেন মুলতঃ রাজস্ব সংগ্রাহক, ছিলেন সামান্য কয়দিন- তার তেমন উল্লেখ পাওয়া যায়না।
সামনারের পর আসেন মি: থ্যাকারে ১৭৭২ সালের অক্টোবর মাসে। সিলেট জেলার প্রধান রাজস্ব আয় ছিলো চুনাশিল্প থেকে। ইছাকলস( ছাতক) ও লাউড় (তাহিরপুর) পরগনায় পাথর পুড়িয়ে চুন বানানো হত। মেঘালয় পাহাড় থেকে চুনাপাথর এনে জমানো হতো পাড়ুয়াতে( বর্তমানে কোম্পানীগঞ্জ থানা- কোম্পানীর বাজার হিসেবেই কোম্পানীগঞ্জ)। ইছাকলস ও লাউড়ে তৈরী চুনার পাইকারী আড়ত ছিলো ভাটির আজমিরীগঞ্জবাজার। আজমীরি থেকে মেঘনা নদী হয়ে একেবারে কলকাতা, পাটনা। মীরকাশেমের সাথে ইংরেজের যে চুক্তি হয় সেই চুক্তিতেও সিলেটের চুনাশিল্পের বন্দোবস্ত নিয়ে আলাদা কথাবার্তা ছিলো।
[justify]
একটা উপন্যাস লিখবো বলে নিজেকে প্রস্তুত করছি অনেকদিন। একটা উপন্যাস লিখবো। ইতিহাস নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে, বাংলাদেশ নিয়ে। উপন্যাসে স্বপ্ন থাকবে, উৎসব থাকবে, ভালোবাসা থাকবে। উপন্যাসে বেদনা থাকবে, বিবমিষা থাকবে, বিশ্বাসঘাতকতা থাকবে।
‘এক ভারত-শ্রেষ্ঠ ভারত’ কিংবা ‘সবার সঙ্গে সবার বিকাশ’-এর মতো চটকদার নির্বাচনী স্লোগান সম্বলিত ইশতেহার প্রকাশ করলেও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নির্বাচনী প্রচারণায় বিপরীত চিত্রটিই নজরে আসছে বেশি। গান্ধী হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) কর্তৃক আশীর্বাদধন্য নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী, যিনি তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী গুজরাট রাজ্যের এবং সেই সুবাদে যিনি গুজরাটের মডেলে দেশ গড়ার প্রতি
( আজকের পোস্টের সাথে পুলিশি ব্যাপার- স্যাপারের খুব একটা যোগাযোগ নেই, ব্যস্ত পাঠক চাইলে এটি বাদ দিতে পারেন)
সুপ্রিয় নাগরিকবৃন্দ,
গত ক’দিন কাজের বেশ চাপ গিয়েছে, আজ বৃষ্টির সাথে সাথে ইচ্ছে করছে খানিকটা হালকা মেজাজে আপনাদের সাথে কথা বলতে।পুলিশের কঠোর জীবনে হালকাভাবে কথা বলার সুযোগ খুব বেশি আসেনা,তবে আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে পেয়ে আমার সাহস বেড়ে গিয়েছে।
আমার বিস্তর আলস্য আমাকে বছরে দুইবারের বেশি ভোগায় না। কারন বছরে দুইবার আমাকে চুল কাটতেই হয়, তা না হলে বেড়ে ওঠা চুলের এদিক সেদিক যাত্রা নির্লিপ্ত আলস্যে বিস্তর ব্যাঘাত ঘটায়, তাই আলস্যের স্বার্থেই আলস্য পরিহার করে চুল কাটার প্রস্তুতি নিতে হয়।
সৎ কাকে বলে?