একটা মেগাসিটিতে থাকি আরেকটাতে অর্ধেক জীবন কাটায়ে আসছি, উঁচু বিল্ডিং মনুমেন্ট দেখছি। ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তিরিশ তলা উঁচু বিল্ডিং দেখেছি, টরন্টোর স্কাই ক্র্যাপার, এমন কি এক সময়ের মানুষের তৈরী উঁচুতম দালান সিএন টাওয়ারও দেখা হয়েছে, হচ্ছে। সেইসব উঁচু বিল্ডিং সব জুড়ে দিলেও এই পর্বতের সমান হবে না। এরকম কিছু আমি বাস্তবে কেন, স্বপ্নেও দেখি নাই। অনুভূতির কোথাও লুকিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে উচ্চতা, গভীরতায়, অপ্রতিসমতায় কোনভাবেই কিছুর সাথে তুলনা আমি এই পর্বতের তুলনা করতে পারছিলাম না। ফেরার পথে অবশ্য এই পর্বতকেই রীতিমত টিলার মত লাগছিল!!!
অক্টোবরের কিছু আগে থেকেই, ইউএসএর লোকজনের মাঝে হ্যালোইনের আছড় পড়া শুরু করে। এর জন্য অবশ্য দোকানওয়ালাদেরই কৃতিত্ব(!) বেশি। এরা সব উৎসবের একটু বেশি অনেক আগে থেকেই এমনভাবে সবকিছু বাড়াবাড়ি রকম প্রোমোট করা শুরু করে যেন, মনে হয় আর দিন কয়েক বাকি আছে, এক্ষুণি কেনা-কাটা শুরু করা দরকার।
ক্রুজ-এর স্বপ্ন তথা শুরুর শুরু
কতবার যে দুজনে গল্প করেছি একবার জাহাজে চেপে ঘুরতে যেতে হবে। কোথায় যাবো জানিনা, কিন্তু যেতে হবে। গিন্নী বলে চার রাত-এর ট্রিপ নিলেই যথেষ্ট। আমি বলি পাঁচ রাতের কমে যাওয়া নেই। আন্তর্জাল-এ রকমারী ক্রুজ-লাইন-এর বিজ্ঞাপন, কত যে ‘ডিল’ আসে-যায়। কিছুতেই আর কোন ‘ডিল’ ধরা হয়ে ওঠে না। হঠাৎ করেই হয়ে গেল সেই স্বপ্নপূরণ। ঘুরে এলাম নরওয়েজিয়ান পার্ল-এ চেপে। সাত রাত-এর লম্বা সফর।
আমরা লেক জেনেভার উত্তর তীরে থাকি। জায়গাটা অর্ধচন্দ্রাকৃতি লেকের ঠিক মাঝামাঝি, পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে অতি বিখ্যাত জেনেভা শহর, পূর্ব প্রান্তে মন্ট্রু (এটা আমার বাঙালি উচ্চারণ, আমার ফ্রেঞ্চ কলিগের উচ্চারণে, MONTREUX = মনথখ্রো)। দক্ষিণ দিক বাদ দিয়ে আমার বাসার তিনদিকে পঞ্চাশ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের সব এলাকা মোটামুটি ঘুরে ফেলেছি, কখনো গ্রীষ্মে, কখনো শীতে। আজকাল আর তাই সহজে মন ভরে না, ইচ্ছে করে দূরে দূরান্তে যেতে।
ঘোরাঘুরি আমরা বেশ ভালো পাই। আমরা বলতে আমি, আমার গিন্নি আর এক বছর বয়েসি কন্যাটি। পৌণে ছয় এর পুত্র ঘুরতে যাবার কথা শুনলেই মুখ গোমরা করে ল্যাচা মেরে বসে পড়তে চায়, ঘুরে ঘুরে পাথর গাছপালা পানি দেখার চাইতে ইউটিউবে কার্টুন দেখা তার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক। বেশিরভাগ দিনে তাকে ধমক দিয়ে কিংবা টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বার করতে হয় এবং সেইসব দিনগুলোতে অবধারিত ভাবে কানের কাছে সারাক্ষণ বাজতে
[justify]
[justify]
বাংলা সিনেমার ইংরেজি নাম নিয়ে অনেক দিক ধরেই আলোচনা হয়। সেই আমাদের আমল থেকে শুরু করে এই জলিলীয় প্রজন্ম পর্যন্ত এই রীতি ধারণ করে আসছে। সম্ভবত এটা আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে গেছে। সত্যি কথা বলতে আমি এইটার বিরুদ্ধে না। ইংরেজি নাম বাংলা নামের অনুবাদ হতে হবে - এই নিয়মে আমি বিশ্বাসী নই। আমাদের বাংলা এবং ইংরেজি উভয় বিষয়ের পণ্ডিত শিক্ষক জোবেদ আলী স্যার আমাদের ভাষার নয় বরং ভাবের অনুবাদ করতে বলেছিলেন। মূল ব্যাপারটা হচ্ছে ভাবটা বুঝতে হবে।